HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিরুদ্ধবাদীদের সাথে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ

লেখকঃ ড. মোঃ আবদুল কাদের

১২
(ঞ) হিজরত
কাফির-মুশরিকদের অত্যাচারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন অতিষ্ট হয়ে পড়লেন যে, তাঁর ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, অথচ প্রতিরোধের কোন কৌশল তাঁর হাতে নেই, নেই কোন আশ্রয় বা আত্মগোপন করার স্থান, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করার সংকল্প করেন। তাঁর সাহাবীগণ তাঁরই নির্দেশে হিজরত করেছিল ফেতনার দেশ থেকে নিরাপত্তার দেশ হাবশায়। [উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামাহ্‌ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, (তিনি হাবশায় প্রথম হিজরতকারীদের একজন) তিনি বলেন: মক্কা যখন আমাদের সংকীর্ণ হয়ে পড়ল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগন নির্যাতিত হলেন, পরীক্ষায় অবতীর্ণ হলেন, তাঁরা তাদের ধর্মে বিপদ প্রত্যক্ষ করলেন, অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিরোধ করতে পারছেন না। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তাঁর বংশ ও চাচার হেফাজতে ছিলেন। ফলে সাহাবীগণকে যে অত্যাচার নিপীড়ন করত তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে স্পর্শ করতে পারত না। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন : হাবশায় একজন বাদশাহ আছেন, কেউ তার কাছে নির্যাতিত হয় না। তোমরা তার রাজ্যে চলে যাও, আল্লাহ হয়ত তোমাদের এ বিপদ থেকে মুক্তির কোন পথ করে দিবেন। (ইবন, হাজর আসকালানী, ফাতহুল বারী, প্রাগুক্ত, ৭ম খন্ড, প্র. ২৭৭) আমরা বিচ্ছিন্ন্ভাবে হাবশার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম এবং সেখানে গিয়ে একত্রিত হলাম। উত্তম দেশের এক উত্তম প্রতিবেশীর ছায়ায় অবতরণ করলাম। আমরা ছিলাম আমাদের দীন নিয়ে নিরাপদে। এ নিয়ে সেখানে কোন অত্যাচারের আশংকা ছিল না। ইবন হিশাম, আস্ সিরাত আন্ নববীয়াহ, ১ম খন্ড, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৩৪।] আল্লাহ তা‘আলা এ ধরনের নির্যাতিত অবস্থায় হিজরত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনে বলা হয়েছেঃ

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَالُواْ فِيمَ كُنتُمۡۖ قَالُواْ كُنَّا مُسۡتَضۡعَفِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ قَالُوٓاْ أَلَمۡ تَكُنۡ أَرۡضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةٗ فَتُهَاجِرُواْ فِيهَاۚ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا ٩٧ إِلَّا ٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلۡوِلۡدَٰنِ لَا يَسۡتَطِيعُونَ حِيلَةٗ وَلَا يَهۡتَدُونَ سَبِيلٗا ٩٨ فَأُوْلَٰٓئِكَ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَعۡفُوَ عَنۡهُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَفُوًّا غَفُورٗا ٩٩ ۞وَمَن يُهَاجِرۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ يَجِدۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُرَٰغَمٗا كَثِيرٗا وَسَعَةٗۚ وَمَن يَخۡرُجۡ مِنۢ بَيۡتِهِۦ مُهَاجِرًا إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ يُدۡرِكۡهُ ٱلۡمَوۡتُ فَقَدۡ وَقَعَ أَجۡرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٠٠ ﴾ [ النساء : ٩٧، ١٠٠ ]

‘‘যারা নিজেরা যুলুম করে, ফেরেস্তারা তাদের প্রাণ গ্রহণের সময় বলে, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে ? তারা বলে এ ভুখন্ডে আমরা অসহায় ছিলাম। ফেরেস্তারা তখন বলে, আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা দেশ ত্যাগ করে সেখানে চলে যেতে? অতএব, এদের বাসস্থান হল জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত মন্দ স্থান, তবে যেসব পুরুষ, নারী ও শিশু কোন উপায় অবলম্বন করতে পারে না এবং পথ ও পায় না আল্লাহ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। যে কেউ আল্লাহর পথে দেশ ত্যাগ করে, সে দুনিয়ায় বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য লাভ করে।’’ [আল-কুরআন, সূরা আন্ নিসা : ৯৭-১০০।]

শুধু তাই নয়, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পূর্বেও অনেক নবী-রাসূল হিজরত করেছেন। যেমন ইবরাহীম ও মূসা আলাইহিস সালাম। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও অনুসারীদের নিয়ে মদিনায় হিজরত করেন। তাঁর হিজরত ছিল মূলতঃ প্রস্তুতি গ্রহণ করে শক্তি সঞ্চয় করার মাধ্যমে দীনকে বিজয়ী করার উদ্দেশ্যে। পরবর্তীতে তিনি প্রস্তুতি নিয়ে বিরুদ্ধবাদীদের মোকাবিলায় পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এবং দা‘ওয়াতকে সফলতায় পৌঁছাতে সক্ষম হন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন