মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১. তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করলে ঈমান পূর্ণতা পায়।
২. তাক্বদীরের প্রতি ঈমান না আনলে ‘রুবূবিইয়াত’ বা প্রতিপালনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করার বিষয়টি পূর্ণতা পায় না। কেননা তাক্বদীর আল্লাহ্র কর্মসমূহের অন্যতম।
৩. তাক্বদীরে বিশ্বাস করলে বান্দা তার বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্টে আল্লাহ্র শরণাপন্ন হতে পারবে। পক্ষান্তরে কল্যাণকর কিছু ঘটলে সে তা আল্লাহ্র দিকে সম্বন্ধিত করতে শিখবে এবং সে জানবে যে, তার প্রতি আল্লাহ্র অশেষ অনুগ্রহেই এটি সম্ভব হয়েছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
‘মুমিনের বিষয়টি অনেক মজার, তার সবকিছুই কল্যাণকর; মুমিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে এমনটি হয় না। কারণ খুশীর কিছু ঘটলে সে আল্লাহ্র শুকরিয়া আদায় করে। ফলে তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। পক্ষান্তরে কষ্টের কিছু ঘটলে সে ধৈর্য্যধারণ করে। ফলে তা তার জন্য কল্যাণকর হয়’। [. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৯৯, ‘যুহ্দ এবং রিক্বাক্ব’ অধ্যায়, ‘মুমিনের সবকিছুই কল্যাণকর’ অনুচ্ছেদ।]
৪. তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করলে বান্দা যে কোন বিপদাপদকে হালকা মনে করতে শিখবে। কারণ যখন সে জানবে যে, তার বিপদাপদ আল্লাহ্র পক্ষ থেকেই আসে, তখন তা তার কাছে কিছুই মনে হবে না। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ﴾ [ سورة التغابن : 11]
‘যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন’ (তাগাবুন ১১)। আলক্বামা (রহেমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে ঐ ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যার বিপদাপদ আসলে সে বিশ্বাস করে যে, তা আল্লাহ্র পক্ষ থেকেই হয়েছে। ফলে সে তাতে সন্তুষ্ট থাকে এবং তাকে অকপটে গ্রহণ করে নেয়। [. তাফসীরে ত্ববারী, ২৩/১১।]
৫. তাক্বদীরের মাধ্যমে মানুষ তাকে প্রদত্ত নে‘মতসমূহকে সেগুলির প্রকৃত দাতার দিকে সম্বন্ধিত করতে পারবে। কেননা আপনি তাক্বদীরের প্রতি ঈমান না আনলে উক্ত নে‘মতের সাথে প্রকাশ্যে জড়িত কোন ব্যক্তির দিকে সেগুলির সম্বন্ধ করবেন। সেজন্য অনেক মানুষকে রাজা-বাদশা, মন্ত্রী-এমপিদের তোষামোদ করতে দেখা যায়। অতঃপর তাঁদের কাছ থেকে কিছু অর্জন করতে পারলে উহাকে তাঁদের দিকেই সম্বন্ধিত করে এবং সৃষ্টি কর্তার অনুগ্রহের কথা ভুলে যায়। অবশ্য একথা ঠিক যে, মানুষের কৃতজ্ঞতাও আদায় করতে হবে। [. মুহাম্মাদ ইবনে ছালেহ উছায়মীন, শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, ২/১৮৯-১৯০।]
৬. তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করলে সুখে-দুঃখে সর্বদা সঠিক পথের উপরে টিকে থাকা সম্ভব হবে। ভাল কিছু পেলে সে আনন্দে আত্মহারা হবে না। পক্ষান্তরে বালা-মুছীবত তাকে আশাহত করতে পারবে না। সে জানবে, তার জীবনে কল্যাণকর যা কিছুই অর্জিত হয়, সবই আল্লাহ্র পক্ষ থেকেই হয়; তার বিচক্ষণতা এবং কর্মের পারদর্শিতার বিনিময়ে নয়। মহান আল্লাহ বলেন,
‘তোমাদের নিকট যে সমস্ত নে‘মত আসে, তা আল্লাহ্র পক্ষ থেকেই আসে’ (নাহ্ল ৫৩)।
পক্ষান্তরে বিপদাপদ এলে সে জানবে, এটিই তার তাক্বদীরে লিপিবদ্ধ ছিল এবং তা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে পরীক্ষা। ফলে সে ধৈর্য্যহারা হবে না, আশাহত হবে না; বরং সে ধৈর্য্যধারণ করবে এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে ছওয়াবের প্রত্যাশী হবে। [. ড. ওমর সুলায়মান আল-আশক্বার, আল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার/১১০।]
বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ, ‘রাসূল’ নামক গ্রন্থের লেখক বোডলি (BODLEY) বলেন, ‘আমি মরুর আরবদের কাছ থেকে দুশ্চিন্তাকে পরাজিত করতে শিখেছি। কারণ মুসলিম হিসাবে তাক্বদীরের প্রতি তাদের ঈমান অটুট। আর এই ঈমান তাদেরকে যেমন নিরাপদে জীবন যাপন করতে সহযোগিতা করেছে, তেমনি তা তাদেরকে সহজ এবং সাবলীল জীবন যাপন করতে শিখিয়েছে। সেজন্য কোন বিষয়ে তারা তাড়াহুড়াও করে না; দুশ্চিন্তাগ্রস্তও হয় না। কেননা তারা বিশ্বাস করে, তাক্বদীরে যা লেখা আছে, তা হবেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকে।...আমার আরব মরুভূমি ছেড়ে আসা ১৭ বছর হয়ে গেল, কিন্তু আজও আল্লাহ নির্ধারিত তাক্বদীরের ক্ষেত্রে আমি আরবদের সেই পরিচিত অবস্থান গ্রহণ করি। ফলে যেকোন বিপদাপদকে আমি ঠাণ্ডা মাথায় বরণ করে নিতে পারি। আরবদের কাছ থেকে শেখা এই স্বভাব আমার স্নায়ুবিক চাপ নিয়ন্ত্রণে উপশমকারী নানা ট্যাবলেট-ক্যাপসুলের চেয়ে বহুগুণ বেশী সফল হয়েছে। [. ডেল কার্নেগী, দা‘ইল ক্বালাক্ব ওয়াব্দাইল হায়াত, আরবী অনুবাদ: আব্দুল মুন‘ইম, (কায়রো: মাকতাবাতুল খানজী, তা. বি.), পৃ: ৩০৩-৩০৫।]
৭. তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনলে পরকালের সুখ-শান্তির জন্য বান্দা সর্বাত্মক চেষ্টা করতে সক্ষম হবে; ব্যর্থতা আর হতাশা তাকে গ্রাস করতে পারবে না। [. ‘আল-ইনতেছার ফির-রদ্দি আলাল-মু‘তাযিলাতিল ক্বাদারিইয়াতিল আশরার’ নামক গ্রন্থের ভূমিকা, ১/৬১।]
৮. তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনয়ন হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা, জালিয়াতি প্রবণতাসহ অনেক মনের ব্যাধির চিকিৎসা হিসাবে কাজ করে। কেননা সে তার কোন ভাইকে নে‘মতের মধ্যে দেখলে, নিশ্চিত জানবে যে, আল্লাহই তাকে এই নে‘মত দান করেছেন। ফলে হিংসার পরিবর্তে সে তার মুসলিম ভাইয়ের নে‘মতে খুশী হবে এবং আল্লাহ্র কাছে নিজের জন্য অনুরূপ নে‘মত প্রাপ্তির প্রার্থনা করবে। আল্লাহ্র প্রতি ঈমান না আনলে মনের এজাতীয় ব্যাধির চিকিৎসা সম্ভব নয়। [. মুহাম্মাদ হাস্সান, আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার, (মানছূরাহ: মাকতাবাতু ফাইয়্যায, দ্বিতীয় প্রকাশ: ২০০৬ইং), পৃ: ২৬৮)।]
মহান আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং তদনুযায়ী সার্বিক জীবন পরিচালনার তাওফীক্ব দিন। আমীন!
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/44/38
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।