hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী মিডিয়ার উৎস, মূলনীতি ও ভিত্তিসমূহ

লেখকঃ ড. মো: আব্দুল কাদের

১২
খ. স্বাধীনতা ও জবাবদিহীতা
মানুষ এক স্বাধীনসত্তা। ইসলাম তাকে আকীদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা দিয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ যাবতীয় কাজে মানুষের অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে। তবে এ স্বাধীনতা লাগামহীন নয়। এর রয়েছে জবাবদিহিতা, যাতে করে জনসাধারণের কল্যাণ ও ইসলামী বিধানের অনুসরণ হয়। ফলে ইসলাম প্রদত্ত স্বাধীনতায় কোনো বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘন থাকে না। এ মর্মে আল্লাহ বলেন:

﴿ وَلَا تَعۡتَدُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ ١٩٠ ﴾ [ البقرة : ١٩٠ ]

‘‘কিন্তু সীমালংঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারীদেরকে ভালবাসেন না।’’ [.সূরা আল্-বাকারাহ : ১৯০।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘তুমি নিজের জন্য যা পছন্দ কর অন্যের জন্যও তা করবে।’’

ইসলামী মিডিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্বাধীনতা পরিলক্ষিত হয়। যেমন আকীদার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা। বিভিন্ন যোগাযোগ ও গণমাধ্যমের সাহায্যে মানুষ সাধারণতঃ তার স্বাধীনতা চর্চা করে থাকে। যেমন: বক্তৃতা-বিবৃতি, কবিতা, কিসসা-কাহিনী বর্ণনা ইত্যাদি। আর মানুষ তার মত অনুযায়ী নিজ নিজ আকীদার অনুশীলন করে। তবে এক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তির কোনো স্থান নেই। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে অনেক আয়াত বিদ্যমান। যেমন:

﴿ لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ ٢٥٦ ﴾ [ البقرة : ٢٥٦ ]

‘‘দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।’’ [.সূরা আল্-বাকারাহ : ২৫৬।]

এছাড়া আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে লক্ষ্য করে বলেন:

﴿ ۚ أَفَأَنتَ تُكۡرِهُ ٱلنَّاسَ حَتَّىٰ يَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ ٩٩ ﴾ [ يونس : ٩٩ ]

‘‘তবে কি আপনি মুমিন হওয়ার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করবেন?’’ [.সূরা ইউনুস : ৯৯।]

সাহাবীগণ তাদের জীবনে স্বাধীন ও জবাবদিহীমূলক সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছেন। যেমন: ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু যখন জেরুজালেম শহরের জন্য বিজয়ী মুসলিমদের সাথে নিয়ে শান্তি চুক্তি ও সন্ধি স্থাপন করতে গেলেন, তখন তিনি সেখানে দেখতে পেলেন ইয়াহূদীদের একটি মন্দির। আর তা মাটি দ্বারা ঢাকা ছিল এবং উপরের অংশটুকু দৃশ্যমান ছিল। তারপর তিনি অতিরিক্ত কাপড়সহ আসলেন। আর কিছু স্তুপীকৃত মাটি তুলে নিলেন। মুসলিম সৈন্যগণ তাঁকে অনুসরণ করতে লাগল। এভাবে মন্দিরটির ঢাকনা তুলে ফেলা হল এবং সেখানে ইয়াহূদীদের ধর্মীয় নিদর্শন প্রকাশ পেল। [.ড. প্রফেসর আদনান আদ্-দুবসী, আল্-ই‘লামুল ইসলামী : আল আদহাফ ওয়াল ওয়ায়েফ, দারু উসামা, তা. বি, পৃ. ৪২-৪৩।]

উক্ত সফরে নামাযের সময় উপস্থিত হল, মুসলিমগণ বায়তুল মাকদাস গীর্জার পাশে দাঁড়াতে চাইল। কিন্তু ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাদেরকে বারণ করলেন। সেখানে নামায আদায় করতে তিনি তাদেরকে গীর্জা দূরবর্তী স্থানে নামায আদায় করতে আহ্বান জানান। অতঃপর তাকে বলা হল- সেখানে নামায আদায় বৈধ নয় কী? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন- আমার আশংকা হল যে, এখানে নামায আদায় করলে পরবর্তীতে মুসলিমগণ গীর্জা ভেঙ্গে ফেলবে এবং সেখানে মসজিদ বানাবে। পরবর্তীতে জেরুজালেম ভ্রমণকারীগণ স্বাক্ষী দিয়েছেন যে, সে স্থানে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে যা মসজিদে ওমর ইবন্ খাত্তাব নামে পরিচিত। অতএব ওমরের আশংকা সঠিক ছিল। আর তিনি গীর্জার বাইরে অন্যত্র নামায আদায় করে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতার মূলনীতি বাস্তবায়ন করেছেন।

অনুরূপভাবে মহিলাদের মহর ধার্য নিয়ে ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এর মতামতের বিপক্ষে একজন নারী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তার বক্তব্য ছিল কুরআনের আয়াতের অনুরূপ, তিনি (মহিলা) বলেছিলেন, ওমর কী ﴿ وَءَاتَيۡتُمۡ إِحۡدَىٰهُنَّ قِنطَارٗا ﴾ [ النساء : ٢٠ ]আয়াত পড়নি? ওমর তুমি কি জান قنطار কী? তখন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন- মহিলার মত সঠিক এবং ওমরের মত ভুল। এভাবে স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতার উপর ভিত্তি করে ইসলামী মিডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন