মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইবন হিব্বান রহ. “রওদাতুল ‘উকালা” গ্রন্থের ১৯৪ পৃষ্ঠায় বলেন, সমগ্র মুসলিম জাতির কল্যাণ কামনা করা এবং আন্তরিকতায়, কথায় ও কাজে তাদের খেয়ানত করার চিন্তা পরিহার করা প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব। কারণ, মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের মধ্যে যিনি তাঁর নিকট বায়‘আত গ্রহণ করতেন, তার জন্য তিনি সালাত কায়েম ও যাকাত প্রদানের পাশাপাশি ‘প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামনা করার’ শর্ত করতেন।
আবুল বারাকাত আল-গাযী ‘আদাবুল ‘ইশরত’ গ্রন্থের ১৯ পৃষ্ঠায় বলেন, “শিষ্টাচারের অন্যতম দিক হচ্ছে, তার ভাইদের সহবতে থেকে তাদের খেয়াল-খুশির পরিবর্তে তাদের সততার হিফাযত করা এবং তারা যা পছন্দ করে, তার পরিবর্তে তাদেরকে সঠিক পথের দিক নির্দেশনা দেওয়া।”
আবু সালেহ আল-মারী বলেন, “মুমিন সেই, যে তোমার সাথে ভালো আচরণ করে এবং তোমাকে তোমার দীন ও দুনিয়ার সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করে। আর সেই মুনাফিক, যে তোমার সাথে চাটুকারিতা ও মিথ্যার অভিনয় করে এবং তোমাকে তার খেয়াল-খুশি অনুযায়ী পরিচালিত করে। আর সেই নিষ্পাপ, যে এ উভয় অবস্থার মধ্যে তমিজ করতে পারে।”
আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা প্রতারণামূলক কাজ করো না। কারণ, এটা অভদ্রদের আচরণ। তোমার ভাইকে ভালো-মন্দের ব্যাপারে নির্ভেজাল উপদেশ দাও। আর সে মিশে থাকতে চাইলে তার সাথে মিশে থাক।”
আল-কুরাইযী আমাকে আবৃত্তির সুরে বলেন,
উপদেশদাতাকে বল, যে তার উপদেশ হাদিয়া দেয় আমাদেরকে গোপনে,
আর যে উপদেশ (নসীহত) তাকে বাধ্য করল কষ্টকর দায়িত্ব পালনে।
নসীহতের কোনো নির্দিষ্ট পরিচয় নেই যে তুমি তাকে পরিচিত করবে, নসীহত হলো নির্দিষ্ট পরিচয়ের চেয়েও সুপরিচিত ও পছন্দনীয়।
এমনকি যখন আমাদের কাছে তার ফলাফল পরিষ্কার হয়ে গেল, তখন তা হয়ে যায় আমাদের কাছে বড় উপদেশ।
নসীহতের জন্য যদি এমন সংজ্ঞা থাকত, যা দ্বারা বিষয়টি হত সুস্পষ্ট, তাহলে আমাদের নাগাল পেত না কোনো আফসোস, আর দুঃখ-কষ্ট। কিন্তু তার রয়েছে বহু শাখা-প্রশাখা যা বিরোধপূর্ণ, একে অপরের সাথে, কিছু অপরিচিত, আরও কিছু পরিচিত।
মানুষের মধ্যে কিছু পথভ্রষ্ট, কিছু হেদায়াত প্রাপ্ত, আরও কিছু মিশ্রিত, আর নসীহতও কিছু চলমান, কিছু বাতিল, আরও আছে কিছু স্থগিত।
আবু হাতেম ইবন হিব্বান রহ. বলেন, ভাইদের মধ্যে সেই সকলের চেয়ে উত্তম, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কল্যাণকামী, যেমনিভাবে সর্বোত্তম হলো ঐ আমল, যে আমলের ফলাফল বা পরিণাম সবচেয়ে প্রশংসনীয় এবং একনিষ্ঠতায় সবচেয়ে সুন্দর। আর হিতাকাঙ্ক্ষীর আঘাত হিংসুকের অভিনন্দনের চেয়ে অনেক উত্তম। প্রত্যেক বিবেকবানের জন্য সাধ্যানুসারে সর্বসাধারণের কল্যাণ কামনা করা ওয়াজিব। আর উপদিষ্টের চেয়ে উপদেষ্টা নসীহতের বেশি উপযুক্ত নয়।
হাসান বসরী রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “মুমিন মুমিনের অংশ। সে তার ভাইয়ের জন্য আয়না স্বরূপ, সে তার ভাইয়ের মধ্যে অপছন্দনীয় কিছু দেখলে তাকে সংশোধন ও ঠিক-ঠাক করে দিবে এবং গোপনে ও প্রকাশ্যে তার কল্যাণ কামনা করবে।”
ইবন হিব্বান রহ. বলেন, আমাকে আলী ইবন মুহাম্মদ আল-বাস্সামী আবৃত্তি করে বলেন, “আমি এমন লোককে গোপনীয় বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করি, যে দৃঢ়সংকল্প নয়, কিন্তু সে কল্যাণ কামনায় সন্দেহপ্রবণ নয়।
অতঃপর সে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল মনে হয় যেনসে উঁচু চূড়ার আগুন, যা ছিদ্র বা গর্তসমূহকে প্রজ্বলিত করে।
সুতরাং সব জ্ঞানীই তোমাকে তার উপদেশ প্রদানকারী নয়,আর সব উপদেশ প্রদানকারীও জ্ঞানী নয়। কিন্তু যখন কোনো ব্যক্তির মধ্যে উভয় গুণের সমাবেশ ঘটবে, তখন আনুগত্য লাভের অধিকার তারই জন্য নির্দিষ্ট হবে।
আবুল বারাকাত আল-গাযী ‘আদাবুল ‘ইশরত’ গ্রন্থের ১৮ পৃষ্ঠায় বলেন, “শিষ্টাচারের আরও একটি অন্যতম দিক হচ্ছে, তার অন্তরকে ভাইদের জন্য বিশুদ্ধ রাখা, তাদের কল্যান কামনা করা এবং তাদের উপদেশ গ্রহণ করা। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“সেদিন উপকৃত হবে কেবল সে, যে আল্লাহর নিকট আসবে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে।” [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ৮৯]
আল-সাকতী রহ. বলেন, “সৎ ব্যক্তিদের চরিত্রের কারণেই ভাইদের জন্য তাদের অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে এবং তাদের কল্যাণ কামনা করে।”
কোনো কোনো দার্শনিক বলেন, “দুই ব্যক্তি জালিম: এক ব্যক্তি হচ্ছে, তাকে উপদেশ দেওয়া হয়, অথচ সে ঐ উপদেশকে অপরাধ বলে বিবেচনা করে। আর অপর ব্যক্তি হচ্ছে, তাকে সংকীর্ণ জায়গায় স্থান করে দেওয়া হলো, অথচ সে আসন পেতে বসল।”
আবু হাতেম ইবন হিব্বান রহ. “রওদাতুল ‘উকালা” গ্রন্থের ১৯৬ পৃষ্ঠায় বলেন, “নসীহত নিয়ামতের বেষ্টনীতে আবদ্ধ। নসীহত শুধু তার জন্যই, যে তা গ্রহণ করে। যেমনিভাবে দুনিয়া শুধু তার জন্য, যে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে, আখেরাত শুধু তার জন্যই, যে তাকে তলব করে এবং নসীহতকারী তথা কল্যাণকামীর দায়িত্ব হলো শুধু চেষ্টা-সাধনা করা। তার নসীহত কেউ গ্রহণ না করলে, তাতে তার কিছুই যায় আসে না। উপদেশদাতার উপদেশ প্রত্যাখ্যানকারীর সাথে পরামর্শ করার চেয়ে বধিরের সাথে পরামর্শ করা অধিক প্রশংসনীয়। আবরাশ আমার নিকট কবিতা আবৃত্তি করেন: “যখন তুমি কোনো অহঙ্কারীকে সঠিক পথের করবে নসীহত, তখন সে তোমার অনুসরণ না করলে দিবে না তাকে কখনও নসীহত। কারণ, অহঙ্কারী তোমায় দিবে না তার আনুগত্য কখনও সত্যের দিকে আহ্বান করলে দিবে না সে সাড়া কখনও। তোমার কিছুই হবে না পথভ্রষ্ট যদি গোমরাহীতে থাকে যুগ যুগ, যদি না সে হয় তোমার আত্মীয় বা সন্তানদের কেউ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/462/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।