মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
২৭. সালাতে এদিক সেদিক না তাকানো। আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لا يزال الله عز وجل مقبلاً على العبد وهو في صلاته ما لم يلتفت، فإذا التفت انصرف عنه» .
“বান্দা যতক্ষণ তার সালাতে থাকে আল্লাহ তার দিকে মনোনিবেশ করেই থাকেন, যতক্ষণ না সে এদিক সেদিক তাকায়, যখন সে এদিক সেদিক তাকায় তিনি তার থেকে ঘুরে যান।” [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯০৯, সহীহ আবু দাউদেও হাদীসটি আছে।]
সালাতে ইলতিফাত বা এদিক সেদিক তাকানো দুই প্রকার: (ক). অন্তরের ইলতিফাত অর্থাৎ অন্তরের আল্লাহ ছাড়া অন্য বস্তুর দিকে মনোনিবেশ করা। (খ). চোখের ইলতিফাত অর্থাৎ চোখের সাজদার জায়গার বাইরে দেখা। উভয় ইলতিফাত নিষেধ, কারণ এতে মুসল্লির সাওয়াব নষ্ট হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইলতিফাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি উত্তরে বললেন,
«اختلاس يختلسه الشيطان من صلاة العبد» .
“এটা এক ধরণের ছিনতাই, যা বান্দার সালাত থেকে শয়তান ছিনিয়ে নেয়।” [সহীহ বুখারি, আযান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: আল-এলতেফাত ফিস সালাত।]
ইবনুল কাইয়্যেম বলেন, “আমরা সালাত পড়াবস্থায় চোখ বা অন্তর দিয়ে যে এদিক সেদিক দেখি, তার উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মতো, যাকে কোনো বাদশাহ ডেকে এনে সামনে দাঁড় করিয়ে কথা বলেন ও সম্বোধন করেন, আর সে বাদশাহকে ত্যাগ করে ডানে-বামে দেখে, অন্তরও ফিরিয়ে নেয় তার থেকে, ফলে বাদশাহ তাকে যা বলেন তার কিছুই সে বুঝে না, কারণ তার অন্তর সাথে নেই। এ ব্যক্তি বাদশাহ থেকে কী আচরণ আশা করতে পারে? তার ক্ষেত্রে অন্তত এতটুকুন কী হবে না যে, বাদশাহর দরবারে সে অভিশপ্ত হবে এবং সেখান থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং বাদশাহের চোখে তার কোনো মূল্য থাকবে না? এ মুসল্লি কখনো ঐ মুসল্লির বরাবর নয়, যে পুরো সালাতে অন্তরসহ আল্লাহ-মুখী থাকে এবং তাঁর সমীপে দাঁড়িয়ে তাঁর বড়ত্ব অনুভব করে, ফলে তার অন্তর ভয়ে পরিপূর্ণ হয় ও শ্রদ্ধায় গর্দান সাজদায় ঝুঁকে যায়। লজ্জায় এদিক সেদিক তাকায় না এবং তার থেকে মনোযোগও হটায় না। এ দু’জনের পার্থক্য নির্ণয় করেছেন হাস্সান ইবন আতিয়্যাহ। তিনি বলেন, দু’জন মুসল্লি একই সালাতে দণ্ডায়মান, অথচ উভয়ের মাঝে আসমান ও জমিনের মতো ব্যবধান। কারণ, একজন আল্লাহর প্রতি মনোযোগী আর অপরজন আল্লাহ হতে অন্যমনস্ক।” [ইবনুল কাইয়্যেম প্রণীত ‘আল-ওয়াবিলুস সায়্যিব’: পৃ.৩৬, প্রকাশক, দারুল বায়ান।]
ইবন তাইমিয়াহ বলেন, “প্রয়োজন সাপেক্ষে এদিক সেদিক তাকানো নিষেধ নয়। আবু দাউদ রহ. বর্ণনা করেন, সাহাল ইবন হানযালিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘হুনাইনের যুদ্ধে ফজরের আযান হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ইমামত করছিলেন আর পাহাড়ের পথে তাকাচ্ছিলেন।’ আবু দাউদ বলেন, ‘তার কারণ ছিল, রাতে পাহাড়ের পথে নজরদারির জন্যে জনৈক অশ্বারোহীকে তিনি প্রেরণ করেছিলেন, তাকে সালাতে দেখছিলেন।’ এ ঘটনাটি সালাত পড়াবস্থায় উমামা তনয়া আবুল আসকে কোলে তুলে নেওয়া, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে দরজা খুলে দেওয়া, শেখানোর জন্যে সালাতেই মিম্বার থেকে নেমে আসা, সূর্য গ্রহণের সালাতে পেছনের দিকে প্রস্থান করা, শয়তান যখন তার সালাত নষ্ট করার চেষ্টা করছিল তখন তাকে আটকে গলা চেপে ধরা, মুসল্লিকে সালাতেই সাপ ও বিচ্ছু মারার অনুমতি দেওয়া, সালাতের সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে বাধা দিতে বলা—প্রয়োজনে তার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার আদেশ করা, ইমামকে ভুল ধরিয়ে দিতে নারীদের হাতে হাত মেরে শব্দ করা, প্রয়োজন সাপেক্ষে ইশারা করা প্রভৃতি ঘটনার মতো। সালাতের বাইরে এসব অহেতুক কর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়, সালাতে ভেতর অবশ্যই বড় অপরাধ।” [ইবন তাইমিয়ার ফাতওয়ার সংকলন ‘মাজমুউল ফাতাওয়া’: ২২/৫৫৯।]
২৮. সালাতরত অবস্থায় মাথা উঁচিয়ে আসমানের দিকে না দেখা। এরূপ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং যে করবে তার প্রতি কঠোর হুশিয়ারি রয়েছে, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«إذا كان أحدكم في الصلاة فلا يرفع بصره إلى السماء، أن يلتمع بصره» .
“যখন তোমাদের কেউ সালাতে থাকে তখন আসমানের দিকে তাকাবে না, কারণ তার দৃষ্টি চলে যেতে পারে।” [ইমাম আহমদ সংকলিত ‘মুসনাদ’: ৫/২৯৪; ‘সহীহ আল-জামি’, হাদীস নং ৭৬২।] অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন,
«ما بال أقوام يرفعون أبصارهم إلى السماء في صلاتهم» .
“মানুষের কী হলো, তারা সালাতে আসমানের দিকে দেখে? (অপর বর্ণনায় আছে, «عن رفعهم أبصارهم عند الدعاء في الصلاة» . ‘তিনি সালাতে দো‘আর সময় উপরে চোখ তুলতে নিষেধ করেছেন।’) [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪২৯।] আরো কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, «لينتهنّ عن ذلك أو لتخطفن أبصارهم» . “অবশ্যই তার থেকে বিরত থাকবে অথবা তাদের দৃষ্টি ছিনিয়ে নেওয়া হবে।” [ইমাম আহমদ সংকলিত ‘মুসনাদ’: ৫/২৫৮; সহীহ আল-জামি, হাদীস নং ৫৫৭৪।]
২৯. সালাতে থাকাবস্থায় সম্মুখের দিকে থুতু না ফেলা। কারণ, সম্মুখে থুতু নিক্ষেপ করা একাগ্রতা ও আল্লাহর সাথে আদবের পরিপন্থী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«إذا كان أحدكم يصلي فلا يبصق قِبَل وجهه فإن الله قِبَل وجهه إذا صلى» .
“যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করে, তখন সে নিজের চেহারার দিকে থুতু ফেলবে না। কারণ, যখন সে সালাত পড়ে তখন আল্লাহ তার চেহারার দিকে থাকেন।” [সহীহ বুখারি, হাদীস নং ৩৯৭।] তিনি আরো বলেছেন,
«إذا قام أحدكم إلى الصلاة فلا يبصق أمامه، فإنما يناجي الله -تبارك و تعالى - ما دام في مصلاه، ولا عن يمينه فإن عن يمينه ملكًا، و ليبصق عن يساره، أو تحت قدمه فيدفنها» .
“যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে নিজের সম্মুখে থুতু ফেলবে না। কারণ যতক্ষণ সে মুসল্লায় থাকে আল্লাহর সাথে কথা বলে এবং ডানেও থুতু ফেলবে না, কারণ ডানে মালাক (ফেরেশতা) আছেন, তবে তার বাঁয়ে ফেলবে বা পায়ের নিচে ফেলে মাটিতে চাপা দিবে।” [সহীহ বুখারি বর্ণিত, দেখুন ‘ফাতহুল বারি’, হাদীস নং ৪১৬, ১/৫১২।] তিনি আরো বলেছেন,
«إن أحدكم إذا قام في صلاته فإنما يناجي ربه، وإن ربه بينه وبين قبلته، فلا يبزقن أحدكم في قبلته، ولكن عن يساره أو تحت قدمه» .
“যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে নিজের রবের সাথে কথা বলে। আর তার রব থাকেন কেবলা ও তার মাঝখানে, সুতরাং তোমরা কেউ কেবলার দিকে থুতু ফেলবে না, তবে বাঁয়ে বা পায়ের নিচে ফেলবে।” [সহীহ বুখারি বর্ণিত, দেখুন ‘ফাতহুল বারি’, হাদীস নং ৪১৭, ১/৫১৩।]
বর্তমান যেহেতু অধিকাংশ মসজিদ মোজাইক, টাইলস কিংবা কার্পেডিং করা, তাই প্রয়োজন সাপেক্ষে পকেট থেকে রুমাল বা রুমাল জাতীয় কাপড়-টিস্যু বের করে তাতে থুতু ফেলে পুনরায় তা পকেটে রেখে দেওয়া।
«إذا تثاءَب أحدُكم في الصلاة فليكظِم ما استطاع فإن الشيطان يدخل» .
“তোমাদের কেউ যখন সালাতে হাই তোলে, সে যেন তা যথাসাধ্য দমন করে। কারণ, শয়তান ভেতরে প্রবেশ করে।” [সহীহ মুসলিম: ৪/২২৯৩।]
জ্ঞাতব্য যে, শয়তান মুসল্লির ভেতর প্রবেশ করতে পারলে তার খুশু নষ্ট করতে বেশি সমর্থ হয়, আর বনু আদমের হাই তোলা দেখে তার খুশীতে আটখান হওয়া তো আছেই।
৩১. কোমরে হাত রেখে না দাঁড়ানো। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الاختصار في الصلاة» .
“সালাতে কোমরে হাত রেখে দাঁড়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।” [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৪৭। হাদীসটি সহীহ বুখারিতেও আছে।] কোমরে হাত দাঁড়ানোকে আরবিতে ইখতিসার বলা হয়।
ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন, “যিয়াদ ইবন সাবিহ হানাফি বলেন, আমি ইবন ওমরের পাশে কোমরে হাত রেখে দাঁড়িয়ে সালাত পড়ছিলাম, আমার হাতে তিনি আঘাত করলেন এবং সালাত শেষ করে বললেন, সালাতে একেই শূলিবিদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো বলে, এভাবে দাঁড়াতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করতেন।” [ইমাম আহমদ সংকলিত ‘মুসনাদ’: ২/১০৬, হাফিয ইরাকি ‘ইহইয়াউল উলুম’ গ্রন্থের তাখরিজে হাদীসটি সহীহ বলেছেন। দেখুন, আলবানির গবেষণা ‘আল-ইরওয়া’: ২/৯৪।]
একটি মারফু হাদিসে এসেছে, “জাহান্নামীরা কোমরে হাত রেখে দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিবে। আল্লাহর কাছে তার থেকে পানাহ চাই।” [ইমাম বায়হাকি আবু হুরায়রা থেকে হাদীসটি মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইরাকি বলেছেন, তার সনদ বাহ্যত সহি।]
৩২. টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান না করা। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
«أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن السدل في الصلاة وأن يغطي الرجل فاه» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ‘সাদল’ থেকে ও পুরুষের মুখ ঢেকে রাখতে নিষেধ করেছেন।” [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৪৩; আলবানি সংকলিত ‘সহীহ আল-জামি’, হাদীস নং ৬৮৮৩, তিনি হাদীসটি হাসান বলেছেন।]
খাত্তাবি রহ. বলেন, “গায়ের কাপড় মাটি স্পর্শ করা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়াকে ‘সাদল’ বলা হয়।” [মুহাম্মাদ শামসুল হক আল-আযিম আবাদি প্রণীত ‘আউনুল মাবুদ’: ২/৩৪৭।]
মোল্লা আলি কারি ‘মিরকাত’ গ্রন্থে বলেন, “সাদল’ অর্থাৎ গায়ের কাপড় টাখনুর নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরিধান করা সর্বাবস্থায় নিষেধ। কারণ, ‘সাদল’ অহংকারের আলামত, সালাতে তা আরো খারাপ ও নিকৃষ্ট।’
‘আন-নেহায়া’ গ্রন্থকার বলেন, ‘সাদল’ হচ্ছে চাদর বা চাদর জাতীয় কাপড়ের দুই মাথা দিয়ে নিজেকে পেঁচিয়ে তার ভেতর থেকে দু’হাত বের করে রুকু ও সাজদাহ করা।’ কেউ বলেছেন: ‘ইয়াহূদীরা এরূপ করত।’ কেউ বলেছেন: ‘সাদল’ হচ্ছে মুসল্লির মাথা বা কাঁধের উপর কাপড় রেখে তার পার্শ্বগুলো তার সম্মুখে কিংবা তার দুই বাহুর উপর ঝুলিয়ে রাখা। এভাবে কাপড় গায়ে দিলে পুরো সালাত জুড়েই তা ঠিক করতে হয়, ফলে তার খুশু নষ্ট হয়। যদি কাপড় বাঁধা বা বোতাম লাগানো থাকে এ সমস্যা হয় না, আর তার খুশুতেও প্রভাব পড়ে না।’
বর্তমান যুগে কিছু কাপড় দেখা যায়, যেমন মরক্কোর আবাকাবা, এশিয়ার শাল বা চাদর, সৌদি আরবের রুমাল প্রভৃতি কাপড় পরিধান করে মুসল্লি যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সালাত জুড়েই পড়ে যাওয়া অংশ (আঁচল) উঠাতে ও গায়ে জড়াতে ব্যস্ত থাকে। অতএব সতর্ক হওয়া জরুরি।
আর মুসল্লির মুখ ঢাকার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আলেমগণ বলেন, ‘মুখ ঢাকা থাকলে সুন্দর তিলাওয়াত ও পূর্ণভাবে সাজদাহ করতে সমস্যা হয়।” [মোল্লা আলি আল-কারি প্রণীত ‘মিরকাতুল মাফাতিহ’: ২/২৩৬।] মোল্লা আলী কারী থেকে আহৃত অংশ শেষ হলো।
৩৩. সালাতে জীব-জন্তুর আকৃতি গ্রহণ না করা। আল্লাহ তা‘আলা বনু আদমকে সুন্দর আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, কাজেই তাদের পক্ষে চতুষ্পদী জন্তুর সাদৃশ্য গ্রহণ করা শোভনীয় নয়। অধিকন্তু সালাতে কিছু জীব-জন্তুর হরকত ও আকৃতি গ্রহণ করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন, কেননা তার দ্বারা খুশু নষ্ট হয় কিংবা সেটা মুসল্লির অবস্থার সাথে বেমানান। যেমন বর্ণিত আছে,
«نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم في الصلاة عن ثلاث : عن نقر الغراب وافتراش السبع وأن يوطن الرجل المقام الواحد كإيطان البعير» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে তিনটি জিনিস নিষেধ করেছেন: কাকের ঠোকর, চতুষ্পদী জন্তুর বসা ও উটের ন্যায় একই জায়গা নির্ধারণ করা।” [ইমাম আহমদ সংকলিত ‘মুসনাদ’: ৩/৪২৮।]
আহমদ সা‘আতি বলেন, “হাদীসটি ব্যাখ্যা কেউ বলেছেন, একই স্থান নির্ধারণ করার অর্থ মসজিদের একটি জায়গা সালাতের জন্যে নির্ধারণ করা এবং সেটা পরিবর্তন না করা, যেমন উট তার বসার স্থান পরিবর্তন করে না।” [আহমদ সাআতি প্রণীত ‘আল-ফাতহুর রাব্বানি’: ৪/৯১।] অপর বর্ণনায় আছে, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,
প্রিয় পাঠক, এ পর্যন্ত আমরা খুশু অর্জন করার উপায় ও তার বাধাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। উল্লেখ্য যে, খুশুর গুরুত্ব ও প্রয়োজনের তাগিদে আলেমগণ খুশু সংক্রান্ত নিম্নের বিষয়টি নিয়েও গবেষণা করেছেন:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/95/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।