hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

৩৪
ঈদের সালাত (১) ঈদের সালাতের হুকুম :
আল্লাহ রাববুল আলামিন বলেন

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ . ( الكوثر : 2)

‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও কোরবানি কর।’ [সূরা কাউসার :২]

অধিকাংশ মুফাসসিরে কেরামের মতে এ আয়াতে সালাত বলতে ঈদের সালাতকে বুঝানো হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ স. সর্বদা এ সালাত আদায় করেছেন। কোন ঈদে সালাত পরিত্যাগ করেননি। বরং একে গুরুতব দিয়ে তিনি মেয়েদেরকেও এ সালাতে অংশ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন হাদিসে এসেছে—

عن أم عطية رضى الله عنها قالت : أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن نخرج في الفطر والأضحى ، العواتق والحيض وذوات الخدر، فأما الحيض فيعتزلن الصلاة، ويشهد الخير، ودعوة المسلمين، قالت : يا رسول الله إحدانا لا يكون لها جلباب ؟ قال : لتلبسها أختها من جلبابها .) رواه مسلم ৮৯০(

‘উম্মে আতিয়াহ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ স. আদেশ করেছেন আমরা যেন মেয়েদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে সালাতের জন্য বের করে দেই ; পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনী সবাইকে। কিন্তু ঋতুবতী মেয়েরা সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে তবে কল্যাণ ও মুসলিমদের দোয়া প্রত্যক্ষ করতে অংশ নিবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন হে রাসূল ! আমাদের মাঝে কারো কারো ওড়না নেই। রাসূলুল্লাহ স. বললেন : সে তার অন্য বোন থেকে ওড়না নিয়ে পরিধান করবে।’ [মুসলিম- ৮৯০]

ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেছেন : ঈদের সালাত প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব। তবে ফরজ নয়। ইবনে তাইমিয়া রহ. এ মত পোষণ করেন। [আল-মুগনী : ইবনে কুদামা, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা-৩৬৭]

আর ঈদের সালাত যে ওয়াজিব এর আরেকটা প্রমাণ হল যদি কোন সময় জুমআর দিন ঈদ হয় তখন সে দিন যারা ঈদের সালাত আদায় করেছে তারা জুমআর সালাতের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করে।

তবে ইমামের কর্তব্য হল ঈদের দিনে শুক্রবার হলে জুমআর সালাতের ব্যবস্থা করবে যাদের আগ্রহ আছে তারা যাতে শরিক হতে পারে।

মনে রাখতে হবে ঈদের দিন জুমআর সালাত পরিত্যাগ করার অনুমতি আছে আর এ অনুমতির ভিত্তিতে কেউ জুমআর সালাত ত্যাগ করলে তার অবশ্যই জোহরের সালাত আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোত্তম আমল হবে জুমআর দিনে ঈদ হলে জুমআ ও ঈদের সালাত আদায় করা।

কোন অবস্থায় কেউ যেন ঈদের সালাত আদায়ে অলসতা না করে। শিশু-সন্তানদের ঈদের সালাতে নিয়ে যাবে ও ব্যবস্থা থাকলে মেয়েদের যেতে উৎসাহিত করবে। মনে রাখতে হবে ঈদের সালাত ইসলামের একটি শিয়ার তথা মহান নিদর্শন।

শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভী রহ. বলেছেন : ‘প্রত্যেক জাতির এমন কিছু উৎসব থাকে যাতে সকলে একত্র হয়ে নিজেদের শান-শওকত সংখ্যাধিক্য প্রদর্শন করে। ঈদ মুসলিম জাতির এমনি একটি উৎসব। এ কারণেই তো শিশু, মহিলা, এমনকি নারীগণ, যারা সাধারণত ঘরের বাইরে বের হয় না ও ঋতুবতী নারীরা, যাদের সালাত আদায় করতে হয় না—সকলেরই এ দিনে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মোস্তাহাব। [হুজ্জাতিল্লাহিল বালেগা, ২য় খন্ড, পৃ-২৩]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন