মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সুন্নাতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামী শরীয়তের অকাট্য দলীল কুরআনের আলোকে প্রমাণিত হওয়ার পর এ বিষয়ে হাদিসের অবতারণার প্রয়োজন হয় না বরং ইসলামের কোন বিধান প্রমাণের জন্য একটি বিশুদ্ধ ও স্পষ্ট দলীলই যথেষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু পাঠক সমাজের কাছে বিষয়টি আরও স্পষ্ট ও আলোকিত হওয়ার জন্য “সুন্নাতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামী শরীয়তের অকাট্য দলীলের” প্রমাণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নিম্নে উপস্থাপন করা হল:
[ক] প্রসিদ্ধ সাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু সংখ্যক ফিরিস্তা আসলেন, তাদের কেউ বললেন, তিনি ঘুমন্ত, আবার কেউ বললেন: তাঁর চক্ষু ঘুমন্ত কিন্তু অন্তর জাগ্রত। অতঃপর তারা বললেন, তাঁর একটি দৃষ্টান্ত রয়েছে তোমরা সে দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর, অতঃপর বললেন, তাঁর দৃষ্টান্ত হল ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে সুসজ্জিত করে একটি গৃহ নির্মাণ করল, অতঃপর সেখানে খাওয়ার আয়োজন করল এবং একজন আমন্ত্রণকারী প্রেরণ করল, অতঃপর যে আমন্ত্রণ গ্রহণ করল, গৃহে প্রবেশ করল এবং আয়োজিত খানা খেল। আর যে আমন্ত্রণ গ্রহণ করল না, গৃহেও প্রবেশ করল না এবং আয়োজিত খানাও খেল না। এ দৃষ্টান্ত বর্ণনার পর তারা বললেন: দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা করে দিন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারবেন, কারণ চক্ষু ঘুমন্ত হলেও অন্তর জাগ্রত, তখন তারা ব্যাখ্যায় বললেন,
“নির্মিত গৃহটি হল জান্নাত, আর আমন্ত্রণকারী হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, অতএব যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনুগত্য স্বীকার করে, সে যেন প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ তা’আলরই আনুগত্য স্বীকার করল। আর যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অমান্য করল, সে যেন প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা’আলাকেই অমান্য করল। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন মানুষের মাঝে [ন্যায় ও অন্যায়ের] পার্থক্যকারী”। [বুখারি, হাদিস: ৭২৮১]
[খ] সাহাবী আল ঈরবায বিন সারিয়াহ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন:
“একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের একদিন সালাত পড়ালেন, অতঃপর সালাত শেষে আমাদের দিকে মুখ করে বসে হৃদয় স্পর্শী বক্তব্য শোনালেন, বক্তব্য শুনে আমাদের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল এবং হৃদয়ে কম্পন শুরু হল, আমরা আবেদন করলাম হে রাসূলুল্লাহ! মনে হয় ইহা যেন বিদায়ী ভাষণ, অতএব আমাদেরকে কিছু উপদেশ দিন! তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমার উপদেশ হল তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের [ধর্মীয় নেতার] আনুগত্য স্বীকার কর এবং তার কথা শ্রবণ কর, যদিও হাব্শী কৃতদাস তোমাদের নেতা হয়ে থাকে। জেনে রেখ তোমাদের মধ্য হতে আমার পরে যে বেঁচে থাকবে সে [দ্বীনী বিষয়ে] বহু মতভেদ দেখতে পাবে, এমতাবস্থায় তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হল আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধর এবং সুপথ প্রাপ্ত আমার [চার] খোলাফায়ে রাশিদার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধর। আর সাবধান থাক [দ্বীনের নামে] নব আবিষ্কৃত বিষয়সমূহ হতে! কারণ প্রতিটি [দ্বীনের নামে] নব আবিষ্কৃত বিষয় হল বিদ’আত, আর সকল প্রকার বিদ’আত হল পথভ্রষ্টটা। [তিরমিযি, ২৬৭৬ ইবনু মাযাহ, ৪২ আবু দাউদ, ৪৬০৭]
এ মূল্যবান হাদিসটি হতে আমরা একাধিক বিষয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি, প্রথমত: ইহা প্রমাণ করে যে, সুন্নাতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামী শরীয়তের অকাট্য দলীল, তাই তাহা আঁকড়ে ধরতেই হবে উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত: সুন্নাহ এর বিপরীত বিষয় হল বিদ’আত, বিদ’আতের পরিচয় হল: ইসলামে ইবাদাতের নামে এমন কোন নতুন বিষয়, অথবা মূল বিষয়ের কোন সংযোজন চালু করা যা কুরআন ও সুন্নায় প্রমাণিত নয়। এরূপ সকল বিদ’আতই ইসলামে গর্হিত ও পরিত্যাজ্য, কারণ আলোচ্য হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ “সকল প্রকার বিদ’আত পথভ্রষ্টটা” অন্য বর্ণনায় এসছে كُلَّ بِدْعَةٍ ضََلالَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّار “সকল প্রকার বিদ’আতই পথভ্রষ্টটা, আর সকল পথভ্রষ্টটার পরিণতি হল জাহান্নাম।” অতএব মনের খেয়াল খুশী অনুযায়ী বিদ’আতকে ভাগাভাগি করার কোন সুযোগ নেই। আল্লাহ আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতকে পূর্ণভাবে আঁকড়ে ধরে এবং সকল প্রকার বিদ’আত বর্জন করে সঠিক ইসলাম মেনে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন!
[গ] সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“তোমাদের মাঝে দু’টি বিষয় রেখে গেলাম যতক্ষণ সে দু’টি আঁকড়ে ধরে থাকবে কখনও পথভ্রষ্ট হবে না, আল্লাহ তা’আলার কিতাব ও আমার সুন্নাত”।
এ হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জে লক্ষাধিক জনতার সামনে জীবনের শেষ হজ্জে শেষ ভাষণে শেষ উপদেশ প্রদান কালে বলেন: আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর সুন্নাতই হল সুপথ ও বিপথের মাপকাঠি, এ দু’টিকে সমানভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। শুধু কুরআনকে আঁকড়ে ধরে যেমন সুপথ হতে পারে না, তেমনি শুধু সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরেও সুপথ হতে পারে না। তাই কুরআন ও সুন্নাহ উভয়কে সমানভাবে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে কেবল মানুষ তার দ্বীনকে সংরক্ষণ করতে পারবে, নচেৎ কখনও সম্ভব নয়।
সুন্নাহ ইসলামী শরীয়তের অকাট্য দলীল প্রমাণ করার জন্য নমুনা স্বরূপ এ তিনটি হাদিস উপস্থাপন করেই শেষ করতে চাই, মূলত: এ বিষয়ে অসংখ্য সহীহ হাদিস রয়েছে যা তুলে ধরলে ছোটখাটো একখানা পুস্তক হয়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/359/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।