hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবদান

লেখকঃ ড. মোঃ আবদুল কাদের

মানুষের বেঁচে থাকার ও নিরাপত্তা লাভের অধিকার
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মানুষের জীবনে অধিকার ও জান-মালের নিরাপত্তা বিধানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছেন। নরহত্যা যেখানে নৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল সেখানে নরহত্যাকে জঘন্য অপরাধ হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেছেন ''সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার বানানো এবং মানুষকে হত্যা করা।'' [.আল্-হাদীস, উদ্ধৃত, M. Ershadul Bari, Human Rights in Islam with Special Reference to Women's Right, Internationa Human Rights in Islam-শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধ, ৫ অক্টোবর ১৯৯৪, সোনারগাঁ হোটেল, ঢাকা, পৃ. ১৮।] মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেন: "কোন মু‘আহীদকে (মুসলিম রাষ্ট্রে অবস্থানরত চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিককে) হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণ পর্যন্ত পাবে না। যদিও জান্নাতের সুঘ্রাণ ৪০ বছর দূরত্ব থেকে পাওয়া যায়।" [.আল্-হাদীস, বাংলায় বোখারী শরীফ হাদীসসমূহ, মোঃ আবদুল করিম খান সংকলিত, বাংলাদেশ লাইব্রেরী, ঢাকা, ৪র্থ সংস্করণ-১৯৯৬, পৃ. ৩৩০, হাদীস নং ১২৭৭।] বিদায় হজ্জের ঐতিহাসিক ভাষণে (যাকে মানবাধিকারের আদি সনদ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়) মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "হে মানবজাতি! নিশ্চয়ই তোমাদের জীবন, সম্পদ এবং সম্ভ্রম তোমাদের প্রভুর সম্মুখে উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত (অবৈধ হস্তক্ষেপ থেকে) পবিত্র।" [.উদ্ধৃত, মুহাম্মদ শফিক আহমদ ও মুহাঃ রুহুল আমীন, ইসলামে মানবাধিকার, নাগরিক ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা, যুক্তসংখ্যা ৪৭, ৪৮, অক্টোবর '৯৩-জুন '৯৪, পৃ. ১৫৮।] মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আত্মহত্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন এবং আত্মহত্যাকারী তার নিজের জীবন নিজেই শেষ করে দেয়ার শাস্তি হিসাবে আত্মহত্যার অনুরূপ পন্থায় দোযখে শাস্তিভোগ করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। [.দ্রষ্টব্য, বাংলায় বোখারী শরীফ, প্রাগুক্ত, হাদীস নং- ১২৫১-১২৫৩।]

বিদায় হজ্জের ভাষণে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন- "হে মুসলিমগণ! আমার পরে তোমরা কাফেরদের কার্যকলাপে লিপ্ত হইও না যে তোমরা একে অপরকে হত্যা করিতে আরম্ভ কর।" [.প্রাগুক্ত, হাদীস নং ১২৫৪।]

ইসলামের অভ্যুদয়ের বহু আগ থেকে বিশেষত আরবে নবজাতক বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের জন্মলাভের পরপরই দারিদ্রের ভয়ে হত্যা বা জীবন্ত প্রোথিত করার রেওয়াজ প্রচলিত ছিল। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ইসলামী সমাজে শিশু হত্যার এ জঘন্য প্রবণতাকে দণ্ডযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করে পবিত্র কুরআনের প্রত্যাদেশের মাধ্যমে [.কুরআনে বলা হয়েছে, "দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানকে হত্যা করো না, তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমি জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই তাদেরকে হত্যা করা এক জঘন্য অপরাধ"-সূরা বণী ইসরাইল : ৩১।] শিশুদের জীবনের অধিকার ও নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করা হয়। জীবনের অধিকারকে হরণ করা হয় বলে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গর্ভপাতকেও অনুমোদন দেননি; বরং একে ফৌজদারী আইনের আওতায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করেছেন। [.বিস্তারিত দেখুন: গাজী শামছুর রহমান, কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ফৌজদারী আইনের সংশোধন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা, জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৯২, ইফাবা, পৃ. ৩০৩-৩০৪।] এভাবে মানুষের জীবন রক্ষার অধিকারকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন