HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আকীদা ও ফিক্হ [ ৩য় শ্রেণী ]
লেখকঃ অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, ড. মো. আনোয়ারুল কবীর, অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম, ড. মো. মানজূরে ইলাহী, অধ্যাপক মো. নূরুল্লাহ
আমাদের শিশু কিশোররা আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদেরকে শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে বৈষয়িক শিক্ষার পাশাপাশি অবশ্যই নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
‘আকীদা ও ফিকহ’ বিষয়টি তাই শিশু কিশোরদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তাদেরকে তাওহীদবাদী বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনা ও পরিশীলিত আমল আখলাকের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম অনুসারে ‘আকীদা ও ফিক্হ’ বিষয়ে পাঠ্য পুস্তক রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে উচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত খ্যাতিমান ইসলামী শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড এ পাঠ্য পুস্তক রচনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের বিদ্যালয় ও মাদরাসা সমূহে এ পুস্তক পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীবৃন্দ সবিশেষ উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আল্লাহ তাআলা ওয়ামীর এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন।
প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান
চেয়ারম্যান
ওয়ামী এডভাইজরী বোর্ড অব বাংলাদেশ
‘আকীদা ও ফিকহ’ বিষয়টি তাই শিশু কিশোরদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তাদেরকে তাওহীদবাদী বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনা ও পরিশীলিত আমল আখলাকের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম অনুসারে ‘আকীদা ও ফিক্হ’ বিষয়ে পাঠ্য পুস্তক রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে উচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত খ্যাতিমান ইসলামী শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড এ পাঠ্য পুস্তক রচনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের বিদ্যালয় ও মাদরাসা সমূহে এ পুস্তক পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীবৃন্দ সবিশেষ উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আল্লাহ তাআলা ওয়ামীর এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন।
প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান
চেয়ারম্যান
ওয়ামী এডভাইজরী বোর্ড অব বাংলাদেশ
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। কিন্তু একজন পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার জন্য শুধু বৈষয়িক শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। সঠিক বিশ্বাস ও মূল্যবোধ, পরিশীলিত আচার আচারণ এবং সুদৃঢ় নৈতিকতাই পারে একজন মানুষকে প্রকৃত ও সফল মানুষে রূপান্তরিত করতে। তাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত কর্ণধার শিশু কিশোরদেরকে বৈষয়িক শিক্ষার পাশা-পাশি অবশ্যই নৈতিক শিক্ষার সুব্যবস্থা করতে হবে।
সে লক্ষ্যেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস এদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলা ভাষায় ‘আকীদা ও ফিক্হ’ নামক পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রকল্প। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষাক্রম অনুসারে এ পাঠ্য পুস্তক রচিত হয়েছে। এ পাঠ্য পুস্তক রচনার দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী শিক্ষাবিদগণ। যারা দেশে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন এবং তাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেবাস কারিকুলাম ও পাঠদান বিশেষজ্ঞ উলামা ও শিক্ষাবিদ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে সেটি কচি মনের শিশু কিশোরদের জন্য খুবই উপযোগী ও জরুরী বলে আমি মনে করি। দেশের স্কুল, মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেন সমূহে বইটি পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীরা তাওহীদবাদী সঠিক আকীদার অধিকারী ও নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
যারা মেধা ও শ্রম দিয়ে বইটি রচনায় সহযোগিতা করেছেন, ওয়ামীর পক্ষ থেকে তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন!
ডা. মো. রেদওয়ানুর রহমান
কান্ট্রি ডিরেক্টর
ওয়ামী বাংলাদেশ অফিস
সে লক্ষ্যেই ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ূথ (ওয়ামী) বাংলাদেশ অফিস এদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলা ভাষায় ‘আকীদা ও ফিক্হ’ নামক পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রকল্প। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষাক্রম অনুসারে এ পাঠ্য পুস্তক রচিত হয়েছে। এ পাঠ্য পুস্তক রচনার দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী শিক্ষাবিদগণ। যারা দেশে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন এবং তাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেবাস কারিকুলাম ও পাঠদান বিশেষজ্ঞ উলামা ও শিক্ষাবিদ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে সেটি কচি মনের শিশু কিশোরদের জন্য খুবই উপযোগী ও জরুরী বলে আমি মনে করি। দেশের স্কুল, মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেন সমূহে বইটি পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীরা তাওহীদবাদী সঠিক আকীদার অধিকারী ও নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
যারা মেধা ও শ্রম দিয়ে বইটি রচনায় সহযোগিতা করেছেন, ওয়ামীর পক্ষ থেকে তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন!
ডা. মো. রেদওয়ানুর রহমান
কান্ট্রি ডিরেক্টর
ওয়ামী বাংলাদেশ অফিস
ইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহ মনে প্রাণে দৃঢ় বিশ্বাস করাই হলো আকীদা।
আমরা মুসলমান। আমরা এক আল্লাহতে বিশ্বাসী। তিনি সব কিছুর স্রষ্টা ও মালিক। তিনিই আমাদের ও সকল প্রাণীর জীবন দিয়েছেন। সকলের রিযিক তিনিই দেন। তিনিই আমাদের রব ও ইলাহ। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর ইচ্ছায় সবকিছু হয়। আমাদের সবাইকে আবার তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। তিনি বিভিন্ন কাজের জন্য অসংখ্য ফিরিশতা সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানুষদের সুপথ দেখানোর জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন। নাযিল করেছেন অসংখ্য আসমানী কিতাব। হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। তাঁর পরে দুনিয়াতে আর কোন নবী ও রাসূল আসবেন না। আল্লাহ তাআলা তাঁকে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তাঁর প্রতি নাযিল করেছেন সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল-কুরআন। আমরা সকল কাজে আল্লাহর বিধান মানব এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করব।
এক আল্লাহতে বিশ্বাসী
আমরা মুসলমান
রাসূল মোদের মুহাম্মদ
কিতাব আল-কুরআন।
আমরা মুসলমান। আমরা এক আল্লাহতে বিশ্বাসী। তিনি সব কিছুর স্রষ্টা ও মালিক। তিনিই আমাদের ও সকল প্রাণীর জীবন দিয়েছেন। সকলের রিযিক তিনিই দেন। তিনিই আমাদের রব ও ইলাহ। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর ইচ্ছায় সবকিছু হয়। আমাদের সবাইকে আবার তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। তিনি বিভিন্ন কাজের জন্য অসংখ্য ফিরিশতা সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানুষদের সুপথ দেখানোর জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন। নাযিল করেছেন অসংখ্য আসমানী কিতাব। হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। তাঁর পরে দুনিয়াতে আর কোন নবী ও রাসূল আসবেন না। আল্লাহ তাআলা তাঁকে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তাঁর প্রতি নাযিল করেছেন সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল-কুরআন। আমরা সকল কাজে আল্লাহর বিধান মানব এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করব।
এক আল্লাহতে বিশ্বাসী
আমরা মুসলমান
রাসূল মোদের মুহাম্মদ
কিতাব আল-কুরআন।
আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সকল ক্ষমতার মালিক। আসমান-যমীন ও চন্দ্র সূর্যের মালিক আল্লাহ। পাহাড়-পর্বত ও সাগর-নদীর মালিক আল্লাহ। আলো-বাতাস ও বন-মরু সব কিছুর মালিক আল্লাহ। তিনি সকলের জীবন ও মৃত্যু দান করেন। তিনি সকলের ধন-সম্পদ ও রিযিক দান করেন। তিনি সব কিছু শোনেন ও দেখেন। তাঁর ইচ্ছা ছাড়া বিশ্ব জাহানে কিছুই হয় না। তিনি ‘হও’ বললেই সব কিছু হয়ে যায়। তিনি অসীম ক্ষমতার মালিক। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। তাঁর কোন তুলনা নেই।
সব ক্ষমতার মালিক যিনি
বিশ্ব জাহান যার
মহান প্রভু আল্লাহ তিনি
নেই তুলনা তাঁর।
সব ক্ষমতার মালিক যিনি
বিশ্ব জাহান যার
মহান প্রভু আল্লাহ তিনি
নেই তুলনা তাঁর।
আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনি আমাদের রব। তাই আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করি না। আমরা আল্লাহর জন্য সালাত আদায় করি। আল্লাহর জন্যই সাওম ও হজ্জ পালন করি। আমরা আল্লাহর জন্য কুরবানী দেই ও দান-খয়রাত করি। আল্লাহর নামে পশু যবাই করি। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই সকল কাজ করি। আমরা আল্লাহর নিকট দোআ করি। আল্লাহর নামে মান্নত করি। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। আল্লাহর ইবাদতে আমরা কাউকে শরীক করি না।
সালাত, সাওম, কুরবানী
যবাই ও মান্নত
আল্লাহর তরে করি মোরা
সকল ইবাদত।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) আকীদা কাকে বলে?
খ) আল্লাহ কেন নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন?
গ) আল্লাহ কাকে মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ হিসেবে নির্বাচিত করেছেন?
ঘ) কে সকল ক্ষমতার মালিক?
ঙ) আমরা কার উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করি?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) আমরা এক ........... বিশ্বাসী।
খ) ........... সর্বশেষ আসমানী কিতাব।
গ) আল্লাহ সকল........... মালিক।
ঘ) আল্লাহ.......... বললেই সবকিছু হয়ে যায়।
ঙ) আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ........ করি না।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) ইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহ মনে প্রাণে বিশ্বাস করার নাম কী?
(i) ঈমান
(ii) ইখলাস
(iii) আকীদা
খ) কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল?
(i) হযরত ইবরাহীম (আ.)
(ii) হযরত মুহাম্মদ (সা.)
(iii) হযরত ইসমাঈল (আ.)
গ) হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি নাযিলকৃত আসমানী কিতাবের নাম কী?
(i) কুরআন
(ii) তাওরাত
(iii) হাদীস
ঘ) আল্লাহ কেমন ক্ষমতার মালিক?
(i) অল্প
(ii) অসীম
(iii) সামান্য
ঙ) আমরা কার নামে পশু যবাই করি?
(i) পীরের নামে
(ii) খাজা বাবার নামে
(iii) আল্লাহর নামে
সালাত, সাওম, কুরবানী
যবাই ও মান্নত
আল্লাহর তরে করি মোরা
সকল ইবাদত।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) আকীদা কাকে বলে?
খ) আল্লাহ কেন নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন?
গ) আল্লাহ কাকে মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ হিসেবে নির্বাচিত করেছেন?
ঘ) কে সকল ক্ষমতার মালিক?
ঙ) আমরা কার উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করি?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) আমরা এক ........... বিশ্বাসী।
খ) ........... সর্বশেষ আসমানী কিতাব।
গ) আল্লাহ সকল........... মালিক।
ঘ) আল্লাহ.......... বললেই সবকিছু হয়ে যায়।
ঙ) আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ........ করি না।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) ইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহ মনে প্রাণে বিশ্বাস করার নাম কী?
(i) ঈমান
(ii) ইখলাস
(iii) আকীদা
খ) কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল?
(i) হযরত ইবরাহীম (আ.)
(ii) হযরত মুহাম্মদ (সা.)
(iii) হযরত ইসমাঈল (আ.)
গ) হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি নাযিলকৃত আসমানী কিতাবের নাম কী?
(i) কুরআন
(ii) তাওরাত
(iii) হাদীস
ঘ) আল্লাহ কেমন ক্ষমতার মালিক?
(i) অল্প
(ii) অসীম
(iii) সামান্য
ঙ) আমরা কার নামে পশু যবাই করি?
(i) পীরের নামে
(ii) খাজা বাবার নামে
(iii) আল্লাহর নামে
ঈমানের পরিচয় :
ঈমান অর্থ বিশ্বাস করা। ইসলামের মূল বিষয়গুলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করে মুখে স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী আমল করাকে ঈমান বলে।
ঈমানের মূল কথা হলো-
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।
ঈমানের রোকন :
ঈমানের রোকন ৬টি :
১। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
২। আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস
৩। ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস
৪। আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস
৫। নবী ও রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস
৬। তাকদীরের ভাল মন্দের প্রতি বিশ্বাস
آمَنْتُ بِاللهِ وَمَلاَئِكَتِه، وَكُتُبِه، وَرُسُلِه، وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدْرِ خَيْرِه، وَشَرِّه، مِنَ اللهِ تَعَالٰى .
ঈমান অর্থ বিশ্বাস করা। ইসলামের মূল বিষয়গুলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করে মুখে স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী আমল করাকে ঈমান বলে।
ঈমানের মূল কথা হলো-
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।
ঈমানের রোকন :
ঈমানের রোকন ৬টি :
১। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
২। আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস
৩। ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস
৪। আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস
৫। নবী ও রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস
৬। তাকদীরের ভাল মন্দের প্রতি বিশ্বাস
آمَنْتُ بِاللهِ وَمَلاَئِكَتِه، وَكُتُبِه، وَرُسُلِه، وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدْرِ خَيْرِه، وَشَرِّه، مِنَ اللهِ تَعَالٰى .
মালাইকা মহান আল্লাহর এক বিশেষ সৃষ্টি। আমরা মালাইকাকে ফেরেশতা বলে থাকি। তারা নূরের তৈরী। আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন কাজের জন্য অসংখ্য মালাইকা সৃষ্টি করেছেন। আমরা মালাইকা দেখি না। কিন্তু তারা আল্লাহর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছে। সকল মালাইকার কাজ এক নয়। আল্লাহ তাআলা যাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তারা সে দায়িত্বই পালন করছে। মালাইকার প্রধান প্রধান কাজ হলো-
* নবী-রাসূলগণের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছানো।
* মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর রিযিক বণ্টন করা।
* মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর প্রাণ সংহার করা।
* কিয়ামতের পূর্বে সিঙ্গায় ফূঁ দেয়া।
* আল্লাহ তাআলার আরশ বহন করা।
* মানুষের ভাল-মন্দ সকল কাজ লিপিবদ্ধ করা।
* আল্লাহ তাআলার তাসবীহ পাঠ করা।
* রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উপর দরূদ পাঠ করা।
* মুমিনদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
* নবী-রাসূলগণের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছানো।
* মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর রিযিক বণ্টন করা।
* মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর প্রাণ সংহার করা।
* কিয়ামতের পূর্বে সিঙ্গায় ফূঁ দেয়া।
* আল্লাহ তাআলার আরশ বহন করা।
* মানুষের ভাল-মন্দ সকল কাজ লিপিবদ্ধ করা।
* আল্লাহ তাআলার তাসবীহ পাঠ করা।
* রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উপর দরূদ পাঠ করা।
* মুমিনদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তাআলা মানুষদের সঠিক পথের দিশা দেয়ার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন। নবী ও রাসূলগণ হলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। আল্লাহ তাআলা তাঁদের নিকট ওহী নাযিল করেছেন। নবী ও রাসূলগণ দুনিয়ার মানুষদেরকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহবান করেছেন।
তাদের দাওয়াত ছিল-
قُوْلُوْا لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ تُفْلِحُوْنَ
তোমরা বলো যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তাহলেই তোমরা সফলকাম হবে।
يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلٰهٍ غَيْرُه .
হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা, তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই।
সকল নবী ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) ঈমান কাকে বলে?
খ) ঈমানের মূল কথা কী?
গ) মালাইকা কী?
ঘ) কারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ?
ঙ) নবী ও রাসূলগণ মানুষদেরকে কোন দিকে আহবান করেছেন?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ঈমান অর্থ..............করা।
খ) আল্লাহ ছাড়া কোন.............নেই।
গ) .............নূরের তৈরী।
ঘ) মালাইকা আল্লাহর............বহন করে।
ঙ) নবী ও রাসূলগণ পৃথিবীর.............মানুষ।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) ঈমানের রোকন কয়টি?
(i) ৪টি
(ii) ৫টি
(iii) ৬টি
খ) আমরা মালাইকাকে কী বলে থাকি?
(i) ফিরিশতা
(ii) নবী
(iii) রাসূল
গ) কে নূরের তৈরী?
(i) মানুষ
(ii) মালাইকা
(iii) জীন
ঘ) মালাইকা কখন সিঙ্গায় ফুঁ দিবে?
(i) কিয়ামতের পরে
(ii) কিয়ামতের পূর্বে
(iii) হাশরের ময়দানে
ঙ) কারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ?
(i) কবি ও সাহিত্যিক
(ii) পীর ও ফকীর
(iii) নবী ও রাসূল
তাদের দাওয়াত ছিল-
قُوْلُوْا لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ تُفْلِحُوْنَ
তোমরা বলো যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তাহলেই তোমরা সফলকাম হবে।
يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلٰهٍ غَيْرُه .
হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা, তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই।
সকল নবী ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) ঈমান কাকে বলে?
খ) ঈমানের মূল কথা কী?
গ) মালাইকা কী?
ঘ) কারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ?
ঙ) নবী ও রাসূলগণ মানুষদেরকে কোন দিকে আহবান করেছেন?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ঈমান অর্থ..............করা।
খ) আল্লাহ ছাড়া কোন.............নেই।
গ) .............নূরের তৈরী।
ঘ) মালাইকা আল্লাহর............বহন করে।
ঙ) নবী ও রাসূলগণ পৃথিবীর.............মানুষ।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) ঈমানের রোকন কয়টি?
(i) ৪টি
(ii) ৫টি
(iii) ৬টি
খ) আমরা মালাইকাকে কী বলে থাকি?
(i) ফিরিশতা
(ii) নবী
(iii) রাসূল
গ) কে নূরের তৈরী?
(i) মানুষ
(ii) মালাইকা
(iii) জীন
ঘ) মালাইকা কখন সিঙ্গায় ফুঁ দিবে?
(i) কিয়ামতের পরে
(ii) কিয়ামতের পূর্বে
(iii) হাশরের ময়দানে
ঙ) কারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ?
(i) কবি ও সাহিত্যিক
(ii) পীর ও ফকীর
(iii) নবী ও রাসূল
আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে মানুষদের হেদায়াতের জন্য নাযিল করেছেন আসমানী কিতাব। নবীও রাসূলগণ আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত আসমানী কিতাবের আলোকে মানুষদেরকে সুপথের দিশা দিয়েছেন। দেখিয়েছেন দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের পথ। আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত আসমানী কিতাবের মধ্য ৪টি কিতাব প্রসিদ্ধ।
ক্রমিক নং
কিতাবের নাম
রাসূলের নাম
০১
তাওরাত
হযরত মূসা (আ.)
০২
যাবূর
হযরত দাউদ (আ.)
০৩
ইনজীল
হযরত ঈসা (আ.)
০৪
কুরআন
হযরত মুহাম্মদ (সা.)
সকল আসমানী কিতাবের উপর ঈমান আনা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
ক্রমিক নং
কিতাবের নাম
রাসূলের নাম
০১
তাওরাত
হযরত মূসা (আ.)
০২
যাবূর
হযরত দাউদ (আ.)
০৩
ইনজীল
হযরত ঈসা (আ.)
০৪
কুরআন
হযরত মুহাম্মদ (সা.)
সকল আসমানী কিতাবের উপর ঈমান আনা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
মানুষ মরণশীল। প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যু বরণ করতে হবে। তবে মৃত্যুই মানুষের শেষ কথা নয়। মৃত্যুর পর আরেকটি জীবন রয়েছে। যাকে আখিরাত বলা হয়।
বারযাখ বা কবরের জীবন হলো আখিরাতের প্রথম স্তর। মৃত্যুর পর প্রত্যেক মানুষের রূহকে আলমে বারযাখে রাখা হয়।
আল্লাহ তাআলার নির্দেশে একদিন এ পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তারপর সকল মানুষের রূহকে একদিন হাশরের ময়দানে একত্রিত করা হবে। তখন আল্লাহ তাআলা সকল মানুষের দুনিয়ার ভাল-মন্দ কাজের হিসাব নিবেন। যারা দুনিয়ায় ভাল কাজ করবে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত দিবেন। জান্নাত হলো চির সুখের স্থান। আর যারা দুনিয়ায় মন্দ কাজ করবে, আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নাম হলো ভয়ানক শাস্তির স্থান।
আখিরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
মৃত্যুর পরে আরেক জীবন
আখিরাত তার নাম
কাজের গুণে পাবে জান্নাত
নয়তো জাহান্নাম।
বারযাখ বা কবরের জীবন হলো আখিরাতের প্রথম স্তর। মৃত্যুর পর প্রত্যেক মানুষের রূহকে আলমে বারযাখে রাখা হয়।
আল্লাহ তাআলার নির্দেশে একদিন এ পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তারপর সকল মানুষের রূহকে একদিন হাশরের ময়দানে একত্রিত করা হবে। তখন আল্লাহ তাআলা সকল মানুষের দুনিয়ার ভাল-মন্দ কাজের হিসাব নিবেন। যারা দুনিয়ায় ভাল কাজ করবে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত দিবেন। জান্নাত হলো চির সুখের স্থান। আর যারা দুনিয়ায় মন্দ কাজ করবে, আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নাম হলো ভয়ানক শাস্তির স্থান।
আখিরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
মৃত্যুর পরে আরেক জীবন
আখিরাত তার নাম
কাজের গুণে পাবে জান্নাত
নয়তো জাহান্নাম।
তাকদীর অর্থ ভাগ্য। প্রত্যেক মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা যার ভাগ্যে যা রেখেছেন, সে তাই পাবে। মানুষ কাজ করবে। কিন্তু কাজের সাফল্য আল্লাহ তাআলা নির্ধারণ করবেন। আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে যাওয়ার কোন শক্তি মানুষের নেই। মানুষের সুখ দুঃখ, বিপদ, মুসীবত সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। এ বিশ্বাসের নামই হলো তাকদীরে বিশ্বাস। কার তাকদীরে কী আছে, আমরা কেউ জানি না। তা একমাত্র আল্লাহ তাআলা জানেন।
তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
আল্লাহর হাতে ভাগ্য মোদের
সদা করি তাঁকে স্মরণ
সুখ দুঃখ, ব্যথা বেদনা
হাসি মুখে করি বরণ।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) আল্লাহ কেন আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন?
খ) প্রসিদ্ধ আসমানী কিতাব কয়টি ও কী কী?
গ) আখিরাত বলতে কী বুঝায়?
ঘ) আল্লাহ কাদেরকে জান্নাত দিবেন?
ঙ) তাকদীরে বিশ্বাস বলতে কী বুঝায়?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ইনজীল কিতাব ...... এর উপর নাযিল হয়েছে।
খ) প্রত্যেক মানুষকেই ..... বরণ করতে হবে।
গ) জাহান্নাম হলো ভয়ানক ...... স্থান।
ঘ) প্রত্যেক মানুষের ....... নির্ধারিত।
ঙ) কাজের ....... আল্লাহ নির্ধারণ করবেন।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) হযরত মূসা (আ.) এর উপর কোন কিতাব নাযিল হয়েছে?
(i) তাওরাত
(ii) ইনজীল
(iii) কুরআন
খ) মৃত্যুর পরের জীবনকে কী বলা হয়?
(i) জান্নাত
(ii) আখিরাত
(iii) বারযাখ
গ) কোথায় মানুষের ভাল মন্দ কাজের হিসাব নেয়া হবে?
(i) কবরে
(ii) হাশরে
(iii) জাহান্নামে
ঘ) জান্নাত কেমন স্থান?
(i) অতি কষ্টের
(ii) চির সুখের
(iii) চির দুঃখের
ঙ) ভয়ানক শাস্তির স্থান কোনটি?
(i) বারযাখ
(ii) জান্নাত
(iii) জাহান্নাম
তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
আল্লাহর হাতে ভাগ্য মোদের
সদা করি তাঁকে স্মরণ
সুখ দুঃখ, ব্যথা বেদনা
হাসি মুখে করি বরণ।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) আল্লাহ কেন আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন?
খ) প্রসিদ্ধ আসমানী কিতাব কয়টি ও কী কী?
গ) আখিরাত বলতে কী বুঝায়?
ঘ) আল্লাহ কাদেরকে জান্নাত দিবেন?
ঙ) তাকদীরে বিশ্বাস বলতে কী বুঝায়?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ইনজীল কিতাব ...... এর উপর নাযিল হয়েছে।
খ) প্রত্যেক মানুষকেই ..... বরণ করতে হবে।
গ) জাহান্নাম হলো ভয়ানক ...... স্থান।
ঘ) প্রত্যেক মানুষের ....... নির্ধারিত।
ঙ) কাজের ....... আল্লাহ নির্ধারণ করবেন।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) হযরত মূসা (আ.) এর উপর কোন কিতাব নাযিল হয়েছে?
(i) তাওরাত
(ii) ইনজীল
(iii) কুরআন
খ) মৃত্যুর পরের জীবনকে কী বলা হয়?
(i) জান্নাত
(ii) আখিরাত
(iii) বারযাখ
গ) কোথায় মানুষের ভাল মন্দ কাজের হিসাব নেয়া হবে?
(i) কবরে
(ii) হাশরে
(iii) জাহান্নামে
ঘ) জান্নাত কেমন স্থান?
(i) অতি কষ্টের
(ii) চির সুখের
(iii) চির দুঃখের
ঙ) ভয়ানক শাস্তির স্থান কোনটি?
(i) বারযাখ
(ii) জান্নাত
(iii) জাহান্নাম
অযূ : আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্য পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। অযূ পবিত্রতার প্রথম সোপান। অযূর মাধ্যমে শরীর পাক-পবিত্র হয়। পবিত্র পানি দ্বারা অযূ করতে হয়।
অযূ করা সওয়াবের কাজ। পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যতে অযূ করতে হয়। অযূ করার সময় এর ফরযগুলো যথাযথ ভাবে আদায় করতে হবে। তাই সমগ্র মুখমন্ডল তিন বার ধুতে হবে। এ সময় তিন বার কুলি করতে হবে এবং তিন বার নাকে পানি দিয়ে ভালভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। উভয় হাত কনুই পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে। ভিজা হাতে মাথা মাসহ করতে হবে। উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে।
গোসল :
পবিত্র পানি দ্বারা সমস্ত শরীর ধোয়াকে গোসল বলা হয়। গোসলের মাধ্যমে শরীরের ময়লা দূর হয়। শরীর পাক পবিত্র হয়। শরীর সতেজ হয়। মন প্রফুল্ল হয়।
গোসলের ফরয :
গোসলের ফরয তিনটি :
১। গড়গড়াসহ কুলি করা।
২। নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা।
৩। সমস্ত শরীর ধৌত করা।
গোসলের নিময় :
দু’ হাত কবজি পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে।
গড়গড়াসহ তিন বার কুলি করতে হবে।
নাকে পানি দিয়ে তিন বার ভালভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে।
শরীরে বা কাপড়ে কোন ময়লা বা নাপাকী থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে।
সমস্ত শরীর পানি দ্বারা ভালভাবে ধৌত করতে হবে।
তায়াম্মুম :
পানির পরিবর্তে মাটি বা মাটি জাতীয় বস্ত্ত দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাকে তায়াম্মুম বলা হয়। অযূ বা গোসলের জন্য পানি পাওয়া না গেলে, অসুখ বা অন্য কোন কারণে পানি ব্যবহারে অপারগ হলে পাক মাটি বা মাটি জাতীয় কোন বস্ত্ত দ্বারা শরীআতের নিয়ম অনুযায়ী তায়াম্মুম করতে হয়।
তায়াম্মুমের নিয়ম :
পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যতে শুকনো পাক মাটি বা মাটি জাতীয় কোন বস্ত্তর উপর দু’হাতের পাতা রাখতে হবে। অতঃপর দু’হাতের পাতা দিয়ে মুখমন্ডল মাসহ করতে হবে। তারপর আবার দু’হাতের পাতা মাটিতে রাখতে হবে। অতঃপর বাম হাতের তালু ও আঙ্গুলী দিয়ে ডান হাত কনুই পর্যন্ত মাসহ করতে হবে। তারপর ডান হাতের তালু ও আঙ্গুলী দিয়ে বাম হাত কনুই পর্যন্ত মাসহ করতে হবে।
অযূ করা সওয়াবের কাজ। পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যতে অযূ করতে হয়। অযূ করার সময় এর ফরযগুলো যথাযথ ভাবে আদায় করতে হবে। তাই সমগ্র মুখমন্ডল তিন বার ধুতে হবে। এ সময় তিন বার কুলি করতে হবে এবং তিন বার নাকে পানি দিয়ে ভালভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। উভয় হাত কনুই পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে। ভিজা হাতে মাথা মাসহ করতে হবে। উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে।
গোসল :
পবিত্র পানি দ্বারা সমস্ত শরীর ধোয়াকে গোসল বলা হয়। গোসলের মাধ্যমে শরীরের ময়লা দূর হয়। শরীর পাক পবিত্র হয়। শরীর সতেজ হয়। মন প্রফুল্ল হয়।
গোসলের ফরয :
গোসলের ফরয তিনটি :
১। গড়গড়াসহ কুলি করা।
২। নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা।
৩। সমস্ত শরীর ধৌত করা।
গোসলের নিময় :
দু’ হাত কবজি পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে।
গড়গড়াসহ তিন বার কুলি করতে হবে।
নাকে পানি দিয়ে তিন বার ভালভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে।
শরীরে বা কাপড়ে কোন ময়লা বা নাপাকী থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে।
সমস্ত শরীর পানি দ্বারা ভালভাবে ধৌত করতে হবে।
তায়াম্মুম :
পানির পরিবর্তে মাটি বা মাটি জাতীয় বস্ত্ত দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাকে তায়াম্মুম বলা হয়। অযূ বা গোসলের জন্য পানি পাওয়া না গেলে, অসুখ বা অন্য কোন কারণে পানি ব্যবহারে অপারগ হলে পাক মাটি বা মাটি জাতীয় কোন বস্ত্ত দ্বারা শরীআতের নিয়ম অনুযায়ী তায়াম্মুম করতে হয়।
তায়াম্মুমের নিয়ম :
পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যতে শুকনো পাক মাটি বা মাটি জাতীয় কোন বস্ত্তর উপর দু’হাতের পাতা রাখতে হবে। অতঃপর দু’হাতের পাতা দিয়ে মুখমন্ডল মাসহ করতে হবে। তারপর আবার দু’হাতের পাতা মাটিতে রাখতে হবে। অতঃপর বাম হাতের তালু ও আঙ্গুলী দিয়ে ডান হাত কনুই পর্যন্ত মাসহ করতে হবে। তারপর ডান হাতের তালু ও আঙ্গুলী দিয়ে বাম হাত কনুই পর্যন্ত মাসহ করতে হবে।
সালাতের উপকারিতা :
সালাত ইসলামের ভিত্তি। সালাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সালাত মানুষকে মন্দ কাজ থেকে রক্ষা করে। সালাত আদায়কারীর প্রতি আল্লাহর রহমত থাকে। তার খাওয়া পরায় কষ্ট হয় না। সকল কাজে আল্লাহ বরকত দেন। সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। সালাত জান্নাতের চাবি।
সালাতের সময় :
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দৈনিক পাঁচবার সলাত আদায় করা ফরয। পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের সময় সূচী হলো:
১। ফজর : সুবহি সাদিক থেকে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত।
২। যোহর : সূর্য মাথার উপর থেকে পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার পর থেকে প্রত্যেক বস্ত্তর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত।
৩। আসর : প্রত্যেক বস্ত্তর ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত।
৪। মাগরিব : সূর্য ডোবার পর থেকে পশ্চিমাকাশে লাল আভা থাকা পর্যন্ত।
৫। ইশা : পশ্চিমাকাশের লাল আভা অস্তমিত হওয়ার পর থেকে সুবহি সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত।
সালাতের ওয়াজিব :
১। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়া।
২। সূরা ফাতিহার সাথে কুরআন মাজীদের অন্য কোন সূরা বা অংশ বিশেষ পাঠ করা।
৩। ফরয সালাতের প্রথম দু’রাকআতে কুরআনের অংশ বিশেষ পড়া।
৪। সালাতের মধ্যে ফরয কাজগুলোর ধারাবাহিকতা (তারতীব) রক্ষা করা।
৫। রুকু ও সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৬। দু’ সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
৭। প্রথম বৈঠক করা।
৮। উভয় বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া।
৯। ফজর, জুমা ও দু’ ঈদের সালাতে এবং মাগরিব ও ইশার প্রথম দু’ রাকআতে ইমামের উচ্চঃস্বরে এবং অন্যান্য সালাতে নিরবে কুরআন পাঠ করা।
১০। বিতরের সালাতে দোআ কুনূত পড়া।
১১। দু’ ঈদের সালাতে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা।
১২। রুকু ও সিজদায় কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ অপেক্ষা করা।
১৩। সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা।
১৪। ভুলে কোন ওয়াজিব বাদ পড়লে সাহু সিজদাহ দেয়া।
সালাতের নিয়্যত :
সালাতের জন্য নিয়্যত করা ফরয। নিয়্যত ছাড়া সালাত শুদ্ধ হবে না। তাই সালাত আদায়ের পূর্বে প্রত্যেককেই নিয়্যত করতে হবে। নিয়্যত হলো মনের দৃঢ় ইচ্ছা। নিয়্যতের কথা মুখে উচ্চারণ করার কোন প্রয়োজন নেই। মনে মনে সালাত আদায়ের দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করলেই নিয়্যত হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) নিয়্যতের বাক্য মুখে উচ্চারণ করতেন না। তাই সালাত আরম্ভ করার সময় আরবী অথবা বাংলায় নিয়্যতের বাক্য মুখে বলা জরুরী নয়।
সালাত ত্যাগ করার পরিণাম :
মুসলমানদের জন্য সালাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইচ্ছা করে সালাত ত্যাগ করা কুফরী।
বিনা ওযরে ফরয সালাত ত্যাগ করলে মস্ত বড় গুনাহ হয়। আল্লাহ তাআলা সালাত ত্যাগকারীকে মৃত্যুর পর কঠিন শাস্তি দেবেন।
সালাত ইসলামের ভিত্তি। সালাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সালাত মানুষকে মন্দ কাজ থেকে রক্ষা করে। সালাত আদায়কারীর প্রতি আল্লাহর রহমত থাকে। তার খাওয়া পরায় কষ্ট হয় না। সকল কাজে আল্লাহ বরকত দেন। সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। সালাত জান্নাতের চাবি।
সালাতের সময় :
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দৈনিক পাঁচবার সলাত আদায় করা ফরয। পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের সময় সূচী হলো:
১। ফজর : সুবহি সাদিক থেকে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত।
২। যোহর : সূর্য মাথার উপর থেকে পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার পর থেকে প্রত্যেক বস্ত্তর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত।
৩। আসর : প্রত্যেক বস্ত্তর ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত।
৪। মাগরিব : সূর্য ডোবার পর থেকে পশ্চিমাকাশে লাল আভা থাকা পর্যন্ত।
৫। ইশা : পশ্চিমাকাশের লাল আভা অস্তমিত হওয়ার পর থেকে সুবহি সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত।
সালাতের ওয়াজিব :
১। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়া।
২। সূরা ফাতিহার সাথে কুরআন মাজীদের অন্য কোন সূরা বা অংশ বিশেষ পাঠ করা।
৩। ফরয সালাতের প্রথম দু’রাকআতে কুরআনের অংশ বিশেষ পড়া।
৪। সালাতের মধ্যে ফরয কাজগুলোর ধারাবাহিকতা (তারতীব) রক্ষা করা।
৫। রুকু ও সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৬। দু’ সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
৭। প্রথম বৈঠক করা।
৮। উভয় বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া।
৯। ফজর, জুমা ও দু’ ঈদের সালাতে এবং মাগরিব ও ইশার প্রথম দু’ রাকআতে ইমামের উচ্চঃস্বরে এবং অন্যান্য সালাতে নিরবে কুরআন পাঠ করা।
১০। বিতরের সালাতে দোআ কুনূত পড়া।
১১। দু’ ঈদের সালাতে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা।
১২। রুকু ও সিজদায় কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ অপেক্ষা করা।
১৩। সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা।
১৪। ভুলে কোন ওয়াজিব বাদ পড়লে সাহু সিজদাহ দেয়া।
সালাতের নিয়্যত :
সালাতের জন্য নিয়্যত করা ফরয। নিয়্যত ছাড়া সালাত শুদ্ধ হবে না। তাই সালাত আদায়ের পূর্বে প্রত্যেককেই নিয়্যত করতে হবে। নিয়্যত হলো মনের দৃঢ় ইচ্ছা। নিয়্যতের কথা মুখে উচ্চারণ করার কোন প্রয়োজন নেই। মনে মনে সালাত আদায়ের দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করলেই নিয়্যত হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) নিয়্যতের বাক্য মুখে উচ্চারণ করতেন না। তাই সালাত আরম্ভ করার সময় আরবী অথবা বাংলায় নিয়্যতের বাক্য মুখে বলা জরুরী নয়।
সালাত ত্যাগ করার পরিণাম :
মুসলমানদের জন্য সালাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইচ্ছা করে সালাত ত্যাগ করা কুফরী।
বিনা ওযরে ফরয সালাত ত্যাগ করলে মস্ত বড় গুনাহ হয়। আল্লাহ তাআলা সালাত ত্যাগকারীকে মৃত্যুর পর কঠিন শাস্তি দেবেন।
সাওমের পরিচয় :
صَوْمٌ অর্থ বিরত থাকা। সাওয়াব লাভের আশায় সুবহি সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর রমযানের এক মাস সাওম পালন করা ফরয।
সাওমের ফযীলত :
সাওম একটি ফরয ইবাদত। সাওমের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয়। সাওম পালনকারী বিভিন্ন পাপ কাজ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। সাওম পালনকারীকে আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত ভালবাসেন। তিনি নিজে সাওমের পুরস্কার দেবেন। সাওম পালনকারী পরকালে জান্নাত লাভ করবে।
সাহরী :
সাওম পালনের উদ্দেশ্যে সুবহি সাদিকের পূর্বে পানাহার করাকে সাহরী বলা হয়। সাহরী খাওয়া সুন্নত। সাহরীতে অনেক বরকত রয়েছে।
ইফতার :
সাওম ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পানাহার করাকে ইফতার বলা হয়। সূর্যাস্তের পর পরই ইফতার করতে হয়। সাওম পালনকারীর জন্য ইফতার খুবই আনন্দকায়ক। কোন সাওম পালনকারীকে ইফতার করানো বড়ই সওয়াবের কাজ।
যাকাতের পরিচয় :
যাকাত অর্থ পবিত্র হওয়া, বৃদ্ধি পাওয়া। ইসলাম ধর্মে ধনী ব্যক্তিদের ধন সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করাকে যাকাত বলা হয়। বছরে একবার সম্পদের যাকাত আদায় করা ফরয।
যাকাতের উপকারিতা :
যাকাত ইসলামের একটি ভিত্তি। যাকাতের মাধ্যমে ধনীদের ধন সম্পদ পবিত্র হয়। গরীবদের অভাব দূর হয়। ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে সু সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যাকাত গরীবের হক। যাকাত আদায় না করলে গুনাহ হয়। যাকাত দিলে আল্লাহ তাআলা খুশী হন। ধন সম্পদে বরকত দেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) অযূ কীভাবে করতে হয়?
খ) গোসলের ফরয কয়টি ও কী কী?
গ) তায়াম্মুম কাকে বলে?
ঘ) যুহরের সালাতের সময় কোনটি?
ঙ) ইমাম কোন সালাতে উচ্চঃস্বরে কিরাত পড়বেন?
চ) সাওম কী?
ছ) যাকাত কাকে বলে?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) পবিত্র ......... দ্বারা অযূ করতে হয়।
খ) গোসলের মাধ্যমে শরীরের ......... দূর হয়।
গ) সালাত মানুষকে ........ থেকে রক্ষা করে।
ঘ) দৈনিক ........ বার সালাত আদায় করা ফরয।
ঙ) ইচ্ছা করে সালাত ........ করা কুফরী।
চ) صَوْمٌ অর্থ ....... থাকা।
ছ) বছরে একবার সম্পদের ..... আদায় করা ফরয।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) পবিত্রতার প্রথম সোপান কী?
(i) অযূ
(ii) গোসল
(iii) তায়াম্মুম
খ) কী দিয়ে তায়াম্মুম করতে হয়?
(i) পানি
(ii) মাটি
(iii) বরফ
গ) জান্নাতের চাবি কোনটি?
(i) যাকাত
(ii) সাওম
(iii) সালাত
ঘ) সূর্য উঠার আগে কোন সালাত আদায় করতে হয়?
(i) ফজর
(ii) যুহর
(iii) আসর
ঙ) বিতরের সালাতে কী পড়া ওয়াজিব?
(i) সূরা ইখলাস
(ii) তাশাহহুদ
(iii) দোআ কুনূত
চ) সাওম ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পানাহার করাকে কী বলা হয়?
(i) সাহরী
(ii) ইফতার
(iii) তাকওয়া
ছ) যাকাত কার হক?
(i) ধনীর
(ii) গরীবের
(iii) ব্যবসায়ীর
صَوْمٌ অর্থ বিরত থাকা। সাওয়াব লাভের আশায় সুবহি সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর রমযানের এক মাস সাওম পালন করা ফরয।
সাওমের ফযীলত :
সাওম একটি ফরয ইবাদত। সাওমের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয়। সাওম পালনকারী বিভিন্ন পাপ কাজ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। সাওম পালনকারীকে আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত ভালবাসেন। তিনি নিজে সাওমের পুরস্কার দেবেন। সাওম পালনকারী পরকালে জান্নাত লাভ করবে।
সাহরী :
সাওম পালনের উদ্দেশ্যে সুবহি সাদিকের পূর্বে পানাহার করাকে সাহরী বলা হয়। সাহরী খাওয়া সুন্নত। সাহরীতে অনেক বরকত রয়েছে।
ইফতার :
সাওম ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পানাহার করাকে ইফতার বলা হয়। সূর্যাস্তের পর পরই ইফতার করতে হয়। সাওম পালনকারীর জন্য ইফতার খুবই আনন্দকায়ক। কোন সাওম পালনকারীকে ইফতার করানো বড়ই সওয়াবের কাজ।
যাকাতের পরিচয় :
যাকাত অর্থ পবিত্র হওয়া, বৃদ্ধি পাওয়া। ইসলাম ধর্মে ধনী ব্যক্তিদের ধন সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করাকে যাকাত বলা হয়। বছরে একবার সম্পদের যাকাত আদায় করা ফরয।
যাকাতের উপকারিতা :
যাকাত ইসলামের একটি ভিত্তি। যাকাতের মাধ্যমে ধনীদের ধন সম্পদ পবিত্র হয়। গরীবদের অভাব দূর হয়। ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে সু সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যাকাত গরীবের হক। যাকাত আদায় না করলে গুনাহ হয়। যাকাত দিলে আল্লাহ তাআলা খুশী হন। ধন সম্পদে বরকত দেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) অযূ কীভাবে করতে হয়?
খ) গোসলের ফরয কয়টি ও কী কী?
গ) তায়াম্মুম কাকে বলে?
ঘ) যুহরের সালাতের সময় কোনটি?
ঙ) ইমাম কোন সালাতে উচ্চঃস্বরে কিরাত পড়বেন?
চ) সাওম কী?
ছ) যাকাত কাকে বলে?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) পবিত্র ......... দ্বারা অযূ করতে হয়।
খ) গোসলের মাধ্যমে শরীরের ......... দূর হয়।
গ) সালাত মানুষকে ........ থেকে রক্ষা করে।
ঘ) দৈনিক ........ বার সালাত আদায় করা ফরয।
ঙ) ইচ্ছা করে সালাত ........ করা কুফরী।
চ) صَوْمٌ অর্থ ....... থাকা।
ছ) বছরে একবার সম্পদের ..... আদায় করা ফরয।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) পবিত্রতার প্রথম সোপান কী?
(i) অযূ
(ii) গোসল
(iii) তায়াম্মুম
খ) কী দিয়ে তায়াম্মুম করতে হয়?
(i) পানি
(ii) মাটি
(iii) বরফ
গ) জান্নাতের চাবি কোনটি?
(i) যাকাত
(ii) সাওম
(iii) সালাত
ঘ) সূর্য উঠার আগে কোন সালাত আদায় করতে হয়?
(i) ফজর
(ii) যুহর
(iii) আসর
ঙ) বিতরের সালাতে কী পড়া ওয়াজিব?
(i) সূরা ইখলাস
(ii) তাশাহহুদ
(iii) দোআ কুনূত
চ) সাওম ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পানাহার করাকে কী বলা হয়?
(i) সাহরী
(ii) ইফতার
(iii) তাকওয়া
ছ) যাকাত কার হক?
(i) ধনীর
(ii) গরীবের
(iii) ব্যবসায়ীর
(ক) সালামের আদব :
এক মুসলমানের সাথে অপর মুসলমানের সাক্ষাৎ হলে সালাম দেয়া সুন্নত। কেউ সালাম দিলে সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব। সালাম দেয়ার সময় বলতে হয় اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ অর্থাৎ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। সালামের জবাবে বলতে হয় وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ অর্থাৎ আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) বেশী বেশী সালাম বিনিময় করতে বলেছেন। তাই মাতা পিতা, শিক্ষক ও মুরুববীদেরকে বেশী করে সালাম দিতে হবে।
কয়েকটি অবস্থায় সালাম বিনিময় করা উচিত নয়
* পেশাব পায়খানা করা অবস্থায়।
* অযূ করা অবস্থায়।
* গোসল করা অবস্থায়।
* সালাত আদায় করা অবস্থায়।
* কুরআন তিলাওয়াত করা অবস্থায়।
* খুৎবার উদ্দেশ্যে ইমাম মিম্বরে থাকা অবস্থায়।
(খ) মুসাফাহার আদব :
এক মুসলমানের সাথে অপর মুসলমানের সাক্ষাত হলে সালামের পর মুসাফাহা করা সুন্নত। মুসাফাহা ডান হাতে করতে হয়। বাম হাতে মুসাফাহা করা বৈধ নয়। ডান হাতের আঙ্গুল ও তালু দ্বারা মুসাফাহা করতে হবে। শুধু আঙ্গুল দ্বারা মুসাফাহা করা যাবে না। মুসাফাহা করার সময় দু’জনেই বলবে يَعْفِرُاللهُ لَنَا وَلَكُمْ অর্থাৎ আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে ক্ষমা করুন। দু’জনের মধ্যে বয়সে ও মর্যাদায় যিনি বড়, তিনি মুসাফাহার জন্য আগে হাত বাড়াবেন। তিনি মুসাফাহার জন্য হাত না বাড়ালে ছোটর হাত বাড়ানো উচিত নয়।
(গ) পানাহারের আদব :
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পানাহার করতে হয়। পানাহারের কিছু আদব রয়েছে, যেগুলোর প্রতি সকলেরই লক্ষ্য রাখা উচিত।
* بِسْمِ اللهِ বলে পানাহার শুরু করতে হবে।
* পানাহার শেষে اَلْحَمْدُ للهِ স্পষ্ট বলতে হবে।
* ডান হাতে পানাহার করতে হবে। বাম হাতে পানাহার করা যাবে না।
* বসে পানাহার করতে হবে। দাঁড়িয়ে পানাহার করা উচিত নয়।
* পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাত্রে পানাহার করতে হবে।
* খাবার শুরুর পূর্বে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
* পানাহার করার সময় অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
* ধীর স্থির ভাবে পানাহার করতে হবে।
* পানি বা অন্য কিছু পান করার সময় দম নিয়ে নিয়ে পান করতে হবে। এক নিঃশ্বাসে পান করা কিংবা পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা উচিত নয়।
* একই পাত্রে কয়েক জনের খাবার থাকলে যার যার সামনে থেকে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
* এক সাথে বসে পানাহারের সময় নিজে আগে না নিয়ে অন্যকে নেয়ার সুযোগ দিতে হবে।
* পানাহারের সময় কোন কিছু অপচয় বা নষ্ট করা যাবে না।
এক মুসলমানের সাথে অপর মুসলমানের সাক্ষাৎ হলে সালাম দেয়া সুন্নত। কেউ সালাম দিলে সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব। সালাম দেয়ার সময় বলতে হয় اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ অর্থাৎ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। সালামের জবাবে বলতে হয় وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ অর্থাৎ আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) বেশী বেশী সালাম বিনিময় করতে বলেছেন। তাই মাতা পিতা, শিক্ষক ও মুরুববীদেরকে বেশী করে সালাম দিতে হবে।
কয়েকটি অবস্থায় সালাম বিনিময় করা উচিত নয়
* পেশাব পায়খানা করা অবস্থায়।
* অযূ করা অবস্থায়।
* গোসল করা অবস্থায়।
* সালাত আদায় করা অবস্থায়।
* কুরআন তিলাওয়াত করা অবস্থায়।
* খুৎবার উদ্দেশ্যে ইমাম মিম্বরে থাকা অবস্থায়।
(খ) মুসাফাহার আদব :
এক মুসলমানের সাথে অপর মুসলমানের সাক্ষাত হলে সালামের পর মুসাফাহা করা সুন্নত। মুসাফাহা ডান হাতে করতে হয়। বাম হাতে মুসাফাহা করা বৈধ নয়। ডান হাতের আঙ্গুল ও তালু দ্বারা মুসাফাহা করতে হবে। শুধু আঙ্গুল দ্বারা মুসাফাহা করা যাবে না। মুসাফাহা করার সময় দু’জনেই বলবে يَعْفِرُاللهُ لَنَا وَلَكُمْ অর্থাৎ আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে ক্ষমা করুন। দু’জনের মধ্যে বয়সে ও মর্যাদায় যিনি বড়, তিনি মুসাফাহার জন্য আগে হাত বাড়াবেন। তিনি মুসাফাহার জন্য হাত না বাড়ালে ছোটর হাত বাড়ানো উচিত নয়।
(গ) পানাহারের আদব :
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পানাহার করতে হয়। পানাহারের কিছু আদব রয়েছে, যেগুলোর প্রতি সকলেরই লক্ষ্য রাখা উচিত।
* بِسْمِ اللهِ বলে পানাহার শুরু করতে হবে।
* পানাহার শেষে اَلْحَمْدُ للهِ স্পষ্ট বলতে হবে।
* ডান হাতে পানাহার করতে হবে। বাম হাতে পানাহার করা যাবে না।
* বসে পানাহার করতে হবে। দাঁড়িয়ে পানাহার করা উচিত নয়।
* পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাত্রে পানাহার করতে হবে।
* খাবার শুরুর পূর্বে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
* পানাহার করার সময় অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
* ধীর স্থির ভাবে পানাহার করতে হবে।
* পানি বা অন্য কিছু পান করার সময় দম নিয়ে নিয়ে পান করতে হবে। এক নিঃশ্বাসে পান করা কিংবা পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা উচিত নয়।
* একই পাত্রে কয়েক জনের খাবার থাকলে যার যার সামনে থেকে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
* এক সাথে বসে পানাহারের সময় নিজে আগে না নিয়ে অন্যকে নেয়ার সুযোগ দিতে হবে।
* পানাহারের সময় কোন কিছু অপচয় বা নষ্ট করা যাবে না।
ওয়াদা পালন :
ওয়াদা পালন একটি মহৎগুণ। ওয়াদা হলো কাউকে কোন ব্যাপারে কথা দেয়া বা অঙ্গীকার করা। কারো সাথে কোন ব্যাপারে ওয়াদা করলে তা পালন করতে হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন- ‘প্রকৃত মু’মিন কোন ওয়াদা করলে তা পালন করে।’ যে ব্যক্তি ওয়াদা পালন করে সে সকলের নিকট বিশ্বস্ত হয়। সবাই তাকে ভালবাসে। যে ওয়াদা পালন করে না, তাকে কেউ বিশ্বাস করে না। সবাই তাকে ঘৃণা করে। ওয়াদা ভংগ করা মুনাফিকের আলামত। ইচ্ছা করে ওয়াদা ভঙ্গ করলে বড় গুনাহ। আমরা সবসময় ওয়াদা পালন করব। ইচ্ছা করে কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করব না। এমন ওয়াদা কখনো করব না, যা পালন করতে পারব না।
ওয়াদা পালন ঈমানদারের
একটি মহৎ গুণ
ভঙ্গ করা মস্ত গুনাহ
শোনরে বাছা শোন।
আমানত :
কারো কাছে কোন কিছু গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলা হয়। হেফাযত ও নিরাপত্তার জন্য আমানত রাখা হয়। আমানত রক্ষা করা ওয়াজিব। আমানত রক্ষা না করাকে খেয়ানত বলা হয়। আমানতের খেয়ানত করা মোনাফিকের আলামত এবং মস্ত বড় গুনাহর কাজ। আমরা সব সময় আমানত রক্ষা করব। কখনো আমানতের খেয়ানত করব না। কেউ কিছু আমানত রাখলে তা যথাযথ হেফাযত করব। এর যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখব। আবার নির্দিষ্ট সময়ে তা ফেরত দিব।
থাকে যদি আমানত
রক্ষা কর তবে,
খেয়ানত কর যদি
মস্ত গুনাহ হবে।
সদাচরণ :
সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করাকে সদাচরণ বলা হয়। সদাচরণ একটি মহৎ গুণ। আমরা সকলের সাথে সর্বদা ভাল ব্যবহার করব। কারো সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করব না। কাউকে গালি দিব না। কারো সাথে ঝগড়া করব না। মারামারি করব না। কারো মনে কষ্ট দিব না। কখনো মিথ্যা কথা বলব না। মাতা পিতা ও গুরুজনদের কথা সব সময় মেনে চলব। বড়দের সম্মান করব। ছোটদের স্নেহ করব। অনুমতি ছাড়া কারো কোন জিনিস ধরব না। কাউকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করব না। লজ্জা দিব না। কারো কোন ক্ষতি করব না।
ছোট বড় সবার সাথে
সদাচরণ করব
সত্য, সুন্দর, ন্যায়ের পথে
জীবনটাকে গড়ব।
ওয়াদা পালন একটি মহৎগুণ। ওয়াদা হলো কাউকে কোন ব্যাপারে কথা দেয়া বা অঙ্গীকার করা। কারো সাথে কোন ব্যাপারে ওয়াদা করলে তা পালন করতে হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন- ‘প্রকৃত মু’মিন কোন ওয়াদা করলে তা পালন করে।’ যে ব্যক্তি ওয়াদা পালন করে সে সকলের নিকট বিশ্বস্ত হয়। সবাই তাকে ভালবাসে। যে ওয়াদা পালন করে না, তাকে কেউ বিশ্বাস করে না। সবাই তাকে ঘৃণা করে। ওয়াদা ভংগ করা মুনাফিকের আলামত। ইচ্ছা করে ওয়াদা ভঙ্গ করলে বড় গুনাহ। আমরা সবসময় ওয়াদা পালন করব। ইচ্ছা করে কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করব না। এমন ওয়াদা কখনো করব না, যা পালন করতে পারব না।
ওয়াদা পালন ঈমানদারের
একটি মহৎ গুণ
ভঙ্গ করা মস্ত গুনাহ
শোনরে বাছা শোন।
আমানত :
কারো কাছে কোন কিছু গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলা হয়। হেফাযত ও নিরাপত্তার জন্য আমানত রাখা হয়। আমানত রক্ষা করা ওয়াজিব। আমানত রক্ষা না করাকে খেয়ানত বলা হয়। আমানতের খেয়ানত করা মোনাফিকের আলামত এবং মস্ত বড় গুনাহর কাজ। আমরা সব সময় আমানত রক্ষা করব। কখনো আমানতের খেয়ানত করব না। কেউ কিছু আমানত রাখলে তা যথাযথ হেফাযত করব। এর যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখব। আবার নির্দিষ্ট সময়ে তা ফেরত দিব।
থাকে যদি আমানত
রক্ষা কর তবে,
খেয়ানত কর যদি
মস্ত গুনাহ হবে।
সদাচরণ :
সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করাকে সদাচরণ বলা হয়। সদাচরণ একটি মহৎ গুণ। আমরা সকলের সাথে সর্বদা ভাল ব্যবহার করব। কারো সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করব না। কাউকে গালি দিব না। কারো সাথে ঝগড়া করব না। মারামারি করব না। কারো মনে কষ্ট দিব না। কখনো মিথ্যা কথা বলব না। মাতা পিতা ও গুরুজনদের কথা সব সময় মেনে চলব। বড়দের সম্মান করব। ছোটদের স্নেহ করব। অনুমতি ছাড়া কারো কোন জিনিস ধরব না। কাউকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করব না। লজ্জা দিব না। কারো কোন ক্ষতি করব না।
ছোট বড় সবার সাথে
সদাচরণ করব
সত্য, সুন্দর, ন্যায়ের পথে
জীবনটাকে গড়ব।
মাতা পিতা আমাদের সবচেয়ে আপন জন। তাঁরা সব সময় সন্তানের মঙ্গল চান। মাতা পিতা অনেক কষ্ট সহ্য করে আমাদের লালন পালন করেছেন। তারা আমাদের ভরণ পোষণ ও লেখা পড়ার ব্যবস্থা করছেন। মাতা-পিতার প্রতি সম্মান করা প্রত্যেকের কর্তব্য। সন্তানের প্রতি মাতা পিতা খুশী থাকলে আল্লাহ ও খুশী থাকেন।
আমরা সর্বদা মাতা পিতার প্রতি সম্মান করব। তাদেরকে কখনো কষ্ট দিব না। তাঁদের অবাধ্য হব না। তাঁদের সাথে সব সময় ভাল ব্যবহার করব। তাদের কথা মেনে চলব।
মাতা পিতা এই দুনিয়ায়
সবার সেরা ধন
মাতা পিতা খুশী হলে
আল্লাহ খুশী হন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) কী বলে সালামের জবাব দিতে হয়?
খ) কোন হাতে মুসাফাহা করতে হয়?
গ) পানাহার শেষে কী বলতে হয়?
ঘ) ওয়াদা ভঙ্গ করা কিসের আলামত?
ঙ) আমানত রক্ষা করা কী?
চ) সদাচরণ কাকে বলে?
ছ) মাতা পিতা খুশী হলে কে খুশী হন?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) পেশাব পায়খানা করা অবস্থায়........বিনিময় করা উচিত নয়।
খ) সালামের পর ............. করা সুন্নত।
গ) .........বলে পানাহার শুরু করতে হবে।
ঘ) ওয়াদা পালন একটি.........।
ঙ) আমানতের ........... করা মুনাফিকের আলামত।
চ) আমরা বড়দের .......... করব।
ছ).........আমাদের সবচেয়ে আপন জন।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।ক) সালাম দেয়া কী?
(i) ফরয
(ii) ওয়াজিব
(iii) সুন্নত
খ) يَعْفِرُاللهُ لَنَا وَلَكُمْ কখন বলতে হয়?
(i) সালামের সময়
(ii) মুসাফাহার সময়
(iii) পানাহারের সময়
গ) কীভাবে পানাহার করতে হয়?
(i) বসে
(ii) দাঁড়িয়ে
(iii) শুয়ে
ঘ) কোনটি মুনাফিকের আলামত নয়?
(i) ওয়াদা ভঙ্গ করা
(ii) আমানতের খেয়ানত করা
(iii) ওয়াদা পালন করা
ঙ) আমানত রক্ষা না করাকে কী বলা হয়?
(i) হেফাযত
(ii) খেয়ানত
(iii) আলামত
চ) ছোটদের কী করতে হয়?
(i) স্নেহ
(ii) ঠাট্টা
(iii) ঝগড়া
ছ) মাতা পিতা সব সময় সন্তানের কী চান?
(i) কষ্ট
(ii) মঙ্গল
(iii) ক্ষতি
আমরা সর্বদা মাতা পিতার প্রতি সম্মান করব। তাদেরকে কখনো কষ্ট দিব না। তাঁদের অবাধ্য হব না। তাঁদের সাথে সব সময় ভাল ব্যবহার করব। তাদের কথা মেনে চলব।
মাতা পিতা এই দুনিয়ায়
সবার সেরা ধন
মাতা পিতা খুশী হলে
আল্লাহ খুশী হন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) কী বলে সালামের জবাব দিতে হয়?
খ) কোন হাতে মুসাফাহা করতে হয়?
গ) পানাহার শেষে কী বলতে হয়?
ঘ) ওয়াদা ভঙ্গ করা কিসের আলামত?
ঙ) আমানত রক্ষা করা কী?
চ) সদাচরণ কাকে বলে?
ছ) মাতা পিতা খুশী হলে কে খুশী হন?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) পেশাব পায়খানা করা অবস্থায়........বিনিময় করা উচিত নয়।
খ) সালামের পর ............. করা সুন্নত।
গ) .........বলে পানাহার শুরু করতে হবে।
ঘ) ওয়াদা পালন একটি.........।
ঙ) আমানতের ........... করা মুনাফিকের আলামত।
চ) আমরা বড়দের .......... করব।
ছ).........আমাদের সবচেয়ে আপন জন।
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।ক) সালাম দেয়া কী?
(i) ফরয
(ii) ওয়াজিব
(iii) সুন্নত
খ) يَعْفِرُاللهُ لَنَا وَلَكُمْ কখন বলতে হয়?
(i) সালামের সময়
(ii) মুসাফাহার সময়
(iii) পানাহারের সময়
গ) কীভাবে পানাহার করতে হয়?
(i) বসে
(ii) দাঁড়িয়ে
(iii) শুয়ে
ঘ) কোনটি মুনাফিকের আলামত নয়?
(i) ওয়াদা ভঙ্গ করা
(ii) আমানতের খেয়ানত করা
(iii) ওয়াদা পালন করা
ঙ) আমানত রক্ষা না করাকে কী বলা হয়?
(i) হেফাযত
(ii) খেয়ানত
(iii) আলামত
চ) ছোটদের কী করতে হয়?
(i) স্নেহ
(ii) ঠাট্টা
(iii) ঝগড়া
ছ) মাতা পিতা সব সময় সন্তানের কী চান?
(i) কষ্ট
(ii) মঙ্গল
(iii) ক্ষতি
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ .
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। মুহাম্মদ @ আল্লাহর রাসূল।
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ .
অর্থ : আল্লাহ অতি পবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ অতি পবিত্র। তিনি অতি মহান।
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَه، لاَ شَرِيكَ لَه، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه، وَرَسُولُه .
অর্থ : আমি এ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ .
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি সকল ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতাবান।
‘আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই’
এইতো আসল কথা
মানতে হবে তাঁরই বিধান
নয়তো জীবন বৃথা।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। মুহাম্মদ @ আল্লাহর রাসূল।
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ .
অর্থ : আল্লাহ অতি পবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ অতি পবিত্র। তিনি অতি মহান।
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَه، لاَ شَرِيكَ لَه، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه، وَرَسُولُه .
অর্থ : আমি এ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ .
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি সকল ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতাবান।
‘আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই’
এইতো আসল কথা
মানতে হবে তাঁরই বিধান
নয়তো জীবন বৃথা।
(ক) তাশাহ্হুদ :
اَلتَّحِيَّاتُ للهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه، اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه، وَرَسُولُه .
অর্থ : সকল কুশল, সকল নিবেদন ও সকল পবিত্রতা একমাত্র আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপর এবং আল্লাহর সকল সৎকর্মশীল বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি এ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
(খ) দুরূদ :
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيدٌ . اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ .
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর অনুগ্রহ করুন, যেমনটি অনুগ্রহ করেছিলেন ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর। নিশ্চয় আপনি সপ্রশংসিত, অতি মহান। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর বরকত নাযিল করুন, যেমনটি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর। নিশ্চয় আপনি সপ্রশংসিত, অতি মহান।
(গ) দোআ মাছূরা :
اَللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ .
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি, তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারবে না। সুতরাং তোমার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার প্রতি দয়া কর। নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
اَلتَّحِيَّاتُ للهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه، اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه، وَرَسُولُه .
অর্থ : সকল কুশল, সকল নিবেদন ও সকল পবিত্রতা একমাত্র আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপর এবং আল্লাহর সকল সৎকর্মশীল বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি এ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
(খ) দুরূদ :
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيدٌ . اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ .
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর অনুগ্রহ করুন, যেমনটি অনুগ্রহ করেছিলেন ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর। নিশ্চয় আপনি সপ্রশংসিত, অতি মহান। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর বরকত নাযিল করুন, যেমনটি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর। নিশ্চয় আপনি সপ্রশংসিত, অতি মহান।
(গ) দোআ মাছূরা :
اَللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ .
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি, তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারবে না। সুতরাং তোমার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার প্রতি দয়া কর। নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
১। জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য সকাল সন্ধ্যায় পড়ার দোআ
اَللَّهُمَّ أَجِرْناَ مِنَ النَّارِ .
২। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের আশায় সকাল সন্ধ্যায় পড়ার দোআ
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةَ .
৩। কঠিন কাজ সহজ করার জন্য দোআ
رَبِّ يَسِّرْ وَلاَ تُعَسِّرْ وَتَمِّمْ عَلَيْنَا بِالْخَيْرِ .
৪। দুনিয়ার বিপদ মুসীবত ও আখিরাতের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোআ
اَللَّهُمَّ احْفَظْنَا مِنْ كُلِّ بَلاَءِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الآخِرَةِ .
৫। অযূ শেষ করে পড়ার দোআ
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ الْمُتَطَهِّرِينَ .
৬। সালাতের শুরুতে পড়ার দোআ
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمٰوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفاً وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ .
৭। সালাত শুরুর পর আল্লাহর প্রশংসা সূচক দোআ বা সানা
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلاَ إِلٰهَ غَيْرُكَ .
৮। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোআ
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ .
৯। হৃদয় প্রশস্ত করা, কাজ সহজ করা ও মুখের জড়তা দূর করার জন্য দোআ
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي، وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي، وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي، يَفْقَهُوا قَوْلِي .
১০। যান বাহনে আরোহন করার দোআ
سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَه চ مُقْرِنِيْنَ وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ .
শিক্ষক নির্দেশিকা : শিক্ষক বিশুদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদেরকে দোআগুলো মুখস্ত করাবেন এবং নিয়মিত দোআগুলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ অর্থ কী?
খ) কার বিধান মানতে হবে?
গ) اَللَّهُمَّ أَجِرْناَ مِنَ النَّارِ . এটি কিসের দোআ?
ঘ) আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের দোআ কোনটি?
ঙ) কঠিন কাজ সহজ করার দোআ কোনটি?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) سُبْحَانَ اللهِ ....... سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
খ) وَأَشْهَدُ أَنَّ ........ عَبْدُه، وَرَسُولُه،
গ) وَهُوَ عَلٰى ........ قَدِيرٌ
ঘ) আল্লাহ ছাড়া.........নেই
ঙ) اَللَّهُمَّ ........ مِنْ كُلِّ بَلاَءِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الآخِرَةِ
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) الْعَظِيْمُ অর্থ কী?
(i) অতি পবিত্র
(ii) অতি মহান
(iii) অতি কঠিন
খ) ‘তিনি জীবন দেন’ কোনটির অর্থ?
(i) يُحْيِيْ
(ii) يُمِيْتُ
(iii) قَدِيْرٌ
গ) إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ কাকে বলা হয়েছে?
(i) ইবরাহীম (আ.) কে
(ii) মুহাম্মদ সা. কে
(iii) আল্লাহ তাআলাকে
ঘ) اَللَّهُمَّ أَجِرْناَ مِنَ النَّارِ কিসের দোআ?
(i) সালাত শুরুর
(ii) জাহান্নাম থেকে মুক্তির
(iii) বিপদ থেকে রক্ষার
ঙ) اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ الْمُتَطَهِّرِينَ দোআটি কখন পড়তে হয়?
(i) অযূ শেষ করে
(ii) সালাতের শুরুতে
(iii) ঘুম থেকে উঠে
সমাপ্ত
اَللَّهُمَّ أَجِرْناَ مِنَ النَّارِ .
২। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের আশায় সকাল সন্ধ্যায় পড়ার দোআ
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةَ .
৩। কঠিন কাজ সহজ করার জন্য দোআ
رَبِّ يَسِّرْ وَلاَ تُعَسِّرْ وَتَمِّمْ عَلَيْنَا بِالْخَيْرِ .
৪। দুনিয়ার বিপদ মুসীবত ও আখিরাতের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোআ
اَللَّهُمَّ احْفَظْنَا مِنْ كُلِّ بَلاَءِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الآخِرَةِ .
৫। অযূ শেষ করে পড়ার দোআ
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ الْمُتَطَهِّرِينَ .
৬। সালাতের শুরুতে পড়ার দোআ
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمٰوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفاً وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ .
৭। সালাত শুরুর পর আল্লাহর প্রশংসা সূচক দোআ বা সানা
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلاَ إِلٰهَ غَيْرُكَ .
৮। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোআ
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ .
৯। হৃদয় প্রশস্ত করা, কাজ সহজ করা ও মুখের জড়তা দূর করার জন্য দোআ
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي، وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي، وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي، يَفْقَهُوا قَوْلِي .
১০। যান বাহনে আরোহন করার দোআ
سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَه চ مُقْرِنِيْنَ وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ .
শিক্ষক নির্দেশিকা : শিক্ষক বিশুদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদেরকে দোআগুলো মুখস্ত করাবেন এবং নিয়মিত দোআগুলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
অনুশীলনী
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক) لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ অর্থ কী?
খ) কার বিধান মানতে হবে?
গ) اَللَّهُمَّ أَجِرْناَ مِنَ النَّارِ . এটি কিসের দোআ?
ঘ) আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের দোআ কোনটি?
ঙ) কঠিন কাজ সহজ করার দোআ কোনটি?
২। শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) سُبْحَانَ اللهِ ....... سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
খ) وَأَشْهَدُ أَنَّ ........ عَبْدُه، وَرَسُولُه،
গ) وَهُوَ عَلٰى ........ قَدِيرٌ
ঘ) আল্লাহ ছাড়া.........নেই
ঙ) اَللَّهُمَّ ........ مِنْ كُلِّ بَلاَءِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الآخِرَةِ
৩। সঠিক উত্তর বাছাই কর।
ক) الْعَظِيْمُ অর্থ কী?
(i) অতি পবিত্র
(ii) অতি মহান
(iii) অতি কঠিন
খ) ‘তিনি জীবন দেন’ কোনটির অর্থ?
(i) يُحْيِيْ
(ii) يُمِيْتُ
(iii) قَدِيْرٌ
গ) إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ কাকে বলা হয়েছে?
(i) ইবরাহীম (আ.) কে
(ii) মুহাম্মদ সা. কে
(iii) আল্লাহ তাআলাকে
ঘ) اَللَّهُمَّ أَجِرْناَ مِنَ النَّارِ কিসের দোআ?
(i) সালাত শুরুর
(ii) জাহান্নাম থেকে মুক্তির
(iii) বিপদ থেকে রক্ষার
ঙ) اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ الْمُتَطَهِّرِينَ দোআটি কখন পড়তে হয়?
(i) অযূ শেষ করে
(ii) সালাতের শুরুতে
(iii) ঘুম থেকে উঠে
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন