hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামি অর্থনীতি শান্তি ও সমৃদ্ধির অব্যর্থ ব্যবস্থা

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব

চতুর্থত : সাময়িক মালিকানা মানুষের :
যদিও সবকিছুর একমাত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলা তদুপরি তিনি দয়া করে মানুষের জন্য অনুমতি দিয়েছেন সেসব থেকে উপকৃত হওয়ার, সেসবে হস্তক্ষেপ করার এবং সেগুলোকে নিজের দিকে সম্মন্ধযুক্ত করার। এমনকি তিনি তাদেরকে মালিক বলেও অভিহিত করেছেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- (ক) আর তোমরা নিজেদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং তা বিচারকদেরকে (ঘুষ হিসেবে) প্রদান করো না। যাতে মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার। [. বাকারা : ১৮৮] (খ) আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো ফিতনা। [. আনফাল : ২৮] (গ) যারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে রাতে ও দিনে.....। [. বাকারা : ২৭৪]

এসব আয়াতে মালকে মানুষের দিকে সম্বন্ধ করা হয়েছে সে এর মালিক হিসেবে। হাদিস শরিফে এসেছে- ‘কোনো মুমিনের মাল বৈধ হবে না তার হার্দিক সম্মতি ছাড়া।’ [. মুসনাদে আহমদ : ২০১৭০ দারে কুতনি : ২৯২৪] এ হাদিসে মালকে মানুষের দিকে সম্বন্ধ করা হয়েছে সে তার মালিক হিসেবে। তবে এরপরও আসল মালিকানা কিন্তু আল্লাহরই হাতে। কারণ তিনিই মূল স্রষ্টা; কেউ তাঁর সৃষ্টিতে শরিক হতে পারে না। এর অর্থ, মানুষের দিকে যে মালিকানার সম্বন্ধ করা হচ্ছে তা অস্থায়ী ভিত্তিতে। মানুষ শুধু তার মালিকানাধীন সম্পদে প্রকৃত মালিকের পক্ষে উকিল বা তত্তাবধায়কের ভূমিকা পালনকারী। এ কারণে তার কর্তব্য, নিজ মালিকানাধীন সম্পদে প্রকৃত মালিকের সকল শর্ত ও বিধি-নিষেধ মেনে চলা যা তিনি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি হলেন মহান আল্লাহ। যদি তা লঙ্ঘন করে তাহলে সে অপরাধী সাব্যস্ত হবে। উপযুক্ত হবে শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তির। এ শাস্তি হিসেবে কখনো কখনো তার নেয়ামত ছিনিয়ে নেয়া হয়- সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে আবার আংশিক কিংবা পুরোপুরি।

এমনটিই বলেছেন বিখ্যাত মুফাস্সিরগণ। ইমাম কুরতুবি র. ‘এবং তিনি তোমাদেরকে যা কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন, তা থেকে ব্যয় কর।’ [. হাদীদ : ০৭] -এর ব্যখ্যায় এদিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এতে প্রমাণিত হয় যে প্রকৃত মালিকানা আল্লাহর, তাই বান্দা তাতে সে হস্তক্ষেপটুকুই করতে পারে আল্লাহ যার ওপর সন্তুষ্ট।’ অতপর তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণ যে যত সম্পদ আছে তা আসলে তোমাদের সম্পদ নয়, তোমরা এসবের তত্ত্বাবধায়ক বা প্রতিনিধি মাত্র। সুতরাং তোমাদের পরবর্তীতে এ সম্পদ ছিনিয়ে নেয়ার আগেই তা থেকে উপকৃত হতে চেষ্টা করো। [. তাফসিরে কুরতুবি : ৭/২৩৮] এ বাস্তবতার উপলব্ধিই একজন মুসলিমকে তার হাতে আগত সম্পদরাশি আল্লাহর নির্দেশ মত ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে যেখানে খরচ করা উচিৎ সেখানে সে কার্পণ্য করে না। করবে কীভাবে? সে তো মালিক নয়; কেবল তত্ত্বাবধায়ক। তত্ত্বাবধায়কের বৈশিষ্ট্যই তো মালিকের মর্জি মাফিক খরচ করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন