মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমরা অনেক নামধারী আলিমের কথা শুনতে পাই যাদের কেউ কেউ প্রকৃত ওলামা ও আল্লাহর পথে আহ্বানকারীদের প্রকাশ্য নিন্দা ও সমালোচনা করে, ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ও ধর্মদ্রোহী ব্যক্তি সবাই তার কথা শুনতে পায়। আর এসব নিন্দা ও সমালোচনা সম্পাদিত হয়েছে অডিও-ভিডিও ও প্রকাশিত বই-পত্রে, মনে হয় যেন নসীহত করার উপায়-উপকরণের বড় অভাব। এটাই কি তাদের গোপন নসীহত?!
তারা কি উপদিষ্ট ব্যক্তির নিকট কিছু লিখেছে? তারা কি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে? তাদের কি এমন কোনো উপায় জানা আছে যা তাকে এই মত ও পথের দিকে আকৃষ্ট করবে? কি.. কি..? সম্ভবত তারা ‘সমালোচক’ যখন তারা তাদের ধারণা অনুযায়ী সুন্নাহ বিরোধী (প্রকৃতপক্ষে সুন্নাহ বিরোধী নয়) কোনো ব্যক্তির সাথে বসে এবং মনোযোগ সহকারে তার যুক্তি-তর্ক শ্রবণ করে, তখন তারা তার কাছে ক্ষমা চায় ও নিজেদের অক্ষমতা প্রকাশ করে অথবা তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল কষ্ট দেওয়া ও মান-সম্মান নষ্ট করা।
হাফেয ইবন রজব ‘আল-ফারকু বাইনান নসীহাতে ওয়াত তা‘য়ীর’ নামক গ্রন্থের ৩৪ পৃষ্ঠায় বলেন, এ অধ্যায়ের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কোনো ব্যক্তিকে তার সামনাসামনি এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে। সুতরাং তা যদি তার কল্যাণ কামনায় হয়ে থাকে, তবে তা উত্তম কাজ। সালফে সালেহীনদের কেউ কেউ তার কোনো কোনো ভাইকে বলতেন: “ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার কল্যাণকামী হতে পারবে না, যতক্ষণ না তুমি আমার উপস্থিতিতে আমার মন্দ দিকগুলো তুলে ধরবে।” সুতরাং যখন কোনো ব্যক্তি সংশোধনের উদ্দেশ্যে তার ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি বলে দেয়, তখন তা উত্তম কাজ বলে বিবেচিত হবে। যার দোষ-ত্রুটি বলে দেওয়া হবে, তার কোনো ওজর থাকলে সে তা পেশ করবে। আর যদি সমালোচনার উদ্দেশ্য হয় অপরাধের জন্য তিরস্কার করা, তবে তা হবে খুবই নিন্দনীয় কাজ।
সালফে সালেহীনদের কাউকে এই বলে জিজ্ঞাসা করা হত: “কেউ তোমার দোষ-ত্রুটিগুলো বলে দিক তুমি কি তা পছন্দ করবে, তখন সে বলত: তার বলার উদ্দেশ্য যদি হয় আমাকে তিরস্কার করা, তবে সে বলবে না।” সুতারাং অপরাধের জন্য তিরস্কার করা নিন্দনীয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যভিচারিণী দাসীকে চাবুক মারার পাশাপাশি তিরস্কার করতে নিষেধ করেছেন, তিনি হদের (শাস্তির) চাবুক মারতেন, কিন্তু অপরাধের তিরস্কার করতেন না।
তিরমিযী ও অন্যান্য গ্রন্থে মারফু‘ সনদে বর্ণিত আছে: “যে ব্যক্তি তার ভাইকে অপরাধের জন্য তিরস্কার করে, সে একই অপরাধ না করা পর্যন্ত ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হবে না।” [হাদীসটি বানোয়াট। দ্র. দ‘ঈফুল জামে, হাদীস নং ৫৭২২।]
ফুদাঈল ইবন ‘আইয়ায বলেন, “মুমিন দোষ-ত্রুটি গোপন করে এবং কল্যাণ কামনা করে উপদেশ দেয়, আর ফাসিক সম্মান নষ্ট করে এবং তিরস্কার করে।”
এ বিষয়টি ফুদাঈল ‘নসীহত ও তিরস্কারের আলামত’ বিষয়ক পরিচ্ছেদে আলোচনা করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কল্যাণ কামনা তথা নসীহতের সাথে দোষ-ত্রুটি গোপন রাখার বিষয় সম্পৃক্ত, আর তিরস্কারের সাথে দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করার বিষয় সম্পৃক্ত। আর তাকে বলা হত: “যে ব্যক্তি তার ভাইকে জনসমক্ষে কোনো বিষয়ে আদেশ করল, সে যেন তার ভাইকে তিরস্কার করল।”
সালফে সালেহীনগণ সামনাসামনি সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করাকে অপছন্দ করতেন এবং তারা এ কাজটি গোপনীয়ভাবে আদেশদাতা ও আদিষ্ট ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ রেখে করাটাকে পছন্দ করতেন। আর এটাই হচ্ছে পরস্পর কল্যাণ কামনার লক্ষণ। কারণ, উপদিষ্ট ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি প্রচার করা উপদেশদাতার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নয়। তার একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে উপদিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে বিদ্যমান দোষ-ত্রুটি দূর করা।
দোষ-ত্রুটি প্রকাশ ও প্রচার করাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হারাম করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতে মর্মন্তুদ শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ১৯]
দোষ-ত্রুটি গোপন করার ফযীলত প্রসঙ্গে বহু হাদীস রয়েছে। ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাদের সহীহ গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«المسلم أخو المسلم لا يظلمه ولا يسلمه ... ومن ستر مسلما ستره الله يوم القيامة» .
“এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে না তার ওপর যুলুম করতে পারে, আর না তাকে শত্রুর হাতে সোপর্দ করতে পারে।... যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।”
ইমাম মুসলিম আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি পার্থিব জীবনে গোপন রাখবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।”
আলিমদের কেউ কেউ সৎ কাজের আদেশদাতার উদ্দেশ্যে বলেন, “অপরাধীদের দোষ-ত্রুটি যথাসম্ভব গোপন রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ, তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় প্রকাশ করা এক ধরণের দুর্বলতা। ইসলামের মধ্যে গোপনীয়তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অভ্যন্তরীণ বিষয় গোপন রাখা।”
মুসান্নাফে আবদুর রায্যাকে বর্ণিত আছে যে, আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু নেশা গ্রহণ করেছেন, অতঃপর তা পরিত্যাগ করেন এবং বলেন, “আমি তা গোপন রাখছি, আশা করি আল্লাহও আমার বিষয়টি গোপন রাখবেন।” [দ্র. আল-মুসান্নাফ, ১০/২২৬।]
সুতরাং মুসলিম সম্প্রদায়ের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখতে পারা একটি মহৎ গুণ। তবে এ ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিত্বের সংখ্যা খুবই কম। কারণ, আমরা দেখতে পাই অধিকাংশ মুখপাত্র এমন সব কথা বলে, যার দ্বারা তাদের ভাইদের সম্মান নষ্ট হয় এবং তা হারাম বলে পরিগণিত হয়। আর এ ক্ষেত্রে যিনি এ ধরণের কথা-বার্তা শুনেন, আনন্দ লাভ করেন, এ ধরণের আলোচনা অংশগ্রহণ করেন বা একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং ধারণা করেন যে, কোনো কথা না বলে বিরামহীনভাবে শুনতে থাকলে তার জন্য তা বৈধ হয়ে যাবে। আর এ ধরণের চিন্তাধারা নিরেট শয়তানী চিন্তা ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, এ ধরণের বক্তা এবং শ্রোতা উভয়ই অপরাধী। আর এ ধরণের সকল কর্ম-কাণ্ড নিষিদ্ধ গিবতের অন্তর্ভুক্ত। তবে এ ধরণের কথা-বার্তার শ্রোতার উচিৎ বক্তাকে নসীহত করা এবং তার আরও কর্তব্য হলো, তার মুসলিম ভাইয়ের মান-সম্মান রক্ষা করা। কারণ, এর দ্বারা সে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَن ذَبَّ عن عِرْضِ أخيه المسلم باعد اللهَ وجهه عن النار»
“যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের মান-সম্মান রক্ষা করল, আল্লাহ তার চেহারকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে রাখবেন।”
সুতরাং শ্রোতার নসীহতের পরও সমালোচনা বন্ধ না করলে শ্রোতার কর্তব্য হলো ঐ মজলিস ত্যাগ করা।
বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«كل أمتي معافى إلا المجاهرين وإن من المجاهرة أن يعمل الرجل بالليل عملا ثم يصبح وقد ستره الله فيقول يا فلان عملت البارحة كذا وكذا وقد بات يستره ربه ويصبح يكشف ستر الله عنه» .
“দোষ-ত্রুটি প্রকাশকারীরা ব্যতীত আমার সকল উম্মতই ক্ষমারযোগ্য। দোষ-ত্রুটি প্রকাশকারীদের মধ্যে এমন ব্যক্তি রয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি রাতের বেলায় কোনো (দোষের) কাজ করল, আর তাকে গোপন করলেন। অতঃপর ঐ ব্যক্তি (দোষ-ত্রুটি প্রকাশকারী) সকাল বেলায় উঠে বলতে লাগল: হে অমুক! তুমি না গত রাত্রে এই এই কাজ করেছ, অথচ রাতের বেলায় তার রব তাকে গোপন রাখল, আর সকাল বেলায় উঠেই সে আল্লাহর গোপন করা দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করতে লাগল।”
বুখারী ও মুসলিমে আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরও বর্ণিত আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«يدنو أحدكم من ربه حتى يضع كنفه عليه فيقول عملت كذا وكذا ؟ فيقول نعم ويقول عملت كذا وكذا ؟ فيقول نعم فيقرره ثم يقول إني سترت عليك في الدنيا فأنا أغفرها لك اليوم» .
“তোমাদের কেউ তার রবের এত নিকটতম হবে যে তিনি তার ডানা তার উপর রাখবেন, অতঃপর বলবেন: তুমি কি এই এই কাজ করেছ? জওয়াবে সে বলবে: হ্যাঁ, তিনি আবার বলবেন: তুমি কি এই এই কাজ করেছ? জওয়াবে সে বলবে: হ্যাঁ। এভাবে তিনি তার স্বীকৃতি আদায় করবেন, অতঃপর বলবেন: আমি দুনিয়ায় তোমার দোষ-ত্রুটি গোপন করেছি। আর আজ তোমাকে তা ক্ষমা করে দেব।”
সুতরাং মুসলিম দোষ-ত্রুটি গোপন করে এবং কল্যাণ কামনা করে উপদেশ দেয়, আর ফাসিক সম্মান নষ্ট করে এবং তিরস্কার করে। আর একমাত্র আল্লাহই সাহায্যস্থল।
হাফেয ইবন রজব বলেন, এজন্যই অশ্লীলতার প্রসার নিন্দা ও তিরস্কারের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। আর উভয়টি ফাসিকদের বৈশিষ্ট্য। কারণ, বিশৃঙ্খলা দূর করা ও মুমিনদেরকে দোষ-ত্রুটি থেকে দূরে রাখা ফাসিক বা দুষ্কৃতকারীর উদ্দেশ্য নয়। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে মুমিন ভাইয়ের মধ্যে দোষ-ত্রুটি প্রচার ও প্রসার করা এবং তার মান-সম্মান নষ্ট করা।
আর এর দ্বারা উপদেশদাতা তথা হিতাকাঙ্খীর উদ্দেশ্য হলো, তার মুমিন ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি দূর করা ও তার থেকে দূরে রাখা। আর এ গুণেই আল্লাহ তা‘আলা তার রাসূলকে গুণান্বিত করেছেন। তিনি বলেন,
“অবশ্যই তোমাদের মধ্যেই তোমাদের নিকট এক রাসূল এসেছে। তেমাদেরকে যা বিপন্ন করে তা তার জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি সে দয়াদ্র ও পরম দয়ালু।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১২৮]
তিনি (ইবন রজব) বলেন: উভয়ের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য সূচিত হলো যে, কার উদ্দেশ্য নসীহত তথা কল্যাণ কামনা করা। সুস্থ বুদ্ধির কোনো লোক এদের একজনকে অপর জনের সাথে মিশাবে না।
ইমাম ইবন হাযম রহ. ‘মুদাওয়াতুন্ নুফুস’ নামক গ্রন্থের ৫৫ পৃষ্ঠায় বলেন, যে ব্যক্তি আনন্দের সাথে মুচকি হাসি ও বিনয়ের সাথে নরম ভাষায় উপদেশ দেয়, মনে হয় যেন সে মতামত প্রদানকারী উপদেষ্টা ও উপদিষ্টের মন্দ দিকের সংবাদদাতা, এটাই ওয়ায-নসীহতের সর্বোত্তম পন্থা। এর পরও সে সঠিক পথে ফিরে না আসলে উপদেষ্টা যেন তাকে নিরিবিলি জায়গায় ডেকে এনে লজ্জা দিয়ে উপদেশ দেয়, এতেও যদি সে উপদেশ গ্রহণ না করে, তবে তাকে এমন ব্যক্তির সামনে উপদেশ দিতে হবে, যাকে দেখে সে লজ্জিত হবে। আর আল্লাহও নরম ভাষায় তার বিধান পালন করার কথা বলেন।
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও উপদেশ নিয়ে কারো সামনাসামনি ও মুখোমুখি হতেন না, বরং তিনি বলতেন: “গোত্রসমূহের কী হলো যে, তারা এমন এমন কাজ করছে।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নসীহতের ব্যাপারে কোমলতার প্রশংসা করেন, সহজকরণের আদেশ দেন এবং তাড়িয়ে দিতে নিষেধ করেন। তিনি উপদিষ্ট ব্যক্তির বিরক্তির আশঙ্কায় উপদেশ প্রদানের জন্য নিরিবিলি জায়গা নির্বাচন করতেন। তাকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“যদি তুমি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ হতে সরে পড়ত।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
ইবন হিব্বান রহ. বলেন, নসীহত সকল মানুষের ওপর ওয়াজিব যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি। কিন্তু শুরুতে একান্ত ব্যক্তিগতভাবে অসিয়ত করা আবশ্যক। কারণ, যে ব্যক্তি তার ভাইকে জনসমক্ষে উপদেশ দিল, সে তার অসম্মান করল, আর যে ব্যক্তি অন্তরালে উপদেশ দিল, সে তার তার সাথে সুন্দর ব্যবহার করল। সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের সাথে অসম্মানজনক আচরণের চিন্তা বাদ দিয়ে তার সাথে সুন্দর ব্যবহারের যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করা উচিত।
সুফিয়ান রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুস‘আরকে বললাম: “কোনো ব্যক্তি তোমাকে তোমার দোষ-ত্রুটিসমূহ জানিয়ে দিক, তুমি কি তা পছন্দ কর? তখন সে বলল: কোনো সাধারণ মানুষ উপদেশের নামে আমাকে তিরস্কার করলে তার উপদেশ পছন্দ করব না, আর কোনো হিতাকাঙ্খী উপদেশ নিয়ে আসলে, তা বিবেচনা করব।”
ইবনুল মুবারক রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “যখন কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের মধ্যে অপছন্দনীয় কোনো কিছু দেখত, তখন তাকে তা গোপন করতে আদেশ করতেন এবং তাকে গোপনে এ কাজ থেকে নিষেধ করতেন। আর আজ-কালকার দিনে কেউ তার ভাইয়ের মধ্যে অপছন্দনীয় কোনো কিছু দেখলে সে তার ওপর রাগ করে এবং তার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়।”
সুফিয়ান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল জাব্বার ইবন ওয়াইলের নিকট তালহা এসে উপস্থিত হলো, তার নিকট আরও একদল লোক উপস্থিত ছিল। অতঃপর সে চুপে চুপে কিছু একটা বলে চলে গেল। অতঃপর সে বলল: “তোমরা কি জান সে আমাকে কী বলে গেল? সে বলল: আমি তোমাকে গত কালকে নামাজরত অবস্থায় এদিক সেদিক তাকাতে দেখিছি।”
ইবন হিব্বান রহ. বলেন, “নসীহত যখন আমাদের বর্ণনাকৃত গুণাবলীর ওপর হবে, তখন তা পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করবে এবং ভ্রাতৃত্ববোধের হক আদায় করবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/462/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।