মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সংবাদ দেয়া হল যে, আমি বলেছি, আল্লাহর কসম! আমি যতদিন জীবিত থাকব ততদিন লাগাতার দিনে রোজা রাখব আর রাতে নামাজ পড়ব। তিনি শুনে বললেন: তুমি নাকি এ রকম কথা বলেছ? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! -আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক- আমি এ রকম কথা বলেছি। তিনি বললেন: ‘তুমি এরূপ করতে সমর্থ হবে না। কাজেই রোজা রাখবে আবার রোজা ত্যাগ করবে। তেমনি নিদ্রা যাবে আবার রাত জেগে নামাজ পড়বে। আর প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখ। কারণ নেক আমলে দশ গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। আর এ রকম রোজা রাখলে তা সারা বছর রোজা রাখা বলে গণ্য হবে।’
আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী সামর্থ রাখি। তিনি বললেন: ‘তাহলে একদিন রোজা রাখবে আর দুদিন রোজা ছেড়ে দেবে।’ আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী করার সামর্থ রাখি। তিনি বললেন: ‘তাহলে একদিন রোজা রাখবে আর একদিন রোজা ছেড়ে দেবে।’ আর এটা হচ্ছে দাউদ আলাইহিস সালামের রোজা। এটা হল ভারসাম্যপূর্ণ রোজা।
অন্য বর্ননায় আছে: আর এটাই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ রোজা। অতপর আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী সামর্থ রাখি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘এ পদ্ধতির চেয়ে আর কোন শ্রেষ্ঠ রোজা নাই।’
হায়! আমি যদি সেদিন তিন দিনের রোজার বিষয়টি গ্রহণ করে নিতাম। যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তাহলে তা আমার পরিবার পরিজন ও ধন-সম্পদের চেয়ে বেশী প্রিয় হত।
আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন: ‘আমাকে কি এ খবর দেয়া হয়নি যে, তুমি প্রতিদিন রোজা রাখ আর রাতভর নামাজ পড়?’ আমি উত্তর দিলাম, অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, এমনটি করবে না। রোজা রাখবে আবার রোজা ছেড়ে দেবে। ঘুমাবে আবার ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়বে। কারণ তোমার উপর তোমার শরীরের হক (পাওনা) আছে। তোমার উপর তোমার চোখের হক আছে। তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে। তোমার উপর তোমার সাক্ষাতপ্রার্থীদের হক আছে। প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা তোমার জন্য যথেষ্ট। কারণ প্রতিটি নেক আমলের বিনিময়ে দশগুণ সওয়াব পাবে। আর এটা সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য হবে। আমি নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম। ফলে আমার উপর কঠোরতা চেপে বসল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নিজের মধ্যে শক্তি-সামর্থ অনুভব করছি। তিনি বললেন, তাহলে আল্লাহর নবী দাউদের মত রোজা রাখ। এর বেশী করতে যেও না।
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বৃদ্ধ হওয়ার পর বলতেন , হায়! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ছাড় দিয়েছিলেন, আমি যদি তা গ্রহণ করতাম!
আরেকটি বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘আমাকে কি খবর দেয়া হয়নি যে তুমি সারা বছর রোজা রাখ আর সারা রাত কুরআন পাঠ কর?’ আমি বললাম, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর মাধ্যমে শুধু সওয়াবের আশা করি। তিনি বললেন: ‘তাহলে তুমি আল্লাহর নবী দাউদ আলাইহিস সালামের রোজা রাখবে। কারণ তিনি ছিলেন, মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় ইবাদতকারী। আর প্রতি মাসে একবার কুরআন পাঠ (খতম) করবে। এর বেশী করবে না।’ এভাবে আমি নিজেই নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করতে চেয়েছি। আর আমার উপর তা চেপে বসেছে। আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন: ‘তুমি জান না, সম্ভবত তোমার বয়স দীর্ঘ হবে।’
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছিলেন আমি এখন সেখানে পৌঁছে গেছি। আমি বার্ধক্যে পৌঁছে গেলাম। তখন আমার মনে হল, যদি আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেয়া সুবিধা গ্রহণ করতাম।
অন্য একটি বর্ণনায় আছে, ‘তোমার কাছে তোমার সন্তানের পাওনা আছে।’
আরেকটি বর্ণনায় আছে, যে প্রতিদিন রোজা রাখে সে যেন কোন রোজা রাখল না। তিনি এ কথাটি তিন বার বলেছেন।
অন্য একটি বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা হচ্ছে দাউদ আলাইহিস সালামের রোজা। আর পছন্দের নামাজ হচ্ছে দাউদ আলাইহিস সালামের নামাজ। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন আবার এক ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন । তিনি একদিন রোজা রাখতেন আর একদিন রোজা ছেড়ে দিতেন। শত্রুর মোকাবেলায় পিছু হটতেন না।
আরেকটি বর্ণনায় আছে, আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আমার পিতা একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দেন। আর তিনি (আমার পিতা) পুত্রবধুকে তার স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। আমার স্ত্রী তার জবাবে বলত, সে খুব ভাল লোক। আমার আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত সে আমার সাথে বিছানায় শয়ন করেনি আর পর্দাও খোলেনি। আমার এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে আমার পিতা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করলেন। তিনি বললেন, ‘তাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।’ এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলাম। তিনি বললেন: ‘তুমি কিভাবে রোজা রাখ? আমি বললাম, প্রতিদিন। তিনি বললেন: ‘কুরআন কিভাবে খতম কর? আমি বললাম, প্রতি রাতে। এরপর তিনি পুরো ঘটনা বর্ণনা করলেন যা ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে। আর তিনি যা পড়তেন তার এক সপ্তামাংশ পরিবারের কাউকে দিনে শুনিয়ে দিতেন। যাতে রাতে তার বোঝা হালকা হয়ে যায়। আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু যখন দেহে শক্তি সঞ্চয় করার ইচ্ছা করতেন তখন কয়েকটি দিন হিসাব করে রোজা ছেড়ে দিতেন। এবং পরে সে দিনগুলোর রোজা কাজা করে নিতেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছ থেকে আসার পর তার সাথে ওয়াদাকৃত কোন কিছুকে ত্যাগ করা তিনি অপছন্দ করতেন।
উপরোক্ত প্রতিটি বর্ণনা সহীহ। অধিকাংশ বর্ণনা বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। আর অল্প কিছু বর্ণনা বুখারী ও মুসলিম এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/731/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।