মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবদান
লেখকঃ ড. মোঃ আবদুল কাদের
৭
সম্পত্তির মালিকানার অধিকার
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/421/7
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রবর্তিত ইসলামী অর্থব্যবস্থা সমাজতন্ত্রবাদ বা পুঁজিবাদ কোনটিকেই পুরোপুরি সমর্থন করে না বরং তা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রীয় ধারণাকে সমর্থন করে। এখানে ব্যক্তির জন্য সম্পত্তির অপ্রকৃত মালিকানা স্বীকৃত। তবে তা এতটাই নিয়ন্ত্রিত যে, ব্যক্তি এখানে সম্পদ উপার্জনের লাগামহীন স্বাধীনতা লাভ করে না। ইসলামী সমাজে সকল সম্পদের প্রকৃত মালাকানা আল্লাহর। মানুষ দায়িত্বপ্রাপ্ত (trustee) হিসাবে এর অর্জন, ভোগ ও বণ্টনের অধিকার লাভ করে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, "তাদের সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।" [.আল-কুরআন, সূরা মা-আরিজ : ২৪-২৫।] দান, খয়রাত, সদকা, যাকাত, ফিতরা প্রভৃতির মাধ্যমে বর্ধিত সম্পদের বিলি-বণ্টন করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক অবস্থার কথা কেবল বলাই হয়নি, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর জীবনে কার্যকরভাবে তা প্রতিষ্ঠাও করেছেন। ইসলামী সমাজে পুঁজিপতি ও শ্রমিকের সম্পর্ক শোষণ বা সংঘর্ষ নির্ভর নয় বরং পারস্পরিক কল্যাণমূলক ও ভ্রাতৃত্বসুলভ। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "যে সত্তার হাতে আমার জিবন তার শপথ করে বলছি, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণমাত্রায় মু'মিন হতে পারে না, যে পর্যন্ত না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে তার অন্য ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করে।" [.আল্-হাদীস, উদ্ধৃতি : মুহাম্মদ শফিক আহমদ ও মুহাম্মদ রুহুল আমীন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭৫।] তিনি আরো বলেছেন, "শ্রমিককে তার শ্রমোৎপন্ন লভ্যাংশ দান কর। কারণ আল্লাহর শ্রমিককে কিছুতেই বঞ্চিত করা যায় না।" [.আল্-হাদীস, উদ্ধৃতি : প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭৫।] তিনি প্রতারণা, চৌর্যবৃত্তি, ডাকাতি ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পদ হস্তগতকরণ, বাজারে একচেটিয়া অধিকার লাভ, কালোবাজারী, সংকট সৃষ্টি কিংবা কৃত্রিমভাবে মূল্যবৃদ্ধির জন্য পণ্যদ্রব্য মজুতকরণ, সুদের ভিত্তিতে ঋণদান বা লোকসানের চুক্তি ব্যতীত লভ্যাংশ গ্রহণকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছেন। অন্যদিকে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিককে উত্তরাধিকার আইনের মাধ্যমে সম্পদ কিংবা স্থানান্তরিত করার অধিকার প্রদান করেছেন। [.আল-হাদীস, উদ্ধৃতি : প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭৫।]
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ইসলামী রাষ্ট্রের আয়ের উৎস ছিল পাঁচটি এবং সেই আয়ে সকল নাগরিকের অধিকার স্বীকৃত ছিল। এ উৎসগুলো হচ্ছে: ১. দান, ২. মালে গণিমত : নগদ অর্থ বা দ্রব্য সামগ্রী (যা যুদ্ধ জয়ের ফলে পাওয়া যেত), ৩. যুদ্ধ জয়ের মালামাল : ভূ-সম্পত্তি, ৪. জিজিয়া কর ও ৫. সাদাকাহ। এসব উৎস থেকে সম্পদ আহরণের ব্যাপারে যেমন কঠোরতা ও ন্যায়নীতির আশ্রয় নেয়া হতো তেমনি এসব সম্পদ বিতরণের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সতর্কতা ও নাগরিক অধিকারের প্রতি সুবিচার অবলম্বন করা হতো। গণিমতের মাল বিতরণের সময় নিজের প্রাণপ্রিয় কণ্যার সামান্য অনুরোধ বা আবদার রক্ষা করাকেও তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের কারণে উপেক্ষা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/421/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।