hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইবাদত-বন্দেগীতে মধ্যপন্থা অবলম্বন

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

২২
হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :
এক. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এ দীনকে কঠিন করেছে তার উপর তা (কঠোরতা) চেপে বসেছে। আমরা এ হাদীসে এর বাস্তব উদাহরণ দেখতে পাই। প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু জীবনের প্রতিটি দিন রোজা রাখতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে তাকে মাসে তিনদিন রোজা রাখতে পরামর্শ দিলেন। তিনি আরো বেশী করতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। ফলে আরো বেশী তার উপর অরোপিত হল। শেষ জীবনে এটা তার কষ্টের কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল।

দুই. মাসে তিন দিন রোজা রাখা সুন্নাত। এ রোজা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখতে হয়। এগুলোকে আইয়ামে বীজের রোজা বলে। এই তিন দিন রোজা রাখলে দশগুণ হয়ে ত্রিশ দিন রোজা রাখার সওয়াব হবে।

তিন. দাউদ আলাইহিস সালামের রোজা সম্পর্কে জানা গেল। তিনি একদিন রোজা রাখতেন আর একদিন রোজা ছাড়তেন। যারা বেশী নফল রোজা রাখতে চায় এ পদ্ধতিতে রোজা রাখাই তাদের জন্য উত্তম।

চার. প্রতিদিন নফল রোজা রাখা ঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।

পাঁচ. প্রতি রাতে কুরআন খতম করতেন, এ কথার অর্থ হল: তখন তার কাছে কুরআন যতটুকু সংকলিত ছিল ততটুক পাঠ করে শেষ করতেন। তখনতো কুরআন নাযিল শেষ হয়নি। তাই সম্পূর্ণ কুরআন খতম করার প্রশ্ন আসে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি মাসে একবার কুরআন খতম করার অনুমতি দিয়েছেন।

ছয়. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু শেষ বয়সে এসে যে সকল আমল করতে ক্লান্তিবোধ করতেন সেগুলো তার জন্য ওয়াজিব ছিল না। কিন্তু তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সকল ইবাদত-বন্দেগী করার ওয়াদা করেছিলেন বলে এগুলো ত্যাগ করতে পারেননি। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- কে কিভাবে অনুসরণ করেছেন আর আনুগত্যের নজীর কিভাবে স্থাপন করেছেন, তার বাস্তব একটি উদাহরণ এ হাদীস।

সাত. ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত হয়ে পরিবার-পরিজনের অধিকার আদায় ও তাদের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে অবহেলা করার অবকাশ নেই। যদি অবহেলা করা হয় তাহলে ইবাদত বন্দেগীতে মধ্যপন্থা নয়, চরমপন্থা গ্রহণ করা হল।

আট. উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মায়া-মমতা কত বেশী ছিল তা অনুমান করা যায় এ হাদীস দিয়ে। উম্মতের কষ্ট হবে বলে তিনি বেশী বেশী ইবাদত-বন্দেগী করতে অনুমতি দিতেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন