hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ইসলাম

লেখকঃ মাওলাই মোস্তাফা বারজাওয়ী

স্বাস্থ্যগত দূষণ থেকে সতর্কীকরণ যা রোগ ছড়ায়:
এ সম্বন্ধে কুরআন ও সুন্নাহতে অসংখ্য বক্তব্য রয়েছে। যা স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতন হতে বলে। শুরুতেই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে সুস্থতা চেয়ে দু‘আর। তারপর সুস্থতা আনয়ন এবং শারীরিক সুস্থতা ধরে রাখার সকল উপায় ও উপকরণ অর্জনের তাকিদ দেওয়া হয়েছে। তারপর অসুস্থ হলে রোগের ব্যাপারে ইতিবাচক মানসিকতা পোষণের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সজাগ থাকতে বলেছে। যাতে অন্যদের মাঝে এ রোগ সংক্রমিত না হয়। একদিকে ব্যক্তি পর্যায়ে ইসলাম মহামারির স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেছে। অন্যদিকে সমাজের নিরাপত্তার স্বার্থে রোগী নিজ শহরে থেকে আত্মোৎসর্গকারীকে আল্লাহর রাস্তায় ‘শাহাদত’ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কারণ, মহামারির সংক্রমণ থেকে মুসলিম সমাজকে সুরক্ষা করা ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে বড়।

নিশ্চিত করে বলা যায় চিকিৎসা শাস্ত্রের পূর্ণতার প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর রাখেন মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মা আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لَيْسَ مِنْ أَحَدٍ يَقَعُ الطَّاعُونُ فَيَمْكُثُ فِى بَلَدِهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا، يَعْلَمُ أَنَّهُ لاَ يُصِيبُهُ إِلاَّ مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ ، إِلاَّ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ شَهِيدٍ»

“যে ব্যক্তি মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে ধৈর্য ধারণ করবে এবং আরোগ্য লাভের প্রত্যাশায় আপন শহরেই অবস্থান করবে এ কথা জেনে যে তার তো কেবল তা-ই হবে আল্লাহ তার জন্য যা লিপিবদ্ধ করেছেন, তবে সে শহীদের নেকী লাভ করবে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৪৭৪; মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ২৫২১২।]

উসামা ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِذَا سَمِعْتُمْ بِالطَّاعُونِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا» .

“যখন তোমরা কোনো এলাকায় মহামারির কথা শোনো, তখন তোমরা তাতে প্রবেশ করো না। আর তোমার অবস্থান এলাকায় যদি মহামারি দেখা দেয় তবে তা থেকে বের হয়ো না।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৭২৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১১০।]

আর বাস্তবতার ময়দানে চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রস্তর যিনি প্রথম প্রয়োগ ঘটান তিনি হলেন খলীফায়ে রাশেদ উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু।

এছাড়াও আছে আন্তর্জাতিক স্তরে সাদা বিষ তথা মাদক এবং লাল বিষ তথা এইডস বিস্তার সমস্যার আকার বৃদ্ধি। কারণ নানা ধরনের মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সার্বিকভাবে যার ফলে চুরি, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকের ফাঁদে পড়ার আগেই তাই পবিত্র কুরআন সতর্ক করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَأَنفِقُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ وَأَحۡسِنُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ١٩٥ ﴾ [ البقرة : ١٩٥ ]

“আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় কর এবং নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। আর সুকর্ম কর। নিশ্চয় আল্লাহ সুকর্মশীলদেরকে ভালোবাসেন।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৫]

একই কথা প্রযোজ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঘুম হারাম করা সমস্যা ব্যভিচারের ক্ষেত্রে। আর আল্লাহর এই বাণীর চেয়ে সুন্দরভাবে এ ব্যাপারে আর কেউ সতর্ক করে নি। আল্লাহ বলেন,

﴿وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَسَآءَ سَبِيلٗا ٣٢﴾ [ الاسراء : ٣٢ ]

“আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৩২]

একই ধরনের সতর্কীকরণ লক্ষণীয় নিচের হাদীসে। আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ، حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا، إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ، وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا» .

“যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্য ব্যভিচারের আত্মপ্রকাশ ঘটবে, তখন তাদের মাঝে প্লেগ এবং ক্লেশ ছড়িয়ে পড়বে যা তাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মধ্যে দেখা যায় নি।” [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪০১৯; তাবরানী, হাদীস নং ৪৬৭১।]

আর মানুষের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ইসলাম স্নায়ুবিক চাপ বাড়ার রাস্তা বন্ধের শিক্ষা দান করেছে। আর তা আল্লাহ এবং তাঁর ভাগ্যলিপির ওপর ঈমান আনয়ন, রোগ-শোক ও বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ, হতাশা ও আত্মহত্যা হারামকরণ, জীবনের গ্লানির বোঝা লাঘবে মানুষকে সহযোগিতা ও দয়ার নির্দেশ দান এবং সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টির সব উৎস যেমন জুয়া, সুদ, ফটকাবাজী এবং নিন্দনীয় বিনোদন ও শোরগোল নিষিদ্ধের মাধ্যমে।

ইসলাম একইভাবে ইসলামী পরিবেশের সুস্থতা ও তার পবিত্রতা রক্ষায় নানা আদেশ দিয়েছে। যেমন, শরীর, হাত, দাঁত, নখ ও চুলের পবিত্রতা, পোশাক এবং খাদ্য ও পানীয়ের পবিত্রতা, সড়ক, বাড়ি ও নগরের পরিচ্ছন্নতা এবং নদী ও টিউবওয়েল ইত্যাদির পানির বিশুদ্ধতা।

‘জর্জ বার্নার্ড শ’ তার ‘চিকিৎসকের বিস্ময়’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘ব্রিটেন যখন মুসলিম বিশ্বে উপনিবেশ স্থাপন শুরু করল, তখন তারা আইল্যান্ডের মানুষদের ইসলাম ত্যাগে বাধ্য করল। তারা এ উদ্দেশ্যে সফল হতে না হতেই তাদের মাঝে এই (ইসলাম) ধর্মের পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা ত্যাগ হেতু মারাত্মক মহামারি দেখা দিতে শুরু করল। যা তাদের অনেকের মৃত্যু ডেকে আনল।

সাধারণত ইসলামই সেই শিক্ষাসমূহের আবির্ভাব ঘটিয়েছে যাকে ‘প্রতিষেধক ঔষধ’ বলা হয়। হ্যাঁ রোগের পঙ্কে জড়ানো এবং তাতে পচে যাবার আগে বিভিন্ন ধরণের রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইসলাম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন