hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জামা‌‘আতের সাথে নামায আদায় কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তার তাৎপর্য, ফযীলত, আহকাম, উপকারিতা ও আদাবসমূহ

লেখকঃ ড. সায়ীদ ইবন আলী ইবন ওয়াহফ আল্ ক্বাহতানি

১৫
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ: যে সকল কারণে জামা‘আত ত্যাগ করা বৈধ:
ভয় অথবা অসুস্থ হওয়া; কেননা ইবনে আববাস (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে তিনি নবী থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেছেন: (যে ব্যক্তি আযান শুনল অথচ মসজিদে আসেনি ওজর ব্যতীত তার কোন নামায নাই)। (ইবনে মাজাহ, আবুদাউদ)

বৃষ্টি, অথবা পিচ্ছিল স্থান; কেননা ইবনে আববাস (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তিনি তার মুয়ায্যিনকে একদা বৃষ্টির দিনে বলেন: أََشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً رَسُوْلُ اللهًِ , বলার পর حَيَّ عَلَى الصَّلاةِ , বলবেনা বরং বলবে: তোমরা তোমাদের বাড়ীতে নামায আদায় কর, লোকেরা যেন বিষয়টা অপছন্দ করল, তখন তিনি বল্লেন: আমার থেকে যিনি উত্তম তিনি এমনটি করেছেন...)। (বুখারী ও মুসলিম)

ঠান্ডা অন্ধকার রজনীতে প্রচন্ড বাতাস থাকলে; কেননা ইবনে উমর (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তিনি ঠান্ডা ও বাতাস জনিত এক রাতে নামাযের জন্য আযান দিলেন, অতঃপর বললেন: তোমরা তোমাদের বাড়ীতে নামায পড়, এরপর বল্লেন: রাসূল শীতের রাতে বৃষ্টি থাকলে মুয়ায্যিনকে আদেশ করে বলতেন: (জেনে রেখো তোমরা বাড়ীতে নামায আদায় কর) বুখারীর শব্দে রয়েছে: (রাসূল ) মুয়ায্যিনকে আযান দেওয়ার নির্দেশ দিতেন, অতঃপর আযানের পরপরই বলতেন: (জেনে রাখ তোমরা বাড়ীতে নামায পড়বে, শীতের রাতে অথবা সফরের সময় বৃষ্টি থাকলে) এবং মুসলিম এর শব্দে রয়েছে: (ইবনে উমর এক শীতের রাতে যখন বাতাস ও বৃষ্টি ছিল নামাযের আযান দিলেন, অতঃপর আযান শেষে বলেন: সবাইকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা আপনাদের বাড়ীতে নামায পড়ুন আপনারা বাড়ীতে নামায পড়ুন, অতঃপর বলেন: রাসূল শীতের রাতে অথবা সফরের সময় বৃষ্টি থাকলে মুয়ায্যিনকে আদেশ করে বলতেন: (জেনে রেখো তোমরা বাড়ীতে নামায আদায় কর)। (বুখারী ও মুসলিম)

জাবের (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমরা রাসূল এর সাথে এক সফরে বের হলাম এমতাবস্থায় আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হল, তখন তিনি বল্লেন: (তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি চায় সে তার বাড়ীতে নামায পড়তে পারে)। (মুসলিম) আর উত্তম হল আযানের সব শব্দ পরিপূর্ণভাবে বলা, অতঃপর বলবে: (তোমরা তোমাদের বাড়ীতে নামায পড়)। অথবা বলবে: (তোমরা তোমাদের নিজ নিজ স্থানে নামায পড়)।

খাবার উপস্থিত হলে এবং মন যদি খাবারের প্রতি থাকে; কেননা ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে তিনি বলেন: নবী বলেছেন: (তোমাদের কেহ যদি খাবারের কাছে থাকে সে যেন তাড়াহুড়া না করে যে পর্যন্ত না সে তার প্রয়োজন মিটায়, যদিও নামাযে দাঁড়িয়ে যায় অর্থাৎ জামা‘আত শুরু হয়ে যায়) আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে তিনি নবী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: (যখন রাতের খাবার সামনে রাখা হয় আর এঅবস্থায় জামা‘আত আরম্ভ হয় তখন রাতের খাবার দিয়ে শুরু কর)। (বুখারী ও মুসলিম)

দুটি খারাপ জিনিস আটকে রাখা [পেশাব, পায়খানা]; কেননা আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে তিনি বলেন: আমি রাসূল কে বলতে শুনেছি: (খাবার উপস্থিত হলে কোন নামায নাই এবং এঅবস্থায়ও কোন নামায নাই যে পায়খানা পেশাব আটকে রেখেছে)। (বুখারী ও মুসলিম)

কোন ব্যক্তির আতণীয় যদি মৃত্যুর আশংকা করে যার কাছে সে উপস্থিত নাই; কেননা ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তার কাছে উল্লেখ করা হল যে, সায়ীদ বিন যায়েদ বিন আমর বিন নুফাইল যিনি বদরী সাহাবী ছিলেন, তিনি জুম‘আর দিন অসুস্থ হয়েছেন, অতঃপর ইবনে উমর (রা:) দিনের আলো প্রকাশের পর তার কাছে চলে গেলেন, জুম‘আর সময় ঘনিয়ে এল কিন্তু তিনি জুম‘আ পরিত্যাগ করলেন। (বুখারী) আবু দারদা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: (ব্যক্তির জ্ঞানের পরিচয় হল তার প্রয়োজনের দিকে অগ্রসর হওয়া অর্থাৎ প্রয়োজন মিটিয়ে ফেলা, যা’তে করে নামাযে এ অবস্থায় আসে যে, তার অন্তর সকল চিন্তামুক্ত)। (বুখারী)

অতএব স্পষ্ট হল যে, আট অবস্থায় জামা‘আত পরিত্যাগকারীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়: অসুস্থ হওয়া, ভয় থাকা সেটা নিজের উপর হোক বা সম্পদের উপর হোক বা সম্মানের উপর হোক, বৃষ্টি, পিচ্ছিল পথ, অন্ধকার রাত যখন ঠান্ডা এবং প্রচন্ড বাতাস থাকে, খাবার উপস্থিত হলে যদি তার প্রতি মনের চাহিদা থাকে, দুটি খারাপ জিনিস চেপে রাখা অর্থাৎ পায়খানা ও পেশাবের বেগ থাকা বা তার যেকোন একটির বেগ থাকা, কারও যদি কোন আত্নীয় থাকে যার মৃত্যুর আশংকা করছে যার কাছে সে উপস্থিত হতে পারবে না। এ সকল বিষয়ের প্রতিটি মাস’আলার ব্যাপারে দলীল পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ তা‘আলা সালাত ও সালাম প্রেরণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মদের প্রতি, তাঁর পরিবারের প্রতি, তাঁর সাহাবীদের প্রতি এবং যারা ক্বেয়ামাত পর্যন্ত উত্তমভাবে তাঁদের অনুসরণ করবে তাদের প্রতি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন