hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নুসাইরিয়া সম্প্রদায়

লেখকঃ ড. গালেব ইব্‌ন আলি আওয়াজি

চতুর্থ অধ্যায়: নুসাইরিদের উদ্ভব:
শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়াদের একাদশ ইমাম হাসান আসকারির নিঃসন্তান মৃত্যু তাদের মধ্যে কঠিন বিরোধের জন্ম দেয়। তার মৃত্যুর পর শিয়ারা প্রায় ১৪-টি ফেরকায় বিভক্ত হয়, কেউ মুহাম্মদ নামে হাসান আসকারির সন্তান স্বীকার করেন, কেউ তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন।

শিয়াদের ধারণা “কোন যুগ ইমাম বিহীন থাকা সম্ভব নয়, যিনি মানুষের যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রন করেন, অন্যথায় মানুষের জীবন অচল হতে বাধ্য”। [শিয়াদের একাদশ ইমাম হাসান আসকারির নিঃসন্তান মারা যাওয়ার কারণে ইমামিয়া আকিদা চরম সংকটের সম্মুখীন হয়। কারণ তাদের বিশ্বাস প্রত্যেক যুগে অবশ্যই ইমাম থাকা জরুরি, যিনি মানুষের যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন, অন্যথায় মানবিক জীবন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। রাজতন্ত্রের ন্যায় ইমামের ছেলে ইমাম হবেন, অন্য কেউ নয়। তাই হাসান আসকারির নিঃসন্তান মৃত্যু পরবর্তী অনাকাঙ্খিত বাস্তবতার সামনে তারা বিভক্ত হয়ে পড়ে। কেউ হাসান আসকারির ছেলে ধারণা করে নেন, যার নাম মুহাম্মদ, যেহেতু বাস্তবে ছিল না, তাই তারা বলেন জন্মের পরই সে গর্তে বা সমাধিগৃহে আশ্রয় নিয়েছে। অপর দল বাস্তবতা মেনে নিয়ে তার সন্তানের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। এভাবে তাদের মধ্যে বিভিন্ন দল-উপদলের সৃষ্টি হয়। [অনুবাদক]।] [এ হিসেবে তারা বলে অবশ্যই হাসান আসকারির সন্তান ছিল, তবে জন্মের পরে তিনি সমাধিগৃহে আশ্রয় নেন] [অনুবাদক।] দ্বাদশ ইমাম যেহেতু বাহ্যিক ছিলেন না, তাই তারা “বাব” এর থিউরি উদ্ভাবন করেন। “বাব” আহলে বাইতের খাস ব্যক্তি, তিনি অদৃশ্য ইমাম ও মানুষের মাঝে মধ্যস্থতা করেন।

এ কুসংস্কারের জন্য তারা একটি জাল হাদিস পেশ করে। তাদের ধারণায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

(( من طلب العلم فعليه بالباب )، ( أنا مدينة العلم وعلي بابها ).

“যে ইলম অন্বেষণ করে, সে যেন অবশ্যই বাবকে আঁকড়ে ধরে। আমি ইলমের শহর আর আলি তার বাব” [এটি নিঃসন্দেহে একটি বানোয়াট হাদীস। ‘বাব’ শব্দের স্বাভাবিক অর্থ হচ্ছে, দরজা, দ্বার, ফটক ইত্যাদি। সে হিসেবে তাদের নিকট সরাসরি ইমামের কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই, বাব এর কাছে যেতে হবে, তিনি ইমামের কাছ থেকে জেনে লোকদেরকে জানাবেন। [সম্পাদক]]। এ থেকে তারা ইমাম নির্বাচনের সাথে “বাব”ও নির্বাচন করে। প্রথম “বাব” আলি ইব্‌ন আবু তালিব, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের “বাব” ছিলেন। দ্বিতীয় “বাব” সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু, তিনি আলি ইব্‌ন আবু তালিবের “বাব” ছিলেন। এভাবে তারা একাদশ ইমাম হাসান আসকারি পর্যন্ত “বাব” নির্ধারণ করে। অতঃপর দ্বাদশ ইমামের “বাব” নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। নুসাইরিদের দাবি দ্বাদশ ইমাম মুহাম্মদ ইব্‌নুল হাসান আসকারির কোন “বাব” ছিল না, [আবু শুআইব মুহাম্মদ ইব্‌ন নুসাইর আন-নুমাইরি শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়ার তিন ইমামের সংঘ লাভ করেছেন, যথা: আবুল হাসান আলি ইব্‌ন মুহাম্মদ “আল-হাদি”, (২১২-২৫৪হি.), আবু মুহাম্মদ আল-হাসান ইব্‌ন আলি “আল-আসকারি”, (২৩২-২৬০হি.) এবং আবুল কাসেম মুহাম্মদ ইব্‌ন আল-হাসান “আল-মাহদি”। নুসাইরি দাবি করেন, তিনি হাসান আস-কারির বাব, তার ইলমের উত্তরাধিকারী, হুজ্জত ও তার পরবর্তীতে শিয়াদের কেন্দ্রস্থল। দ্বাদশ ইমাম অদৃশ্য হলে তিনি তারও বাব এবং শিয়াদের কেন্দ্রস্থল দাবি করেন। পরবর্তীতে সে অবশ্য হাসান আল-আসকারির বাব হওয়াকে অস্বীকার করে নবুওয়ত, রিসালাত ও আলি রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর উলুহিয়্যাত দাবিসহ নানা দাবি করেছে। অনুবাদক।] বরং “বাবের” ধারাটি একাদশ ইমাম হাসান আসকারি পর্যন্ত চলমান ছিল, অর্থাৎ তার বাব ছিলেন আবু শুআইব মুহাম্মদ ইব্‌ন নুসাইর। এ থেকে নুসাইরিয়া ও দ্বাদশ ইমামিয়ার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। [ইমামিয়াদের দাবি মুহাম্মদ ইব্‌ন হাসান আল-আসকারির “বাব” রয়েছে, তবে তিনি নুসাইরি নন। অনুবাদক।] তাই মুহাম্মদ ইব্‌ন নুসাইর ও তার দল শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়া থেকে বের হয়ে যায়।

পরবর্তীতে তার মাযহাব মূর্তিপূজা ও ব্যক্তিপূজা তথা ব্যক্তির ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারী মতবাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়। আব্দুল হুসাইন আল-আসকারি তার সম্পর্কে বলেন: “ইব্‌ন নুসাইর ইমাম আবুল হাসান আল-আসকারির মধ্যে রুবুবিয়্যাত দাবি করে নিজেকে তার পক্ষ থেকে নবী ও রাসূল হিসেবে প্রচার করে”। [“আল-আলাবি”: (পৃ.১৫), আরো দেখুন: “ফেরাকুশ শিয়াহ”, লিন নওবখতি: (পৃ.৭৮)]

ইব্‌ন নুসাইর এর মৃত্যুর পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নুসাইরি ফেরকার নেতৃত্ব দেন, যারা স্ব স্ব মতামত দ্বারা তাদের মাযহাবকে প্রভাবিত করেন, ফলে তাদের আকিদায় বৈপরীত্য সৃষ্টি হয় ও নানা মতবাদের জন্ম নেয়। তাদের মধ্যে আবু মুহাম্মদ আল-জানবালানি ও তার শিষ্য হুসাইন ইব্‌ন হামদান আল-খুসাইবি, এবং মুহাম্মদ ইব্‌ন আলি আল-জালি, আলি আল-জিসরি, মায়মুন ইব্‌ন সারজুন ইব্‌ন কাসেম আত-তাবরানি, হাসান আল-মাকযূন আস-সানজারি অন্যতম। সানজারি নুসাইরিদের সর্বশেষ শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ছিল। তার মৃত্যুর পর নুসাইরিদের অবস্থা সম্পর্কে ড. সুলাইমান আল-হালবি বলেন:

“হাসান আল-মাকযূন আস-সানজারির মৃত্যুর পর নুসাইরিরা কয়েকটি দীনি প্রতিষ্ঠানে বিভক্ত হয়ে যায়, যার একটির সাথে অপরটির সম্পর্ক ছিল না। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় কেন্দ্রের রূপ পরিগ্রহ করে ও তার প্রধানকে শায়খ উপাধি দেয়া হয়। এভাবে প্রত্যেক শায়খ একটি করে কেন্দ্রের নেতৃত্ব দেন, হোক ছোট। এভাবে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে তারা মুসলিমদের গাফলতির সুযোগে নিকট অতীতে সিরিয়ায় ও অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এভাবে তাদের শক্তি ও নেতৃত্ব পুনরায় সংগঠিত হয়, তারা মুসলিমদের ঘাড়ে চেপে বসে”। [“তায়েফাতুন নুসাইরিয়াহ”: (পৃ.৪২)]

কিন্তু এবারের উত্থানে তারা নতুন কৌশল ও ধোঁকা দেয়ার লোভনীয় নাম গ্রহণ করে, যেমন “সমাজতান্ত্রিক বাথ পার্টি” এবং জনগণকে প্রগতি ও স্বাধীনতার বাণী শুনায়। সন্দেহ নেই, নাম পরিবর্তন করার উদ্দেশ্য তাদের আসল রূপ থেকে মানুষের দৃষ্টি হটানো ও অবহেলিতদের কাছে টানা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন