hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জামা‌‘আতের সাথে নামায আদায় কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তার তাৎপর্য, ফযীলত, আহকাম, উপকারিতা ও আদাবসমূহ

লেখকঃ ড. সায়ীদ ইবন আলী ইবন ওয়াহফ আল্ ক্বাহতানি

১০
সপ্তম পরিচ্ছেদ: দুই জনের দ্বারা জামা‘আত প্রতিষ্ঠা হয়:
ইমাম ও মা’মুম বা মুক্তাদী -সহীহ বক্তব্যানুযায়ী যদিও সে ছোট বাচ্চা হয়- অথবা মাহরামের সাথে নির্জনে কোন মহিলা হয়; কেননা ইবনে আববাস (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি আমার খালা মায়মুনার কাছে এক রাতে ছিলাম, নবী উঠে রাতের নামাযে দাঁড়ালেন এবং আমিও উঠে তাঁর সাথে নামাযে দাঁড়ালাম, আর আমি তাঁর বাম দিকে দাঁড়ালাম, তিনি আমার মাথা ধরে তাঁর ডান দিকে দাঁড় করালেন)। (বুখারী ও মুসলিম)

মালেক ইবনে হুয়াইরিছ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: দুই ব্যক্তি নবী এর কাছে এসে তারা সফরের ইচ্ছা করলে নবী বললেন: (যখন তোমরা বের হবে তখন আযান দিবে, অতঃপর ইকামাত এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে)। (বুখারী) আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে আনাস, তার মা এবং উম্মে হারাম-আনাসের খালা-তাদের কাছে নবী প্রবেশ করলেন, অতঃপর নবী বললেন: (তোমরা দাঁড়াও তোমাদেরকে নিয়ে আমি নামায পড়ব) ফরজ নামাযের সময় ব্যতীত অন্য সময়ে, তাদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন, আনাসকে তাঁর ডান দিকে রাখলেন এবং মহিলাদেরকে তাদের পিছনে রাখলেন। (মুসলিম) এক ব্যক্তি একজন মহিলার দ্বারা জামা‘আত ছহীহ ও সংঘটিত হওয়ার দলীলের মধ্যে আরও রয়েছে, আবুসায়ীদ (রা:) ও আবু হুরায়রাহ (রা:) এর হাদীস, তাঁরা নবী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: (যখন রাতে কোন লোক জাগ্রত হয় এবং তার স্ত্রীকে জাগ্রত করে, অতঃপর তারা উভয়ে দুই রাকাআত নামায পড়ে, আল্লাহ তা‘আলাকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারীদের মধ্যে তাদের নাম লেখা হয়)। (ইবনে মাজাহ, আবুদাউদ)

আর আসল হচ্ছে পুরুষ-মহিলা মিলে জামা‘আত সহীহ হওয়া এবং সংঘটিত হওয়া যেমন পুরুষ-পুরুষ মিলে জামা‘আত করলে সহীহ এবং সংঘটিত হয়। যে ব্যক্তি তার বিরোধিতা করবে তার কর্তব্য হচ্ছে তার পক্ষে দলীল পেশ করা। (নাইলুল আওতার, শারহুলমুমতি‘ই) তবে সে মহিলা যদি আজনবি বা মাহরামাদের কেহ না হয় এবং তাদের সাথে অন্য কেহ না থাকে, তাহলে ঐ মহিলার ইমামতি করা তার জন্য হারাম; কেননা ইবনে আববাস (রা:) থেকে হাদীসে রয়েছে রাসূল বলেছেন: (তোমাদের কেহ যেন মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলার সাথে একাকীত্বে/নির্জনে না হয়)। (বুখারী ও মুসলিম)

সঠিক কথা হচ্ছে বালকদের কাতারের মাঝখানে দাঁড়ানো এবং ফরজ ও নফল নামাযে তাদের ইমামতি করা সহীহ; সার্বিকভাবে দলীল সমূহের ভিত্তিতে এবং সে দলীল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট দলীল হচ্ছে আমর বিন সালামাহ (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীস, তিনি বলেন আমার পিতা বলেছেন: আমি সত্যিই নবী এর কাছ থেকে এসেছি, তিনি বলেছেন: (তোমরা অমুক সময়ে অমুক নামায পড়, তোমরা অমুক সময়ে অমুক নামায পড়, সুতরাং যখন নামাযের সময় হয় তখন তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যে কুরআন মুখস্থ পারে সে তোমাদের ইমামতি করবে)। অতঃপর তারা লক্ষ করল আমার থেকে অন্য কেউ কুরআন বেশী পারেনা; কেননা আমি যাত্রীদের কাছ থেকে শিখতাম, অতঃপর তারা আমাকে তাদের সামনে পাঠাল, তখন আমি ছিলাম ছয় অথবা সাত বছরের বালক)। (বুখারী)

আলওয়াযির ইবনে হুবায়রাহ (রহ:) বলেন: (তাঁরা অর্থাৎ মুজতাহেদগণ একমত হয়েছেন যে, সবচেয়ে কম সংখ্যক যার দ্বারা জুমা’ ব্যতীত অন্যান্য ফরজ নামাযের জামা‘আত সংঘটিত হয় তা হল দুইজন: ইমাম ও মা’মুম বা মুক্তাদী যে ইমামের ডান পার্শ্বে দাঁড়াবে)। (আল ইফছাহ আন মা’য়ানিচ্ছিহাহ-১/১৫৫)

ইমাম ইবনে কুদামাহ (রহ:) বলেন: (দুই বা ততোধিক দ্বারা জামা‘আত সংঘটিত হয় এ ব্যাপারে কোন বিরোধিতা আমার জানা নাই)। (আলমুগনী-২/৭) এবং ইমাম ইবনে আব্দুল বার (রহ:) বলেন: (ওলামায়ে কেরামগণ একমত হয়েছেন যে, একজন মহিলা পুরুষের পিছনে এক সারিতে একা নামায পড়বে তার ডান দিকে নয় এবং সুন্নাত হল পুরুষের পিছনে দাড়ানো তার ডান দিকে নয়)।

আমি আমাদের শায়েখ সম্মানিত ইমাম আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহ:) কে বলতে শুনেছি, তিনি পূর্বোল্লিখিত আমর বিন সালামাহর হাদীসের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন: (এই হাদীস প্রমাণ করে ছোটদের ইমামতি জায়েয যদি সে জ্ঞানী হয় এবং কোন জিনিসের ভালমন্দের মাঝে পার্থক্য করতে পারে। অনেক ফকীহগণ বলেন: বালক ইমামতি করবে না এবং তার কাতারের মাঝখানে দাঁড়ানো ধর্তব্য হবে না, এই বক্তব্য ভূল এবং দুর্বল। সঠিক হল সে ইমামতি করবে, কাতারের মাঝখানে দাঁড়াবে। আনাস (রা:) ইয়াতীমের সাথে নবী এর পিছনে দাঁড়িয়েছেন। (মুসলিম-৬৮৫) আর আসল হল ফরজ ও নফল নামায সমান, শুধুমাত্র যা দলীল দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয়েছে তা ব্যতীত, আমরের এই হাদীস প্রমাণ করে বুদ্ধিমান ভালমনেদর পার্থক্যকারীর ইমামতি জায়েয। সাত বছরের শিশুর ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে; কেননা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালমন্দের পার্থক্যকারী সাত বছর থেকে শুরু হয়ে থাকে। নবী এর বাণী: (তোমাদের সন্তানদেরকে সাত বছরে নামাযের আদেশ কর)। (আবুদাউদ, আহমাদ) সুতরাং যদি সে নামায যথার্থভাবে পড়াতে সক্ষম হয় তাহলে তাকে সামনে দেওয়া যাবে) অর্থাৎ যদি সে তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশী ক্বোরআন জানে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন