hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জামা‌‘আতের সাথে নামায আদায় কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তার তাৎপর্য, ফযীলত, আহকাম, উপকারিতা ও আদাবসমূহ

লেখকঃ ড. সায়ীদ ইবন আলী ইবন ওয়াহফ আল্ ক্বাহতানি

প্রথম পরিচ্ছেদ: (জামা‘আতে সালাত আদায়) এর শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ:
১/ আচ্ছালাত এর শাব্দিক অর্থ: দু‘আ করা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَصَلِّ عَلَيۡهِمۡۖ إِنَّ صَلَوٰتَكَ سَكَنٞ لَّهُمۡۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ١٠٣ ﴾ [ التوبة : ١٠٣ ]

অর্থ: ‘‘তাদের জন্য দু‘আ কর নিঃসন্দেহে তোমার দু‘আ হচ্ছে তাদের জন্য শান্তির কারণ’’ (তাওবাহ-১০৩) এবং নবী বলেছেন: (যখন তোমাদের কাউকে দাওয়াত দেয়া হয় তাহলে সে যেন দাওয়াত গ্রহণ করে, আর যদি সে রোযাদার হয় তবে দুআ’ করবে, আর যদি রোযাদার না হয় তবে সে খাবে)। (মুসলিম) অর্থাৎ সে বরকত, কল্যাণ ও মাগফিরাতের দু‘আ করবে (আন্নেহায়াতু ফি গারিবিল হাদীস) আল্লাহর পক্ষ হতে সালাত হল উত্তম প্রশংসা, ফেরেশতাদের পক্ষ হতে দু‘আ করা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ وَمَلَٰٓئِكَتَهُۥ يُصَلُّونَ عَلَى ٱلنَّبِيِّۚ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ صَلُّواْ عَلَيۡهِ وَسَلِّمُواْ تَسۡلِيمًا ٥٦ ﴾ [ الاحزاب : ٥٦ ]

অর্থ: ‘‘আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তার ফেরেশ্তারাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর উপর দরূদ ও সালাম পেশ কর’’। (আলআহযাব-৫৬)

আবুল আলিয়া বলেন: (আল্লাহর সালাত হল ফেরেশতাদের নিকট তার প্রশংসা করা, ফেরেশতাদের সালাত হল দু‘আ করা)। ইমাম বুখারী তার তা’লীক্বাতে দৃঢ় শব্দে উল্লেখ করেছেন যে, ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন ‘‘সালাত’’ পড়ে অর্থ হল তাদের জন্য বরকতের দু‘আ করো কারো মতে: আল্লাহর সালাত হল রহমত এবং ফেরেশতাদের সালাত হল ইস্তেগফার। প্রথম বক্তব্যটিই সঠিক, সার কথা হচ্ছে: আল্লাহর পক্ষ হতে সালাত হল প্রশংসা করা, আর সৃষ্টিকুলের যেমন: ফেরেশ্তা, মানুষ এবং জিনের পক্ষ হতে দন্ডায়মান হওয়া, রুকু করা, সিজদা করা, দু‘আ করা, ইস্তেগফার করা, তাসবীহ পড়া। পাখী ও বৃক্ষরাজীর পক্ষ হতে তাসবীহ পাঠ করা (লিসানুল আরব)।

২/শরীয়তের পরিভাষায় সালাত হল: আল্লাহর ইবাদাত করা যা অনেক বক্তব্য সম্বলিত, বিশেষ কিছু নির্ধারিত কাজ যা তাকবীর দিয়ে শুরু হয় এবং সালাম দিয়ে শেষ হয়। সালাত নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, উহাতে দু‘আর অর্থ শামিল রয়েছে । (আলমুগনী ৩/৫); কেননা উহা ছিল সকল দু‘আর নাম, অতঃপর নির্ধারিত দু‘আয় রূপান্তর করা হয়েছে, অথবা উহা দু‘আর একটি নামছিল অতঃপর ইসলামী শরীয়তে নামায হিসাবে রূপান্তর করা হয়েছে, যেহেতু নামায ও দু‘আর মাঝে যোগসূত্র রয়েছে এ ব্যাপারে দুটো বিষয় কাছাকাছি, শরীয়তে যদি সালাত বলাহয় তবে কেবল শরয়ী নামাযই বুঝানো হয়, (শারহুল উমদাহ) আর নামাযের মধ্যে দুইভাবে দু‘আ শামিল আছে:

কোন কিছু আবেদনের দু‘আ: এটাহল দু‘আরত ব্যক্তির এমন কিছু চাওয়া যাতে তার কল্যাণ আসবে এবং অনিষ্ট দূর হবে অথবা প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং ঐ অবস্থায়ই আল্লাহ তা‘আলার কাছে নিজের প্রয়োজনের জন্য আবেদন করা।

ইবাদতের ক্ষেত্রে দু‘আ করা: অর্থাৎ নেক কাজের দ্বারা সাওয়াবের আবেদন করা: যেমন দন্ডায়মান হওয়া, রুকু-সিজদাহ ইত্যাদি দ্বারা সাওয়াবের আশা করা। সুতরাং যে ব্যক্তি এসকল ইবাদাত করবে সে তার রবের কাছে দু‘আ করল এবং এমতাবস্থায় তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে। এসকল বিষয় দ্বারা এটা স্পষ্ট হল যে, সম্পূর্ণ সালাত (নামায) হচ্ছে আবেদন মূলক দু‘আ এবং ইবাদাত মূলক দু‘আ; কেননা নামায উভয়কেই শামিল করে। (ফাতহুল মাজীদ)।

৩/ জামা‘আতের শাব্দিক অর্থ: কোন কিছুর সমষ্টি ও আধিক্য, আর আল্জামউ’ হল বিক্ষিপ্ত বিষয় সংকলন করা, আর জামে’ মসজিদ হল যে মসজিদ তার পরিবারকে (এলাকাভুক্ত নামাযীদের) একত্রিত করে, ‘‘জামে’’’ শব্দটি মসজিদের বিশেষণ; কেননা উহা একত্রিত হওয়ার প্রতীক। এবং (বিশেষণ পদ ‘‘আলমাসজিদুল জামে’’’ এর পরিবর্তে) সম্বন্ধ পদ ‘‘মাসজিদুল জামে’’’ ব্যবহার করাও বৈধ, যেমন ব্যবহার করা হয় ‘‘আলহাক্কুল ইয়াকীন’’ এবং ‘‘হাক্কুল ইয়াকীন’’। এমতাবস্থায় অর্থ হবে: ‘‘আজকের/বর্তমান জামে মসজিদ’’ এবং ‘‘বিষয়টি সত্য হওয়া নিশ্চিত’’। উক্ত উভয় বাক্যে ‘‘আজকের / বর্তমান’’ এবং ‘‘বিষয়টি’’ উহ্য মেনে অর্থ করতে হবে, কেননা বিষয়ের/জিনিসের সংযোজন তার নিজের সাথে করা বৈধ নয়। জামা‘আত হল: কিছু লোক যাদেরকে নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য একত্রিত করে। (লিসানুল আরব)।

৪/ শরীয়তের পরিভাষায় আল-জামা‘আত বলতে: নির্ধারিত কিছু মানুষকে বুঝান হয়। সর্বনিম্ন দুইজন অর্থাৎ ইমাম ও মুক্তাদী দ্বারা জামা‘আত সংঘটিত হবে: (বাদায়ে ওয়াচ্ছানায়ে ১/১৫৬) এবং সালাতুল জামা‘আহ এজন্য নামকরণ করা হয়েছে যে, নির্দিষ্ট স্থানে ও সময়ে নির্ধারিত কাজের জন্য মুসল্লীগণ একত্রিত হন, সুতরাং যদি কোন কারণ ব্যতীত উভয়ের অথবা একটির লংঘন করা হয় তবে তা সকল ইমামদের মতে নিষিদ্ধ। (হাশিয়াতু রওদুল মুরবি’ ২/২৫৫)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন