মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শিয়া আলেম ও অধিকাংশ মুসলিম আলেমের মধ্যে বিরোধের বাস্তব চিত্র
লেখকঃ সা‘ঈদ ইসমাঈল
৪
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/706/4
যখন সুপথ প্রদর্শনের জন্য মানব জাতির মাঝে ইসলামের আলো বিচ্ছুরিত হয়েছে, তখন মানুষের মধ্য থেকে একটি বাছাইকৃত দল তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং তারা তার প্রচার, প্রসার ও তার শত্রুদের প্রতিরোধে একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। অতএব তার ফলে ইসলাম খুব দ্রুতগতিতে জনবহুল অঞ্চলসমূহে ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামের এই প্রভাবের কারণে জাতীয়তাবাদি ও ধর্মীয় ব্যক্তিগণের মধ্য থেকে হিংসুকগণ হিংসা করতে লাগল এবং বিদ্বেষ পোষণকারীগণ বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিল; বিশেষ করে সংকীর্ণ চিন্তা ও জ্ঞানের অধিকারী ইয়াহূদীগণ। অতঃপর তারা বিভিন্ন উপায়-উপকরণ ও পদ্ধতি অবলম্বন করে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে শুরু করল। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা ও মুসলিমদের মধ্যে ফিতনা ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করল; তবে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমদের ঈমান এতই শক্তিশালী ছিল যে, এসব ফিতনা ও ষড়যন্ত্র তাদের ঈমান বা বিশ্বাসকে এতটুকু নড়বড়ে করতে পারে নি। কিন্তু যখন মুমিনদের প্রথম প্রজন্ম অতিবাহিত হয়ে গেল; সকল জাতি ও ধর্ম থেকে একটা বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হল এবং ইসলামী উম্মাহর গণ্ডি সম্প্রসারিত হল, তখন থেকে বিশেষ করে ইয়াহূদী ষড়যন্ত্রের অস্তিত্ব লাভ করল। এই প্রসারতার সুযোগে আবদুল্লাহ ইবন সাবা ও তার অনুসারীদের তৎপরতা ব্যাপক হারে চলতে থাকে এবং সে তার আহ্বানে প্রাথমিকভাবে সেখানে ব্যাপক সাড়া পায়, যে অঞ্চলের অধিবাসীগণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ইসলামী শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়নি। অতঃপর তার ঘৃণ্য দাওয়াতি তৎপরতা অপরাপর ইসলামী ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে। [ইহসান ইলাহী যহীর, আশ-শিয়া ওয়াস সুন্নাহ ( الشيعة و السنة ), পৃ. ১৭ – ২৪।]
খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার যুগে সাহাবীদের বিশাল সংখ্যা বিদ্যমান ছিল; মুসলিমদের মধ্য থেকে বিজ্ঞজনেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিনিধি (খলিফা) আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর নিকট আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন, অতঃপর ওমর রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর নিকট আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন, অতঃপর ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর নিকট আনুগত্যের শপথ গ্রহণ হয় সর্বসম্মতভাবে; কোনো একজন ব্যক্তিও দাবি করেনি যে, আলী রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ছিলেন অন্যদের চেয়ে খেলাফতের যোগ্যতম অধিকারী এবং তিনি হলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যখন ইয়াহূদী ষড়যন্ত্র এবং গোত্রীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ কার্যকর হতে শুরু করল এবং ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর খেলাফতের শেষের দিকে তার ভয়াবহতা প্রকট আকার ধারণ করল, তখন এমন কিছু ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটল, যে বলে: আলী রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু, তাঁর দুই ছেলে হাসান ও হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা এবং হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বংশের কিছু সংখ্যক ব্যক্তি হলেন অন্যান্যদের চেয়ে ইসলামী খেলাফতের অতি উত্তম উত্তরাধিকারী এবং তাদের মধ্যেই খেলাফত কিয়ামত পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে।
আর এই দাওয়াতের অস্তিত্ব পাওয়া যায় পারস্য সাম্রাজ্যের রাজধানী মাদায়েনের উর্বর মাটিতে; বিশেষ করে হোসাইন রা. পারস্য সম্রাট এযদাজারদের কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন, যার সিংহাসন উল্টিয়ে দিয়েছিল ইসলামের বিজয়ী সৈন্য বাহিনীগণ। [আলী হাসান, পৃ. ২৩০ - ২৩১] সম্ভবত চতুর্থ ইমাম থেকে হোসাইনের বংশের মধ্যে শিয়াদের ইমামগণকে প্রাথমিকভাবে সীমিতকরণের এটাই কারণ।
আর আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু আবূ বকর, ওমর ও ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমের চেয়ে খেলাফতের অধিক হকদার তথা উপযুক্ত বলে প্রথম বারের মত যে দাবির সূচনা হয়, তা ছিল একটা রাজনৈতিক দাওয়াতের মত এবং তা মুসলিমদের কাতারে ফিতনার অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু তা ইসলামী শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন ধর্মীয় দাওয়াতে রূপান্তরিত হতে বেশি বিলম্ব করেনি; যে ইসলামী শিক্ষাকে অধিকাংশ মুসলিম আলেম অত্যন্ত যত্নসহকারে সংশোধন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে যাচ্ছেন।
যেমনটি পূর্বে বর্ণিত হয়েছে, কিছু সংখ্যক দুষ্ট লোকের ব্যবস্থাপনায় এই বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এর ফলে অনেক মুসলিমকে বলি হতে হয়েছিল; বিশেষ করে সাধারণ মুসলিমগণ, যারা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে শুধু অন্ধ অনুকরণ ও দ্বিতীয় শ্রেণীর তথ্য-উপাত্তের উপর নির্ভর করত। যেমনিভাবে বলি হয়েছেন এমন কিছু সংখ্যক আলেমও, যারা তাদের সামনে সৃষ্টি হওয়া ভয়াবহ পক্ষপাতমূলক বিষয় থেকে বাঁচার জন্য নিজেদের ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হতে পারে নি। এর ফলে আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের অংশবিশেষের পক্ষ সমর্থন করে শিয়া মাযহাব নামে একটি মাযহাবের উৎপত্তি হয়। তারা আবার বিভক্ত হয় বহু দল ও উপদলে। তাদের মধ্যে একটি দল হল যায়েদীয়া, যারা (আকিদাগত) দূরত্বের দিক থেকে অধিকাংশ মুসলিম আলেমের কাছাকাছি। অতঃপর ইসমাঈলীয়া, নুসাইরিয়্যা ও দ্রূয; আর এরা এমন বাড়বাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, তারা আলী রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে ইলাহ ও স্রষ্টা বানিয়ে নিয়েছে। অতঃপর ইমামীয়া ও দ্বাদশ জা‘ফরীয়া [আহমদ ইবন তাইমিয়্যা, মিনহাজুস্ সুন্নাহ আন-নববীয়া ফী নকযে কালামেশ্ শিয়া ওয়াল কাদরিয়া ( منهاج السنة النبوية في نقض كلام الشيعة و القدرية ), ১ম খণ্ড, পৃ. ৩, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২৪ ; আল-হোসাইনী আবদুল্লাহ, আল-জুযুর আত-তারিখীয়া লিন্ নুসাইরীয়া ( الجذور التاريخية للنصيرية ), পৃ. ৭৩ - ১৩৪ ; আহমদ আল-ফাউযান, আদওয়াউন ‘আলাল ‘আকিদাতিদ দুরযীয়া ( أضواء على العقيدة الدرزية ), পৃ. ৯ - ১৮ ; তাবতাবায়ী, পৃ. ৭৫ - ৮২ ; আবদুল হোসাইন আল-‘আসকারী, আল-‘উলুবীউন আউ আন-নুসাইরিয়্যন ( العلويون أو النصيريون ).], অচিরেই এই আলোচনার মধ্যে তাদের ব্যাপারে জানতে পারব। আর এই জন্যই অচিরেই আল্লাহর ইচ্ছায় উভয় পক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য গ্রন্থসমূহের উপর নির্ভর করে সৃষ্ট অধিকাংশ মুসলিম আলেম ও জা‘ফরীয়া আলেমদের মধ্যে মৌলিক মতবিরোধের উপর রচিত এই পুস্তিকাটি একটি গরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/706/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।