hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নুসাইরিয়া সম্প্রদায়

লেখকঃ ড. গালেব ইব্‌ন আলি আওয়াজি

১৪
তেরোতম অধ্যায়: নিষ্ফল কতক প্রচেষ্টা:
মুসলিম নেতৃবৃন্দ নুসাইরিদের ইসলামে আনার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন, কখনো ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে, কখনো সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে। যখন তারা নিজেদের দুর্বলতা দেখেছে, মুসলিমদের সাথে একমত হয়েছে এবং বাহ্যিকভাবে ইসলামের বিধানগুলো মেনে নিয়েছে।

যখন মুসলিমদের দুর্বলতা দেখেছে, তখন তারা আসল চেহারায় বের হয়েছে। তারা ইসলামের বিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, যা তারা ইতঃপূর্বে পালন করত, যেমন মসজিদ নির্মাণ করা, জামাতের সাথে সালাত আদায় করা, রমযান মাসের সিয়াম পালন করা ইত্যাদি। তারা যেসব আমল দ্বারা মুসলিমদের ধোঁকা দিত এবং বুঝাতো যে, মুসলিম ও তাদের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই, তার সবকিছু তারা ত্যাগ করত। যেসব মুসলিম মনীষী নুসাইরিদের সংস্কার ও তাদেরকে ইসলামে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন, তাদের ক’জন নিম্নরূপ:

১- সালাহ উদ্দিন আইয়ূবি রাহিমাহুল্লাহ। তিনি ক্রুসেডদের তাড়িয়ে মসজিদ নির্মাণ করেন, সেখানে নুসাইরিদের সালাত আদায়, সিয়াম পালন ও অন্যান্য ইসলামি আমলগুলো সম্পাদনের নির্দেশ দেন। এ কারণে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা তার অনুসরণ করে, কিন্তু তার মৃত্যুর পর সবত্যাগ করে ও মসজিদগুলো জীব-জন্তুর আস্তাবল বানায়।

২- জাহের বাবরস। তিনি তাতারিদের হটিয়ে নুসাইরিদের গ্রামে গ্রামে মসজিদ নির্মাণ করেন ও তাতে সালাত আদায়ের নির্দেশ দেন। তারা গ্রাম থেকে দূরে মসজিদ নির্মাণ করে পরিত্যক্ত ফেলে রাখে। অনেক সময় কোন পথিক তার পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময় যখন আযান দিত, তারা বলত: উটের ন্যায় আওয়াজ কর না, কিছুক্ষণ পরই তোমার ঘাস চলে আসছে। পর্যটক ইব্‌ন বতুতা এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন।

৩- উসমানি খলিফা “সালিম”। তিনি নুসাইরি এলাকায় মসজিদ নির্মাণসহ অনেক সংস্কারমূলক কাজ করেছেন, কিন্তু তার পরে তারা পূর্বের অবস্থানে ফিরে যায়।

৪- মিসরের গভর্নর ইবরাহিম পাশা ইব্‌ন মুহাম্মদ আলি পাশা। তিনি নুসাইরিদের বাতিল আকিদা-বিশ্বাস থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সংস্কারমূলক অনেক কাজ করেন, কিন্তু যখনি তারা নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শক্তিশালী দেখেছে, পশ্চাতে ফিরে গেছে।

৫- উসমানি সুলতান আব্দুল হামিদ। তিনি নিজের বিশেষ ব্যক্তি জিয়া পাশাকে বারবার প্রেরণ করে নুসাইরিদের হিদায়েতের চেষ্টা করেন ও তাকে লাটাকিয়া অঞ্চলের গভর্নর নিযুক্ত করেন। তিনি তাদের জন্য মসজিদ নির্মাণ ও মাদ্রাসা তৈরি করেন, ফলে তারা ইলম হাসিল, সালাত আদায় ও সিয়াম পালন করা আরম্ভ করে, তারা খলিফাকে বুঝায় যে, তারা মুসলিম। তারা খলিফার কোনো নির্দেশ অমান্য করে নি, কিন্তু যখন সে ক্ষমতা ত্যাগ করে তারা মাদ্রাসাসমূহ ধ্বংস করে ও মসজিদগুলো জ্বালিয়ে নাপাক করে দেয়। [দেখুন: ইব্‌ন বতুতা রচিত: ( تحفة الأنظار في غرائب الأمصار وعجائب الأسفار ) (পৃ.৬৫), সম্পাদনায়: আহমদ আল-আওয়ামেরি ও মুহাম্মদ আহমদ যাদুল মাওলা, প্রকাশের স্থান: কায়রো। আরো দেখুন: মুহাম্মদ কুরদ আলি রচিত: ( خطط الشام ) (/২৬০, ২৬৩) ও (৩/১০৫), الحركات الباطنية في العالم الإسلامي (পৃ.৩৩২, ৩৩৩), দেখুন: “তায়েফাতুন নুসাইরিয়াহ”: (পৃ.৬৫)]

(ইতঃপূর্বে) শায়খুল ইসলাম ইব্‌ন তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ নুসাইরিদের হিদায়েতের জন্য অনেক আলোচনা ও যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুসলিমদের নিয়ে “জাবালে কাসরাওয়ান” [“জাবালে কাসরাওয়ান” অর্থ কাসরাওয়ান পাহাড়। লেবাননের একটি প্রদেশের নাম “জাবালে লুবনান”, যার ছয়টি জেলা রয়েছে। তাতে অবস্থিত “কাসরাওয়ান” পাহাড়কে কেন্দ্র করে একটি জেলার নাম হয়েছে “কাসরাওয়ান” জেলা। সীমানা: উত্তরে জাবিল জেলা, পূর্বে বা‘লাবাক্কা জেলা ও দক্ষিণে আল-মাতন জেলা। আর পশ্চিমে ভূ-মধ্য সাগর। এ প্রদেশের রাজধানী “বাবদা”। “জাবালে লুবনান” প্রদেশ লেবাননের রাজধানী বৈরুতকে তিন দিক থেকে ঘিরে আছে: উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ, পশ্চিমে রয়েছে ভূ-মধ্য সাগর। বর্তমান এখানে খ্রিস্টান মারুনী সম্প্রদায়, গ্রিক অর্থোডক্স, রোমীয় ক্যাথলিক ও মুসলিমদের বসবাস রয়েছে। সূত্র: ইউকিপিডিয়া। অনুবাদক।] নামক স্থানে তাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ও তাদের শহর দখল করেন। অতঃপর সুলতানকে লিখে পাঠান যে, তাদের পণ্ডিতদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন, যারা তাদেরকে পথভ্রষ্ট করছে। তাদের এলাকায় ইসলামের বিধান কায়েম করুন ও সুন্নতের ব্যাপক প্রচার করুন। [দেখুন: মারয়ি আল-কারমি রচিত: ( الكواكب الدرية ) (পৃ.৯৭ ও্র ১২৬), এবং ইব্‌ন আব্দুল হাদি রচিত: ( العقود الدرية ) (পৃ.১৯৭)]

এভাবে সব প্রচেষ্টা নিষ্ফল বিনষ্ট হয়। মসজিদ নির্মাণের প্রতি তাদের বিদ্বেষের কারণ, তারা বিশ্বাস করে: যে রবকে চিনল ও তার বিধি-নিষেধ জানল সে স্বাধীন, তার উপর শরয়ী কোনো বিধান নেই। মসজিদের উপস্থিতি তাদের নিকট মূর্খতা, আমলে ত্রুটি, আল্লাহ ও তার আদেশ-নিষেধ না জানার আলামত। প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের রব সম্পর্কে সবচেয়ে বড় জাহিল।

কট্টর বাতেনিদের কুরাআন-হাদিসের বাহ্যিক অর্থ রহিত করার মূল উদ্দেশ্য এটাই। কট্টর সূফীরাও মনে করে, কেউ যদি ইয়াকিনের স্তরে উপনীত হয়, তার থেকে বিধি-বিধান উঠে যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন