hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মদিনা শরিফের ফজিলত জিয়ারত ও অবস্থানকালীন আদব

লেখকঃ আব্দুল মুহসিন বিন হামাদ আল আববাদ আল বদর

১১
মদিনায় অবস্থানকালীন আদব :
এক : মদিনার বিশেষ ফজিলত এবং তার প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষ ভালোবাসার কারণে মদিনাকে মহববত করবে।

ইমাম বোখারি রহ. তার সহিহ কিতাবে হজরত আনাস রা. হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর হতে ফিরতেন এবং যখন মদিনার বাড়ি-ঘরগুলো দৃষ্টি গোচর হত, তখন মদিনার মহববতে স্বীয় উষ্ট্রী জোড়ে হাঁকাতেন। আর ভারবাহী জন্তুর উপর থাকলে তাকে নাড়াতেন।

দুই: এ মদিনাতে আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। আল্লাহ তাআলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের উপর অবিচল থাকবে। বেদআত ও গুনাহের কলঙ্ক হতে দূরে অবস্থান করবে। কারণ, মদিনাতে নেকি যেরূপ মর্যাদার, বেদআত ও গুনাহ অনুরূপ ভয়ংকর। কারণ যে ব্যক্তি হেরেমের ভিতর আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করে, তার গুনাহ বড় ও কঠোর হয়—ঐ ব্যক্তির তুলনায়, যে হেরেমের বাইরে আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করে, সংখ্যার দিক দিয়ে গুনাহ বাড়ানো হয় না ঠিক। তবে হারামের সীমানায় সংঘটিত হওয়ার কারণে এর আকার বিরাট ও কঠোর করা হয়।

তিন: মদিনা অবস্থানকালীন আপ্রাণ চেষ্টা করবে, যেন আখেরাতের ব্যবসার বড় একটি অংশ হাসিল হয়। যেখানে লাভ বহু গুণ। অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে বর্ণিত সওয়াবের প্রতি উৎসাহী ও অনুপ্রাণিত হয়ে যত সম্ভব মসজিদে নববীতে বেশি বেশি নামাজ আদায় করবে। এরশাদ হচ্ছে :—

صلاة في مسجدي هذا خير من ألف صلاة فيما سواه إلا المسجد الحرام . ( رواه البخاري ومسلم .)

‘আমার এ মসজিদে এক নামাজ, অন্যান্য মসজিদের ভিতর হাজার নামাজের চেয়ে উত্তম, মসজিদুল হারাম ব্যতীত।’ (বোখারি ও মুসলিম)

চার: বরকতময় এ মদিনাতে ভাল কথা, কাজ ও কর্মে আদর্শ ও সুন্দর নমুনা হতে চেষ্টা করবে। কারণ, সে এমন এক শহরে, যেখান থেকে নূর বিকশিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে, যেখান থেকে কুসংস্কার দূরকারী দ্বীনের দায়ীগণ ইসলামের দাওয়াত নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছেছেন। অতএব যে ব্যক্তি মদিনাতে আসবে সে মদিনায় অবস্থানকারীদের উত্তম আদর্শ, মহৎগুণ ও মহান চরিত্রে বিশিষ্ট দেখবে। অতঃপর সে উপকৃত ও প্রভাবন্বিত হয়ে নিজ দেশে ফিরে যাবে। কারণ, সে কল্যাণ, আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। বস্ত্তত: বরকতময় শহর মদিনাতে আগমনকারীগণ উত্তম আদর্শ দেখে যেরূপ কল্যাণ ও সততা অর্জন করবে, অনুরূপ মদিনার ভিতর কাউকে এর বিপরীত দেখলে ফল পালটে যাবে। তখন সে উপকৃত ও প্রশংসাকারী হওয়ার পরিবর্তে, ক্ষতিগ্রস্ত ও কুৎসা রটনাকারী হবে।

পাঁচ: মদিনাতে অবস্থানকালীন স্মরণ রাখবে, সে এখন অবস্থান করছে পবিত্র ভূ-খন্ডে। যে ভূ-খন্ড একাধারে ওহির অবতরণস্থল, ঈমানের আশ্রয় কেন্দ্র, রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, মুহাজির ও আনসার সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর পদচারণায় বিধৌত-গৌরবময় ঐতিহ্যের ভূমি। তারা এ ভূ-খন্ডে কল্যাণ ও সততার সাথে, হক ও হেদায়াতকে আঁকড়ে ধরে পদচারণা করেছেন। সুতরাং, এতে এমন আচার-আচরণ ও ব্যবহার হতে বিরত থাকবে, যা তাদের নীতি ও আদর্শের বিপরীত। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলার অপছন্দনীয় আচার-ব্যবহার—যা তার কাছে নিয়ে আসবে দুনিয়া-আখেরাতের ধ্বংস ও অশুভ পরিণতি।

ছয়: আল্লাহ তাআলা যাকে মদিনাতে থাকার তওফিক দান করেন, সে তথায় কোন অঘটন ঘটানো বা কোন অপরাধীকে আশ্রয় দেয়া থেকে বিরত থাকবে। অন্যথায় অভিশাপের সম্মুখীন হবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে প্রমাণিত, তিনি বলেছেন—

المدينة حرم , فمن أحدث فيها أو آوى محدثا فعليه لعنة الله والملائكة والناس أجمعين . لايقبل الله منه يوم القيامة عدلا وصرفا , رواه مسلم من حديث أبي هريرة- رضي الله عنه -( وهو في الصحيحين من حديث علي رضي الله عنه -)

‘মদিনা হেরেম। যে এখানে কোন দুষ্কর্ম করল অথবা কোন অপরাধীকে আশ্রয় দিল, তার উপর আল্লাহ তাআলা, ফেরেশতা এবং সমস্ত মানুষের লা’নত। কেয়ামতের দিন তার কোন ফরজ বা নফল কবুল করা হবে না।’ (ইমাম মুসলিম রা. আবু হুরায়রা রা. হতে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। বোখারি ও মুসলিমের অপর স্থানে হাদিসটি হজরত আলী রা. হতে উল্লেখ করা হয়েছে।)

সাত: মদিনার কোন গাছ কাটতে অথবা তার কোন শিকারকে শিকার করতে উদ্বুদ্ধ হবে না। যেহেতু এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনেক হাদিসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী—

إن إبراهيم حرم مكة وإني حرمت المدينة ما بين لابيتيها , لايقطع عضاهها , ولايصاد صيدها ,.( رواه مسلم من حديث جابر بن عبد الله رضي الله عنهما -)

‘ইব্রাহীম আ. মক্কাকে হেরেম ঘোষণা করেছেন। আমি মদিনার উভয় লাবার মধ্যবর্তী অংশকে হেরেম ঘোষণা করছি। এর কোন গাছ কাটা যাবে না এবং এর কোন শিকারকে শিকার করা যাবে না।’ (ইমাম মুসলিম রহ. জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. এর হাদিস সমগ্র থেকে বর্ণনা করেছেন।)

অধিকন্তু ইমাম মুসলিম রহ. সাদ ইবনে আবি ওয়াক্বাস রা. এর হাদিসও বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—

إني أحرم ما بين لابتي المدينة أن يقطع عضاهها , أو يقتل صيدها ,

‘আমি মদিনার উভয় লাবার মধ্যবর্তী স্থানকে হেরেম ঘোষণা করেছি। এর গাছ কাটা যাবে না, অথবা এর শিকারকে হত্যা করা যাবে না।’

বোখারি ও মুসলিমে আসেম ইবনে সুলাইমান আল-আহওয়াল হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আনাস রা.কে বলেছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি মদিনাকে হারাম ঘোষণা করেছেন? তিনি উত্তর দেন, হ্যাঁ, অমুক জায়গা হতে অমুক জায়গা পর্যন্ত। এর গাছ কাটা যাবে না। যে এতে কোন দুষ্কর্ম করবে তার উপর আল্লাহ তাআলা, ফেরেশতা এবং সমস্ত মানুষের লা’নত।

হজরত আবু হুরায়রা রা. হতে বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে, তিনি বলতেন, আমি যদি মদিনাতে হরিণের পাল চরে বেড়াতে দেখতাম, তাদেরকে উত্ত্যক্ত কিংবা ভীত করতাম না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , ما بين لابتيها حرام . অর্থ: উভয় লাবার মধ্যবর্তী স্থান হেরেম।

গাছ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সমস্ত গাছ, যে গুলো আল্লাহ তাআলা গজিয়েছেন। মানুষ যে সমস্ত গাছ রোপণ করেছে, সে গুলো কাটার অনুমতি তাদের রয়েছে।

আট: মদিনার অভাব, মুসিবত ও কষ্টের উপর ধৈর্যধারণ করবে। কারণ আবু হুরায়রা রা. এর হাদিসে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

لايصبر على لأواء المدينة وشدتها أحد من أمتي إلا كنت له شفيعا يوم القيامة أو شهيدا . ( رواه مسلم .)

‘আমার উম্মতের যে কোন ব্যক্তি মদিনার মুসিবত ও কষ্টের উপর ধৈর্যধারণ করবে, কেয়ামতের দিন আমি তার সুপারিশকারী অথবা সাক্ষী হব।’ (মুসলিম)

সহিহ মুসলিমে আরো আছে, মাহরীর আজাদকৃত গোলাম আবু সাঈদ হাররার রাতে (মদিনা ও সিরিয়ার গভর্নরদের মাঝে যুদ্ধের সময়ে) হজরত আবু সাঈদ খুদরী রা. এর নিকট আসেন। অতঃপর তার নিকট মদিনা ত্যাগ করার ব্যাপারে পরামর্শ চান এবং মদিনার দ্রব্যমূল্য ও নিজের সংসারের অধিক লোক সংখ্যার অভিযোগ করেন। আরো জানান যে, মদিনার অভাব-অনটন ও তার মুসিবত সহ্য করার ধৈর্য তার নেই। তাকে তিনি বলেন, তোমার সর্বনাশ হোক ! এর নির্দেশ আমি তোমাকে দিতে পারি না। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি—

لايصبر أحد على لأوائها فيموت إلا كنت له شفيعا يوم القيامة , إذا كان مسلما .

‘যে ব্যক্তি মদিনার মুসিবতে ধৈর্যধারণ করত: অবশেষে মারা যায়, আমি কেয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশকারী হব, যদি সে মুসলমান হয়।’

নয়: মদিনা বাসীদের কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকবে। কারণ, যে কোন অবস্থাতে, যে কোন ভূমিতে মুসলমানদের কষ্ট দেয়া হারাম। কিন্তু তা পবিত্র শহরে আরো জঘন্য ও নিকৃষ্ট অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বোখারি রহ. তার সহিহ কিতাবে হজরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস রা. হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি—

لايكد أهل المدينة أحد إلا انماع كما ينماع الملح في الماء .

‘যে মদিনা বাসীদের সাথে ষড়যন্ত্র করবে, নিঃশেষ হয়ে যাবে। যেমন লবণ পানিতে নিঃশেষ হয়ে যায়।’

ইমাম মুসলিম রহ. তার সহিহ কিতাবে হজরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণনা করেন—

من أراد أهل هذه البلدة بسوء يعني المدينة- أذابه الله كما يذوب الملح في الماء .

‘যে ব্যক্তি এই শহর অর্থাৎ মদিনা বাসীদের সাথে অনিষ্টের ইচ্ছা করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে নিঃশেষ করে দেবেন। যেমন লবণ পানিতে নিঃশেষ হয়ে যায়।’

দশ: আমি মদিনায় অবস্থান করছি, সুতরাং কল্যাণ ও সৌভাগ্য আমাকে পরিবেষ্টন করে আছে—খবরদার ! এমন ধারণা লালন করে মদিনাবাসী কোনোরূপ প্রবঞ্চনা ও আত্মপ্রতারণার শিকার হবে না। কারণ, তার সাথে যদি নেক আমল, আল্লাহ তাআলা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবিচ্ছেদ্য আনুগত্য, গুনাহ ও অপরাধ হতে পরহেযগারিতা না থাকে, তবে কেবল মদিনার অবস্থান তার কোনো উপকার করতে পারবে না। বরং, উল্টো তার জন্য বিপদ বয়ে আনবে।

ইমাম মালেকের মুয়াত্তাতে আছে, হজরত সালমান ফারসী রা.—বলেছেন, মাটি কাউকে পবিত্রে রূপান্তরিত করে না। মানুষকে পবিত্র বানায় একমাত্র তার আমল। ইমাম মালেকের বর্ণনার সনদে যদিও কর্তন আছে, তবে হাদিসটি বাস্তব এবং অর্থও ঠিক। আল্লাহ তাআলা বলেন,

إن أكرمكم عند الله أتقاكم . ( الحجرات : ১৩)

‘তোমাদের ভিতর সর্বাধিক পরহেজগার ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (সূরা হুজুরাত:১৩)

সর্বজন স্বীকৃত বাস্তবতা এই যে, মদিনাতে বিভিন্ন সময়ে ভাল-মন্দ সব ধরনের লোক বর্তমান ছিল। আমল-ভাল লোকদের উপকার করেছে। খারাপ লোকদের পবিত্র করেনি এবং তাদের অবস্থা হতে উত্তোলন করেনি। এটা বংশের মত। নেক আমল ছাড়া শুধু মানুষের বংশপরস্পরা মানুষকে আল্লাহ তাআলার নিকট উপকৃত করতে পারবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—

ومن بطأ به عمله لم يسرع به نسبه . ( رواه مسلم في صحيحه .)

‘আমল যাকে নিয়ে পিছে পড়ে যাবে, বংশ তাকে নিয়ে অগ্রগামী হতে পারবে না।’ (মুসলিম)

সুতরাং, আমল যে ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করণ মুলতবি করে দেবে, তার বংশ তাকে দ্রুত জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে না।

এগারো : মদিনাতে অবস্থানকালীন এ উপলব্ধি করার চেষ্টা করবে, সে এমন এক স্থানে অবস্থান করছে, যেখান থেকে নূর বিকশিত হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীময়, ইলমে নাফে যেখান থেকে (উপকারী ইলম) পৃথিবীর আনাচে কানাচে পৌঁছেছে, আলো ফেলেছে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার। অতএব, সেই ইলমের শহর খ্যাত মদিনাতে অবস্থানকালীন ইলমে দ্বীন শিখার প্রতি মনোযোগী হবে। যার মাধ্যমে সজ্ঞান উপলব্ধিতে আল্লাহ তাআলা পর্যন্ত পৌঁছোবে। অন্যদেরকে অনুরূপ আল্লাহ তাআলার দিকে আহবান করবে। বিশেষ করে মসজিদে নববীতে ইলমে দ্বীন শিক্ষার প্রতি বেশি যত্নবান হবে। কারণ, হজরত আবু হুরায়রা রা. এর হাদিসে আছে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন,

من دخل مسجدنا هذا يتعلم خيرا أو يعلمه كان كالمجاهد في سبيل الله , ومن دخله لغير ذلك كان كاالناظر إلى ما ليس له . ( رواه أحمد وابن ماجه وغيرهما , وله شاهد عند الطبراني من حديث سهل بن سعد رضي الله عنه -.)

‘যে ব্যক্তি আমাদের এ মসজিদে কল্যাণকর কিছু শিখতে অথবা শিখাতে প্রবেশ করে, সে আল্লাহ তাআলার রাস্তায় জেহাদকারীর ন্যায়। যে অন্য কোন কারণে এতে প্রবেশ করে, সে অন্যের জিনিসে দৃষ্টি নিক্ষেপ কারীর ন্যায়।’ (হাদিসটি আহমদ, ইবনে মাজাহ ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন। এর স্বপক্ষে তাবরানীতে হজরত সা’দ রা. এর হাদিস বিদ্যমান আছে।)

যেমনিভাবে মদিনায় অবস্থানকালীন আদব রয়েছে, তেমনি রয়েছে তার জিয়ারতের অনেক আদব। মদিনায় অবস্থানকালীন অধিকাংশ আদব—যার বর্ণনা পূর্বোক্ত আলোচনায় আলোচিত হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই মদিনার জিয়ারতকারীকে পালন করতে হবে। অধিকন্তু, তার আরো জানতে হবে, মদিনায় আগমনকারীর জন্য বৈধ হলো, মদিনার উদ্দেশ্যে এই সফর দ্বারা মসজিদে নববীর জিয়ারত এবং শুধু তার জন্যই ভ্রমণের নিয়ত করা। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

لاتشد الرحال إلا إلى ثلاثة مساجد : المسجد الحرام , ومسجدي هذا , والمسجد الأقصى . ( رواه البخاري و مسلم .)

‘তিনটি মসজিদ ব্যতীত (আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ ও সওয়াবের উদ্দেশ্যে) অন্য কোন দিকে সফর করা যাবে না। মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ ও মসজিদুল আক্বসা।’ (বোখারি ও মুসলিম)

এ হাদিস যে কোন মসজিদ বা অন্য বস্ত্ত—যেখানে সে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে সফরের নিয়ত করছে, উষ্ট্রী হাঁকাতে নিষেধ করে। কারণ, সুনানে নাসায়ীতে হজরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বুসরা বিন আবী বুসরা আল-গেফারী রা. এর সাথে দেখা করেছি। অতঃপর তিনি বলেন, কোথা হতে এসেছেন ? আমি উত্তর দিলাম ‘তুর’ হতে। তিনি বললেন, আপনার সেখানে যাওয়ার আগে যদি আমি আপনার সাথে দেখা করতাম, আপনি সেখানে যেতেন না। আমি তাকে বললাম, কেন ? তিনি বললেন, আমি রাসূল রা.কে বলতে শুনেছি—

لاتعمل المطي إلا إلى ثلاثة مساجد : المسجد الحرام . ومسجدي , ومسجد بيت المقدس . ( وهو حديث صحيح .)

‘আরোহণের পশুকে (আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে সফরের কাজে) তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন বস্ত্তর জন্য ব্যবহার করা যাবে না। মসজিদুল হারাম, আমার মসজিদ এবং বায়তুল মাক্বদিসের মসজিদ।’ (এটি সহিহ হাদিস।)

এতে বুসরা বিন আবি বুসরা আল-গেফারী রা. এর দলিল বিদ্যমান আছে, যে এ তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো বস্ত্তর জন্য আরোহণের উষ্ট্রী ব্যবহার করা যাবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন