hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামি অর্থনীতি শান্তি ও সমৃদ্ধির অব্যর্থ ব্যবস্থা

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব

১৮
উত্তরাধিকার লাভের অধিকার:
ইসলামি শরিয়ত নির্ধারিত সম্পদ লাভের অন্যতম উৎস উত্তরাধিকারের হক। মানুষ যখন মরে যায়। রেখে যায় কিছু সম্পদ তখন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তার উত্তরাধিকারী হয় তার নিকটাত্মীয়রা। মিরাছের সব শর্ত ও কারণ পাওয়া গেলে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে হকদাররা নির্ধারিত অংশ লাভ করে শরিয়তে ইসলামি নির্ধারিত নিয়মানুসারে।

উত্তরাধিকারের এই হক প্রবর্তন করা হয়েছে মানব প্রকৃতি, ইনসাফ এবং মালিকের ইচ্ছা প্রতি সম্মান দেখিয়ে। এর দ্বারা মানুষ অধিক শ্রম নিয়োগে উদ্বৃদ্ধ হয়। এক পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সম্পদ ছড়িয়ে পড়ে; একস্থানে জমা হয়ে থাকে না। এ উত্তরাধিকার ইসলামি অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়।

এ অধিকার স্বভাব ও ফিতরাতের ভিত্তিতে। আমরা আগেই বলেছি যে, মানুষের স্বভাব, সে তার সন্তানদের ব্যাপারে যত্নশীল হয়। সে তাদেরকে কোনো সহায় সম্পত্তিহীন রেখে যাওয়ার সম্ভাবনায় অস্থিরতা ও উদ্বিগ্নতা বোধ করে। তাদের জন্য এতটুকু সম্পদ রেখে যেতে সে সচেষ্ট থাকে যা দিয়ে তার বর্তমানে ও অবর্তমানে তারা স্বস্থি ও নিরাপত্তা বোধ করে।

এ অধিকার থাকা ইনসাফেরও দাবি। কেননা মানুষ তার জীবদ্দশায় নিজ সন্তানাদি ও পরিবারস্থ সদস্য যাদের জীবিকার ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করে। যেমন- তার মা-বাবা এবং স্ত্রী। এমনকি তাকে এ খরচ যোগাতে বাধ্য করা হবে যদি সে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানায়। অবশ্য এ দায়িত্ব পালন করাটাই স্বাভাবিক। সুতরাং ইনসাফের দাবি, মৃত্যুর পরও তার সম্পত্তি তাদের জন্য বরাদ্দ হওয়া সে যাদের অস্তিত্বের কারণ। যেমন- তার সন্তানাদি কিংবা তারাই তার অস্তিত্বের কারণ। যেমন- পিতা-মাতা। যাতে করে তারা তার অবর্তমানেও তার জীবৎকালের ন্যায় এ সম্পদ থেকে উপকৃত হতে পারে।

মিরাছ মালিকের ইচ্ছার প্রতি সম্মান। কেননা মানুষ তীব্রভাবে কামনা করে মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির মালিক হবে অন্য কেউ নয় তারই নিকটজনেরা। ইসলাম এ বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যাও করেছে। এসব আত্মীয়জনের অংশ বর্ণনা করেছে ইনসাফপূর্ণ ও সূক্ষ পদ্ধতিতে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই যে, প্রতিটি মুসলমান চাইবে, তার সম্পদ শরিয়তের ইনসাফপূর্ণ বণ্টনের নিয়মে বণ্টিত হোক।

আর মিরাছ মানুষকে অধিক শ্রম ও চেষ্টা নিয়োগে উদ্বুদ্ধ করে তা তো স্বতসিদ্ধ বিষয়। কারণ মানুষ শুধু নিজের জন্যই উপার্জন করে না। পরিবারস্থ যাদের সে ভরণ-পোষণ করে তাদের জন্যও শ্রম দেয়। তাই সে নিজ চেষ্টা ও শ্রম ব্যয় করে নিজের সঙ্গে তাদের প্রয়োজনও মেটাবার জন্য। আর সে তাদের বর্তমান প্রয়োজন মেটাবার জন্য যেমন কাজ করে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রয়োজন পূরণের নিমিত্তেও তার চেষ্টা। যদি সে নিজে বেঁচে থাকে তবে তো নিজেই তাদের প্রয়োজন মেটাবে আর যদি মরণ এসে যায়, তাহলে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দিয়ে তারা তাদের প্রয়োজন মেটাবে। এ জন্যই উত্তরাধিকারের এই নিয়ম যদি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়, তাহলে মানুষের উদ্যম মিইয়ে যাবে। স্তিমিত হয়ে যাবে অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কান্ড। সে ভাববে, যাদের ভালো-মন্দের চিন্তায় সে বিভোর তারা তো এসব ভোগ করতে পারবে না। আর এ কথা বলাইবাহুল্য যে, এমন হলে মানুষের কর্মোদ্দীপনা ও শ্রম হ্রাস পাওয়ার কারণে উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি আশংকাজনকহারে কমে যাবে। ফলে সমাজ শিকার হবে অপূরণীয় ক্ষতির।

মিরাছ পরিবারস্থ লোকদের জন্য এক সামাজিক গ্যারান্টি। মানুষ মারা গেলে তার জীবিত নিকটজনেরা এর সত্তাধিকারী হয়। এতে করে এতিম, শিশু ও বিধবারা চরম অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পায়। তারা সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়ায় না। এতে করে রাষ্ট্রের কাঁধ থেকে এদের পালন-পোষণের দায়িত্ব নেমে যায়।

মিরাছ সম্পদ ছড়িয়ে দেয়। গুটিকয়েক লোকের হাতে তা স্ত্তপীকৃত হওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। কারণ মানুষ মরে যাওয়ার পর তার বিরাট সংখ্যক নিকটাত্মীয়র মাঝে তা বণ্টিত হয়ে যায়। এদিকে মানুষ যেহেতু চিরঞ্জীব নয়; অবশ্য মরণশীল। তার জীবন নাতিদীর্ঘ । সে বাঁচে মাত্র কয়েক দশক। তাই যে সম্পদ সে সঞ্চয় করেছে অবশ্যই তা ছড়িয়ে যাবে। আর ইসলাম তো সম্পদের বিস্তারই চায়।

জানা দরকার ইসলামের মিরাছ বা সম্পদ বণ্টন নীতিমালা খুবই ইনসাফপূর্ণ ও সূক্ষ্ম অন্য কোনো ধর্মে যার উপমা নেই। এতে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়তার দিকটি বিবেচনায় রাখা হয়েছে, আবার তার প্রয়োজন ও খরচাদির প্রতিও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এরই আলোকে আত্মীয়দের নির্ধারিত অংশ কম-বেশি করা হয়েছে। যার দৃষ্টান্ত ছেলেকে মেয়ের দ্বিগুণ দেয়া। ইরশাদ হয়েছে- আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, এক ছেলের জন্য দুই মেয়ের অংশের সমপরিমাণ। [. নিসা : ১১] কারণ মেয়ের তুলনায় ছেলের সম্পত্তির প্রয়োজন বেশি। তার ওপর অর্পিত হয়েছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব। বিবাহে পুরুষকেই মোহর দিতে হয়; নারীকে দিতে হয় না। স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও পালন করতে হয় তাকেই। তাই ইনসাফের দাবি, তার অংশ আপন ভগ্নীর চেয়ে দ্বিগুণ হওয়া।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন