মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কিছু কর্ম আছে স্বভাবগত ও অভ্যাগত। যেমন, উঠা, বসা, খাওয়া-দাওয়া, পায়খানা, প্রশ্রাব, ঘুমানো ইত্যাদি। এ ধরনের কর্মগুলো রাসূলের জন্য ও তার উম্মতের বৈধ কর্ম হওয়ার ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে কোন প্রকার বিরোধ বা দ্বিমত নাই। এ ধরনের কর্মসমূহের ক্ষেত্রে রাসূলের অনুকরণ করাটা শরিয়তের বিধি-বিধানের আওতাভুক্ত নয়। এটি সুন্নাত, নফল, ওয়াজিব বা ফরজের আওতায় পড়ে না। বরং শুধু এ কথাই প্রমাণ করে, এ ধরনের কর্ম করা বৈধ। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথাও দাঁড়াইল, বা নির্ধারিত কোন বাহনে আরোহণ করল বা কখনও সে কোথাও বসল, কোন নির্ধারিত রঙের জামা পরিধান করল এবং নির্ধারিত কোন খাওয়ার গ্রহণ ইত্যাদি তার অনুকরণে সে রঙের জামা পরিধান করতে হবে বা নির্ধারিত জামা পরিধান করতে হবে এবং নির্ধারিত স্থানে বসতে এমন কোন কথা শরিয়ত সম্মত নয় এবং যে ব্যক্তি এ ধরনের ক্ষেত্রে রাসূলের অনুকরণ করল না তাকে এ কথা বলা যাবে না যে লোকটি রাসূলের সূন্নাত তরককারি। তবে যদি এ সব স্বভাবগত বা অভ্যাগত কর্ম বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ হতে আলাদা কোন দলীল পাওয়া যায় তবে তার বিধান অবশ্যই ভিন্ন হবে। যেমন, বাম হাত দিয়ে না খেয়ে ডান হাত দিয়ে খাওয়া। এটি সুন্নাত। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে ডান দিয়ে খেতেন এবং ডান হাত খাওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় এ ধরনের রাসূলের অনুকরণের কোন প্রয়োজন নাই। কারণ, ওমর রাদিআল্লাহু আনহু হতে প্রমাণিত:
أنه كان في سفر فرأى قوما ينتابون مكانا يصلون فيه فقال : ما هذا؟ قالوا : هذا مكان صلى فيه رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فقال : ومكان صلى فيه رسول الله - صلى الله عليه وسلم -؟ أتريدون أن تتخذوا آثار أنبيائكم مساجد؟ إنما هلك من كان قبلكم بهذا ، من أدركته الصلاة فيه فليصل وإلا فليمض
অর্থ, ওমর রাদিআল্লাহু আনহু একটি সফরে দেখতে পেলেন একদল লোক একটি স্থানে পালাক্রমে সালাত আদায় করতে ছিল, তা দেখে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কি দেখছি? তারা বলল, এ জায়গাটিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেন। তখন তিনি বললেন, সত্যি কি এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেছেন? আর তোমরা কি চাও নবীদের নিশানা গুলোকে সেজদার স্থান বানাতে? তোমাদের পূর্বের উম্মতরা এ জন্য ধ্বংস হয়েছে-তারা তাদের নবীদের নিশানাগুলোকে সেজদা করার স্থান বানাত। তোমাদের কারো চলার পথে যদি সালাতের সময় হয়ে যায় সে এখানে সালাত আদায় করবে, অন্যথায় সে চলে যাবে। অর্থাৎ, এখানে সালাত আদায় করার আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য নাই। যার জন্য এখানে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে একত্র হতে হবে। তবে এ সালাত আদায় করা যে অবৈধ তাও বলা যাবে না। কারণ, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের জন্য পুরো যমীনকে মসজিদ ও পবিত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং, সব জায়গায় সালাত আদায় করা যাবে। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে সালাত আদায় করেছেন সেখানে সালাত আদায় করতে হবে এমন কোন কিছু করা হতে বিরত থাকতে হবে।
আর যে সব কর্ম রাসূলের সাথে খাস বা রাসূলের বৈশিষ্ট্য বলে প্রমাণিত ঐ কর্মের ক্ষেত্রে রাসূলের সাথে কেউ অংশীদার হতে পারবে না। যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর চাশতের সালাম, বিতরের সালাত, তাহাজ্জুদের সালাত ফরজ ছিল। কিন্তু উম্মতের জন্য এগুলো ফরজ নয়। ফলে কেউ এ ইবাদাতগুলিকে আদায় করার ক্ষেত্রে ফরজ হিসেবে নিজের উপর চাপিয়ে দেয়া বা বাধ্যতামূলক করে নেয়ার কোন সুযোগ নাই। অনুরূপভাবে চারের অধিক বিবাহ করা এবং লাগাতার রোজা রাখা ইত্যাদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। উম্মতের কারো জন্য এ ক্ষেত্রে রাসূলের অনুকরণ করার কোন সুযোগ নাই।
যদি রাসূলের কর্মের উপর আমাদের জন্য তার মৌখিক বর্ণনা জানা যায়, তাহলে এ ধরনের কর্মের উপর অবশ্যই শরীয়তের বিধান বর্তায় এবং উম্মতের জন্য তার অনুকরণ করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে। যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের কর্ম সম্পাদন করার পর বলেন, صلوا كما رأيتموني أصلي “তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছ সেভাবে সালাত আদায় কর”। [বুখারি, হাদিস: ৬০০৮] হজের বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لتأخذوا عني مناسككم فإني لا أدري لعلي لا أحج بعد حجتي هذه رواه مسلم
তোমরা আমার থেকে তোমাদের হজের কর্মসমূহ শিখে নাও। কারণ, হতে পারে আমি আমার এ হজের পর আর হজ নাও করতে পারি। [মুসলিম, হাদিস: ১২৯৭]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কতক কর্ম আছে যেগুলো স্বভাবজাতও নয় এবং তার জন্য খাসও নয় এবং কুরআনের ব্যাখ্যাও নয়, এ ধরনের কর্ম সম্পর্কে অবশ্যই ব্যাখ্যার প্রয়োজন এবং এ ধরনের কর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা রয়েছে।
এক- যদি এমন কোন আলামত পাওয়া যায় যদ্বারা প্রমাণিত হয়, এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর বা তার জন্য বিধান-ওয়াজিব, মোস্তাহাব বা মু-বাহ ইত্যাদি-। তাহলে এ ক্ষেত্রে উম্মতের বিষয় ও তার বিষয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর যদি কোন কিছু পালন করা ওয়াজিব হয়ে থাকে তা উম্মতের জন্যও পালন করা ওয়াজিব অনুরূপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য যদি কোন কিছু মোস্তাহাব হয়ে থাকে, তা উম্মতের জন্যও পালন করা মোস্তাহাব; এ ক্ষেত্রে উম্মত ও রাসূল উভয়েই সমান; কোন প্রকার তারতম্য করার সুযোগ নাই। কারণ, শরিয়তের মূলনীতি হল, যারা শরিয়তের বিধানের মুকাল্লাফ তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকতে পারে না।
দুই- যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন আমল বা কর্ম করে থাকেন, আর সে যে কর্মটি করেছেন, তা কি ওয়াজিব হিসেবে, নাকি মোস্তাহাব বা বৈধ হিসেবে করেছেন, তার উপর কোন প্রমাণ না থাকে, তাহলে এ সব কর্মের ক্ষেত্রে বিধান হল, হয়তো এ সব কর্মগুলোর অনুকরণ করা দ্বারা একজন ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হবে। যেমন, ‘দুই রাকাত সালাত’ যেটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় করেননি মাঝে মধ্যে করেছেন। কেউ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুকরণে পালন করে, সাওয়াব পাবে, এবং এ ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুকরণ করা মোস্তাহাব বলে গণ্য হবে।
অথবা তাতে সাওয়াবের কোন উদ্দেশ্য না থাকে, যেমন- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় চুল লম্বা করা, পাগড়ী পরিধান করা ও পাগড়ীর দুই মাথাকে দুই কাদের উপর ছেড়ে দেয়া ইত্যাদি। এতে আলেমদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে।
এক- কেউ কেউ বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ ধরনের কর্মগুলো মোস্তাহাব। তাদের যুক্তি হল, রাসূল নিজেই হলেন শরিয়তের প্রণেতা। সুতরাং, তার কর্মই হল শরিয়ত।
দুই- আর কেউ কেউ বলেন, এ ধরনের কর্ম মুবাহ এবং এগুলো তার স্ব-ভাবজনিত কর্ম ইবাদত নয়। সুতরাং, যদি কোন ব্যক্তি তার মাথার চুল কাটে বা ছাটে এবং যদি কেউ পাগড়ী পরিধান না করে, তাকে এ কথা বলা যাবে না, লোকটি সূন্নাত তরককারি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/359/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।