HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিয়া আলেম ও অধিকাংশ মুসলিম আলেমের মধ্যে বিরোধের বাস্তব চিত্র

লেখকঃ সা‘ঈদ ইসমাঈল

১৫
উপসংহার
সংক্ষেপে বলা যায়, আল-কুরআনুল কারীম ও গ্রহণযোগ্য সুন্নাহর মধ্যে এমন কোন দলিলের অস্তিত্ব নেই, যা শিয়া আলেমগণের অতিরঞ্জন পক্ষপাতিত্ব ও অন্ধ বাড়াবাড়ি নির্ভর মাযহাবকে সমর্থন করে। সুতরাং তারা সাধারণ জনগণকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে নিজেদের আকিদা-বিশ্বাসকে সংরক্ষণের জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে:

১. তাদের দাবি আল-কুরআনুল কারীম অপরিপূর্ণ ও বিকৃত; এই দাবিটি স্বাভাবিকভাবেই বিপজ্জনক ও ভয়াবহ পরিণাম বয়ে আনবে বিধায় তারা তা প্রকাশ করে না; কিন্তু তারা তা তাদের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহে ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং যারা এই দর্শনে বিশ্বাস করে, তাদের কানে তারা তা ফিসফিস করে বলে থাকে।

২. বহু বানোয়াট হাদিস উদ্ভাবন, অথবা তার (হাদিসের) ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অথবা তার ভাষ্য বা বক্তব্য বিকৃতিকরণ; তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করত যাতে এগুলোকে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের মুতাশাবেহ বা অস্পষ্ট আয়াত ছাড়াও মুহকাম তথা সুস্পষ্ট আয়াতসমূহের অর্থ বিকৃতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়, অথবা এগুলোকে তাদের পক্ষপাতদুষ্ট দাওয়াতী কর্মীদের যথার্থতা প্রমাণের ক্ষেত্রে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

৩. তাদের বাড়াবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ইসলামের ইতিহাসের ঘটনাসমূহ, অথবা তার পরিস্থিতি ও এতদসংক্রান্ত বিষয়সমূহ বানোয়াটভাবে উদ্ভাবন করা, অথবা বিকৃত করা এবং আল-কুরআনুল কারীম ও বিশুদ্ধ হাদিসসমূহের অর্থ বিকৃতির ক্ষেত্রে তার সাহায্য গ্রহণ করা। যেমনিভাবে তারা তাদের ভিন্ন অন্যদের ঐসব গ্রন্থের দ্বারা দলিল পেশ করে থাকে, যাদের গ্রন্থসমূহের শিয়াদের বানোয়াট কাহিনীসমূহের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আর শিয়ারা জা‘ফরী শিয়া ব্যতীত অন্যান্য যেমন সুন্নীদের গ্রন্থপঞ্জির অংশবিশেষ দ্বারাও কখনও কখনও দলিল-প্রমাণ পেশের অপচেষ্টা করে থাকে, যদিও সে গ্রন্থের লেখক (সুন্নী আলেম) মূলত শিয়াদের মিথ্যা ও বানোয়াট বর্ণনাসমূহের প্রতি ইঙ্গিত করে সেগুলোর জবাব দেয়ার জন্য তা তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, তারা তাদের গ্রন্থেসমূহে উল্লেখ করেন, সুন্নীদের অমুক অমুক গ্রন্থ এ বিষয়টি সমর্থন করে। অথবা তারা বলে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আলেমগণ এই বিষয়ে আমাদের সাথে একমত হয়েছেন, অথবা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের একশ কিতাব উল্লেখিত বর্ণনার প্রতি ইঙ্গিত করেছে। অথচ যখনই আপনি যেসব গ্রন্থের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, সেসব গ্রন্থসমূহ খুলে দেখা হয়, তখন আপনি দেখতে পাবেন, হয় সেখানে শিয়া কাহিনী বর্ণিত হয়েছে লেখকের পক্ষ থেকে তার জবাব দেয়ার জন্য, অথবা কাহিনীটি মোটেই বর্ণিত হয়নি; অথবা সে কাহিনীটি ভিন্ন প্রকার।

সারকথা হল, যে মুসলিম ব্যক্তি তার দীন ও পরকালে তার গন্তব্যস্থলের ব্যাপারে ভয় করে, তার জন্য উচিত হবে, ঐসব আলেমদের গ্রন্থসমূহের উপর নির্ভর করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া এবং জনগণকে সতর্ক করা, যারা মিথ্যাকে তাদের দীন ও আকিদা-বিশ্বাসের দশ ভাগের নয় ভাগ মনে করে।

শিয়া আকিদার মূল ও প্রধান কথা হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে মুসলিমদের শাসন ক্ষমতার দায়িত্ব দিয়েছেন। আর আমরা যদি এই দাওয়াতের সাথে ঐতিহাসিক বাস্তবতার তুলনা করি, যা দৃঢ়তার সাথে বলে যে, আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নের পথে আলী নিজে কোন ত্যাগ ও কুরবানী পেশ করেননি, যা তার বীরত্ব ও তাকওয়ার কারণে তার নিকট কাম্য ছিল, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবে আমাদের নিজেদেরকে তিনটি সম্ভাবনার সামনে দেখতে পাব [আমীর ইবরাহিমী, পৃ. ৭ – ২২।]:

১. [প্রথম সম্ভাবনা:] নিশ্চয় আলী; যিনি আল্লাহভীরু মুত্তাকী; তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছেন এবং তিনি তার নবীর খেয়ানত করেছেন। কারণ এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, আলী যখন দেখেছেন যে, আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ন না করার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে, তখন তিনি তা বাস্তবায়ণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন [এবং জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন নি] যদি আল্লাহর নির্দেশের বাইরে চলার মধ্যে হিকমত আছে বলে আলী রা. বুঝে থাকেন তখন এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, তিনি আল্লাহর চেয়ে অধিক হেকমত বা প্রজ্ঞা সম্পন্ন; (আলী রা. কখনও এ ধরনের বিশ্বাস করতে পারেন না); অথচ এই মারাত্মক বিশ্বাসটিই শিয়াদের আকিদা-বিশ্বাস অনুযায়ী ঈমান ও ইসলামের রুকনসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট। এমন নয় যে, এটি একটি সাময়িক বা অস্থায়ী ব্যাপার।

২. [দ্বিতীয় সম্ভাবনা:] নিশ্চয় আলী; যিনি বীর মহাবীর; যিনি আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে কোর তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় করেন না; তিনি আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন ‘তাকীয়া’র নীতি অবলম্বন করে অথবা কাপুরুষতাবশত। কারণ, তিনি আল্লাহর চেয়ে মানুষকে ভয় করতেন বেশি। (নিঃসন্দেহে আলী রা. এ ধরণের এ ধরণের কাজও করতে পারেন না)।

৩. [তৃতীয় সম্ভাবনা ও বাস্তব কথা হচ্ছে]: শিয়াদের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস ও বিভিন্ন অভিমত ও চিন্তাধারা এমন দলিল-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে দাঁড় করানো হয়েছে, যার সহীহ বা বিশুদ্ধ কোন ভিত্তি নেই; এগুলো শুধু ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে ইসলামের উপর মিথ্যা অপবাদ।

সুতরাং হে আমার মুসলিম ভাই ও বোন! আপনি আপনার নিজের জন্য চিন্তা-ভাবনা ও যাচাই-বাছাই করে দেখুন, কোনটি আপনার বিবেকসম্মত; আর কোনটি আপনার চিন্তা-চেতনার সাথে যথোপযুক্ত।

আর আল্লাহ হলেন সরল পথের দিশারী

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন