hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

২০
তাকবীর পাঠ করা
ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে যিলহজ মাসের প্রথম দিকের আমলের মাঝে একটি আমল হল সব সময় ও সকল স্থানে তাকবীর পাঠ করা মোস্তাহাব। অবশ্য যে অবস্থায় আল্লাহর জিকির করা যায় না সে সময় ব্যতীত।

যিলহজ মাসের এ তাকবীরের ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম বলেন : এ তাকবীর আদায়ের পদ্ধতি সাধারণত দু প্রকার।

(এক) আত-তাকবীরুল মুতলাক : অর্থাৎ যে তাকবীর সর্বদা পাঠ করা যেতে পারে। এ তাকবীর যিলহজ মাসের শুরু থেকে ১৩ ই যিলহজ পর্যন্ত দিন রাতের যে কোন সময় আদায় করা যেতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসবে।

(দুই) আত-তাকবীরুল মুকাইয়াদ : বা বিশেষ সময়ের তাকবীর। সেটা হল ঐ তাকবীর যা সালাতের পরে আদায় করা হয়ে থাকে। আর এ তাকবীরের বিষয়ে দুটি মাসআলা রয়েছে।

(ক) তাকবীর পাঠের শুরু ও শেষ সময় :

এ দ্বিতীয় প্রকার তাকবীর যা সালাতের পরে পাঠ করা হয়ে থাকে তা কোন্ তারিখ থেকে কোন্ তারিখ পর্যন্ত পাঠ করা হবে এ প্রশ্নে উলামাদের মাঝে একাধিক মত রয়েছে। হাফেজ ইবনে হাজার রহ. এ সকল মতভেদ উল্লেখ করার পর বলেন : ‘কোন্ তারিখ থেকে কোন্ তারিখ পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা হবে এ বিষয়ে রাসূলে কারীম স. থেকে স্পষ্ট কোন হাদিস নেই। [ফাতহুল বারী : ইবনে হাজার, ৩য় খন্ড পৃ- ৫৩৫]

এ বিষয়ে সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত হল যা সাহাবায়ে কেরাম বিশেষ করে আলী রা. ও ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত আছে। তাহল যিলহজ মাসের নবম তারিখ থেকে মিনার শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখ পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা। মুহাদ্দিস ইবনুল মুনজির সহ অনেকে এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। [ফাতহুল বারী : ইবনে হাজার, ৩য় খন্ড পৃ- ৫৩৫]

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেছেন : ‘তাকবীর পাঠের সময়সীমার ব্যাপারে এ মতটি হল সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত।’ [মজমু আল-ফাতাওয়া : ইমাম ইবনে তাইমিয়া। ২৪ তম খন্ড পৃ-২২০]

(খ) যে সকল সালাতের পর এ তাকবীর পাঠ করা হবে :

ইমাম বোখারি রহ. তার সহিহ আল-বোখারিতে এ বিষয়ে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন, তার নাম দিয়েছেন ‘মিনাতে অবস্থানের দিনগুলোতে তাকবীর ও যখন আরাফাতের দিকে রওয়ানা করা হয়।’ সে অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন : ‘উমর রা. মিনাতে সালাতের সময় তাকবীর পাঠ করতেন। মসজিদে অবস্থানকারীগণ তা শুনে তাকবীর পাঠ করতেন। এমনিভাবে যারা বাজারে থাকতেন তারাও তাকবীর পাঠ করতেন, ফলে মিনা উপত্যকা তাকবীর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যেত। আর ইবনে উমর রা. এ দিনগুলোতে তাকবীর পাঠ করতেন। তাকবীর পাঠ করতেন সালাতের পর, বিছানায় অবস্থানকালে, বাজারে, জনসমাবেশে, রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র।’ [বোখারি, কিতাবুল ঈদাইন]

মাইমুনাহ রা. কোরবানির দিন তাকবীর পাঠ করতেন। মহিলাগণও আবান ইবনে উসমান ও উমর বিন আব্দুল আজিজের পিছনে সালাত আদায় শেষে পুরুষদের সাথে আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোতে মসজিদে তাকবীর পাঠ করতেন।’

ইমাম বোখারির এ উদ্ধৃতির ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন : ‘সাহাবায়ে কেরামের এ সকল আমল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে কোরবানির পূর্ব ও পরবর্তী দিনগুলোতে সালাতের পর তাকবীর পাঠ করা হবে, তেমনি সালাত ব্যতীত অন্যান্য সময়ও তাকবীর আদায় করা হবে।’ [ফাতহুল বারী : ইবনে হাজার, ২য় খন্ড পৃ-২৩৬]

এ সকল বিষয় বিবেচনায় তাকবীর পাঠের সময় নিয়ে উলামাদের মাঝে কয়েকটি মত পরিলক্ষিত হয়। নীচে মতগুলো তুলে ধরা হল :—

(এক) তাকবীর পাঠ করা হবে সকল ধরনের সালাতের পর।

(দুই) তাকবীর পাঠ করা হবে শুধু ফরজ সালাতের পর। নফল সালাতের পর নয়।

(তিন) তাকবীর পাঠ করবে পুরুষগণ, মহিলাগণ পাঠ করবে না।

(চার) জামাতে সালাত শেষে তাকবীর পাঠ করা হবে। একা একা সালাত আদায় করলে তাকবীর পাঠ জরুরি নয়।

(পাঁচ) কাজা সালাতে তাকবীর পাঠ দরকার নেই।

(ছয়) মুকিম ব্যক্তি তাকবীর আদায় করবে, মুসাফির নয়।

(সাত) শহরের অধিবাসীরা তাকবীর পাঠ করবে, গ্রামের অধিবাসীরা নয়।

কিন্তু ইমাম বোখারির উদ্ধৃত আমল দ্বারা বুঝা যায় সর্বাবস্থায়, সকল ধরনের সালাত শেষে, সকলস্থানে, নারী-পুরুষ, মুকিম-মুসাফির. শহরবাসী-গ্রামবাসী নির্বিশেষে সকলে তাকবীর পাঠ করবে। [ফাতহুল বারী : ইবনে হাজার, ২য় খন্ড পৃ-২৩৭]

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.-এর মত হল সকল সালাতের শেষে তাকবীর পাঠ করবে। [মজমু আল-ফাতাওয়া : ইমাম ইবনে তাইমিয়া। ২৪ তম খন্ড পৃ-২২০]

ইমাম বোখারি ও হাফেজ ইবনে হাজার রহ.-এর ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝে আসে যে মীনার দিনগুলোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঈদের দিনসহ সর্বদা তাকবীর আদায় করা যেতে পারে ও সালাতের পরও তাকবীর আদায় করতে হবে। মিনার দিন বলতে যিলহজ মাসের আট তারিখের জোহর থেকে ১৩ই যিলহজের আসর পর্যন্ত সময়কে বুঝায়।

তাকবীর বিষয়ে উপরোক্ত আলোচনার সারকথা : তাকবীরের দিন হল যিলহজ মাসের নবম তারিখ থেকে তেরো তারিখ পর্যন্ত। এ সময়ে সর্বদা সর্বাবস্থায় তাকবীর পাঠ করা যেতে পারে। সর্বাবস্থার এ তাকবীরকে বলা হয় আত-তাকবীরুল মুতলাক বা সাধারণ তাকবীর। এটাও সুন্নত। আর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ দিনগুলোতে সালাতের পর আদায় করতে হবে। ফরজ সালাত শেষের এ তাকবীরকে বলা হয় আত-তাকবীরুল মুকাইয়াদ বা বিশেষ তাকবীর। আমরা দ্বিতীয়টির ব্যাপারে যত্নবান হলেও প্রথমটির ব্যাপারে অত্যন্ত উদাসীন। তাই প্রথমটি অর্থাৎ আত-তাকবীরুল মুতলাক প্রচলনের দিকে আমাদের নজর দেয়া দরকার।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন