মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবদান
লেখকঃ ড. মোঃ আবদুল কাদের
৩
মানবাধিকার ধারণা এবং তার বিকাশ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/421/3
মানুষকে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি, ধন-সম্পদ, জেন্ডার নির্বিশেষে সমভাবে দেখে তার সহজাত ও স্রষ্টা প্রদত্ত মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করাই হচ্ছে 'মানব মর্যাদা'। মানুষের অস্তিত্ব ও স্বকীয়তা রক্ষা, সহজাত ক্ষমতা ও প্রতিভার সৃজনশীল বিকাশ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকারকে সমুন্নত রাখার জন্য একান্তভাবে প্রয়োজনীয় কতিপয় অধিকার স্বত্বই হচ্ছে 'মানব মর্যাদা'। মানুষের এই অধিকার তার জন্মগত এবং মানবিক মূল ও মর্যাদার সাথে সংশ্লিষ্ট। Encyclopaedia Britannica-তে মানবাধিকারকে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত মানুষের জন্মগত অধিকার হিসাবে দেখা হয়েছে। বলা হয়েছে, ''Rights thought to belong to the individual under natural law as a Consequence of his being human''। [.The New Encyclopaedia Britannica, Funded in 1768, 15th edition, printed in U.S.A., vol. 5, p. 200.]
মানবাধিকার কেবলমাত্র মানুষের মৌল-মানবিক চাহিদা (Basic human needs) এর পূরণই নয় বরং তা হচ্ছে মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন, প্রতিভার বিকাশ, চিন্তা (thoughts), বিশ্বাস (believe) ও সৃজনশীলতার লালন সমকালীন বিশ্বে মানবাধিকারের এই ধারণা বিকাশ লাভ করেছে প্রধানত পশ্চিমা বিশ্বের রাষ্ট্র ও সমাজনীতি এবং বিশেষত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিকবাদের আন্তরাষ্ট্রীয় পরিমন্ডলে জাতিসংঘের উদ্যোগে।
পশ্চিমা সভ্যতায় মানবাধিকারের প্রথম স্বীকৃত দলীল হচ্ছে 'ম্যাগনাকার্টা' (Magna Carta)। হস্তলিখিত ল্যাটিন ভাষার এই দলিলে ১২১৫ সালে ইংলান্ডের রাজা জন স্বাক্ষর দেন যাতে রাজার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল এবং সাধারণ পরিষদের অধিকার স্বীকৃত হয়েছিল। [.The World Book of Encyclopaedia, vol. 2, P. 4709.] ম্যাগনাকার্টা অবশ্য সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তার ফলেই বহু বছর পর ১৬৮২ খ্রিস্টাব্দে 'Petition of Rights' এর জন্ম হয়। রাজা প্রথম চার্লস অনিচ্ছা সত্ত্বেও পিটিশন অব রাইটস মেনে নেন তবে তা ম্যাগনাকার্টার বর্ণিত মানবাধিকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়। ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে Verginia-তে ''Bill of Rights'' গৃহীত হয়-যেখানে রাজার ক্ষমতা হ্রাস করে জনগণের প্রতিনিধিদের ক্ষমতা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। [.প্রাগুক্ত, vol. 13, পৃ. ৬২৪০।] কিন্তু এই বিল অব রাইটসও সকলের জন্য মৌল মানবাধিকারের দাবীর প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৭৬ সালে প্রথমবারের মত লিখিত দলিলে এ ধরনের মৌল-মানবিক অধিকার স্থান পায় মার্কিন জাতির জনক জর্জ ওয়াশিংটন ও তার সহকর্মীদের 'আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রে'।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এসব আন্তর্জাতিক দলিলের ও পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠাকালে ঘোষিত হলো যে, এ প্রতিষ্ঠানটি ''মৌল-মানবিক অধিকার, মানুষের মর্যাদা ও মূল্য এবং ছোট-বড় জাতি, ধর্ম-বর্ণ ও স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকারের প্রতি এই সংস্থা পুনরায় আস্থা রাখার অঙ্গীকার করেছে।'' [.উদ্ধৃত, আবু সাঈদ চৌধুরী, মানবাধিকার, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ভাষা-শহীদ গ্রন্থমালা, ২য় প্রকাশ, ডিসেম্বর ১৯৮৮, পৃ. ১২।]
১৯৪৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন গঠন করে এবং এই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধাণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণা গৃহীত হয়। এই সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা, যা ''সকল জাতির এবং মানুষের অর্জনের সাধারণ মানদণ্ড'' ইহসাবে গৃহীত হয় এই দর্শনের উপর ভিত্তি করে যে: ''সকল মানুষই বন্ধনহীন অবস্থায় এবং সম-মর্যাদা ও সমঅধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাদের বুদ্ধি ও বিবেক দেয়া হয়েছে এবং তাদের উচিত ভ্রাতৃসুলভ মনোভাব নিয়ে একে অন্যের প্রতি আচরণ করা।" [.এম. এরশাদুল বারী, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা, সংখ্যা ৪৩, জুন ১৯৯২, পৃ. ৩।] সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় মো ৩০টি ধারা আছে। এর মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে '' এমন একটি সমাজ ব্যবস্থার সৃষ্টি করা যাতে করে সকল মানুষ ও জাতি জীবন নির্বাহের একটি সর্বজনস্বীকৃত মাপকাঠি খুঁজে পায়। মানবাধিকার ঘোষণায় এর জন্য মূল জোর দেওয়া হয়েছে সাম্যের নীতির উপর।'' [.আবু সাঈদ চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ. ১৬।]
বিস্ময়করভাবে দেখা যায় মানবাধিকারের এই ঘোষণার প্রায় সাড়ে তেরশত বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল মদীনায়। সপ্তম শতাব্দীতে ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নেতৃত্বে এবং পরবর্তীতে খলিফাবৃন্দের শাসনামলে, আরবে মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকারের যে উন্নত কাঠামো সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, পর্যালোচনা ও তুলনামূলক বিশ্লেষণে নিঃসন্দেহে দেখা যাবে সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম এবং পূর্ণাঙ্গ পরিশীলিত মানবাধিকার ধারণা (concept of human rights) ও তার বাস্তবপ্রয়োগ (application)। বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা এবং তথ্যনির্ভর গবেষণার দাবী রাখে যা সময় সাপেক্ষ এবং বর্ধিত কলেবরের ব্যাপার। বর্তমান প্রবন্ধে আমরা কেবল এক্ষেত্রে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অবদান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনার অবতারণা করব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/421/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।