মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“জিবরীল আলাইহিস সালাম আমাকে প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে এত বেশি তাকিদ করেছেন যে, আমার কাছে মনে হয়েছে প্রতিবেশীকে মিরাসের অংশীদার বানিয়ে দেওয়া হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদিস: ৬০১৫; সহীহ মুসলিম, হাদিস: ২৬২৫]
হাদিসে প্রতিবেশীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজকাল এ বিষয়ে আমাদের মাঝে চরম অবহেলা পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে শহরের মানুষের মাঝে। বছরের পর বছর পার হয় পাশের বাড়ির কারো সাথে কোনও কথা হয় না, খোঁজ খবর নেওয়া হয় না, একজন লোক মারা গেলে পাশের ফ্লাটের লোকের কোনো খবর নাই। বরং বিভিন্নভাবে প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া হয়। অথচ প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও তাকে কষ্ট না দেওয়াকে ঈমানের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
দুই- প্রতিবেশীকে কষ্ট দিতে আল্লাহর রাসূল নিষেধ করেন এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করার নির্দেশ দেন। হাদিস-
وعن أبي شريح ـ رضي الله تعالي عنه ـ قال : قال رسول الله صلي الله عليه وسلم : «من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فلايؤذ جاره »
আবু শুরাই রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৮৫; সহীহ বুখারী, হাদিস: ৬০১৮]
চার- প্রতিবেশীরা হকের ক্ষেত্রে সবাই সমান নয়। যারা সম্পর্কের দিক দিয়ে যত বেশি নিকটে তাদের অধিকার বা হক বেশি। আর যদি প্রতিবেশী সম্পর্কের দিক দিয়ে সমান হয় এবং একজন কাছে এবং অপর জন দূরে হয় তবে কাছের প্রতিবেশীর অধিকার বা হক বেশি দূরের প্রতিবেশীর তুলনা। এ বিষয়ে হাদিস-
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার দুই জন প্রতিবেশী আছে, তাদের কাকে আমি হাদিয়া দেব? রাসূল বললেন, যে তোমার দরজার কাছের প্রতিবেশী তাকে তুমি হাদিয়া দেবে”। [বর্ণনায় আহমদ, হাদিস, ২৫৪৬২; অনুরূপ বুখারী, হাদীস নং ২২৫৯।]
পাঁচ- তোমাদের মধ্যে সে উত্তম প্রতিবেশী বা সে উত্তম সাথী যে তার প্রতিবেশী ও সাথীদের নিকট উত্তম। যেমন হাদিস-
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে স্বীয় সাথীর নিকট উত্তম সেই আল্লাহর নিকট সর্ব উত্তম সাথী এবং যে স্বীয় প্রতিবেশীর দৃষ্টিতে ভালো প্রতিবেশী, সেই আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম প্রতিবেশী”। [সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস: ২৫৩৯; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদিস: ৯৫৪১; মুসনাদে আহমদ হাদিস: ৬৫৬৬]
ছয়- অপর এক বর্ণনায় এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ لِي أَنْ أَعْلَمَ إِذَا أَحْسَنْتُ وَإِذَا أَسَأْتُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم «إِذَا سَمِعْتَ جِيرَانَكَ يَقُولُونَ قَدْ أَحْسَنْتَ فَقَدْ أَحْسَنْتَ وَإِذَا سَمِعْتَهُمْ يَقُولُونَ قَدْ أَسَأْتَ فَقَدْ أَسَأْتَ ،»
“আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি ভালো করলাম না খারাপ করলাম এ বিষয়টি নিশ্চিতভাবে আমার নিজের সম্পর্কে কীভাবে জানতে পারব? উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যখন শোন, তোমার প্রতিবেশী তোমাকে বলে, তুমি ভালো করছ, তাহলে তুমি ভালো করছ, আর যখন শোন, তোমার প্রতিবেশী বলে, তুমি খারাপ করছ, তাহলে তুমি খারাপ করছ”। [আহমদ, হাদিস: ৩৮০৮; ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৪২২৩]
সাত- প্রতিবেশী কষ্ট না দেওয়া এবং তাদের সাতে ভালো ব্যবহার করা ঈমানের সাথে সম্পর্ক। এ বিষয়ে হাদিস-
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : «من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فلا يؤذ جاره، ومن كان يؤمن بالله واليوم الأخر فليكرم ضيفه، ومن كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرًا أو ليصمت »
“আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন মেহমানের সম্মান করে, যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে”।
আট- অপর একটি হাদিসে এসেছে-
وقال صلى الله عليه و سلم : «والله لا يؤمن، والله لا يؤمن، والله لا يؤمن» ، قيل : يا رسول الله ! خاب وخسر، من هذا؟ قال صلى الله عليه و سلم : «من لا يأمن جاره بوائقه » ،
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়! আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়!! আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়!!! সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, কে সেই বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত লোক হে আল্লাহর রাসূল? রাসূ্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস ৬০১৬] হাদিসে প্রতিবেশীর হকের অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাকে যাতে কোনো প্রকার কষ্ট দেওয়া না হয় এবং তার যাতে কোনো ক্ষতি করা না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নয়- দশগুণ বেশি গুনাহ; প্রতিবেশীর হক আদায় করা যেমন জরুরি প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া বা তার হক নষ্ট করা তেমনি মস্ত বড় গুনাহ। একই অন্যায় প্রতিবেশীর ক্ষেত্রে করলে অন্যের তুলনায় দশ গুণ বেশি গুনাহ বা বড় অন্যায় বলে গণ্য হয়।
فقد ثبت عنه صلى الله عليه وسلم أنه قال : «ما تقولون في الزنا؟» قالوا : حرام، حرمه الله ورسوله، قال : «لأن يزني الرجل بعشر نسوة أيسر من أن يزني بامرأة جاره، ما تقولون في السرقة؟» قالوا : حرام، حرمها الله ورسوله، قال : «لأن يسرق الرجل من عشرة أبيات أيسر من أن يسرق من بيت جاره، ومن أغلق بابه من جاره مخافة على أهله أو ماله فليس الجار بمؤمن» .
“মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণকে যিনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, তাতো হারাম। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তা হারাম ঘোষণা করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোনও ব্যক্তি দশজন নারীর সাথে যিনা করলে যে গুনাহ প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা তার চেয়েও বেশি ও মারাত্মক গুনাহ। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে চুরি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, তাতো হারাম। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তা হারাম ঘোষণা করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দশ বাড়িতে চুরি করা যত বড় অন্যায় প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি করা এর চেয়েও বড় অন্যায়”। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৮৫৪; আল-আদাবুল মুফরাদ,হাদীস ১০৩; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস: ৯৫৫২]
দশ- দুই নারীর দৃষ্টান্ত; কে জান্নাতি?
প্রতিবেশীর সাথে মন্দ আচরণ, ব্যক্তির সব আমল বরবাদ করে দেয়। তাকে নিয়ে ফেলে জাহান্নামে। যেমনটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত-
“আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, এক নারীর ব্যাপারে প্রসিদ্ধ, সে বেশি বেশি (নফল) নামায পড়ে, রোযা রাখে, দুই হাতে দান করে। কিন্তু জবানের দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় (তার অবস্থা কি হবে?)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সে জাহান্নামে যাবে”। আরেক নারী বেশি (নফল) নামাযও পড়ে না, খুব বেশি রোযাও রাখে না আবার তেমন দান সদকাও করে না; সামান্য দু-এক টুকরা পনির দান করে। তবে সে জবানের দ্বারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না (এই নারীর ব্যাপারে কি বলেন?)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সে জান্নাতি”। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ৯৬৭৫; আল-আদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস: ১১৯]
عن أبي هريرة ـ رضي الله تعالي عنه ـ قال : قال رسول الله صلي الله عليه وسلم : «والله لايؤمن والله لايؤمن والله لايؤمن، قيل من يارسول الله؟ قال : الذي لايأمن جاره بوائقه »
“আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়! আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়!! আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়!!! সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, কে সেই বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত লোক হে আল্লাহর রাসূল? রাসূ্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস ৬০১৬]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/509/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।