HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আকীদা ও ফিক্হ [ ২য় শ্রেণী ]
লেখকঃ অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, ড. মো. আনোয়ারুল কবীর, অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম, ড. মো. মানজূরে ইলাহী, অধ্যাপক মো. নূরুল্লাহ
আমাদের শিশু কিশোররা আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদেরকে শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে বৈষয়িক শিক্ষার পাশাপাশি অবশ্যই নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
‘আকীদা ও ফিকহ’ বিষয়টি তাই শিশু কিশোরদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তাদেরকে তাওহীদবাদী বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনা ও পরিশীলিত আমল আখলাকের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম অনুসারে ‘আকীদা ও ফিক্হ’ বিষয়ে পাঠ্য পুস্তক রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে উচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত খ্যাতিমান ইসলামী শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড এ পাঠ্য পুস্তক রচনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের বিদ্যালয় ও মাদরাসা সমূহে এ পুস্তক পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীবৃন্দ সবিশেষ উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আল্লাহ তাআলা ওয়ামীর এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন।
প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান
চেয়ারম্যান
ওয়ামী এডভাইজরী বোর্ড অব বাংলাদেশ
‘আকীদা ও ফিকহ’ বিষয়টি তাই শিশু কিশোরদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তাদেরকে তাওহীদবাদী বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনা ও পরিশীলিত আমল আখলাকের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম অনুসারে ‘আকীদা ও ফিক্হ’ বিষয়ে পাঠ্য পুস্তক রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে উচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত খ্যাতিমান ইসলামী শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড এ পাঠ্য পুস্তক রচনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের বিদ্যালয় ও মাদরাসা সমূহে এ পুস্তক পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীবৃন্দ সবিশেষ উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আল্লাহ তাআলা ওয়ামীর এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন।
প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান
চেয়ারম্যান
ওয়ামী এডভাইজরী বোর্ড অব বাংলাদেশ
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। কিন্তু একজন পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার জন্য শুধু বৈষয়িক শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। সঠিক বিশ্বাস ও মূল্যবোধ, পরিশীলিত আচার আচারণ এবং সুদৃঢ় নৈতিকতাই পারে একজন মানুষকে প্রকৃত ও সফল মানুষে রূপান্তরিত করতে। তাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত কর্ণধার শিশু কিশোরদেরকে বৈষয়িক শিক্ষার পাশা-পাশি অবশ্যই নৈতিক শিক্ষার সুব্যবস্থা করতে হবে।
সে লক্ষ্যেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস এদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলা ভাষায় ‘আকীদা ও ফিক্হ’ নামক পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রকল্প। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষাক্রম অনুসারে এ পাঠ্য পুস্তক রচিত হয়েছে। এ পাঠ্য পুস্তক রচনার দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী শিক্ষাবিদগণ। যারা দেশে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন এবং তাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেবাস কারিকুলাম ও পাঠদান বিশেষজ্ঞ উলামা ও শিক্ষাবিদ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে সেটি কচি মনের শিশু কিশোরদের জন্য খুবই উপযোগী ও জরুরী বলে আমি মনে করি। দেশের স্কুল, মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেন সমূহে বইটি পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীরা তাওহীদবাদী সঠিক আকীদার অধিকারী ও নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
যারা মেধা ও শ্রম দিয়ে বইটি রচনায় সহযোগিতা করেছেন, ওয়ামীর পক্ষ থেকে তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন!
ডা. মোঃ রেদওয়ানুর রহমান
কান্ট্রি ডিরেক্টর
ওয়ামী বাংলাদেশ অফিস
সে লক্ষ্যেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস এদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলা ভাষায় ‘আকীদা ও ফিক্হ’ নামক পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রকল্প। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষাক্রম অনুসারে এ পাঠ্য পুস্তক রচিত হয়েছে। এ পাঠ্য পুস্তক রচনার দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী শিক্ষাবিদগণ। যারা দেশে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন এবং তাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেবাস কারিকুলাম ও পাঠদান বিশেষজ্ঞ উলামা ও শিক্ষাবিদ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে সেটি কচি মনের শিশু কিশোরদের জন্য খুবই উপযোগী ও জরুরী বলে আমি মনে করি। দেশের স্কুল, মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেন সমূহে বইটি পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীরা তাওহীদবাদী সঠিক আকীদার অধিকারী ও নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
যারা মেধা ও শ্রম দিয়ে বইটি রচনায় সহযোগিতা করেছেন, ওয়ামীর পক্ষ থেকে তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন!
ডা. মোঃ রেদওয়ানুর রহমান
কান্ট্রি ডিরেক্টর
ওয়ামী বাংলাদেশ অফিস
আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য ও পাহাড়-নদী সৃষ্টি করেছেন। তিনিই পশু-পাখী, আলো-বাতাস, গাছ-পালা সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। আমরা যা খাই, সব কিছুই আল্লাহ দিয়েছেন। তাঁর দয়ায় আমরা বেঁচে আছি। তাই আল্লাহ আমাদের রব।
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
আল্লাহ আমার রব
এই রবই আমার সব
দমে দমে তনুমনে
তাঁরই অনুভব।
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
আল্লাহ আমার রব
এই রবই আমার সব
দমে দমে তনুমনে
তাঁরই অনুভব।
আমরা সকল কাজে আল্লাহর নিকট দোআ করি। আমাদের অসুখ হলে আল্লাহর নিকট দোআ করি- যেন ভাল করে দেন। আমরা বিপদে পড়লে আল্লাহর নিকট দোআ করি, তিনি যেন আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। লেখা পড়া করতে গিয়ে আমরা আ্ল্লাহর কাছে দোআ করি-যেন আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দেন। সব সময়ই আমরা আল্লাহর কাছে দোআ করি- তিনি যেন আমাদের মঙ্গল করেন।
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
নামায পড়ি, দোআ করি
আল্লাহ মেহেরবান
জ্ঞানের আলো, সকল ভালো
মোদের কর দান।
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
নামায পড়ি, দোআ করি
আল্লাহ মেহেরবান
জ্ঞানের আলো, সকল ভালো
মোদের কর দান।
আমরা সকল কাজে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। ভয় পেলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। বিপদে পড়লেও আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। কারণ, সকল কাজে আল্লাহই একমাত্র আমাদের সাহায্য করতে পারেন।
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
সকল কাজে, সকাল সাঁঝে
যত চাওয়ার আছে
নতশীরে চাই যে মোরা
সবই আল্লাহর কাছে।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কে আমাদের সৃষ্টি করেছেন?
(খ) আল্লাহ কী কী সৃষ্টি করেছেন?
(গ) কে আমাদের রব?
(ঘ) অসুখ হলে আমরা কী দোআ করি?
(ঙ) আমরা কার কাছে সাহায্য চাই?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আল্লাহ আমাদের ........ করেছেন।
(খ) আল্লাহর দয়ায় আমরা ......... আছি।
(গ) দমে দমে .......... তাঁরই অনুভব।
(ঘ) আল্লাহ আমাদের ......... থেকে রক্ষা করেন।
(ঙ) আমরা আল্লাহর কাছে ........ চাই।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) আমরা কার দয়ায় বেঁচে আছি?
(i) ধনীদের দয়ায়
(ii) মা-বাবার দয়ায়
(iii) আল্লাহর দয়ায়
(খ) আমাদের অসুখ হলে কে সুস্থ করে দেন?
(i) আল্লাহ
(ii) ডাক্তার
(iii) ঔষধ
(গ) কে আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দেন?
(i) শিক্ষক
(ii) আল্লাহ
(iii) বই
(ঘ) আমরা কার নিকট দোআ করি?
(i) হুজুরের নিকট
(ii) আল্লাহর নিকট
(iii) দাদুর নিকট
(ঙ) আমরা কার কাছে সাহায্য চাই?
(i) বাবার কাছে
(ii) ভাইয়ার কাছে
(iii) আল্লাহর কাছে
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
সকল কাজে, সকাল সাঁঝে
যত চাওয়ার আছে
নতশীরে চাই যে মোরা
সবই আল্লাহর কাছে।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কে আমাদের সৃষ্টি করেছেন?
(খ) আল্লাহ কী কী সৃষ্টি করেছেন?
(গ) কে আমাদের রব?
(ঘ) অসুখ হলে আমরা কী দোআ করি?
(ঙ) আমরা কার কাছে সাহায্য চাই?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আল্লাহ আমাদের ........ করেছেন।
(খ) আল্লাহর দয়ায় আমরা ......... আছি।
(গ) দমে দমে .......... তাঁরই অনুভব।
(ঘ) আল্লাহ আমাদের ......... থেকে রক্ষা করেন।
(ঙ) আমরা আল্লাহর কাছে ........ চাই।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) আমরা কার দয়ায় বেঁচে আছি?
(i) ধনীদের দয়ায়
(ii) মা-বাবার দয়ায়
(iii) আল্লাহর দয়ায়
(খ) আমাদের অসুখ হলে কে সুস্থ করে দেন?
(i) আল্লাহ
(ii) ডাক্তার
(iii) ঔষধ
(গ) কে আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দেন?
(i) শিক্ষক
(ii) আল্লাহ
(iii) বই
(ঘ) আমরা কার নিকট দোআ করি?
(i) হুজুরের নিকট
(ii) আল্লাহর নিকট
(iii) দাদুর নিকট
(ঙ) আমরা কার কাছে সাহায্য চাই?
(i) বাবার কাছে
(ii) ভাইয়ার কাছে
(iii) আল্লাহর কাছে
আল্লাহ তাআলার অনেক সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। ‘‘আল্লাহ’’ নাম ছাড়া বাকীগুলো তাঁর গুণবাচক নাম।
আমরা আল্লাহর দশটি গুণবাচক নাম শিখি-
গুণবাচক নাম
অর্থ
خَالِقٌ
সৃষ্টিকর্তা
رَزَّاقٌ
মহান রিযিকদাতা
رَحْمٰنٌ
পরম করুণাময়
رَحِيْمٌ
অসীম দয়ালু
عَلِيْمٌ
মহা জ্ঞানী
قَدِيْرٌ
মহা শক্তিধর
سَمِيْعٌ
মহা শ্রবণকারী
بَصِيْرٌ
মহা দর্শনকারী
كَرِيْمٌ
অতি মহান
غَفُوْرٌ
মহা ক্ষমাশীল
আমরা আল্লাহর দশটি গুণবাচক নাম শিখি-
গুণবাচক নাম
অর্থ
خَالِقٌ
সৃষ্টিকর্তা
رَزَّاقٌ
মহান রিযিকদাতা
رَحْمٰنٌ
পরম করুণাময়
رَحِيْمٌ
অসীম দয়ালু
عَلِيْمٌ
মহা জ্ঞানী
قَدِيْرٌ
মহা শক্তিধর
سَمِيْعٌ
মহা শ্রবণকারী
بَصِيْرٌ
মহা দর্শনকারী
كَرِيْمٌ
অতি মহান
غَفُوْرٌ
মহা ক্ষমাশীল
ফেরেশতা আল্লাহর এক বিশেষ সৃষ্টি। আরবীতে ফেরেশতাগণকে ‘মালাইকা’ বলা হয়। ফেরেশতাগণ নূরের তৈরী। তারা নারীও নয়, পুরুষও নয়। তাদের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের প্রয়োজন হয় না। আমরা ফেরেশতাদের দেখিনা। প্রয়োজনে তারা বিভিন্ন আকার ধারণ করতে পারে। ফেরেশতাগণ সব সময় আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলে। তারা কখনো আল্লাহর হুকুমের অবাধ্য হয় না।
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
নূরের তৈরী ফেরেশতাদের
‘মালাইকা’ বলে
সদা যারা আল্লাহ তা‘লার
হুকুম মেনে চলে।
আমরা ছড়ায় ছড়ায় বলি-
নূরের তৈরী ফেরেশতাদের
‘মালাইকা’ বলে
সদা যারা আল্লাহ তা‘লার
হুকুম মেনে চলে।
আল্লাহ তাআলা অনেক ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন। তারা আল্লাহর নির্দেশে বিভিন্ন কাজ করে। তবে সকল ফেরেশতার কাজ এক রকম নয়। তাদের মধ্যে চারজন ফেরেশতা চারটি বিশেষ কাজের জন্য প্রসিদ্ধ।
১। জিবরাঈল (আ.) : তিনি আল্লাহর বাণী নবী রাসূলগণের নিকট পৌঁছিয়েছেন।
২। মিকাঈল (আ.) : তিনি মানুষ ও সকল প্রাণীর রিযিক বণ্টন করেন।
৩। মালাকুল মউত (আ.) : তিনি আল্লাহর নির্দেশে সকল প্রাণীর মৃত্যু ঘটান।
৪। ইসরাফীল (আ.) : তিনি কিয়ামতের আগে সিঙ্গায় ফুঁ দিবেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কার অনেকগুলো সুন্দর নাম রয়েছে?
(খ) عَلِيْمٌ অর্থ কী?
(গ) আরবীতে ফেরেশতাগণকে কী বলা হয়?
(ঘ) ফেরেশতাগণ কিসের তৈরী?
(ঙ) মিকাঈল (আ.) এর কাজ কী?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর .......... রয়েছে।
(খ) خَالِقٌ অর্থ ..........।
(গ) ............. অর্থ মহা শ্রবণকারী।
(ঘ) ............ নারীও নয় পুরুষও নয়।
(ঙ) সকল ফেরেশতার .......... এক রকম নয়।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) قَدِيْرٌ অর্থ কী ?
(i)মহা ক্ষমাশীল
(ii) মহা শক্তিধর
(iii) অতি মহান
(খ) কোনটি আল্লাহর গুণবাচক নাম নয়?
(i) رَحْمٰنٌ
(ii) رَحِيْمٌ
(iii) اللهُ
(গ) ফেরেশতাগণ কিসের তৈরী?
(i) মাটির
(ii) নূরের
(iii) আগুনের
(ঘ) কাদের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের প্রয়োজন হয় না?
(i) পশুদের
(ii) পাখীদের
(iii) ফেরেশতাদের
(ঙ) কোন ফেরেশতা রাসূলগণের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছেন?
(i) জিবরাঈল (আ.)
(ii) ইসরাফীল (আ.)
(iii) মিকাঈল (আ.)
১। জিবরাঈল (আ.) : তিনি আল্লাহর বাণী নবী রাসূলগণের নিকট পৌঁছিয়েছেন।
২। মিকাঈল (আ.) : তিনি মানুষ ও সকল প্রাণীর রিযিক বণ্টন করেন।
৩। মালাকুল মউত (আ.) : তিনি আল্লাহর নির্দেশে সকল প্রাণীর মৃত্যু ঘটান।
৪। ইসরাফীল (আ.) : তিনি কিয়ামতের আগে সিঙ্গায় ফুঁ দিবেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কার অনেকগুলো সুন্দর নাম রয়েছে?
(খ) عَلِيْمٌ অর্থ কী?
(গ) আরবীতে ফেরেশতাগণকে কী বলা হয়?
(ঘ) ফেরেশতাগণ কিসের তৈরী?
(ঙ) মিকাঈল (আ.) এর কাজ কী?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর .......... রয়েছে।
(খ) خَالِقٌ অর্থ ..........।
(গ) ............. অর্থ মহা শ্রবণকারী।
(ঘ) ............ নারীও নয় পুরুষও নয়।
(ঙ) সকল ফেরেশতার .......... এক রকম নয়।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) قَدِيْرٌ অর্থ কী ?
(i)মহা ক্ষমাশীল
(ii) মহা শক্তিধর
(iii) অতি মহান
(খ) কোনটি আল্লাহর গুণবাচক নাম নয়?
(i) رَحْمٰنٌ
(ii) رَحِيْمٌ
(iii) اللهُ
(গ) ফেরেশতাগণ কিসের তৈরী?
(i) মাটির
(ii) নূরের
(iii) আগুনের
(ঘ) কাদের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের প্রয়োজন হয় না?
(i) পশুদের
(ii) পাখীদের
(iii) ফেরেশতাদের
(ঙ) কোন ফেরেশতা রাসূলগণের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছেন?
(i) জিবরাঈল (আ.)
(ii) ইসরাফীল (আ.)
(iii) মিকাঈল (আ.)
আল্লাহ তাআলা মানুষকে সঠিক পথ দেখানো জন্য দুনিয়াতে অনেক নবী পাঠিয়েছেন। নবীদের সংখ্যা কত, তা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। তবে কুরআন মাজীদে পঁচিশজন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আমরা পাঁচজন নবীর নাম শিখি :
১। হযরত আদম (আ.)
২। হযরত ইবরাহীম (আ.)
৩। হযরত মূসা (আ.)
৪। হযরত ঈসা (আ.)
৫। হযরত মুহাম্মদ (সা.)
আমরা পাঁচজন নবীর নাম শিখি :
১। হযরত আদম (আ.)
২। হযরত ইবরাহীম (আ.)
৩। হযরত মূসা (আ.)
৪। হযরত ঈসা (আ.)
৫। হযরত মুহাম্মদ (সা.)
নবীগণ যুগে যুগে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করেছেন। তাঁরা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন।
সর্বপ্রথম নবী হযরত আদম (আ.)। তিনি পৃথিবীর প্রথম মানুষ। আল্লাহ তাআলা তাঁকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং রূহ দিয়েছেন। আদম (আ.) থেকে পৃথিবীর সকল মানুষ জন্ম লাভ করেছে। তিনিই মানব জাতির আদি পিতা।
সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পরে পৃথিবীতে আর কোন নবী আসবেন না। আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। তিনি সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ। আমরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণ করি।
সর্বপ্রথম নবী হযরত আদম (আ.)। তিনি পৃথিবীর প্রথম মানুষ। আল্লাহ তাআলা তাঁকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং রূহ দিয়েছেন। আদম (আ.) থেকে পৃথিবীর সকল মানুষ জন্ম লাভ করেছে। তিনিই মানব জাতির আদি পিতা।
সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পরে পৃথিবীতে আর কোন নবী আসবেন না। আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। তিনি সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ। আমরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণ করি।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য অনেক আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন। প্রসিদ্ধ আসমানী কিতাব চারটি। বিশিষ্ট চারজন রাসূলের উপর নাযিল করা হয়েছে।
ক্রমিক নং
কিতাবের নাম
রাসূলের নাম
১
তাওরাত
হযরত মূসা (আ.)
২
যাবূর
হযরত দাউদ (আ.)
৩
ইনজীল
হযরত ঈসা (আ.)
৪
কুরআন
হযরত মুহাম্মদ (সা.)
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) নবীদের সংখ্যা কে জানেন?
(খ) সর্ব প্রথম নবী কে?
(গ) কে সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ?
(ঘ) মূসা (আ.) এর উপর কোন কিতাব নাযিল হয়েছে?
(ঙ) যাবূর কিতাব কোন নবীর উপর নাযিল করা হয়েছে?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আল্লাহ দুনিয়াতে অনেক ........ পাঠিয়েছেন।
(খ) নবীগণ মানুষকে আল্লাহর দিকে ...... করেছেন।
(গ) ......... মানব জাতির আদি পিতা।
(ঘ) ............. সর্বশেষ নবী।
(ঙ) মুহাম্মদ (সা.) এর পর কোন ..... আসবেন না।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) কুরআন মাজীদে কতজন নবীর নাম উল্লেখ আছে?
(i) ৪ জন
(ii)২৫ জন
(iii) ৫০ জন
(খ) আদম (আ.) কিসের তৈরী?
(i) মাটির
(ii) নূরের
(iii) আগুনের
(গ) মুহাম্মদ (সা.) কার জন্য উত্তম আদর্শ?
(i) মুসলমানদের জন্য
(ii) মক্কাবাসীদের জন্য
(iii) সকল মানুষের জন্য
(ঘ) ঈসা (আ.) এর উপর কোন কিতাব নাযিল হয়েছে?
(i) তাওরাত
(ii) যাবূর
(iii) ইনজীল
(ঙ) প্রসিদ্ধ আসমানী কিতাব কয়টি?
(i) ৪টি
(ii) ৪০টি
(iii) ১১৪টি
ক্রমিক নং
কিতাবের নাম
রাসূলের নাম
১
তাওরাত
হযরত মূসা (আ.)
২
যাবূর
হযরত দাউদ (আ.)
৩
ইনজীল
হযরত ঈসা (আ.)
৪
কুরআন
হযরত মুহাম্মদ (সা.)
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) নবীদের সংখ্যা কে জানেন?
(খ) সর্ব প্রথম নবী কে?
(গ) কে সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ?
(ঘ) মূসা (আ.) এর উপর কোন কিতাব নাযিল হয়েছে?
(ঙ) যাবূর কিতাব কোন নবীর উপর নাযিল করা হয়েছে?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আল্লাহ দুনিয়াতে অনেক ........ পাঠিয়েছেন।
(খ) নবীগণ মানুষকে আল্লাহর দিকে ...... করেছেন।
(গ) ......... মানব জাতির আদি পিতা।
(ঘ) ............. সর্বশেষ নবী।
(ঙ) মুহাম্মদ (সা.) এর পর কোন ..... আসবেন না।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) কুরআন মাজীদে কতজন নবীর নাম উল্লেখ আছে?
(i) ৪ জন
(ii)২৫ জন
(iii) ৫০ জন
(খ) আদম (আ.) কিসের তৈরী?
(i) মাটির
(ii) নূরের
(iii) আগুনের
(গ) মুহাম্মদ (সা.) কার জন্য উত্তম আদর্শ?
(i) মুসলমানদের জন্য
(ii) মক্কাবাসীদের জন্য
(iii) সকল মানুষের জন্য
(ঘ) ঈসা (আ.) এর উপর কোন কিতাব নাযিল হয়েছে?
(i) তাওরাত
(ii) যাবূর
(iii) ইনজীল
(ঙ) প্রসিদ্ধ আসমানী কিতাব কয়টি?
(i) ৪টি
(ii) ৪০টি
(iii) ১১৪টি
অযূর প্রয়োজনীয়তা :
সালাতের আগে অযূ করতে হয়। অযূর মাধ্যমে শরীর পাক পবিত্র হয়। শরীরের নির্দিষ্ট অংগের ময়লা দূর হয়। মন প্রফুল্ল হয়। কুরআন তিলাওয়াত ও কাবা ঘর তাওয়াফ করতেও অযূ করতে হয়।
অযূরর ফরয :
অযূর ফরয ৪টি
১। সমস্ত মুখমন্ডল ধোয়া
২। দু’ হাত কনুই সহ ধোয়া
৩। মাথা মাসহ করা
৪। দু’পা গিরা সহ ধোয়া
তায়াম্মুম :
অযূ বা গোসলের জন্য পানি পাওয়া না গেলে, অসুখ বা অন্য কোন কারণে পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অযূ ও গোসলের পরিবর্তে মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাকে তায়াম্মুম বলা হয়।
তায়াম্মুমের ফরয ৩টি :
১। নিয়্যত করা।
২। পবিত্র মাটি দ্বারা মুখমন্ডল মাসহ করা।
৩। পবিত্র মাটি দ্বারা দু’ হাত কনুই সহ মাসহ করা।
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক ব্যবহারিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অযূ ও তায়াম্মুম শিক্ষা দিবেন।
২। শিক্ষার্থীদের সামনে নিজে অযূ করে দেখাবেন এবং একজন একজন করে তাদেরকে অযূর প্রশিক্ষণ দিবেন।
৩। শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষক নিজে তায়াম্মুম করে দেখাবেন এবং একজন একজন করে তাদেরকে তায়াম্মুমের প্রশিক্ষণ দিবেন।
সালাতের আগে অযূ করতে হয়। অযূর মাধ্যমে শরীর পাক পবিত্র হয়। শরীরের নির্দিষ্ট অংগের ময়লা দূর হয়। মন প্রফুল্ল হয়। কুরআন তিলাওয়াত ও কাবা ঘর তাওয়াফ করতেও অযূ করতে হয়।
অযূরর ফরয :
অযূর ফরয ৪টি
১। সমস্ত মুখমন্ডল ধোয়া
২। দু’ হাত কনুই সহ ধোয়া
৩। মাথা মাসহ করা
৪। দু’পা গিরা সহ ধোয়া
তায়াম্মুম :
অযূ বা গোসলের জন্য পানি পাওয়া না গেলে, অসুখ বা অন্য কোন কারণে পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অযূ ও গোসলের পরিবর্তে মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাকে তায়াম্মুম বলা হয়।
তায়াম্মুমের ফরয ৩টি :
১। নিয়্যত করা।
২। পবিত্র মাটি দ্বারা মুখমন্ডল মাসহ করা।
৩। পবিত্র মাটি দ্বারা দু’ হাত কনুই সহ মাসহ করা।
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক ব্যবহারিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অযূ ও তায়াম্মুম শিক্ষা দিবেন।
২। শিক্ষার্থীদের সামনে নিজে অযূ করে দেখাবেন এবং একজন একজন করে তাদেরকে অযূর প্রশিক্ষণ দিবেন।
৩। শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষক নিজে তায়াম্মুম করে দেখাবেন এবং একজন একজন করে তাদেরকে তায়াম্মুমের প্রশিক্ষণ দিবেন।
আযানের প্রয়োজনীয়তা :
আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর দৈনিক পাঁট ওয়াক্ত সালাত ফরয করেরছেন। নির্দিষ্ট সময়ে এ সালাত আদায় করতে হয়। সালাতের সময় হলে জামাতের সাথে সালাত আদায়ের জন্য আযান দিতে হয়।
আযান হলে লোকেরা সালাতের জন্য প্রস্ত্ততি নিতে পারে। যথা সময়ে জামাতের সাথে সালাত আদায় করতে পারে। আযানের মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্ব ঘোষণা করা হয়। মুহাম্মদ (সা.) কে রাসূল হিসেবে স্বীকার করার সাক্ষ্য দেয়া হয়। মানুষকে সালাত ও কল্যাণের দিকে আহবান করা হয়।
আযানের জবাব :
আযান শুনলে আযানের জবাব দিতে হয়। মুয়াযি্যন আযান দেয়ার সময় যা যা বলবে, শ্রোতাও সাথে সাথে তাই বলবে। তবে মুয়াযি্যন যখন حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ ও حَيَّ عَلَى الْفَلاَحِ বলবে, শ্রোতা তখন لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ বলবে।
আযানের দোআ :
আযান শেষ হলে শ্রোতাকে আযানের দোআ পড়তে হয়।
আযানের দোআ হলো-
اَللَّهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ ا ‘ تِ مَحَمَّداً الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا الَّذِيْ وَعَدْتَهُ .
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে শুদ্ধ উচ্চারণে আযানের জবাব ও আযানের দোআ অনুশীলন করাবেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর দৈনিক পাঁট ওয়াক্ত সালাত ফরয করেরছেন। নির্দিষ্ট সময়ে এ সালাত আদায় করতে হয়। সালাতের সময় হলে জামাতের সাথে সালাত আদায়ের জন্য আযান দিতে হয়।
আযান হলে লোকেরা সালাতের জন্য প্রস্ত্ততি নিতে পারে। যথা সময়ে জামাতের সাথে সালাত আদায় করতে পারে। আযানের মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্ব ঘোষণা করা হয়। মুহাম্মদ (সা.) কে রাসূল হিসেবে স্বীকার করার সাক্ষ্য দেয়া হয়। মানুষকে সালাত ও কল্যাণের দিকে আহবান করা হয়।
আযানের জবাব :
আযান শুনলে আযানের জবাব দিতে হয়। মুয়াযি্যন আযান দেয়ার সময় যা যা বলবে, শ্রোতাও সাথে সাথে তাই বলবে। তবে মুয়াযি্যন যখন حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ ও حَيَّ عَلَى الْفَلاَحِ বলবে, শ্রোতা তখন لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ বলবে।
আযানের দোআ :
আযান শেষ হলে শ্রোতাকে আযানের দোআ পড়তে হয়।
আযানের দোআ হলো-
اَللَّهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ ا ‘ تِ مَحَمَّداً الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا الَّذِيْ وَعَدْتَهُ .
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে শুদ্ধ উচ্চারণে আযানের জবাব ও আযানের দোআ অনুশীলন করাবেন।
মুসলমানদের জন্য সালাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সালাত শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে আদায় করতে হলে এর ফরযসমূহ যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। সালাতের মোট ১৩টি ফরয রয়েছে। সালাত শুরুর আগে ৭টি ফরয এবং সালাতের ভিতরে ৬টি ফরয আদায় করতে হয়। সালাতের কোন একটি ফরযও যদি বাদ পড়ে, তবে সালাত শুদ্ধ হয় না।
সালাত শুরুর আগের ফরয সমূহ :
১। শরীর পাক হওয়া
২। জামা কাপড় পাক হওয়া
৩। জায়গা পাক হওয়া
৪। সতর ঢাকা
৫। কিবলামুখী হওয়া
৬। সালাতের সময় হওয়া
৭। নিয়্যত করা
সালাতের ভিতরের ফরযসমূহ :
১। আল্লাহু আকবার বলে সালাত শুরু করা
২। দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা
৩। কিরাআত বা কুরআন মাজীদের কিছু অংশ পাঠ করা
৪। রুকূ করা
৫। সিজদা করা
৬। শেষ বৈঠক করা
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক নিজে শিক্ষার্থীদের সামনে সালাতের ফরযগুলো সঠিকভাবে আদায় করে দেখাবেন।
২। শিক্ষার্থীদেরকে একজন একজন করে ব্যবহারিকভাবে সালাতের ফরযগুলো সঠিকভাবে আদায় করার প্রশিক্ষণ দিবেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কখন অযূ করতে হয়?
(খ) অযূর ফরয কয়টি ও কী কী?
(গ) তায়াম্মুম কাকে বলে?
(ঘ) তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কী কী?
(ঙ) আযান কেন দেয়া হয়?
(চ) আযানের জবাব কীভাবে দিতে হয়?
(ছ) আযানের দোয়া কোনটি?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক)অযূর সময় ............ মাসহ করা ফরয।
(খ) আমাদের উপর দৈনিক ............ ওয়াক্ত সালাত ফরয।
(গ)আযান শুনলে .......... দিতে হয়।
(ঘ)সালাতের মোট .......... ফরয রয়েছে।
(ঙ)মুসলমানদের জন্য ........ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
(চ)সালাত ....... মুখী হয়ে আদায় করতে হয়।
(ছ)রুকূ করা সালাতের ........ ফরয।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) সালাতের আগে কী করতে হয়?
(i) কুরআন তিলাওয়াত
(ii) অযূ
(iii) সিজদা
(খ) মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাকে কী বলা হয়?
(i) অযূ
(ii) গোসল
(iii) তায়াম্মুম
(গ) কোনটির মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্ব ঘোষণা করা হয়?
(i) অযূ
(ii) তায়াম্মুম
(iii) আযান
(ঘ) কোনটি সালাতের ফরয নয়?
(i) সতর ঢাকা
(ii) মাথা মাসহ করা
(iii) নিয়্যত করা
(ঙ) সালাতের ফরয মোট কয়টি?
(i) ৬টি
(ii) ৭টি
(iii) ১৩টি
(চ) কোনটি সালাত শুরুর আগের ফরয?
(i) রুকূ করা
(ii) সিজদা করা
(iii) সতর ঢাকা
(ছ) কোনটি সালাতের ভিতরের ফরয?
(i) জায়গা পাক হওয়া
(ii) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা
(iii) কিবলামুখী হওয়া
সালাত শুরুর আগের ফরয সমূহ :
১। শরীর পাক হওয়া
২। জামা কাপড় পাক হওয়া
৩। জায়গা পাক হওয়া
৪। সতর ঢাকা
৫। কিবলামুখী হওয়া
৬। সালাতের সময় হওয়া
৭। নিয়্যত করা
সালাতের ভিতরের ফরযসমূহ :
১। আল্লাহু আকবার বলে সালাত শুরু করা
২। দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা
৩। কিরাআত বা কুরআন মাজীদের কিছু অংশ পাঠ করা
৪। রুকূ করা
৫। সিজদা করা
৬। শেষ বৈঠক করা
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক নিজে শিক্ষার্থীদের সামনে সালাতের ফরযগুলো সঠিকভাবে আদায় করে দেখাবেন।
২। শিক্ষার্থীদেরকে একজন একজন করে ব্যবহারিকভাবে সালাতের ফরযগুলো সঠিকভাবে আদায় করার প্রশিক্ষণ দিবেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কখন অযূ করতে হয়?
(খ) অযূর ফরয কয়টি ও কী কী?
(গ) তায়াম্মুম কাকে বলে?
(ঘ) তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কী কী?
(ঙ) আযান কেন দেয়া হয়?
(চ) আযানের জবাব কীভাবে দিতে হয়?
(ছ) আযানের দোয়া কোনটি?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক)অযূর সময় ............ মাসহ করা ফরয।
(খ) আমাদের উপর দৈনিক ............ ওয়াক্ত সালাত ফরয।
(গ)আযান শুনলে .......... দিতে হয়।
(ঘ)সালাতের মোট .......... ফরয রয়েছে।
(ঙ)মুসলমানদের জন্য ........ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
(চ)সালাত ....... মুখী হয়ে আদায় করতে হয়।
(ছ)রুকূ করা সালাতের ........ ফরয।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) সালাতের আগে কী করতে হয়?
(i) কুরআন তিলাওয়াত
(ii) অযূ
(iii) সিজদা
(খ) মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাকে কী বলা হয়?
(i) অযূ
(ii) গোসল
(iii) তায়াম্মুম
(গ) কোনটির মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্ব ঘোষণা করা হয়?
(i) অযূ
(ii) তায়াম্মুম
(iii) আযান
(ঘ) কোনটি সালাতের ফরয নয়?
(i) সতর ঢাকা
(ii) মাথা মাসহ করা
(iii) নিয়্যত করা
(ঙ) সালাতের ফরয মোট কয়টি?
(i) ৬টি
(ii) ৭টি
(iii) ১৩টি
(চ) কোনটি সালাত শুরুর আগের ফরয?
(i) রুকূ করা
(ii) সিজদা করা
(iii) সতর ঢাকা
(ছ) কোনটি সালাতের ভিতরের ফরয?
(i) জায়গা পাক হওয়া
(ii) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা
(iii) কিবলামুখী হওয়া
সালামের ফযীলত :
ইসলামে কুশল বিনিময়ের রীতি হলো সালাম। এক মুসলমান অন্য মুসলমানের সাথে দেখা হলে বলবে - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ অর্থাৎ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। অন্যজন জবাবে বলবে وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ অর্থাৎ আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। সালাম বিনিময়ের সময় একে অপরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হয়। রাগ-অভিমান দূর হয়, উভয়ের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালবাসা সৃষ্টি হয়। দু’জনই অনেক সাওয়াব লাভ করে।
মুসাফাহার ফযীলত :
কারো সাথে দেখা হলে সালামের পর মুসাফাহা করতে হয়। মুসাফাহা হলো পরস্পর হাত মিলানো। দু’জনই তাদের ডান হাত সামনে বাড়িয়ে মুসাফাহা করবে এবং বলবে يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ অর্থাৎ আললাহ আমাকে ও আপনাকে ক্ষমা করুন। মুসাফাহার মাধ্যমে পরস্পরের হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। মুসাফাহার মাধ্যমে দু’জনেরই গুনাহ মাফ হয়। তারা দু’জনেই অনেক সাওয়াব লাভ করে।
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক ব্যবহারিকভাবে শিক্ষার্থীদেরকে সালাম ও মুসাফাহার প্রশিক্ষণ দিবেন।
২। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত সালাম ও মুসাফাহার চর্চা করাবেন।
ইসলামে কুশল বিনিময়ের রীতি হলো সালাম। এক মুসলমান অন্য মুসলমানের সাথে দেখা হলে বলবে - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ অর্থাৎ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। অন্যজন জবাবে বলবে وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ অর্থাৎ আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। সালাম বিনিময়ের সময় একে অপরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হয়। রাগ-অভিমান দূর হয়, উভয়ের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালবাসা সৃষ্টি হয়। দু’জনই অনেক সাওয়াব লাভ করে।
মুসাফাহার ফযীলত :
কারো সাথে দেখা হলে সালামের পর মুসাফাহা করতে হয়। মুসাফাহা হলো পরস্পর হাত মিলানো। দু’জনই তাদের ডান হাত সামনে বাড়িয়ে মুসাফাহা করবে এবং বলবে يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ অর্থাৎ আললাহ আমাকে ও আপনাকে ক্ষমা করুন। মুসাফাহার মাধ্যমে পরস্পরের হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। মুসাফাহার মাধ্যমে দু’জনেরই গুনাহ মাফ হয়। তারা দু’জনেই অনেক সাওয়াব লাভ করে।
শিক্ষক নির্দেশিকা :
১। শিক্ষক ব্যবহারিকভাবে শিক্ষার্থীদেরকে সালাম ও মুসাফাহার প্রশিক্ষণ দিবেন।
২। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত সালাম ও মুসাফাহার চর্চা করাবেন।
সত্যকথা বলা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কোন মুসলমান মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলা মহাপাপ। সত্য বলা একটি মহৎগুণ। মহানবী (সা.) বলেছেন: ‘‘সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস করে।’’ মিথ্যাবাদীকে কেউ বিশ্বাস করে না। সবাই তাকে ঘৃণা করে। সত্যবাদীকে সবাই বিশ্বাস করে। সকলেই তাকে ভালবাসে। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) সব সময় সত্য কথা বলতেন। তাই সবাই তাঁকে ‘আল-আমীন’ বলে ডাকত।
আমরাও সদা সত্য কথা বলব। কখনো মিথ্যা বলব না। সত্যবাদীকে ভাল বাসব। মিথ্যাকে ঘৃণা করব। সব সময় সত্যের উপর অটল থাকব।
আমরাও সদা সত্য কথা বলব। কখনো মিথ্যা বলব না। সত্যবাদীকে ভাল বাসব। মিথ্যাকে ঘৃণা করব। সব সময় সত্যের উপর অটল থাকব।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অংগ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে শরীর ভাল থাকে। মনে আনন্দ থাকে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে সবাই ভালবাসে।
নিজের শরীর ও জামা কাপড় সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। রাতে শোয়ার আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাল করে দাঁত মাজতে হবে। প্রতিদিন ভালভাবে গোসল করতে হবে। পেশাব পায়খানা করে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। সাবান, মাটি অথবা ছাই দ্বারা ভালভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জামা কাপড় ময়লা হওয়ার সাথে সাথে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। হাত পায়ের নখ কাটতে হবে। নিজের বই, খাতা, জামা, জুতা, খেলনা, পড়ার টেবিল ইত্যাদি সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কী বলে সালাম দিতে হয়?
(খ) সালামের জবাবে কী বলতে হয়?
(গ) মুসাফাহার সময় কী বলতে হয়?
(ঘ) মিথ্যা বললে কী হয়?
(ঙ) কাকে সবাই বিশ্বাস করে?
(চ) কখন দাঁত মাজতে হয়?
(ছ) পেশাব পায়খানা করে কী করতে হয়?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) ইসলামে কুশল বিনিময়ের রীতি হলো ......।
(খ) মুসাফাহার মাধ্যমে দু’জনেরই ...... মাফ হয়।
(গ) ........ বলা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।
(ঘ) কোন মুসলমান ........ বলতে পারে না।
(ঙ) সত্য বলা একটি ....... গুণ।
(চ) আমরা মিথ্যাকে ........ করব।
(ছ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ........ অংগ।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) কিসের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হয়?
(i) সম্পদের মাধ্যমে
(ii) ব্যবসার মাধ্যমে
(iii) সালামের মাধ্যমে
(খ) সালামের মাধ্যমে একে অপরের কী কামনা করে?
(i) দুঃখ ও ব্যথা
(ii) শান্তি ও কল্যাণ
(iii) রাগ ও অভিমান
(গ) পরস্পর হাত মিলানোকে কী বলা হয়?
(i) সালাত
(ii) সালাম
(iii) মুসাফাহা
(ঘ) মিথ্যা বলা কী?
(i) আবশ্যক
(ii) মহৎগুণ
(iii) মহাপাপ
(ঙ) কাকে সবাই ঘৃণা করে?
(i) সত্যবাদীকে
(ii) মিথ্যাবাদীকে
(iii) সালামদাতাকে
(চ) সব সময় আমরা কিসের উপর অটল থাকব?
(i) সত্যের উপর
(ii) মিথ্যার উপর
(iii) ঘৃণার উপর
(ছ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিসের অংগ?
(i) ঈমানের
(ii) আযানের
(iii) সালাতের
নিজের শরীর ও জামা কাপড় সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। রাতে শোয়ার আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাল করে দাঁত মাজতে হবে। প্রতিদিন ভালভাবে গোসল করতে হবে। পেশাব পায়খানা করে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। সাবান, মাটি অথবা ছাই দ্বারা ভালভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জামা কাপড় ময়লা হওয়ার সাথে সাথে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। হাত পায়ের নখ কাটতে হবে। নিজের বই, খাতা, জামা, জুতা, খেলনা, পড়ার টেবিল ইত্যাদি সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কী বলে সালাম দিতে হয়?
(খ) সালামের জবাবে কী বলতে হয়?
(গ) মুসাফাহার সময় কী বলতে হয়?
(ঘ) মিথ্যা বললে কী হয়?
(ঙ) কাকে সবাই বিশ্বাস করে?
(চ) কখন দাঁত মাজতে হয়?
(ছ) পেশাব পায়খানা করে কী করতে হয়?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) ইসলামে কুশল বিনিময়ের রীতি হলো ......।
(খ) মুসাফাহার মাধ্যমে দু’জনেরই ...... মাফ হয়।
(গ) ........ বলা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।
(ঘ) কোন মুসলমান ........ বলতে পারে না।
(ঙ) সত্য বলা একটি ....... গুণ।
(চ) আমরা মিথ্যাকে ........ করব।
(ছ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ........ অংগ।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) কিসের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হয়?
(i) সম্পদের মাধ্যমে
(ii) ব্যবসার মাধ্যমে
(iii) সালামের মাধ্যমে
(খ) সালামের মাধ্যমে একে অপরের কী কামনা করে?
(i) দুঃখ ও ব্যথা
(ii) শান্তি ও কল্যাণ
(iii) রাগ ও অভিমান
(গ) পরস্পর হাত মিলানোকে কী বলা হয়?
(i) সালাত
(ii) সালাম
(iii) মুসাফাহা
(ঘ) মিথ্যা বলা কী?
(i) আবশ্যক
(ii) মহৎগুণ
(iii) মহাপাপ
(ঙ) কাকে সবাই ঘৃণা করে?
(i) সত্যবাদীকে
(ii) মিথ্যাবাদীকে
(iii) সালামদাতাকে
(চ) সব সময় আমরা কিসের উপর অটল থাকব?
(i) সত্যের উপর
(ii) মিথ্যার উপর
(iii) ঘৃণার উপর
(ছ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিসের অংগ?
(i) ঈমানের
(ii) আযানের
(iii) সালাতের
ভবিষ্যতে কোন কথা বলব বা কোন কাজ করব এমন কথা ও কাজের ক্ষেত্রে إِنْ شَاءَ اللهُ (ইনশাআল্লাহ) বলতে হয়। যেমন- আগামী সোমবার ইনশাআল্লাহ বাড়ী যাব। বইটি তোমাকে আগামী কাল ফেরত দেব ইনশাআল্লাহ। আরবী বিষয়ে ইনশাআল্লাহ A+ পাব।
কারো কোন ভাল জিনিস দেখলে, কারো কোন ভাল খবর শুনলে এবং কারো কোন ভাল গুণ দেখলে বলতে হয় মাশাআল্লাহ। যেমন কেউ পরীক্ষায় পাশ করেছে শুনলে বলতে হবে مَاشَاءَ الله (মাশাআল্লাহ)। কারো অসুখ ভাল হওয়ার খবর শুনলে বলতে হবে মাশাআল্লাহ। কারো গাছে ভাল ফল ধরলে কিংবা কারো ক্ষেতে ভাল ফসল হলে বলতে হবে মাশাআল্লাহ।
কারো কোন ভাল জিনিস দেখলে, কারো কোন ভাল খবর শুনলে এবং কারো কোন ভাল গুণ দেখলে বলতে হয় মাশাআল্লাহ। যেমন কেউ পরীক্ষায় পাশ করেছে শুনলে বলতে হবে مَاشَاءَ الله (মাশাআল্লাহ)। কারো অসুখ ভাল হওয়ার খবর শুনলে বলতে হবে মাশাআল্লাহ। কারো গাছে ভাল ফল ধরলে কিংবা কারো ক্ষেতে ভাল ফসল হলে বলতে হবে মাশাআল্লাহ।
আল্লাহু আকবার অর্থ আল্লাহ সবচেয়ে বড়। তাই সকাল সন্ধ্যা আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণার জন্য বলতে হয় اَللهُ أَكْبَرُ (আল্লাহু আকবার)। জুমার দিন ও দুই ঈদের দিন বেশী বেশী اَللهُ أَكْبَرُ বলতে হয়। কঠিন কোন কাজ করতে, কান উঁচু স্থানে উঠতে, ঝড়, জলোচ্ছাস, বজ্রপাত বা কোন দুর্যোগে পড়লে বলতে হয় اَللهُ أَكْبَرُ ।
কোন দুঃসংবাদ শুনলে, কেউ মারা গেছে শুনলে, কিছু হারিয়ে গেলে কিংবা কোন বিপদে পড়লে বলতে হয় - إِنَّا للهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)।
কোন দুঃসংবাদ শুনলে, কেউ মারা গেছে শুনলে, কিছু হারিয়ে গেলে কিংবা কোন বিপদে পড়লে বলতে হয় - إِنَّا للهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)।
১। ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
২। পায়খানায় প্রবেশের পূর্বে পড়তে হয়
اَللَّهُمَّ إِنِّـيْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْـخُبُثِ وَالْـخَبَائِثِ
৩। পায়খানা থেকে বের হয়ে পড়তে হয়
غُفْرَانَكَ اَللَّهُمَّ
৪। মসজিদে প্রবেশের সময় পড়তে হয়
اَللَّهُمَّ افْتَحْلِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
৫। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পড়তে হয়
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
৬। পিতা মাতার জন্য দোয়া
رَبِّ ارْحَـمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِـيْ صَغِيْراً
৭। সকাল সন্ধ্যার দোয়া
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِـمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَّرَسُوْلاً
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কখন ইনশাআল্লাহ বলতে হয়?
(খ) কখন মাশাআল্লাহ বলতে হয়?
(গ) কারো গাছে ভাল ফল ধরলে কী বলতে হয়?
(ঘ) কখন আল্লাহু আকবার বলতে হয়?
(ঙ) কেউ মারা গেছে শুনলে কী বলতে হয়?
(চ) পায়খানায় যাওয়ার সময় কী পড়তে হয়?
(ছ) পিতা মাতার জন্য কী দোআ করতে হয়?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আরবী বিষয়ে .......... A+ পাব।
(খ) কারো ......... খবর শুনলে মাশাআল্লাহ বলতে হয়।
(গ) اَللهُ أَكْبَرُ অর্থ হলো আল্লাহ সবচেয়ে ......।
(ঘ) কোন উঁচু স্থানে উঠতে ........ বলতে হয়।
(ঙ) কোন দুঃসংবাদ শুনলে .......... বলতে হয়।
(চ) أَللَّهُمَّ إِنِّيْ ........... مِنْ فَضْلِكَ ।
(ছ) رَبِّ ارْهُمَا كَمَا .......... صَغِيْرًا ।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) ভবিষ্যতে কোন কাজ করব-এমন কথা বলার সময় কী বলতে হয়?
(i) إِنْ شَاءَ اللهُ
(ii) مَاشَاءَ اللهُ
(iii) إِنَّا للهِ
(খ) কখন مَاشَاءَ اللهُ বলতে হয়?
(i) সু সংবাদ শুনলে
(ii) দুঃসংবাদ শুনলে
(iii) উঁচু স্থানে উঠতে
(গ) কারো ক্ষেতে ভাল ফসল হলে কী বলতে হয়?
(i) إِنْ شَاءَ اللهُ
(ii) مَاشَاءَ اللهُ
(iii) إِنَّا للهِ
(ঘ) কারো ভাল খবর শুনলে কী বলতে হয়?
(i) إِنْ شَاءَ اللهُ
(ii) إِنَّا للهِ
(iii) مَاشَاءَ اللهُ
(ঙ) কখন اَللهُ أَكْبَرُ বলতে হয়?
(i) কারো মৃত্যু সংবাদ শুনলে
(ii) কারো ভাল গুণ দেখলে
(iii) ঝড়/বজ্রপাত হলে
(চ) কখন إِنَّا للهِ বলতে হয়?
(i) সু সংবাদ শুনলে
(ii) মৃত্যু সংবাদ শুনলে
(iii) পরীক্ষায় পাশ করলে
(ছ) اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ দোয়াটি কখন পড়তে হয়?
(i) ঘুম থেকে উঠে
(ii) পায়খানায় প্রবেশের পূর্বে
(iii) মসজিদে প্রবেশের সময়
সমাপ্ত
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
২। পায়খানায় প্রবেশের পূর্বে পড়তে হয়
اَللَّهُمَّ إِنِّـيْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْـخُبُثِ وَالْـخَبَائِثِ
৩। পায়খানা থেকে বের হয়ে পড়তে হয়
غُفْرَانَكَ اَللَّهُمَّ
৪। মসজিদে প্রবেশের সময় পড়তে হয়
اَللَّهُمَّ افْتَحْلِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
৫। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পড়তে হয়
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
৬। পিতা মাতার জন্য দোয়া
رَبِّ ارْحَـمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِـيْ صَغِيْراً
৭। সকাল সন্ধ্যার দোয়া
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِـمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَّرَسُوْلاً
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
(ক) কখন ইনশাআল্লাহ বলতে হয়?
(খ) কখন মাশাআল্লাহ বলতে হয়?
(গ) কারো গাছে ভাল ফল ধরলে কী বলতে হয়?
(ঘ) কখন আল্লাহু আকবার বলতে হয়?
(ঙ) কেউ মারা গেছে শুনলে কী বলতে হয়?
(চ) পায়খানায় যাওয়ার সময় কী পড়তে হয়?
(ছ) পিতা মাতার জন্য কী দোআ করতে হয়?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) আরবী বিষয়ে .......... A+ পাব।
(খ) কারো ......... খবর শুনলে মাশাআল্লাহ বলতে হয়।
(গ) اَللهُ أَكْبَرُ অর্থ হলো আল্লাহ সবচেয়ে ......।
(ঘ) কোন উঁচু স্থানে উঠতে ........ বলতে হয়।
(ঙ) কোন দুঃসংবাদ শুনলে .......... বলতে হয়।
(চ) أَللَّهُمَّ إِنِّيْ ........... مِنْ فَضْلِكَ ।
(ছ) رَبِّ ارْهُمَا كَمَا .......... صَغِيْرًا ।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
(ক) ভবিষ্যতে কোন কাজ করব-এমন কথা বলার সময় কী বলতে হয়?
(i) إِنْ شَاءَ اللهُ
(ii) مَاشَاءَ اللهُ
(iii) إِنَّا للهِ
(খ) কখন مَاشَاءَ اللهُ বলতে হয়?
(i) সু সংবাদ শুনলে
(ii) দুঃসংবাদ শুনলে
(iii) উঁচু স্থানে উঠতে
(গ) কারো ক্ষেতে ভাল ফসল হলে কী বলতে হয়?
(i) إِنْ شَاءَ اللهُ
(ii) مَاشَاءَ اللهُ
(iii) إِنَّا للهِ
(ঘ) কারো ভাল খবর শুনলে কী বলতে হয়?
(i) إِنْ شَاءَ اللهُ
(ii) إِنَّا للهِ
(iii) مَاشَاءَ اللهُ
(ঙ) কখন اَللهُ أَكْبَرُ বলতে হয়?
(i) কারো মৃত্যু সংবাদ শুনলে
(ii) কারো ভাল গুণ দেখলে
(iii) ঝড়/বজ্রপাত হলে
(চ) কখন إِنَّا للهِ বলতে হয়?
(i) সু সংবাদ শুনলে
(ii) মৃত্যু সংবাদ শুনলে
(iii) পরীক্ষায় পাশ করলে
(ছ) اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ দোয়াটি কখন পড়তে হয়?
(i) ঘুম থেকে উঠে
(ii) পায়খানায় প্রবেশের পূর্বে
(iii) মসজিদে প্রবেশের সময়
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন