মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
স্বামীর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য স্ত্রীকে কতিপয় উপদেশঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/640/26
শায়খ ইবনু জুবাইলান স্বামীর ভালবাসা ও প্রীতি অর্জন করার জন্য নারীদেরকে উদ্দেশ্যে করে কিছু নসীহত করেছেন। তা নিম্নরূপঃ
বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে কপালে চুম্বন করা।
স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস্তু থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা।
সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা। সম্মান ও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা।
স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।
সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা।
স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া। মাসিক ঋতুর সময়ও সুসজ্জিত অবস্থায় থাকা।
স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে।
সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা।
নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ করবে না। [. ইসমাঈল (আঃ) এর স্ত্রীর সাথে ইবরাহীম (আঃ) এর আচরণ সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত আছি। ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, একদা ইবরাহীম (আঃ) তাঁর পরিবারকে দেখার জন্য মক্কা আগমণ করলেন। এসে ইসমাঈলকে বাড়ীত না পেয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তাদের জীবন ধারণ সম্পর্কে? সে বলল, আমরা খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। আমরা সংকীর্ণতা ও কঠিন অবস্থায় জীবন-যাপন করছি। তিনি বললেন, তোমার স্বামী এলে তাকে আমার সালাম দিবে এবং বলবে ঘরের দরজার চৌকাঠ পরিবর্তন করতে। ইসমাঈল (আঃ) ফিরে এসে বললেন, মনে হচ্ছে কেউ এসেছিল? স্ত্রী বলল, এরকম একজন বৃদ্ধ এসেছিলেন। উনি আমাদের জীবন-যাপন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আমি বলেছি আমরা কষ্ট ও দুঃখে দিনাতিপাত করছি। ইসমাঈল বললেন, উনি কিছু বলেছেন? সে বলল, হ্যাঁ, আপনাকে সালাম পৌঁছাতে বলেছেন এবং বলেছেন আপনার ঘরের দরজার চৌকাঠ পরিবর্তন করতে। তিনি বললেন, বৃদ্ধ লোকটি আমার পিতা ছিলেন। তিনি আমার ঘরের দরজার চৌকাঠ পরিবর্তন করতে বলেছেন, অর্থাৎ তোমাকে তালাক দিতে বলেছেন। তুমি তোমার পরিবারের কাছে চলে যাও। তিনি তাকে তালাক দিয়ে দিলেন।কিছু দিন পর ইসমাঈল অন্য একটি বিবাহ করলেন। অতঃপর ইবরাহীম (আঃ) পূনরায় একদিন তাদের বাড়ীতে বেড়াতে এলেন। সেদিনও ইসমাঈলকে পেলেন না। তার স্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করলে স্ত্রী বলল, রোজগারের জন্য বাইরে গেছেন। ইবরাহীম জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কেমন আছো? তোমাদের কেমন দিন যাচ্ছে? মহিলা বলল, আমরা খুব ভাল আছি। সে আল্লাহর প্রশংসা করল। তিনি বললেন, তোমার স্বামী এলে তাকে আমার সালাম দিবে এবং বলবে ঘরের দরজার চৌকাঠ ঠিক রাখতে। ইসমাঈল ফিরে এসে প্রশ্ন করলেন, কেউ এসেছিল কি? স্ত্রী বলল, একজন সম্মানিত বৃদ্ধ ব্যক্তি এসেছিলেন। একথা বলে সে তাঁর প্রশংসা করল। তিনি আমাদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আমি বলেছি আমরা কল্যাণের মাঝে আছি। ইসমাঈল প্রশ্ন করলেন, তিনি কি কোন নির্দেশ দিয়েছেন? সে বলল, উনি আপনাকে সালাম দিয়েছেন এবং আদেশ দিয়েছেন আপনার ঘরের দরজার চৌকাঠ ঠিক রাখতে। তিনি বললেন, তিনি ছিলেন আমার পিতা। আর ঘরের দরজার চৌকাঠ হচ্ছে, তুমি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যেন তোমাকে আমি বিছিন্ন না করি।’’ (ছহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ নবীদের সম্পর্কে হাদীছ, হা/৩১১৩।)]
সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।
কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা কুরআনে আল্লাহ্ বলেন, ولا تجسسوا তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না । (সূরা হুজুরাত -১৩) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা । [. বুখারী, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/৪৭৪৭।]
স্বামী কখনো রাগম্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। সম্ভব হলে তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে নাহক রেগে থাকে তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে সমঝোতার ব্যবস্থা করা।
স্বামীর মাতাকে নিজের পক্ষ থেকে (সাধ্যানুযায়ী) কিছু হাদিয়া-উপহার প্রদান করা।
সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর অভাব অনটনের সময় তাকে সহযোগিতা করা। উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (আমার স্বামী) আবু সালামার সন্তানদের জন্য যদি আমি অর্থ ব্যয় করি তবে কি তাতে আমি প্রতিদান পাব। ওদেরকে তো এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। ওরা তো আমারও সন্তান। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি যে পরিমাণ তাদের জন্য সম্পদ খরচ করবে, তোমাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে । (বুখারী ও মুসলিম)
স্বামীর নির্দেশ পালন, তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/640/26
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।