hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর পথে দাওয়াত

লেখকঃ ড. আ.ন.ম. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

২৫
সুন্দর ব্যবহার ও আচরণ
দা‘ঈ বা সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধকারীকে অবশ্যই তাঁর নেতা রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মত মহোত্তম আচরণের অধিকারী হতে হবে। আরবিতে একে ( خلق ) বা আখলাক বলা হয়। বাংলায় সাধারণত একে চরিত্র বলা হয়। আর আরবিতে আখলাক শব্দ আরো প্রশস্ত। মানুষের সাথে মানুষের আচরণ ও ব্যবহারের সামগ্রিক অবস্থাকেই আরবিতে খুলুক বলা হয়। এজন্য খুলুক বা আখলাককে বাংলায় আচরণ বা ব্যবহার বলাই উত্তম।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٖ ٤﴾ [ القلم : ٤ ]

“আর নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্র ও ব্যবহারের ওপর অধিষ্ঠিত।” [সূরা আল-কলম, আয়াত: ৪]

এ মহান আচরণের বিভিন্ন দিক রয়েছে। উল্লিখিত বিনম্রতা, বন্ধুভাবাপন্নতা, উৎকৃষ্ট চরিত্র দিয়ে মন্দ প্রতিহত করা ইত্যাদিও এই খুলুকে আযীম বা মহান আচরণের অংশ। তবে এর আরো বিভিন্ন দিক রয়েছে যা দা‘ঈ ইলাল্লাহকে অর্জন করতে হবে। শুধু দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এ ব্যবহার বা আচরণ আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর জীবনকে আলোকিত করবে এবং তার চারিধারে ফুলের সৌরভ ছড়াবে।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহান আচরণের বিভিন্ন দিক বিস্তারিত আলোচনা করতে পৃথক গ্রন্থ প্রয়োজন। এখানে কয়েকটি দিক উল্লেখ করা যায়:

১. সর্বাবস্থায় অশ্লীল কথা, অশালীন কথা, গালিগালাজ ও কটুক্তি বর্জন করা। বিভিন্ন হাদীসে বারংবার বলা হয়েছে,

«لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صلي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحِشًا ولا مُتَفَحِّشًا ولا لَعَّانًا ولا سَبَّابًا»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশালীন, অশ্লীল, অশোভনীয় কথা বলতেন না, গালি দিতেন না, কটুক্তি করতেন না।” [সহীহ বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।]

২. বেশি কথা বলা, দম্ভভরে বা চিবিয়ে কথা বলা, অহঙ্কার করা, বিতর্ক করা, মিথ্যা কথা বলা ইত্যাদি পরিহার করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إنَّ مِنْ أحَبَّكُمْ إليَّ وَأقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَومَ الْقِيَامَةِ أحْسَنُكُمْ أَخْلاقًا وإنَّ أبْغَضَكُمْ إليَّ وأبْعَدَكُمْ مِنَي مَجْلِسًا يَومَ الْقِيَامَةِ الثَّرْثَارُونَ والْمُتَشَدَّقُونَ والْمُتَفَيْهِقُونَ»

“তোমাদের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী অবস্থানের অধিকারী হবে তারা যারা তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম আচরণের অধিকারী। আর তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত এবং কিয়ামতের দিন আমার থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করবে তারা যারা বেশি কথা বলে, যারা কথা বলে জিতে যেতে চায়, বাজে কথা বলে এবং যারা অহঙ্কার করে।” [তিরমিযী, হাদীসটি হাসান।]

অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«أنَا زَعِيْمٌ بِبَيْتٍ في رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمَراءَ وإنْ كَانَ مُحِقًا وَببَيْتٍ في وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكِذْبَ وإنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ في أعْلي الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقُهُ» .

“নিজের মতটি হক হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি বিতর্ক পরিত্যাগ করল আমি তার জন্য জান্নাতের পাদদেশে একটি বাড়ির জিম্মাদারী গ্রহণ করলাম। আর যে ব্যক্তি হাসি-মশকারার জন্যও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মধ্যবর্তী স্থানে একটি বাড়ির জিম্মাদারী গ্রহণ করলাম। আর যার আচরণ-ব্যবহার সুন্দর আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে একটি বাড়ির জিম্মাদারী গ্রহণ করলাম।” [আবু দাউদ, হাসান, সহীহুল জামে।]

৩. সকলের সাথে আনন্দিত চিত্তে, হাসিমুখে কথা বলা এবং কথার সময় পরিপূর্ণ মনোযোগ ও আগ্রহ সহকারে তার কথা শোনা। যেন তার প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা পূর্ণভাবে ফুটে উঠে। ‘আমর ইবনল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

«كَانَ رَسُولُ اللهِ صلي الله عليه وسلم يُقْبِلُ بِوَجْهِهِ وَحَدِيْثِهِ عَلي شَرِّ الْقَوْمِ يَتَأَلَّفُهُ بِذلِكَ وَكَانَ يُقْبِلُ بِوَجْهِهِ وَحَدِيْثِهِ عَلَيَّ حتَّي ظَنَنتُ أنِّي خَيْرُ الْقَوْمِ»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমাজের নিকৃষ্টতম ব্যক্তির সাথেও পরিপূর্ণ মনোযোগ দিয়ে তার দিকে পূর্ণ মুখ ফিরিয়ে কথা বলতেন। এভাবে তিনি তার হৃদয় জয় করে নিতেন। তিনি আমার সাথেও কথা বলতেন পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে এবং আমার দিকে পূর্ণরূপে মুখ ফিরিয়ে। এমনকি আমার মনে হতো যেন আমিই সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ।” [তাবরানি, হাসান।]

এখানে উল্লেখ্য যে, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ এবং অহংকারহীন হৃদয় না হলে এগুণ পুরোপুরি অর্জন করা যায় না।

উত্তম আচরণ শুধু দা‘ওয়াতের সফলতার চাবিকাঠিই নয়, উপরন্তু আখেরাতের সফলতার সর্বোত্তম উপায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«مَا مِنْ شَيءٍ يُوضَعُ في الْمِيْزانِ أثْقَلُ مِنْ حُسْنِ الْخُلُقِ وَإنَّ صَاحِبَ حُسْنِ الْخُلُقِ لِيَبْلُغَ بِهِ دَرَجَةَ صَاحِبِ الصَّومِ والصَّلاةِ» .

“কিয়ামতের দাড়িপাল্লায় উত্তম আচরণের চেয়ে বেশি ভারি কোনো আমল আর রাখা হবে না। আর উত্তম আচরণের অধিকারী ব্যক্তি এ আচরণের দ্বারাই তাহাজ্জুদ ও নফল রোযা পালনকারীর মর্যাদা অর্জন করবে।” [তিরমিযী, আহমদ, আবু দাউদ, হাদীসের সূত্র সহীহ, সহীহুল জামে।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন