মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এক. আমল ফরয, যা থেকে মুসলিম কখনো বিচ্ছিন্ন হতে পারে না, যা তাকে অবশ্যই পালন করতে হয়, কোন অবস্থায় ত্যাগ করার সুযোগ নেই। এ প্রকার আমলের উপর নির্ভরতা হল জান্নাতে প্রবেশ করার সনদ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরোয়ানা, যেমন ঈমান আনা আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসূলদের প্রতি, আখেরাত দিবসের প্রতি ও ভালো-মন্দ তাকদীরের প্রতি; সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, রমযানের সিয়াম পালন করা ও সামর্থ্য হলে বায়তুল্লাহ শরীফের হজ করা।
দুই. নফল আমল, যা মুসলিম সাধ্যানুসারে পালন করে, যা তার উপর ওয়াজিব নয়, ত্যাগ করলে পাপী হবে না। অবশ্য তা আদায়ের ফলে আল্লাহর নৈকট্য বাড়ে, সাওয়াব ও মর্যাদা বৃদ্ধি হয়, জান্নাতে উঁচু স্তর লাভ হয়। জান্নাত বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট, এক একটি স্তর আসমান ও যমিনের দূরত্বের সমান।
নফল আমল সুন্নাত ও আদব-আখলাকে সীমাবদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা ফরয আমলকে নফল আমলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, বরং তার নৈকট্য ফরয আমলের উপর নির্ভরশীল, নফল দ্বারা শুধু মহব্বত ও নৈকট্য বৃদ্ধি পায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে কুদসিতে এর বর্ণনা দিয়ে বলেন:
«يقول الله عز وجل : ما تقرَّب إليَّ عبدي بأحبَّ مما افترضته عليه، ولا يزالُ عبدي يتقرَّبُ إليَّ بالنوافل حتى أحبَّه، فإذا أحببتُه كنتُ سمعَه الذي يَسْمَعُ به وبصرَه الذي يُبْصرُ به ويدَه التي يبطشُ بها ورجله التي يمشي بها، ولئن سألني لأعطينَّه، ولئن استعاذني لأعيذنه» . متفق عليه .
“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি আমার বান্দার উপর যা ফরয করেছি তার চেয়ে প্রিয় কোন আমল দ্বারা সে আমার নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। আমার বান্দা নফল দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে ফলে আমি তাকে মহব্বত করি। আমি যখন তাকে মহব্বত করি, আমি তার কর্ণে পরিণত হই যার দ্বারা সে শোনে, তার চোখে পরিণত হই যার দ্বারা সে দেখে, তার হাতে পরিণত হই যার দ্বারা সে ধরে, তার পায়ে পরিণত হই যার দ্বারা সে হাঁটে। যদি সে আমার নিকট প্রার্থনা করে আমি অবশ্যই তাকে প্রদান করি। যদি সে আমার নিকট আশ্রয় চায়, আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় প্রদান করি”। [বুখারি ও মুসলিম।]
কে আল্লাহর নৈকট্য চায় না?! কে আল্লাহর প্রিয় হতে পছন্দ করে না?! সকলেই আশা করে তার নৈকট্য, হতে চায় প্রিয় পাত্র, কিন্তু সবাই কি ফরয দ্বারা তার নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হয়, সক্ষম হয় নফল দ্বারা তার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটাতে, যে কারণে আল্লাহ তাকে মহব্বত করবে, তার কর্ণ ও চোখে পরিণত হবে, সে আল্লাহর দেখায় দেখবে ও তার শ্রবণে শ্রবণ করবে?!
নিশ্চয় এ ফযিলত অর্জনের জন্য চাই ত্যাগ ও পরিশ্রম, অলসের এতে কোন অংশ নেই, অকর্মরা এ ময়দানে কখনো সফল হয় না। এখানে চাই ত্যাগ, প্রবৃত্তি ও শয়তানের সাথে যুদ্ধ।
আমি আমার ভাইদের বলতে চাই, জীবন পুরোটাই ক্লান্তিতে ভরা, তাতে কারো স্বস্তি নেই। ইরশাদ হচ্ছে:
“অতঃপর আমি বললাম, ‘হে আদম, নিশ্চয় এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতরাং সে যেন তোমাদের উভয়কে জান্নাত থেকে কিছুতেই বের করে না দেয়, তাহলে তোমরা দুর্ভোগ পোহাবে”। [সূরা ত্বহা: (১১৭)]
আমরা পরিশ্রম করি ও দুর্ভোগ পোহাই সন্দেহ নেই, কিন্তু আমাদের পরিশ্রম ও দুর্ভোগ কি চির শান্তি ও স্বস্তির জন্য, যা কখনো নিঃশেষ হবে না, যার নাম জান্নাত, যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি, কোন মানুষের অন্তরে যার কল্পনা পর্যন্ত উদয় হয়নি!
নিশ্চয় বর্তমান যুগে আমরা আখেরাত অন্বেষণে শিথিলতা করছি, দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছি ও তার জন্য ঘাম ঝরাচ্ছি। অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের চিন্তায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাই, সকালে উঠে বাড়ি-ঘর পর্যবেক্ষণ অথবা দোকান-পাট দেখা শোনায় মগ্ন হই। অনেক ছাত্র-ছাত্রী সারা রাত পরীক্ষায় প্রস্তুতির জন্য জাগ্রত থাকে, সকালে ফজরের সময় ঘুমায়?! বরং পার্থিব স্বার্থ ব্যতীত তারা রাতের অল্প কিংবা এক দশমাংশ সময়ের জন্যও উঠে দাঁড়ায় না।
এ যুগে আমরা আল্লাহর ইবাদাতে খুব ত্রুটি করছি! যার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ ফজরের সালাত। আপনি হয়তো এমন যুবককে দেখবেন না যে, ফজরের আযান শুনেই উঠে দাঁড়িয়েছে জামাতের সাথে দু’রাকাত সালাত আদায়ের জন্যে, যা দুনিয়া ও তার মধ্যে বিদ্যমান সবকিছু থেকে উত্তম। আর ফজরের এক ঘণ্টা পূর্বে সালাতে দণ্ডায়মান অবস্থায় কোন যুবকের দেখা মিলা প্রায় অসম্ভব, যে আল্লাহর রহমতের প্রার্থনা করছে, আখেরাতের শাস্তি থেকে পানাহ চাচ্ছে, নিজ রবের সাথে মোনাজাত করছে, তার নিকট নিজের অবস্থা, অভাব ও দুর্বলতা প্রকাশ করে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করছে।
ফজরের সালাত ও তার জামাতে শিথিলতা প্রদর্শন এবং কিয়ামুল লাইলের প্রতি উদাসীনতা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে, আমি আমার ভাই ও বোনদের প্রতি এ পুস্তিকা দ্বারা কতক উপদেশ প্রদান করি। এতে আমি অলসতার কারণ ও তার প্রতিকার নিয়ে আলোচনার প্রয়াস পেয়েছি, হয়তো আল্লাহ আমাদের থেকে অমিল ও ফাসাদ দূর করবেন, অথবা আমাদেরকে কল্যাণের দিকে পরিচালিত করে নেককার লোকদের অন্তর্ভুক্ত হাওয়ার তাওফিক দিবেন।
এ পুস্তিকায় আমি নিম্নের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব:
ক. ফজরের সালাতের প্রতি শিথিলতা প্রদর্শন।
খ. ফজরের সালাতে উপস্থিতির সুফল ও অনুপস্থিতির কুফল।
জ. কিয়ামুল লাইলে সালাফদের আদর্শ। [এ অধ্যায়ে লেখিকা আবু নুয়াঈম রচিত, “হিলইয়াতুল আউলিয়া” ও গাজালি রচিত, “এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন” থেকে বেশ কিছু ঘটনা উল্লেখ করেছেন, যা নির্ভরযোগ্য ও সহিহ সুন্নাহ মোতাবেক বিশুদ্ধ নয়, তাই অনুবাদ থেকে এ অধ্যায়টি বাদ দেয়া হয়েছে। অনুবাদক।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/82/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।