১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
ভূমিকা
৩
আল্লাহর নিরানব্বই নাম সংক্রান্ত হাদীস ও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা
৪
আল্লাহর সু্ন্দর নামসমূহের ব্যাখ্যা উপস্থাপন [শাইখ আস-সা‘দীর কর্তৃক প্রণীত গ্রন্থসমূহ অবলম্বনে]
১- আল-ইলাহ [আল্লাহর এ নামের দলীল হলো তাঁর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ سُبۡحَٰنَهُۥٓ أَن يَكُونَ لَهُۥ وَلَدٞۘ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلٗا١٧١﴾ [النساء : ١٧١] “আল্লাহই কেবল এক ইলাহ, তিনি পবিত্র মহান এ থেকে যে, তাঁর কোন সন্তান হবে। আসমানসমূহে যা রয়েছে এবং যা রয়েছে জমিনে, তা আল্লাহরই। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৭১]]:
৫
২- আল্লাহ [এ নামের দলীল হলো, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُ٢٥٥﴾ [البقرة: ٢٥٥] “আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৫]] :
৬
৩- আল-আহাদ: আল-ওয়াহিদ (এক) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী,﴿قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّٰرُ١٦﴾ [الرعد: ١٦] “বলুন, ‘আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, একচ্ছত্র ক্ষমতাধর’। [সূরা আর-রাদ, আয়াত” ১৬]] আল-আহাদ (একক, অদ্বিতীয়)। [এ নামের দলিল হলো আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী, ﴿ قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ﴾ [الاخلاص: ١] “বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ১]]
৭
৪- আল-‘আলা: আল-আ‘লীয়ু (সুউচ্চ) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَلَا ئَُودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ٢٥٥﴾ [البقرة: ٢٥٥] “এবং এ দু’টোর (আসমানসমূহ ও জমিন) সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, মহান।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৫]] আল-আ‘লা (সুমহান) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী, ﴿سَبِّحِ ٱسۡمَ رَبِّكَ ٱلۡأَعۡلَى١﴾ [الاعلى: ١] “আপনি আপনার সুমহান রবের নামের তাসবীহ পাঠ করুন।” [সূরা আল-আ‘লা, আয়াত: ১]]:
৮
৫- আল-আউয়াল [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত আয়াত: ﴿هُوَ ٱلۡأَوَّلُ وَٱلۡأٓخِرُ وَٱلظَّٰهِرُ وَٱلۡبَاطِنُۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٌ٣﴾ [الحديد: ٣] “তিনিই প্রথম ও শেষ এবং প্রকাশ্য ও গোপন।” [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ৩]]: আল-আউয়াল (প্রথম), আল-আখির (শেষ), আয-যাহির (প্রকাশ্য), আল-বাতিন (গোপন)।
৯
৬-৭ আল-আখির (শেষ): আল-বারী (নির্মাণকারী, পরিকল্পনাকারী): আল-খালিক (শূন্য থেকে সৃষ্টিকারী), আল-বারী (সৃষ্টিকারী), আল-মুসাওয়ির (আকৃতিদানকারী)।
১০
৮- আল-বাসিত (প্রসারণকারী):
১১
৯-১০ আল-বাতিন (লুকায়িত, অস্পষ্ট, অন্তরস্থ)। - বাদী‘উস সামাওয়াতে ওয়াল আরদি (আসমান ও জমিনের স্রষ্টা)।
১২
১১- আল-বার: আল-বার (কল্যাণকারী), আল-ওয়াহহাব (দানশীল, স্থাপনাকারী), আল-কারীম (দয়ালু)।
১৩
১২- আল-বাসীর (সর্বদ্রষ্টা) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ١﴾ [الاسراء: ١] “তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ১]]:
১৪
১৩- আত-তাওয়াব (তাওবা কবুলকারী, ক্ষমাকারী) [এ নামের দলিল হলো, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿إِنَّهُۥ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ٣٧﴾ [البقرة: ٣٧] “নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, অতি দয়ালু।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৩৭]]:
১৫
১৪- জামি‘উন নাস (মানুষকে সমবেতকারী)। [গ্রন্থকার ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এ নামটিকে আসমাউল হুসনার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আসলে এটি আল্লাহর কাজের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করা নাম। কর্ম বাচক শব্দ থেকে আল্লাহর নাম উৎসারিত হয় না এবং সম্বন্ধযুক্ত নামসমূহ আসমাউল হুসনাও নয়। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।]
১৬
১৫- আল-জাব্বার (মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত) [এ নামের দলিল হলো, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡقُدُّوسُ ٱلسَّلَٰمُ ٱلۡمُؤۡمِنُ ٱلۡمُهَيۡمِنُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡجَبَّارُ ٢٣ ﴾ [الحشر: ٢٣] “তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ২৩]]।
১৭
১৬- আল-জালীল (গৌরবান্বিত), [গ্রন্থকার ইবনুল কাইয়্যিম রহ. আল-জালীল নামটি আসমাউল হুসনার অন্তর্ভুক্ত করেছেন; কিন্তু এ নামটি আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত নেই। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।] আল-কাবীর (সুমহান, সবচেয়ে বড়) [আল-কাবীর নামের দলিল হলো আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ﴿وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡكَبِيرُ ٢﴾ [سبا: ٢٣] “এবং তিনি সুমহান ও সবচেয়ে বড়।” [সূরা সাবা', আয়াত : ২৩]]:
১৮
১৭- আল-জামীল (সুন্দর) [সহীহ মুসলিমে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে এ নামটি সাব্যস্ত আছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «إِنَّ اللهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ».“নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন।” সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯১।]:
১৯
১৮-আল-জাওয়াদ (মহা দানশীল) [রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «إِنَّ اللَّهَ جَوَادٌ يُحِبُّ الجُودَ»“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা দানশীল, তিনি দানশীলতা ভালবাসেন।” হিলইয়াতুল আউলিয়া, আবু নু‘আইম, ৫/২৯; সহীহুল জামে‘, আলবানী, ১১/১০৫।]:
২০
১৯- আল-হাসীব (মহা মীমাংসাকারী, হিসাব গ্রহণকারী) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ حَسِيبٗا٦﴾ [النساء : ٦] “আর হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬]]:
২১
২০- আল-হাফীয (মহা সংরক্ষণকারী) [এ নামটি আসমাউল হুসনা হওয়ার ব্যাপারে দলিল পাওয়া যায় না। তবে সিফাতের সিগাহয় আল-কুরআনে এভাবে এসেছে, ﴿وَرَبُّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٍ حَفِيظٞ٢١﴾ [سبا: ٢١] “আর তোমার রব সকল কিছুর হিফাযতকারী।” [সূরা সাবা’, আয়াত : ২১]]:
২২
২১- আল-হাক্ক (প্রকৃত সত্য) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ هُوَ ٱلۡبَٰطِلُ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡكَبِيرُ٦٢﴾ [الحج : ٦٢] “আর এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহই সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয় আল্লাহ তো সমুচ্চ, সুমহান।” [সূরা আল-হাজ্জ, আয়াত: ৬২]]:
২৩
২২- আল-হাকাম: আল-হাকাম (মহা বিচারপতি, হুকুমদাতা) [এ নামের দলিল হলো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, «إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَكَمُ، وَإِلَيْهِ الْحُكْمُ». “আল্লাহ হলেন হাকাম (হুকুমদাতা), আর হুকুম তো তাঁরই।” আবু দাউদ, ৫/২৪০, হাদীস নং ৪৯৫৫, কিতাবুল আদাব, বাবু ফি তাগয়ীরিল ইসমিল কাবীহ; নাসায়ী, কিতাবুল কাদা, হাদীস নং ৫৩৮৯, বাবু ইযা হাকামু রজুলান ফাকাদা বাইনাহুম; আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।], আল-‘আদল (ন্যায় বিচাকর)।
২৪
২৩- আল-হাকীম (সুবিজ্ঞ, সুদক্ষ) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ﴿إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ حَكِيمٞ٢٨﴾ [التوبة: ٢٨] “নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ২৮]]:
২৫
২৪- আল-হালীম (মহা সহনশীল, মহা ধৈর্যশীল, প্রশ্রয়দাতা) [এ নামের দলিল আল্লাহর বাণী, ﴿وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ فَٱحۡذَرُوهُۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٞ٢٣٥﴾ [البقرة: ٢٣٥] “আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৩৫]]:
২৬
২৫- আল-হামীদ (সকল প্রশংসার দাবীদার, মহা প্রশংসনীয়) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ أَنتُمُ ٱلۡفُقَرَآءُ إِلَى ٱللَّهِۖ وَٱللَّهُ هُوَ ٱلۡغَنِيُّ ٱلۡحَمِيدُ١٥﴾ [فاطر: ١٥] “হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী আর আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ও প্রশংসিত।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ১৫]]:
২৭
২৬- আল-হাইয়্যু [আল্লাহর এ নামের দলিল হলো নিম্নোক্ত আয়াত: ﴿ ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُ٢٥٥﴾ [البقرة: ٢٥٥] “আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৫]]: আল-হাইয়্যু (চিরঞ্জীব, যার কোন শেষ নেই), আল-কাইয়্যূম (চিরপ্রতিষ্ঠিত ধারক):
২৮
২৭- আল-হাই (লজ্জাশীল, [রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حَلِيمٌ حَيِيٌّ سِتِّيرٌ يُحِبُّ الْحَيَاءَ وَالسَّتْرَ فَإِذَا اغْتَسَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَتِرْ».“আল্লাহ তা‘আলা ধৈর্যশীল, লজ্জাশীল, (মানুষের পাপ) আড়ালকারী। তিনি লজ্জাশীলতাকে এবং পর্দা করাকে পছন্দ করেন। অত:এব, তোমাদের কেউ যখন গোসল করবে, সে যেন পর্দা করে।” আবু দাউদ, ৪/৩০২, কিতাব, আল-হাম্মাম, বাব, উলঙ্গ হতে নিষেধাজ্ঞা; নাসায়ী, ১/২০০, কিতাব, গোসল ও তায়াম্মুল, বাব, গোসলের সময় পর্দা করা; মুসনাদ আহমাদ, ৪/২২৪; বায়হাকী, ১/১৯৮, কিতাব, তাহারাত, বাব, গোসলের সময় মানুষের উপস্থিতিতে ঢাকা, হাদীসটি ই‘আলা ইবন উমাইয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত; আলবানী রহ. হাদীসটিকে ইরওয়াউল গালীলে (৭/৩৬৭) সহীহ বলেছেন।] মহা গোপনকারী, আড়ালকারী [শাইখ আস-সা‘দী রহ. এখানে আস-সাত্তারকে আল্লাহর নাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন; কিন্তু এটি আল্লাহর নাম হওয়ার ব্যাপারে কোন দলিল পাওয়া যায় না, তবে মানুষের কাছে এটি আল্লাহর একটি নাম হিসেবে বহুল প্রচলিত।]):
২৯
২৮-২৯ আল-খাফিদ (অবিশ্বাসীদের অপমানকারী), আর-রাফি‘ (উন্নীতকারী) : - আল-খালিক (সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টিকারী) :
৩০
৩০- আল-খাবীর (সম্যক অবগত, সর্বজ্ঞ) [এ নামের দলিল হচ্ছে আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرُۢ٣٤﴾ [لقمان: ٣٤] “নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।” [সূরা লুকমান, আয়াত: ৩৪]]: (আল-‘আলীম (সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী), আল-খাবীর):
৩১
৩১-৩৩ যুল জালালি ওয়াল-ইকরাম (মহা মর্যাদাবান, মহা মহত্ত্ব ও মহা সম্মানিত) : - আর-রঊফ (অত্যন্ত স্নেহশীল, সদয়, সমবেদনা প্রকাশকারী, দয়াশীল) : - আর-রাফি‘(উন্নীতকারী, উঁচুকারী), আল-খাফিদ (অবিশ্বাসীদের অপমানকারী)।
৩২
৩৪- আর-রাব (রব, পালনকারী) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿قُلۡ أَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَبۡغِي رَبّٗا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيۡءٖ١٦٤﴾ [الانعام: ١٦٤] “বলুন, আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রব অনুসন্ধান করব ; অথচ তিনি সব কিছুর রব?” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৬৪]]:
৩৩
৩৫-৩৬ আর-রহমান (পরম করুণাময়, সবচেয়ে দয়ালু, কল্যাণময়): -আর-রাহীম (অতি দয়ালু) :
৩৪
৩৭- আর-রাযযাক (রিযিকদাতা):
৩৫
৩৮- আর-রাশীদ (সঠিক পথের নির্দেশক, বিচক্ষণ, সচেতন) [গ্রন্থকার এ নামটিকে আসমাউল হুসনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন; কিন্তু এটি আল্লাহর নাম হতে হলে দলিল থাকতে হবে।]:
৩৬
৩৯- আর-রফীক (কোমল, নম্র ব্যবহারকারী):
৩৭
৪০- আর-রাকীব (পর্যবেক্ষক, সদা জাগ্রত, অতন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী), আশ-শাহীদ (প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষ্যদানকারী):
৩৮
৪১-৪৩: ৪১-৪২ আস-সাত্তার, আস-সাতীর (অতি গোপনকারী)। - আস-সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা), আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (দোষমুক্ত)।
৩৯
৪৪- আস-সামী‘ (সর্বশ্রোতা): [‘আল-বাসীর’ নামের সাথে এ নামের বিস্তারিত ব্যাখা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।]
৪০
৪৫-৪৬ আশ-শাকির (পুরস্কার দানকারী, শুকরিয়াকারী) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَكَانَ ٱللَّهُ شَاكِرًا عَلِيمٗا ١٤﴾ [النساء : ١٤٧] “আল্লাহ পুরস্কার দানকারী, সর্বজ্ঞ।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৪৭]], আশ-শাকূর (গুণগ্রাহী, সুবিবেচক) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿إِن تُقۡرِضُواْ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنٗا يُضَٰعِفۡهُ لَكُمۡ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ شَكُورٌ حَلِيمٌ١﴾ [التغابن : ١٧]“যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তিনি তা তোমাদের জন্য দ্বিগুন করে দিবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী, পরম ধৈর্যশীল।” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৭]]:
৪১
৪৭- আশ-শাহীদ (প্রত্যক্ষদর্শী) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدٌ٦﴾ [المجادلة: ٦] “আর আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ৬] [এ নামের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ‘আল-কারীব’ নামের সাথে ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।]:
৪২
৪৮- আস-সাবূর (অত্যধিক ধৈর্যধারণকারী) [ধৈর্যশীলতা আল্লাহর গুণ। আবু মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস এ নামের প্রমাণ। সামনে এ হাদীসের বিস্তারিত ব্যাখ্যা আসছে।]:
৪৩
৪৯- আস-সামাদ (অমুখাপেক্ষী, অবিনশ্বর, চিরন্তন, স্বয়ং সম্পূর্ণ) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ٢﴾ [الاخلاص: ١، ٢] “বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ১-২]]:
৪৪
৫০-৫১- আদ-দার (যন্ত্রনাদানকারী, উৎপীড়নকারী), আন-নাফি‘ (অনুগ্রাহক, হিতকারী, উপকারকারী)
৪৫
৫২-৫৩ আয-যাহির (সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান, বাহ্য, দৃশ্যত)। - আল-‘আদল (নিখুঁত) ।
৪৬
৫৪- আল-আযীয: আল-আযীয (সর্বাধিক সম্মানিত, মহাসম্মানিত), আল-কাবীউ (সর্বশক্তিমান, শক্তিশালী) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿إِنَّ رَبَّكَ هُوَ ٱلۡقَوِيُّ ٱلۡعَزِيزُ٦٦﴾ [هود: ٦٦] “নিশ্চয় আপনার রব, তিনি শক্তিশালী, পরাক্রমশালী।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৬৬]], আল-মাতীন (সুদৃঢ়, সুস্থির) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلرَّزَّاقُ ذُو ٱلۡقُوَّةِ ٱلۡمَتِينُ٥٨﴾ [الذاريات: ٥٨] “নিশ্চয় আল্লাহই রিযিকদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী।” [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৮]], আল-কাদীর (মহা ক্ষমতাধর) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿وَٱللَّهُ قَدِيرٞۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ٧﴾ [الممتحنة : ٧] “আর আল্লাহ সর্ব শক্তিমান এবং আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-মুমতাহিনা, আয়াত: ৭]]।
৪৭
৫৫- আল-আযীম: আল-আযীম (মহা মর্যাদাপূর্ণ, অতি বিরাট) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَلَا ئَُودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ٢٥٥﴾ [البقرة: ٢٥٥] “এবং এ দু’টোর (আসমানসমূহ ও জমিন) সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, মহান।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৫]], আল-কাবীর (সুমহান, অতি বিরাট) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী,﴿ذَٰلِكُم بِأَنَّهُۥٓ إِذَا دُعِيَ ٱللَّهُ وَحۡدَهُۥ كَفَرۡتُمۡ وَإِن يُشۡرَكۡ بِهِۦ تُؤۡمِنُواْۚ فَٱلۡحُكۡمُ لِلَّهِ ٱلۡعَلِيِّ ٱلۡكَبِيرِ١٢﴾ [غافر: ١٢] “[তাদেরকে বলা হবে] এটা তো এজন্য যে, যখন আল্লাহকে এককভাবে ডাকা হত তখন তোমরা তাঁকে অস্বীকার করতে আর যখন তাঁর সাথে শরীক করা হত তখন তোমরা বিশ্বাস করতে। সুতরাং যাবতীয় কর্তৃত্ব সমুচ্চ, মহান আল্লাহর।” [সূরা গাফের, আয়াত: ১২]]:
৪৮
৫৬- আল-‘আফুউ [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَعَفُوٌّ غَفُورٞ٦٠﴾ [الحج : ٦٠] “নিশ্চয় আল্লাহ পাপ মোচনকারী, অতীব ক্ষমাশীল।” [সূরা আল-হাজ্জ, আয়াত: ৬০]]: আল-‘আফুউ (শাস্তি মউকুফকারী, গুনাহ ক্ষমাকারী, পাপ মোচনকারী) [এ নামের বিস্তারিত আলোচনা ‘আল-হালীম’ নামের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।], আল-গাফূর (মার্জনাকারী, অতীব ক্ষমাশীল) [‘আল-গাফূর’ নামের আলোচনায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।], আল-গাফফার (অতি ক্ষমাশীল, পরম ক্ষমাশীল):
৪৯
৫৭- ৫৮ আল-‘আলী (সুউচ্চ) : আল-‘আলীম (মহাজ্ঞানী) :
৫০
৫৯-৬০- আল-গাফূর (মার্জনাকারী, অতীব ক্ষমাশীল), আল-গাফফার (অতি ক্ষমাশীল, পরম ক্ষমাশীল):
৫১
৬১-৬২- আল-গানিয়ু (অমুখাপেক্ষী), আল-মুগনি (সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারী) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَوَجَدَكَ عَآئِلٗا فَأَغۡنَىٰ٨﴾ [الضحى: ٨] “তিনি তোমাকে পেয়েছেন নি:স্ব। অতঃপর তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।” [সূরা আদ-দুহা, আয়াত: ৮]]:
৫২
৬৩- আল-ফাত্তাহ (শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী, প্রারম্ভকারী, বিজয়দানকারী) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿قُلۡ يَجۡمَعُ بَيۡنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفۡتَحُ بَيۡنَنَا بِٱلۡحَقِّ وَهُوَ ٱلۡفَتَّاحُ ٱلۡعَلِيمُ٢٦﴾ [سبا: ٢٦]“বলুন, আমাদের রব আমাদেরকে একত্র করবেন। তারপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। আর তিনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী ও সম্যক পরিজ্ঞাত।” [সূরা সাবা’, আয়াত : ২৬]]:
৫৩
৬৪- ফা‘আলুল লিমা ইউরীদ (তিনি তা-ই করেন যা চান) [এটি আল্লাহর নাম হওয়ার দলিল পাইনি। শাইখ সুলাইমান ইবন আব্দুল্লাহ তাইসীরুল আযীযিল হামীদ (পৃ. ৬৪৪) কিতাবে বলেছেন, ‘আল্লাহকে ফা‘আলুল লিমা ইউরীদ (তিনি তা-ই করেন যা চান), আল-ফালিক (বীজ থেকে অংকুর নির্গতকারী) ও আল-মুখরিজ (বেরকারী) নামকরণ করা সহীহ নয়.... তাছাড়া এ ব্যাপারে সহীহ হাদীসেও কিছু আসে নি।’]:
৫৪
৬৫-৬৬ আল-কাবিদ : আল-কাবিদ (নিয়ন্ত্রণকারী), আল-বাসিত (প্রসারণকারী)। -আল-কারীব (অতি নিকটবর্তী):
৫৫
৬৭-৬৮ আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত) : -আল-কাদীর (মহা ক্ষমতাধর) :
৫৬
৬৯- আল-কাহহার (মহাপ্রতাবশালী, দমনকারী) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّٰرُ١٦﴾ [الرعد: ١٦] “বলুন, ‘আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, একচ্ছত্র ক্ষমতাধর’। [সূরা আর-রাদ, আয়াত” ১৬]]:
৫৭
৭০-৭৪ আল-কাবীউ (সর্বশক্তিমান, শক্তিশালী) : - আল-কাইয়্যূম (চিরন্তন) : -আল-কাফী (যথেষ্ট) : - আল-কাবীর (সুমহান, সবচেয়ে বড়) : - আল-কারীম (মহা সম্মানিত, মহা দয়ালু) :
৫৮
৭৫- আল-লাতীফ (সূক্ষ্মদর্শী, অমায়িক) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿لَّا تُدۡرِكُهُ ٱلۡأَبۡصَٰرُ وَهُوَ يُدۡرِكُ ٱلۡأَبۡصَٰرَۖ وَهُوَ ٱللَّطِيفُ ٱلۡخَبِيرُ١٠٣﴾ [الانعام: ١٠٣] “চক্ষুসমূহ তাকে আয়ত্ব করতে পারে না। আর তিনি চক্ষুসমূহকে আয়ত্ব করেন। আর তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১০৩]]:
৫৯
৭৬- আল-মালিক (অধিপতি, মালিক) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ٤﴾ [الفاتحة: ٤] “বিচার দিবসের মালিক।” [সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ৪]]: আল-মালিক (الملك) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿فَتَعَٰلَى ٱللَّهُ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡحَقُّۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡكَرِيمِ١١٦﴾ [المؤمنون : ١١٦] “সুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ১১৬]], আল-মালিক (المالك)।
৬০
৭৭- আল-মানি‘ (প্রতিরোধকারী, রক্ষাকর্তা, নিষেধকারী, বারণকারী) [এ নামের সমার্থক ‘আল-বাসিত’ নামের সাথে এ নামের বিস্তারিত আলোচনা উল্লেখ করা হয়েছে।]: আল-মু‘তী, আল-মানি‘:
৬১
৭৮- আল-মুবদিয়ু (প্রথম সৃষ্টিকারী, অগ্রণী, প্রথম প্রবর্তক): আল-মুবদিয়ু- আল-মু‘ঈদ (পুনরুত্থানকারী, পুনরুদ্ধারকারী, পুন:প্রতিষ্ঠাকারী)। [এ নাম দুটি আসমাউল হুসনা হওয়ার কোন সহীহ দলিল আমি পাইনি।]
৬২
৭৯-৮০ আল-মুতাকাব্বির (সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত, অহংকারী) : -আল-মাতীন (সুদৃঢ়, সুস্থির) :
৬৩
৮১-আল-মুজীব (সাড়া দানকারী, উত্তরদাতা, দো‘আ কবুলকারী) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿إِنَّ رَبِّي قَرِيبٞ مُّجِيبٞ٦١﴾ [هود: ٦١] “নিশ্চয় আমার রব নিকটে, সাড়াদানকারী।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৬১]]:
৬৪
৮২-৮৩ আল-মাজীদ (মহিমান্বিত, সম্মানিত) : - আল-মুহীত (পরিবেষ্টনকারী, সর্ব বেষ্টনকারী) [আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٖ مُّحِيطٗا١٢٦﴾ [النساء : ١٢٦] “আর আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টনকারী।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১২৬]]:
৬৫
৮৪-৮৯ আল-মুযিল (সম্মান হরণকারী) : - আল-মুসাওয়ির (আকৃতিদানকারী) : - আল-মু‘ইজ (সম্মান প্রদানকারী) : -আল-মু‘তী (দানকারী) : - আল-মু‘ঈদ (পুনরুত্থানকারী, পুনরুদ্ধারকারী, পুন:প্রতিষ্ঠাকারী) : -আল-মুগনী (সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারী) :
৬৬
৯০- আল-মুগীস (সাহায্যকারী, বিপদে রক্ষাকারী) [এটি আল্লাহর নাম হওয়ার ব্যাপারে সহীহ কোন প্রমাণ আমি পাই নি।]:
৬৭
৯১- আল-মুকাদ্দিম: আল-মুকাদ্দিম (সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী), আল-মু’আখখির (বিলম্বকারী) [রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহুদ ও সালামের মাঝে সর্বশেষ এ দু‘আ পাঠ করতেন: «اللهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَسْرَفْتُ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ».“হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন আমার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ, যা আমি গোপন করেছি ও যা আমি প্রকাশ্যে করেছি, যা আমি সীমালঙ্ঘন করেছি এবং সে সকল অপরাধ যা আপনি আমার চেয়ে অধিক অবগত। আপনি সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী ও বিলম্বে সহায়তাকারী (এ বিষয়ে এগিয়ে দেওয়ার ও পিছিয়ে দেওয়ার মালিক)। আপনি ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সহীহ মুসলিম, ১/৫৩৫, কিতাব, মুসাফিরের সালাত, বাব, রাতের সালাতের দো‘আ, হাদীস নং ৭৭১, হাদীসটি আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।]।
৬৮
৯২-৯৫ আল-মুকীত (সংরক্ষণকারী, লালনপালনকারী) : - আল-মালিক (অধিপতি, মালিক) [‘আল-মালিক’ (المالك) নামের সাথে এ নামের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।]: - আল-মুহাইমিন (রক্ষক, অভিভাবক, প্রতিপালনকারী) : - আল-মু’আখখির: আল-মুকাদ্দিম (সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী), আল-মু’আখখির (বিলম্বকারী)।
৬৯
৯৬-৯৭ আল-মু’মিন (নিরাপত্তাদানকারী, জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী) : - আন-নাফি‘ :
৭০
৯৮- আন-নূর (আলোক) [এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿ٱللَّهُ نُورُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ٣٥﴾ [النور : ٣٥] “আল্লাহ আসমানসমূহ ও জমিনের নূর।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩৫]]:
৭১
৯৯- আল-হাদী (হিদায়েতকারী, পথপ্রদর্শক) [এ নামটি আসমাউল হুসনা হওয়ার ব্যাপারে কোন সহীহ দলিল আমি পাই নি; তবে এটি সিফাতের শব্দে আল-কুরআনে উল্লেখ আছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ هَادِيٗا وَنَصِيرٗا٣١﴾ [الفرقان: ٣١] “আর পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে তোমার রবই যথেষ্ট।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৩১]]:
৭২
১০০-১০১ আল-ওয়াহিদ (এক) : - আল-ওয়াসি‘ (অসীম, ব্যাপক) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَٱللَّهُ يَعِدُكُم مَّغۡفِرَةٗ مِّنۡهُ وَفَضۡلٗاۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٞ٢٦٨﴾ [البقرة: ٢٦٨] “আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৬৮]]:
৭৩
১০২- আল-ওয়াদূদ (প্রেমময়, পরম স্নেহশীল) [এ নামের দলিল হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, ﴿وَهُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلۡوَدُودُ١٤﴾ [البروج: ١٤] আর তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, প্রেমময়। [সূরা আল-বুরূজ, আয়াত: ১৪]]:
৭৪
১০৩- ১০৪ আল-ওয়াকীল (তত্ত্বাবধায়ক, সহায় প্রদানকারী, আস্থাভাজন উকিল) : - আল-ওয়াহহাব (দানশীল, স্থাপনাকারী) :
৭৫
উপসংহার