hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নার আলোকে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে তরুণদের করণীয়

লেখকঃ ড. মোহাম্মাদ মানজুরে ইলাহী

এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে তরুণ সমাজের করণীয়ঃ
তারুণ্যের ক্রান্তিকাল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তরুণদের বিশেষভাবে মর্যাদা দিতেন। ইসলামের প্রথম যুগে তরুণ সাহাবাগণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই তরুণরাই আজকের প্রেক্ষাপটে নতুনভাবে সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস প্রতিরোধে তরুণদের দায়িত্ব তাই অনেক। তারুণ্যের শক্তি, অভিজ্ঞা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তারা আমাদের দেশে এইচআইভি/এইডস আক্রমণের ঝুঁকি কমানোর ব্যাপারে বিশাল অবদান রাখতে পারে। সেজন্য নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তারা এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচীকে একটি কার্যকর রূপ দিতে পারে।

এইচআইভি/এইডস এর ভয়াবহতা সম্পর্কে নিজে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা ও তরুণদের মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তোলাঃ

এইডস সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ সমসাথীদের সুশিক্ষাদান, স্বেচ্ছা পরামর্শ কার্যক্রম ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে সকলের আচরণে পরিবর্তন আনা যেতে পারে। ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে ব্যাপক যোগাযোগ, সঠিক তথ্য প্রদান ও প্রচারণার মধ্য দিয়ে নারী, পুরুষ ও যুবসমাজে কাঙ্খিত সামাজিক নৈতিকতার মানদন্ড ও মনোভাব সুদৃঢ় করা যায়। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও আত্মসাক্ষ্যদানের মাধ্যমে অন্যের আচরণ সংশোধন করতে সাহায্য করতে পারে। এ পর্যন্ত এইডস নিয়ে যে সব উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় সেবাকাজ শুরু হয়েছে এবং নানাবিধ রচনা প্রকাশিত হয়েছে তরুণরা তা Communication এর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারে।

ইসলামী অনুশাসন মেনে চলাঃ তরুণদের সবারই উচিত হল সকল ক্ষেত্রেই ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে অভ্যস্থ হওয়া এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। কেননা ইসলামী অনুশাসন যে মানুষকে শুধু অসততা থেকেই রক্ষা করে তা নয়, বরং যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে বিরত রেখে এইচআইভি/এইডস এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও প্রবলভাবে হ্রাস করে। এজন্য সকলের উচিত শিশুকাল থেকে প্রতিটি ছেলে মেয়েকে ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে গড়ে উঠতে সার্বিকভাবে সহায়তা করা। যৌন জীবন বিষয়ক ইসলামী বিধিনিষেধ যেন তারা কঠোরভাবে মেনে চলে, সে ব্যাপারে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা পরিবারের সকলের দায়িত্ব। যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এইচআইভি/এইডস সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য যৌন আচরণে ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এর সম্ভাব্য উপায়সমূহ হতে পারে নিম্নরূপঃ

বিবাহপূর্ব যৌনমিলন থেকে একেবারে বিরত থাকা। যৌন প্রবৃত্তি যদিও প্রাণী মাত্রেরই স্বভাবজাত, কিন্তু সামাজিক নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধ এ শিক্ষা ও স্বীকৃতি দেয় যে, নর-নারী প্রাপ্ত বয়সে উপনীত হওয়ার পর শুধুমাত্র বিবাহের মধ্য দিয়ে বিশ্বস্ত দাম্পত্য জীবন যাপন করবে।

বিশ্বস্ত দাম্পত্য মিলনঃ শুধুমাত্র বিশ্বস্ত দাম্পত্য জীবন এইচআইভি প্রতিরোধে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে দাম্পত্য জীবন বহির্ভূত যৌনতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বহু পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখা দিয়েছে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি। সমাজের প্রাথমিক ভিত্তি ও পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি প্রজনন স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। দেখা দিয়েছে বিভিন্ন Sexually Transmitted Diseases এবং এইচআইভি/ এইডস এর ভয়ংকর প্রাদুর্ভাব।

অপ্রত্যাশিত যৌন সম্পর্ক হতে পারে এমন সম্পর্ক যেমন খারাপ বন্ধুদের সাথে চলা-ফেরা করা, আড্ডা দেয়া, মাদকাসক্ত হওয়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।

এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে মা-বাবা ও দম্পতিকে গর্ভধারণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং করা, যাতে মা থেকে শিশুতে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।

রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য রক্ত গ্রহণে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। এজন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারেঃ

দেহে অন্যের রক্ত গ্রহণ না করেই ম্যালেরিয়া ও রক্তশূন্যতার জন্য দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে আরোগ্য লাভের চেষ্টা করা।

পুষ্টিকর খাবার যেমন আমিষ, ভিটামিন ইত্যাদি গ্রহণ করে রক্তের উপাদান তৈরীর পদ্ধতিকে কার্যকর করা।

প্রতিষ্ঠিত ও সরকার অনুমোদিত স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট দ্রুত চিকিৎসা সেবা নেয়া।

সম্ভাব্য ও রক্তদানকারীকে কাউন্সিলিং করা।

সকল প্রকার দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য জীবনের নিরাপত্তা সম্মন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন, যাতে দেহে অন্যের রক্ত গ্রহণ করতে না হয়।

ত্বক বা স্কিন কাটতে পারে এমন ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি যেমন ব্লেড, ছুরি ইত্যাদি নিজের শরীরে ব্যবহার না করা।

চিকিৎসা ও অস্ত্রপাচারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিরাপদভাবে নষ্ট করা।

যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত করা।

প্রতিবারই ইনজেকশানে নতুন সুঁচ ও সিরিঞ্জ ব্যবহার করা।

কোন কারণে রক্ত গ্রহণের প্রয়োজন হলে রক্তদাতার রক্তে এইচআইভি আছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে নেয়া।

এইচআইভি/এইডস এ আক্রান্তদের যত্ন ও সহায়তা দানঃ যারা এইচআইভি/এইডস এ আক্রান্ত, তরুণরা তাদেরকে মানসিক বলে বলীয়ান করতে পারে, তাদের পাশে থেকে দিতে পারে নানা ধরনের সহায়তা। একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে - বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের যে ধরনের মনোভাব ও আচরণ থাকে এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিও আমাদের সকলের একই ধরনের মনোভাব থাকা উচিত। এ ব্যাপারে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারেঃ

এইডস এ আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করা।

তার প্রতি সহনুভূতিশীল ও যত্নবান হওয়া এবং কখনো ঘৃণা প্রকাশ না করা।

এইডস এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে চেষ্টা করা এবং আক্রান্ত হওয়ার জন্য দোষারোপ না করা।

এইডস এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্য সবার মত সমান সুযোগ দেয়া এবং বৈষম্যমূলক মনোভাব পোষণ না করা।

এইডস এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে চাকুরী ও অন্যান্য কাজ থেকে বঞ্চিত না করা।

আক্রান্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন