hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জামা‌‘আতের সাথে নামায আদায় কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তার তাৎপর্য, ফযীলত, আহকাম, উপকারিতা ও আদাবসমূহ

লেখকঃ ড. সায়ীদ ইবন আলী ইবন ওয়াহফ আল্ ক্বাহতানি

৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ: জামা‘আতের সাথে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে পথ চলার আদবসমূহ:
নামাযের উদ্দেশ্যে পথ চলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় ধরনের আদব রয়েছে, তার থেকে নিম্নে কিছু আদব উল্লেখ করা হল:

১- বাড়ীতে ওজু করা এবং ওজু যথাযথভাবে করা; কেননা ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীস (যে কোন ব্যক্তিই পবিত্র হয় অতঃপর উত্তমভাবে পবিত্র হয়, এরপর এই মসজিদ সমূহের যেকোন মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা করে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য প্রত্যেক কদমে পূণ্য লিখে রাখেন, ঐ কদমের বিনিময় তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং উক্ত পথচলার বিনিময়ে তার থেকে গুনাহ মিটিয়ে দেন...)। (মুসলিম-৬৫৪)

২- দুর্গন্ধ থেকে দূরে থাকবে; কেননা জাবের বিন আব্দুললাহ (রা:) থেকে হাদীসে রয়েছে রাসূল বলেছেন: (যে ব্যক্তি রসুন অথবা পিঁয়াজ খাবে সে যেন আমাদের থেকে দূরে থাকে, অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে, সে যেন তার বাড়ীতে বসে থাকে)। মুসলিম শরীফের শব্দে রয়েছে: (কেননা ফেরেশ্তাগন ঐ বস্ত্ততে কষ্ট পাণ যাতে মানুষ কষ্ট পায়)। মুসলিম শরীফের আর এক শব্দে রয়েছে: (যে ব্যক্তি পিঁয়াজ, রসুন এবং পিঁয়াজ জাতীয় অন্য সবজি খায়, সে যেন আমাদের মসজিদে না আসে; কেননা ফেরেশ্তাগণ ঐ বস্তুতে কষ্ট পান যাতে আদম সন্তানেরা কষ্ট পায়)। (বুখারী ও মুসলিম)

৩- সুন্দর পোষাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে সজ্জিত হবে; কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿ ۞يَٰبَنِيٓ ءَادَمَ خُذُواْ زِينَتَكُمۡ عِندَ كُلِّ مَسۡجِدٖ ﴾ [ الاعراف : ٣١ ] অর্থ: ‘‘হে আদম সন্তান গণ! প্রত্যেক নামাযের সময় সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ গ্রহণ কর’’। (আ’রাফ-৩১); এবং নবী এর বাণী: (নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সুন্দর এবং তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন)। (মুসলিম)

৪- বাইরে বের হওয়ার দু‘আ পড়বে এবং নামাযের নিয়্যতে বের হবে; এবং বলবে: بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّه অর্থ: ‘‘আমি আল্লাহর নামে বের হলাম আল্লাহর উপর ভরসা করলাম, আল্লাহ ব্যতীত কোন ক্ষমতা এবং কোন শক্তি নাই’’। আরও বলবে-:

«اللَّهُمَّ أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ، أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ، أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أَظْلِمَ، أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أَجْهَلَ، أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ»

অর্থ: ‘‘হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই বিভ্রান্তি থেকে অথবা অন্য কারো দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে, পদস্খলন থেকে অথবা অন্য কারো দ্বারা পদস্খলিত হওয়া থেকে, অত্যাচার থেকে অথবা অন্য কারো দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে, মূর্খতা থেকে অথবা অন্য ব্যক্তি কর্তৃক মূর্খ হওয়া থেকে’’। (আবুদাউদ,তিরমিযি)

«اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَفي لساني نوراً، وَفِي سَمْعِي نُورًا، وفِي بَصَرِي نُورًا، وَمن فَوْقِي نُورًا، ومن تحتي نوراً، وَعَنْ يَمِينِي نُورًا، وَعَنْ شِمالِي نُورًا، وَمِن أَمَامِي نُورًا، وَمِنْ خَلْفِي نُورًا، وَاجْعَلْ لِي نُورًا، واجعل في نفسي نوراً، وأعظم لي نوراً، وعظّم لي نوراً، واجعل لي نوراً، واجعلني نوراً، اللهم اعطني نوراً، واجعلني نوراً، واجعلني نوراً، اللهم اعظني نوراً، واجعل في عصبي نوراً، وفي لحمي نوراً، وفي دمي نوراً، وفي شعري نوراً، وفي بشري نوراً»

অর্থ: ‘‘হে আল্লাহ আমার অন্তরে আলো দান করুন, আমার জবানে আলো দান করুন, আমার শ্রবণ শক্তিতে আলো দান করুন, আমার দৃষ্টি শক্তিতে আলো দান করুন, আমার উপর দিক থেকে আলো দান করুন, আমার নীচ দিক থেকে আলো দান করুন, আমার ডান দিক থেকে আলো দান করুন, আমার বাম দিক থেকে আলো দান করুন, আমার সামনের দিক থেকে আলো দান করুন, আমার পিছন দিক থেকে আলো দান করুন, আমার অন্তরে আলো দান করুন, আমার জন্য আলো বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য আলো /নূর বৃদ্ধি করে দিন, আমার জন্য আলো দান করুন, আমাকে আলো দান করুন, হে আল্লাহ আমাকে আলো দিন, আমার স্নায়ুতে আলো দান করুন, আমার গোশ্তে আলো দান করুন, আমার রক্তে আলো দান করুন, আমার চুলের মাঝে আলো দান করুন, আমার ত্বকে আলো দান করুন)। (বুখারী ও মুসলিম)

৫- মসজিদে যাওয়ার পথে সে তার হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবেনা, নামাযের মাঝেও সে তার হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবেনা; কেননা উবাই বিন কা’ব (রা:) থেকে হাদীসে রয়েছে রাসূল বলেছেন: (যখন তোমাদের কেহ ওজু করে অতঃপর উত্তমভাবে ওজু করে, অতঃপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়, সে যেন তার আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে না রাখে কেননা সে নামাযের মধ্যেই রয়েছে)। (তিরমিযি)

৬- সে প্রশান্তি এবং গাম্ভীর্যের সাথে পথ চলবে; কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে হাদীসে রয়েছে তিনি নবী থেকে বর্ণনা করেন: (যখন তোমরা ইক্বামাত শুনতে পাবে তখন নামাযের দিকে প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য নিয়ে হেটে চলবে, আর তাড়াহুড়া করবে না, অতঃপর যতটুকু নামায পাবে তা আদায় করবে এবং যতটুকু তোমাদের থেকে ছুটে যাবে তা পরিপূর্ণ করবে)। অপর শব্দে রয়েছে: (যখন নামাযে দাঁড়িয়ে যাওয়া হয় তখন সে নামাযের দিকে দৌড়ে আসবেনা, প্রশান্ত অবস্থায় হেটে আসবে এবং যতটুকু পাবে সে নামায আদায় করে নিবে এবং যা তোমাদের থেকে ছুটে যাবে তা পরিপূর্ণ করবে)। (বুখারী ও মুসলিম)

এ হাদীসের মধ্যে নামাযে প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য সহকারে আসার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এবং দৌড়ে আসা থেকে নিষেধ করা হয়েছে, সে নামায জুমার নামাযই হোক বা অন্য কোন নামায হোক, সে তাকবীরাতুল ইহরাম ছুটে যাওয়ার ভয় পাক বা নাই পাক হুকুম একই, আর নবী এর বাণী: (যখন তোমরা ইক্বামাত শুনতে পাবে) ইক্বামাত শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে উহা ব্যতীত অন্য যা রয়েছে সে ব্যাপারে সতর্কীকরণের জন্য; কেননা ইক্বামাতের সময়ে যদি দৌড়ে আসতে নিষেধ করা হয় ইক্বামাতের কিছু অংশ ছুটে যাওয়ার ভয় থাকা সত্বেও তবে ইক্বামাতের পূর্বে দৌড়ে আসার নিষেধাজ্ঞা আরও বেশী প্রযোজ্য। এবং তিনি কারণ দর্শিয়ে এ ব্যাপারে আরও তাকীদ করে বলেছেন: (কেননা তোমাদের কেহ যখন নামাযের ইচ্ছা করে তখন সে নামাযেই থাকে) আর ইহা নামাযের জন্য আগমনের সকল সময়কে শামিল করে। অন্য আরেক স্থানে তা’কীদ করে আরো বলেছেন: (যতটুকু পাবে সে নামায আদায় করে নিবে এবং যা তোমাদের থেকে ছুটে যাবে তা পরিপূর্ণ করবে)। সুতরাং এতে চেতনা ও তাকীদ পাওয়া যায়, যাতে করে কোন অনুমানকারী এই ধারণা না করে যে, নিষেধাজ্ঞা কেবল ঐ ব্যক্তির জন্য যে নামাযের কিছু অংশ ছুটে যাওয়ার আশংকা করে, অতএব স্পষ্টভাবে নিষেধ করে দিয়েছেন যে নামাযের যত অংশই ছুটে যাকনা কেন এবং ছুটে যাওয়া রাকআত গুলির ব্যাপারেও তার করণীয় বর্ণনা করে দিয়েছেন। (শারহুন্নববী আ’লা সহীহ মুসলিম-৫/১০৩)

৭- মসজিদে প্রবেশের পূর্বে তার জুতাদ্বয় দেখে (চেক করে) নিবে। যদি তাতে কোন আবর্জনা দেখে তবে মাটিতে ঘষে তা মুছে ফেলবে; কেননা আবু সায়ীদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসের একাংশে রয়েছে: (যখন তোমাদের কেহ মসজিদে আসে সে যেন লক্ষ করে, যদি তার জুতাদ্বয়ে আবর্জনা দেখে অথবা কষ্টদায়ক কিছু দেখে তবে তা যেন মুছে ফেলে এবং ঐ জুতাদ্বয় নিয়ে নামায পড়ে)। (আবুদাউদ, ইবনে খুযাইমাহ) আর জুতাদ্বয়ের পবিত্রতা অর্জন মাটি দ্বারা করবে কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল বলেছেন: (তোমাদের কেহ যখন তার জুতাদ্বয় দিয়ে ময়লাযুক্ত কিছু পারায় মাটিই তার জন্য পবিত্রকারী)। অপর শব্দে রয়েছে: (যখন মোজা দিয়ে ময়লাযুক্ত কিছু পারানো হয় তখন উভয়ের পবিত্রকারী হচ্ছে মাটি)। (আবুদাউদ)

৮- মসজিদে প্রবেশের সময় ডান পা আগে বাড়াবে এবং বলবে:

«أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيم وبِوَجْهِهِ اْلَكِرْيمِ , وَسُلْطَاِنهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيِمِ , بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاةُ وَالسّلامُ عَلَى رَسُولِ اللهِ , اَللّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ»

অর্থ: ‘‘আমি মহান আল্লাহ তা‘আলার কাছে, তার মহান সত্বার কাছে,তার অনাদী-অনন্ত কালের ক্ষমতার কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই’’। ‘‘আল্লাহ তা‘আলার নামে প্রবেশ করছি, সালাত ও সালাম রাসূল এর প্রতি’’। (আবুদাউদ) ‘‘হে আল্লাহ আমার জন্য আপনার রহমাতের দরজাগুলো খুলে দিন’’; কেননা আবু হুমাইদ অথবা আবু উসাইদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল বলেছেন: (যখন তোমাদের কেহ মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন বলে:

«اللّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ»

অর্থ: ‘‘হে আল্লাহ আমার জন্য আপনার রহমাতের দরজাগুলো খুলে দিন’’ এবং যখন বের হয় তখন যেন বলে:

«اللهم إني أسألك من فضلك»

অর্থ: হে আল্লাহ নিশ্চয় আমি আপনার কল্যাণ চাই )। ( মুসলিম )

৯- মসজিদে যখন প্রবেশ করবে তখন মসজিদে যে ব্যক্তি রয়েছে তাকে সালাম দিবে, এমন শব্দে সালাম দিবে যাতে করে তার চতুষ্পার্শ্বে যারা রয়েছে তারা যেন শুনতে পায়; কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে বর্ণিত রয়েছে রাসূল বলেছেন: (তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈমানদার হবে, আর ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না পরস্পরকে ভালবাসবে, আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছুর নির্দেশনা দিব না যা পালন করলে তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে? তোমাদের মাঝে সালাম ছড়িয়ে দিবে অর্থাৎ বেশী বেশী সালামের প্রচলন শুরু করবে)। (মুসলিম) আম্মার বিন ইয়াছের (রা:) বলেন: (তিনটি বিষয় যে একত্রিত করেছে সে ঈমানকে একত্রিত করেছে: তোমার নিজের অধিকারের ব্যাপারে ন্যায়-পরায়ণতা, জ্ঞাতার্থে সালাম দেয়া এবং জমানো সম্পদ থেকে ব্যয় করা)। (বুখারী)

১০- ‘‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’’ নামায পড়া, মুয়াযি্যন যদি নামাযের সময় হওয়ার পর আযান দেয় তাহলে সুন্নাত নামায পড়বে যদি ঐ নামাযে সুন্নাত নামায থাকে, আর যদি ঐ নামাযের পূর্বে সুন্নাত নামায না থাকে তাহলে আযান ও ইক্বামাতের মাঝখানের নামায পড়বে; কেননা প্রত্যেক আযান ও ইক্বামাতের মাঝে নামায রয়েছে, ঐ নামাযই ‘‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’’ নামাযের জন্য যথেষ্ট হবে, আর যদি নামাযের সময় হওয়ার পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করে তাহলে দুই রাকাআত নামায পড়বে; কেননা আবু ক্বাতাদাহ (রা:) থেকে হাদীসে রয়েছে রাসূল বলেছেন: (যখন তোমাদের কেহ মসজিদে প্রবেশ করবে তখন সে যেন দুই রাকাআত নামায আদায় না করে না বসে)। (বুখারী ও মুসলিম)

১১- মসজিদের ভেতরে তার জুতাদ্বয় খুলে তার দুই পায়ের মাঝখানে রাখবে; কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি রাসূল থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: (যখন তোমাদের কেহ নামায পড়ে এবং তার জুতাদ্বয় খুলে ফেলে, সে যেন উহা দ্বারা কাউকে কষ্ট না দেয় এবং তার উভয় জুতা তার দুই পায়ের মাঝখানে রাখবে অথবা ঐ জুতাসহ নামায পড়বে)। অপর শব্দে রয়েছে: (যখন তোমাদের কেহ নামায পড়ে সে যেন তার জুতাদ্বয় তার ডানে না রাখে এবং বামেও না রাখে, কেননা তা কারো ডানে হয়ে যাবে, তবে যদি তার বামে কেহ না থাকে (তাহলে রাখতে পারে) এবং উভয় জুতা তার দুই পায়ের মাঝখানে রাখবে)। (আবুদাউদ)

আমি আমাদের শায়েখ সম্মানিত ইমাম আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহ:) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: (জুতাসহ নামায পড়া সুন্নাত যা ইয়াহুদীদের বিপরীত, তবে দেখাশুনার পরে, সুতরাং যদি তাতে কোন কিছু দেখে তাহলে তা মাটিতে ঘষে অথবা পাথর অথবা অন্য কিছু দিয়ে দূর করবে, আর মসজিদগুলো যদি কার্পেট বিছানো থাকে তবে কোন কোন ব্যক্তির অবহেলার কারণে ধুলা মিশ্রিত হতে পারে, এতে করে মানুষ দূরে সরে যেতে পারে, অতএব এ ক্ষেত্রে আমার কাছে উত্তম হল -আল্লাহ তা‘আলাই অধিক জ্ঞাত- জুতার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করা)।

১২- প্রথম সারিতে ইমামের ডান দিকে বসা যদি সম্ভব হয় তাহলে তাই করবে, কোন ধরণের ভিড়াভিড়ি এবং অন্য কাউকে কষ্ট দেওয়া ব্যতীত; কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে বর্ণিত রয়েছে রাসূল বলেছেন: (যদি মানুষ জানত আযানের মধ্যে এবং প্রথম সারিতে কি রয়েছে, অতঃপর উহা লটারী ব্যতীত পাওয়া না যেত তাহলে অবশ্যই তারা লটারী করত..)। (বুখারী ও মুসলিম) আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত রয়েছে: (নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এবং তার ফেরেশ্তাগণ কাতারের ডান দিকের লোকদের উপর সালাত পড়েন)। (আবুদাউদ, ইবনে মাজাহ)

১৩- ক্বেবলামূখী হয়ে বসবে, ক্বোরআন তেলাওয়াত করবে অথবা আল্লাহ তা‘আলার জিকির করবে; কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেন: রাসূল বলেছেন: (নিশ্চয় প্রত্যেক জিনিসের মূল রয়েছে, আর বৈঠকের মূল হচ্ছে ক্বেবলামূখী হয়ে বসা)। (ত্বাবরানী)

১৪- নামাযের জন্য অপেক্ষা করার নিয়্যাত করবে এবং কাউকে কষ্ট দিবেনা; কেননা সে নামাযের মধ্যেই থাকে যতক্ষণ সে নামাযের জন্য অপেক্ষা করে, ফেরেশ্তাগণ তার জন্য নামাযের পূর্বে ও পরে দু‘আ করতে থাকেন যে পর্যন্ত সে নামাযের মুসল্লায় থাকে; কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে রাসূল বলেছেন: (বান্দাহ ততক্ষণই নামাযরত অবস্থায় থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাযের মুসল্লায় নামাযের জন্য অপেক্ষমান থাকে এবং ফেরেশ্তাগণ বলেন: হে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন...)। মুসলিম শরীফের শব্দে রয়েছে: (ফেরেশ্তাগণ তোমাদের কারো উপর ততক্ষণ পর্যন্ত রহমাতের দু‘আ করতে থাকেন যে পর্যন্ত সে ঐ বৈঠকে থাকে যেখানে সে নামায পড়েছিল এবং তাঁরা বলতে থাকেন: হে আল্লাহ তার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন: হে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিন, হে আল্লাহ তার তাওবাহ কবুল করুন, যে পর্যন্তনা সে কষ্টদেয় যে পর্যন্তনা সে কিছু ঘটায় অর্থাৎ বায়ু নির্গত করে)। (বুখারী ও মুসলিম)

১৫- যখন ইক্বামাত দেওয়া হয় তখন ফরজ ব্যতীত আর কোন নামায পড়বে না; কেননা আবু হুরায়রাহ (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে নবী বলেছেন: (যখন নামাযে দাঁড়ানো হয় তখন ফরজ ব্যতীত আর কোন নামায নাই)। (মুসলিম)

১৬- মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বাম পা দিয়ে বের হবে যা ঢোকার সময়ের বিপরীত: কেননা নবী সকল ব্যাপারে যথা সম্ভব ডান দিক পছন্দ করতেন: তাঁর পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে, হাটার ক্ষেত্রে, জুতা পরার ক্ষেত্রে। (বুখারী) ইবনে উমর (রা:) ডান পা দিয়ে শুরু করতেন এবং যখন বের হতেন তখন বাম পা দিয়ে শুরু করতেন। (বুখারী তার তা’লীকাতে নিশ্চিত শব্দে উল্লেখ করেছেন)

আনাস (রা:) বলেন: (সুন্নাত হল যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে তখন তোমার ডান পা দিয়ে আরম্ভ করবে এবং যখন তুমি বের হবে তখন তোমার বাম পা দিয়ে আরম্ভ করবে)। (আল-হাকেম) এবং বলবে:

«بسم الله والصلاة والسلام على رسول الله، اللهم إني أسألك من فضلك»

অর্থ: ‘‘আল্লাহ তা‘আলার নামে বের হচ্ছি, সালাত ও সালাম রাসূল এর প্রতি’’ ‘‘হে আললাহ নিশ্চয় আমি আপনার কল্যাণ চাই’’। (মুসলিম) «اللهم اعصمني من الشيطان الرجيم» অর্থ: ‘‘হে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে রক্ষা করুন’’। (ইবনে মাজাহ)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন