মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শিয়া আলেম ও অধিকাংশ মুসলিম আলেমের মধ্যে বিরোধের বাস্তব চিত্র
লেখকঃ সা‘ঈদ ইসমাঈল
৫
আল-কুরআনুল কারীম
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/706/5
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সরকারী মাযহাব জা‘ফরীয়া আলেমগণ বলেন: আল-কুরআনুল কারীমের আয়াত সংখ্যা সতের হাজার, যা ‘আল-উসূল মিনাল কাফী’ ( الأصول من الكافي ) নামক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। [আল-কাফী মিনাল উসূল ( الكافي من الأصول ), ২য় খণ্ড, প্রকাশকাল: ১৯৬১, পৃ. ৬৩৪; ইহসান ইলাহী যহীর, আশ-শিয়া ওয়াস সুন্নাহ ( الشيعة والسنة ), পৃ. ৭৭ – ১৫২।] আর ‘আল-কাফী’ নামক গ্রন্থ যা শিয়াদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাদিসের কিতাব, তাতে বর্ণিত হয়েছে:
“মিথ্যাবাদী ব্যতীত কোন মানুষ এই দাবি করতে পারে না যে, সে আল-কুরআন যেভাবে নাযিল হয়েছে, ঠিক সেভাবে তার পরিপূর্ণ সংকলন করেছে; আর আল্লাহ তা‘আলা তাকে যেভাবে নাযিল করেছেন, ঠিক সেভাবে তা সংকলন ও সংরক্ষণ আলী ইবন আবি তালিব আ. ও তাঁর পরবর্তী ইমামগণ ব্যতীত অন্য কেউ করতে পারে নি।” [আল-কাফী মিনাল উসূল ( الكافي من الأصول ), ১ম খণ্ড, প্রকাশকাল: ১৯৬৮, পৃ. ২৮৮।]
শিয়া আলেমগণ তাদের অনুসারীদেরকে মুসলিমদের হাতে সংরক্ষিত কুরআন পাঠের সুযোগ ততক্ষণ পর্যন্ত দিয়েছেন; যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের নিকট এমন প্রশিক্ষক আসবেন, যিনি তাদেরকে তাদের ধারণা অনুযায়ী শিয়াদের পরিপূর্ণ কুরআন শিক্ষা দেবেন। [আল-কাফী মিনাল উসূল ( الكافي من الأصول ), ২য় খণ্ড, প্রকাশকাল: ১৯৬১, পৃ. ৬৩৩; মুহিব্বুদ্দীন আল-খতিব, আল-খুতুত আল-‘আরিদা ( الخطوط العريضة ), পৃ. ১১।]
তবে মুসলিম বিদগ্ধ আলেমগণ দৃঢ়তার সাথে বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল-কুরআন সংকলন করেছেন তার ধারবাহিকতা ও পরিপূর্ণ অবস্থাসহ তিলাওয়াত ও মুখস্থকরণ উভয়ভাবেই। অতঃপর যায়েদ ইবন সাবেত রা. আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর খিলাফতকালে একই গ্রন্থের মধ্যে সংকলন ও সংরক্ষণ করেন। [সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪৭৭ – ৪৭৮।] আর ওসমান ইবন ‘আফফান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর খিলাফতকালে কুরাইশদের ভাষায় কুরআন লিপিবদ্ধের কাজ সমাপ্ত হয়, যে ভাষায় তা নাযিল হয়েছে এবং ইসলামী শহরগুলোতে তা সার্বজনীনভাবে প্রচলনের কাজ সম্পন্ন হয়। [সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪৭৮ – ৪৮০।] আর এই গ্রন্থটি বর্তমানে মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে হেদায়েত ও দলিল-প্রমাণ হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে।
তবে এর সাথে প্রসিদ্ধ সাতটি কিরাতের সম্পর্ক রয়েছে; তবে তার (কিরাতের) বিভিন্নতার পরিমাণ খুবই নগণ্য ও সাদাসিধে ধরনের, যার উপর ভিত্তি করে অর্থের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য সূচিত হয় না। আর এই ধরনের ইখতিলাফ তথা বিভিন্নতার দৃষ্টান্ত হল: مالك أو ملك , و تعلمون أو يعلمون , و يغفرلكم أو نغفرلكم ইত্যাদি। [মান্না‘উল কাত্তান, মাবাহেসু ফী ‘উলুমিল কুরআন ( مباحث في علوم القرآن ), পৃ. ১৭০ – ১৮৫।]
মুসলিম আলেমগণ আল-কুরআনুল কারীম কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন। কারণ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ سورة الحجر : 9]
“আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক।” [সূরা আল-হিজর: ৯।]
“আর এটা অবশ্যই এক মহিমময় গ্রন্থ; কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না — অগ্র থেকেও নয়, পশ্চাত থেকেও নয়। তা নাযিল হয়েছে প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহ নিকট থেকে।” [সূরা ফুসসিলাত: ৪১ – ৪২।]
আল্লাহ তা‘আলা তার সংরক্ষণ ও হেফাযতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে তা হতে পারে সকল স্থানের ও সকল যুগের মুসলিমদের জন্য আলোকবর্তিকা ও হেদায়েত। আর পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহের সাথে এই গ্রন্থটির তুলনা করলে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠবে যে, এই কিতাবটি সংরক্ষণ করার ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতির মত করে পূর্ববর্তী কোন কিতাব সংরক্ষণের জন্য এমন প্রতিশ্রুতি লিপিবদ্ধ হয়নি। সুতরাং সে সমস্ত গ্রন্থের নীতিমালা বিদ্যমান ও সংরক্ষিত রয়েছে সত্য, কিন্তু মানুষ তার থেকে কিছু পরিবর্তন করে তার আকৃতিগত ও অর্থগত বিকৃতির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিজ্ঞ আলেমগণ যে ব্যক্তি আল-কুরআন বিকৃত বলে বিশ্বাস করে, তাকে গোটা কুরআন অস্বীকারকারী ব্যক্তির মত কাফির বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। [ইহসান ইলাহী যহীর, আশ-শিয়া ওয়াস সুন্নাহ ( الشيعة و السنة ), পৃ. ১৪১ – ১৪৭।] কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং তোমাদের যারা এরূপ করে, তাদের একমাত্র প্রতিফল পার্থিব জীবনে অপমান এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিন শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে অনবহিত নন।” [সূরা আল-বাকারা: ৮৫।]
হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা! আপনারা নিজে নিজেই উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন যে, সূরাসমূহের শুরুতে উল্লেখিত বিসমিল্লাহ ব্যতীত আল-কুরআনুল কারীমের আয়াত সংখ্যা ছয় হাজার দুইশত ছত্রিশ মাত্র। এই জন্য শিয়া আলেমগণ বলে থাকে যে, এই কুরআন পরিপূর্ণ নয়। আমরা আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করি, আমরা কি জা‘ফরীয়া আলেমদেরকে বিশ্বাস করব, নাকি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলাকে বিশ্বস করব, অথচ তিনি তার সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ? অপরদিকে মুসলিম আলেমগণ বিশ্বাস করেন যে, আল-কুরআন সকল প্রকার বিকৃতি থেকে মুক্ত; আর তাতে যে কোন ধরনের বিকৃতি বা পরিবর্তন সংঘটিত হলে, তা দ্রুত উদঘাটন হয়ে যাবে।
সম্ভবত কিছু সংখ্যক শিয়া আলেম শিয়া দর্শনকে হেফাযত করা বা টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ‘তাকীয়া’ আকিদার আড়ালে আল-কুরআন বিকৃতির আকিদা-বিশ্বাসকে অস্বীকার করে। সুতরাং কোন সিদ্ধান্ত প্রকাশের পূর্বে তাদের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহ থেকে তা প্রমাণিত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/706/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।