HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফজরের সালাত ও কিয়ামুল লাইলের জন্য সহায়ক উপকরণ

লেখকঃ ড. রুকাইয়্যাহ বিনতে মুহাম্মদ আল-মাহারিব

কিয়ামুল লাইলের ফযিলত
আমাদের প্রতি আল্লাহ মেহেরবান যে, তিনি নফলের বিধান দিয়েছেন, যেন ফরযের ত্রুটিগুলো দূর হয় ও আমাদের আমলের পাল্লা ভারী হয়। আল্লাহ প্রত্যেক ফরযের ত্রুটি দূর করার জন্য তার অনুরূপ নফলের বিধান দিয়েছেন। সালাত দীনের খুঁটি, তার পূর্ণতার জন্য আল্লাহ নফলের বিধান দিয়েছেন। ফরযের পর উত্তম সালাত কিয়ামুল লাইল। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«إنَّ أولَ ما يُحاسب به العبدُ يوم القيامة من عمله صلاتُه؛ فإنْ صلحت فقد أفلحَ وأنجحَ، وإن فسدت فقد خاب وخسر؛ فإن انتقص من فريضته شيءٌ قال الرَّبُّ - عزَّ وجلَّ : انظروا هل لعبدي من تَطَوُّع فيكمل بها ما انتقص من الفريضة، ثمَّ يكونُ سائر عمله على ذلك» . رواه التِّرمذيُّ وأبو داود وابن ماجه وصحَّحه الألبانيُّ .

“কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার আমলের মধ্যে তার সালাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি তার সালাত ঠিক হয়, তাহলে সে নাজাত পাবে ও মুক্ত হবে। আর যদি তার সালাত বিনষ্ট হয়, তাহলে সে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি তার ফরযের অংশ কম হয়, আল্লাহ বলবেন: দেখ আমার বান্দার নফল আছে কি-না, যার দ্বারা ফরযের ঘাটতি পুরো করা যায়। অতঃপর অন্যান্য আমলের হিসেবে এভাবে হবে”। [তিরমিযি, আবু দাউদ, ইব্‌ন মাজাহ, হাদিসটি শায়খ আলবানি সহিহ বলেছেন।]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রবের পক্ষ থেকে বর্ণনা করেন:

«ما تقرَّب إليَّ عبدي بأحبَّ مما افترضته عليه، ولا يزالُ عبدي يتقرَّبُ إليَّ بالنوافل حتى أحبَّه، فإذا أحببتُه كنتُ سمعَه الذي يَسْمَعُ به ...». متفق عليه .

“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি আমার বান্দার উপর যা ফরয করেছি তার চেয়ে প্রিয় কোন আমল দ্বারা সে আমার নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। আমার বান্দা নফল দ্বারা আমার নৈকট্যে অগ্রসর হতে থাকে এক পর্যায়ে আমি তাকে মহব্বত করি। আমি যখন তাকে মহব্বত করি, আমি তার কর্ণে পরিণত হই যার দ্বারা সে শোনে...”। [বুখারি ও মুসলিম।]

আল্লাহ তা‘আলা প্রথম কিয়ামুল লাইল ফরয করেছেন, ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাথীগণ এক বছর কিয়াম করেন, আল্লাহ বলেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلۡمُزَّمِّلُ ١ قُمِ ٱلَّيۡلَ إِلَّا قَلِيلٗا ٢ ﴾ [ المزمل : ١، ٢ ]

“হে চাদর আবৃত! (১) রাতে সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া”। [সূরা মুযযামমিল: (১-২)]

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন:

" فإنَّ اللهَ افترض قيامَ اللَّيل في أَوَّل هذه السورة فقام نبيُّ الله صلى الله عليه وسلم وأصحابه حولاً، وأمسك اللهُ خاتمتَها اثني عشر شهرًا حتى أنزل اللهُ في آخر هذه السُّورة التَّخْفيفَ، فصار قيامُ اللَّيْل تَطَوُّعًا بعدَ فريضة . رواه مسلم .

“আল্লাহ তা‘আলা এ সূরার প্রথমে কিয়ামুল লাইল ফরয করেছেন, ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাথীগণ এক বছর কিয়াম করেন, অতঃপর বারো মাস পর আল্লাহ এ সূরার শেষ আয়াত নাযিল করে সহজ করেন, ফলে ফরয কিয়ামুল লাইল নফলে পরিণত হয়”। [মুসলিম।] আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ أَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِدُلُوكِ ٱلشَّمۡسِ إِلَىٰ غَسَقِ ٱلَّيۡلِ وَقُرۡءَانَ ٱلۡفَجۡرِۖ إِنَّ قُرۡءَانَ ٱلۡفَجۡرِ كَانَ مَشۡهُودٗا ٧٨ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ ﴾ [ الاسراء : ٧٨، ٧٩ ]

“সূর্য হেলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকারপর্যন্ত সালাত কায়েম কর এবং ফজরেরকুরআন। নিশ্চয় ফজরের কুরআন ‎‎ (ফেরেশতাদের) উপস্থিতির সময়। আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর ‎‎ তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করাযায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানেপ্রতিষ্ঠিত করবেন”। [সূরা ইসরা: (৭৮-৭৯)]

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর আল্লাহ তাহাজ্জুদের উল্লেখ করেছেন, অর্থাৎ তুমি ঘুমের পর দাঁড়াও। তোমার জন্য তা অতিরিক্ত, অর্থাৎ অন্যান্য ফরযের উপর এটা অতিরিক্ত ফরয। কেউ বলেছেন: উম্মতের ন্যায় তার উপরও তাহাজ্জুদ নফল। মুজাহিদ ও কাতাদাহ এ অভিমত প্রকাশ করেছেন। [সংক্ষিপ্ত তাফসীরে বগভী।] আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:

﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَسَبِّحۡهُ وَإِدۡبَٰرَ ٱلنُّجُومِ ٤٩ ﴾ [ الطور : ٤٨ ]

“আর রাতের কিছু অংশে এবং নক্ষত্রেরঅস্ত যাবার পর তার তাসবীহ পাঠকর”। [সূরা তুর: (৪৮)‎] তিনি অন্যত্র বলেন:

﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَٱسۡجُدۡ لَهُۥ وَسَبِّحۡهُ لَيۡلٗا طَوِيلًا ٢٦ ﴾ [ الانسان : ٢٦ ]

“আর রাতের একাংশে তার উদ্দেশ্যেসিজদাবনত হও এবং দীর্ঘ রাত ধরে তাঁরতাসবীহ পাঠ কর”। [সূরা ইনসান: (৪৮)]

কিয়ামুল লাইলের প্রতি এসব নির্দেশ মোস্তাহাব পর্যায়ভুক্ত, যেমন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। অতএব আল্লাহ আপনার উপর যা ওয়াজিব করেছেন, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। এ ওয়াজিবই আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়, যার দ্বারা আপনি তার নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হবেন। আপনি দুর্বল বান্দা, আপনার রবের ক্ষমা, করুণা, প্রতিদান ও সাওয়াবের ভিখারি, অতএব রাতের আধারে নফলের প্রতি মনোযোগ দিন। কারণ ফরযের পর তাই সর্বোত্তম ইবাদত। স্মরণ করুন কিয়ামুল লাইল মুমিন বান্দাদের গুণ, যাদের তিনি প্রশংসা করেছেন। ইরশাদ করেন:

﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ يَدۡعُونَ رَبَّهُمۡ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ١٦ ﴾ [ السجدة : ١٦ ]

“তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা হয়।তারা ভয় ও আশা নিয়ে তাদের রবকে ডাকে।আর আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি,তা থেকে তারা ব্যয় করে”। [সূরা সেজদা: (১৬)‎] পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তাদের প্রতিদান উল্লেখ করেছেন, যা তাদের আমল থেকে মহান। ইরশাদ হচ্ছে:

﴿ فَلَا تَعۡلَمُ نَفۡسٞ مَّآ أُخۡفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعۡيُنٖ جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٧ ﴾ [ السجدة : ١٧ ]

“অতঃপর কোন ব্যক্তি জানে না তাদের জন্য ‎‎ চোখ জুড়ানো কি জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে,তারা যা করত, তার বিনিময়স্বরূপ”। [সূরা সেজদা: (১৭)‎]

কি মহান নিয়ামত ও মহৎ প্রতিদান! তার তুলনায় আমাদের আমলের কি মূল্য?! মুমিন ব্যক্তি যদি এ নিয়ামতের কথা স্মরণ করে আমল করে, তাহলে সে কোন ক্লান্তি অনুভব করে না, বরং জান্নাতে বসবাস করার অতুলনীয় স্বাদ আস্বাদন করে, যা আল্লাহর ইবাদাতে রাত-জাগা ব্যতীত অর্জন হয় না। রাতের অন্ধকারে ইবাদাতকারী বান্দাদের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ বলেন:

﴿ قُلۡ ءَامِنُواْ بِهِۦٓ أَوۡ لَا تُؤۡمِنُوٓاْۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ مِن قَبۡلِهِۦٓ إِذَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡهِمۡ يَخِرُّونَۤ لِلۡأَذۡقَانِۤ سُجَّدٗاۤ ١٠٧ وَيَقُولُونَ سُبۡحَٰنَ رَبِّنَآ إِن كَانَ وَعۡدُ رَبِّنَا لَمَفۡعُولٗا ١٠٨ وَيَخِرُّونَ لِلۡأَذۡقَانِ يَبۡكُونَ وَيَزِيدُهُمۡ خُشُوعٗا۩ ١٠٩ ﴾ [ الاسراء : ١٠٧، ١٠٩ ]

“বল, ‘তোমরা এতে ঈমান আন বা ঈমান নাআন, নিশ্চয় এর পূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেয়াহয়েছে, তাদের কাছে যখন এটা পাঠ করা হয়তখন তারা সিজদাবনত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। আর তারা বলে, ‘পবিত্র মহান আমাদের রব!আমাদের রবের ওয়াদা অবশ্যই কার্যকর হয়ে ‎‎ থাকে’। ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়ে এবংএটা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে”। [সূরা ইসরা: (১০৭-১০৯)‎] তাদের আরো একটি দৃশ্যের বর্ণনা দিচ্ছেন তিনি:

﴿ كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ ١٧ وَبِٱلۡأَسۡحَارِ هُمۡ يَسۡتَغۡفِرُونَ ١٨ ﴾ [ الذاريات : ١٧، ١٨ ]

“রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়েকাটাত। আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমাচাওয়ায় রত থাকত”। [সূরা যারিয়াত: (১৭-১৮)] তিনি আরো বলেন:

﴿ وَٱلَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمۡ سُجَّدٗا وَقِيَٰمٗا ٦٤ ﴾ [ الفرقان : ٦٤ ]

“আর যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও ‎‎ দণ্ডায়মান হয়ে রাত্রি যাপন করে”। [সূরা ফুরকান: (৬৪)]

প্রিয় ভাই ও বোন, এসব গুণাবলি আল্লাহকে মহব্বতকারী মুমিন বান্দাদের। আমরা যেন তাদের ন্যায় আমল করে আল্লাহর নৈকট্য ও মহব্বত অর্জনে ব্রতী হই, তাই তিনি তাদের গুণাবলি উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার উত্তম পন্থা কিয়ামুল লাইল। সর্বাগ্রে তা অর্জন করেছেন আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ ۞إِنَّ رَبَّكَ يَعۡلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدۡنَىٰ مِن ثُلُثَيِ ٱلَّيۡلِ وَنِصۡفَهُۥ وَثُلُثَهُۥ وَطَآئِفَةٞ مِّنَ ٱلَّذِينَ مَعَكَۚ ٢٠ ﴾ [ المزمل : ٢٠ ]

“নিশ্চয় তোমার রব জানেন যে, তুমি রাতের ‎‎ দুই তৃতীয়াংশের কিছু কম, অথবা অর্ধরাতঅথবা রাতের এক তৃতীয়াংশ সালাতে ‎‎ দাঁড়িয়ে থাক এবং তোমার সাথে যারা আছেতাদের মধ্য থেকে একটি দলও”। [সূরা মুযযাম্মিল: (২০)]নিশ্চয় তাদের আমল আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। ইরশাদ হচ্ছে:

﴿ لَّقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِي رَسُولِ ٱللَّهِ أُسۡوَةٌ حَسَنَةٞ لِّمَن كَانَ يَرۡجُواْ ٱللَّهَ وَٱلۡيَوۡمَ ٱلۡأٓخِرَ وَذَكَرَ ٱللَّهَ كَثِيرٗا ٢١ ﴾ [ الاحزاب : ٢١ ]

“অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছেউত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকালপ্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে”। [সূরা আহযাব: (২১)‎]

প্রিয় পাঠক, আপনি কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নশীল হন, তাতে আত্মনিয়োগ করুন ও তার প্রতি মনোযোগী হন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতক হাদিস লক্ষ্য করুন:

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«أفضلُ الصِّيام بعدَ رمضانَ شهرُ الله المحرمُ، وأفضلُ الصَّلاة بعد الفريضة صلاةُ اللَّيل» . رواه مسلم .

“রমযানের পর সর্বোত্তম সিয়াম মহররম মাসের সিয়াম। আর ফরযের পর সর্বোত্তম সালাত রাতের সালাত”। [মুসলিম।]

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আমর ইব্‌ন আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«أحبُّ الصلاة إلى الله صلاةُ داود؛ كان ينامُ نصفَ الليل ويقومُ ثلثه وينامُ سدسه، ويصومُ يومًا ويفطر يومًا» . متَّفق عليه .

“আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম সালাত দাউদ আলাইহিস সালামের সালাত, তিনি রাতের অর্ধেক ঘুমাতেন, এক তৃতীয়াংশ কিয়াম করতেন ও এক ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। তিনি এক দিন সিয়াম পালন করতেন ও এক দিন ইফতার করতেন”। [বুখারি ও মুসলিম।]

সালেম ইব্‌ন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: জিবরীল আলাইহিস সালাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলেন:

«يا محمدُ عش ما شئتَ؛ فإنك ميتٌ، واعمل ما شئت فإنَّك مجزيٌّ به، وأحبب من شئتَ فإنَّك مفارقه، واعلم أنَّ شرفَ المؤمن قيامُ الليل، وعزَّه استغناؤه عن الناس» . رواه الحاكم والطبرانيُّ، وحسَّنه الألبانيُّ .

“হে মুহাম্মদ, যত দিন ইচ্ছা বেঁচে থাকুন, অবশেষে আপনি মারা যাবেন। যা ইচ্ছা আমল করুন, তার প্রতিদান অবশ্যই আপনাকে দেয়া হবে। যাকে ইচ্ছা মুহাব্বত করুন, আপনি তাকে অবশ্যই ছেড়ে যাবেন। জেনে রাখুন, মুমিনের মর্যাদা কিয়ামুল লাইলে। কিয়ামুল লাইলে রয়েছে তার সম্মান ও মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষিতা”। [হাকেম ও তাবরানি, শায়খ আলবানি হাদিসটি হাসান বলেছেন।]

জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

سُئل رسولُ الله صلى الله عليه وسلم : أيُّ الصلاة أفضلُ؟ قال : «طول القنوت» . رواه مسلم . والقنوتُ : القيامُ .

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: কোন সালাত সর্বোত্তম? তিনি বলেন: “লম্বা কুনুত”। [মুসলিম।] অর্থাৎ দীর্ঘ কিয়াম। আল্লাহর যে বান্দা রাতে কিয়াম করে, সে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করে। হাদিসে এসেছে:

«أقربُ ما يكون الرَّبُّ من العبد في جوف اللَّيْل الآخر؛ فإن استطعتَ أن تكونَ ممَّن يذكرُ الله في تلك السَّاعة فكُن» . رواه الترمذي وصححه الألباني .

“বান্দা তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় রাতের শেষ ভাগে। যদি তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পার যারা আল্লাহকে রাতের শেষ ভাগে স্মরণ করে তাহলে হয়ে যাও”। [তিরমিযি, শায়খ আলবানি হাদিসটি সহিহ বলেছেন।]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কুরআনধারী ব্যক্তি ঈর্ষার পাত্র। ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لا حسد إلا في اثنتين رجل آتاه الله القرآن فهو يتلوه آناء الليل وآناء النهار ..» متفق عليه .

“কোন ঈর্ষা নেই শুধু দু’জন ব্যক্তি ব্যতীত, এক ব্যক্তি আল্লাহ যাকে কুরআন দান করেছেন, সে দিন-রাতের বিভিন্ন সময়ে তা তিলাওয়াত করে”। [বুখারি ও মুসলিম।]

নিশ্চয় কিয়ামুল লাইলের ফজিলত জ্ঞাত ব্যক্তি কখনো মূর্খ ব্যক্তির ন্যায় নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ أَمَّنۡ هُوَ قَٰنِتٌ ءَانَآءَ ٱلَّيۡلِ سَاجِدٗا وَقَآئِمٗا يَحۡذَرُ ٱلۡأٓخِرَةَ وَيَرۡجُواْ رَحۡمَةَ رَبِّهِۦۗ قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَۗ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ٩ ﴾ [ الزمر : ٩ ]

“যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিদজাবনত হয়ে ও ‎‎ দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকেভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশাকরে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না)বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কিসমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবলউপদেশ গ্রহণ করে”। [সূরা যুমার: (৯)‎]

অতএব আসুন এসব আয়াত ও হাদিস থেকে উপদেশ গ্রহণ করে আমরা জ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত হই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন