HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩টি উপায়

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ

ভূমিকা
দোজাহানের রব আল্লাহ তা‘আলার জন্যে যাবতীয় প্রশংসা, যিনি সালাতে একাগ্রতাসহ ও বিনীতভাবে দাঁড়ানোর পরিষ্কার নির্দেশ দিয়ে মহান গ্রন্থ কুরআনুল কারিমে বলেছেন,

﴿وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ﴾ [ البقرة : ٢٣٨ ]

“তোমরা আল্লাহর জন্যে বিনীতভাবে দাঁড়াও।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৩৮] অপর আয়াতে তিনি সালাত সম্পর্কেই বলেছেন,

﴿وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى ٱلۡخَٰشِعِينَ ٤٥ ﴾ [ البقرة : ٤٥، ٤٦ ]

“নিশ্চয় সালাত অনেক কঠিন তবে একাগ্রচিত্তদের (খুশুর ধারকদের) ওপর নয়।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৪৫-৪৬]

সালাত ও সালাম নাযিল হোক মুত্তাকিদের ইমাম ও খুশুর ধারকদের আদর্শ ব্যক্তিত্ব মুহাম্মাদের ওপর, তার পরিবার এবং সকল সাহাবীর ওপর।

প্রিয় পাঠক, ইসলামের ইবাদত প্রধানত দু’প্রকার: করণীয় ও বর্জনীয়। সালাত করণীয় শ্রেষ্ঠ ইবাদত। আর খুশু হচ্ছে তার প্রাণ ও সৌন্দর্য। কাজেই শরীআত তা রক্ষার জন্যে কড়া নির্দেশ দিয়েছে, তবে যেহেতু আল্লাহর শত্রু শয়তান আদম সন্তানকে পথভ্রষ্ট ও ফিতনায় নিমজ্জিত করার শপথ করে এসেছে এবং জেদ করেই বলেছে,

﴿ثُمَّ لَأٓتِيَنَّهُم مِّنۢ بَيۡنِ أَيۡدِيهِمۡ وَمِنۡ خَلۡفِهِمۡ وَعَنۡ أَيۡمَٰنِهِمۡ وَعَن شَمَآئِلِهِمۡۖ وَلَا تَجِدُ أَكۡثَرَهُمۡ شَٰكِرِينَ ١٧﴾ [ الاعراف : ١٧ ]

“তারপর অবশ্যই আমি তাদের নিকট আসব, তাদের সামনে থেকে ও তাদের পেছন থেকে এবং তাদের ডান থেকে ও তাদের বাম থেকে। আর আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৭] সেহেতু তার ষড়যন্ত্রের প্রথম ধাপ হচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে তাদেরকে সালাত থেকে বিমুখ করা এবং তাতে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা দেওয়া, যেন তার স্বাদ থেকে তারা বঞ্চিত হয় এবং তাদের সাওয়াবও নষ্ট হয়।

আরেকটি বাস্তবতা হচ্ছে, কিয়ামতের পূর্বে পৃথিবী থেকে সবার আগে তুলে নেওয়া হবে সালাতের খুশু ও একাগ্রতা আর আমরা কিয়ামতের পূর্বের যুগেই বাস করছি। তাই আমাদের মধ্যে হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহুর আশঙ্কা দুঃখজনকভাবে সত্যে পরিণত হয়েছে! তিনি বলেছেন,

«أول ما تفقدون من دينكم الخشوع، وآخر ما تفقدون من دينكم الصلاة، ورُبّ مصلٍّ لا خير فيه، ويوشك أن تدخل المسجد فلا ترى فيهم خاشعًا» .

“তোমরা তোমাদের দীন থেকে প্রথম হারাবে সালাতের একাগ্রতা (খুশু), আর সবশেষে হারাবে সালাত। এমনও মুসল্লি থাকবে যার ভেতর কোনো কল্যাণ থাকবে না। তুমি অতি শীঘ্রই মসজিদে প্রবেশ করবে, কিন্তু তাদের একজনকেও একাগ্রচিত্ত পাবে না।” [ইবনুল কাইয়্যেম প্রণীত ‘মাদারিজুস সালিকিন’: ১/৫২১।]

অধিকন্তু সালাতে নানা কল্পনার উদ্রেক হওয়া, তাতে একাগ্রতা না থাকা প্রভৃতি অভিযোগ মুসল্লি নিজের ভেতর অনুভব করে এবং তার পাশের বহু লোক থেকেও শ্রবণ করে, তাই সেটা দূর করার লক্ষ্যে ‘সালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩টি উপায়’ উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি, যেন আমার ও আমার মুসলিম ভাই-বোনের জন্যে কল্যাণকর হয়। আল্লাহর নিকট দো‘আ করি তিনি সবাইকে গ্রন্থখানি দ্বারা উপকৃত করুন।

আল্লাহ তা‘আলা সূরা মুমিনুনের শুরুতে সফল মুমিনদের গুণাবলি উল্লেখ করেছেন, প্রথমেই বলেছেন সালাতে খুশু ও একাগ্রতার কথা, যেমন:

﴿قَدۡ أَفۡلَحَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ١ ٱلَّذِينَ هُمۡ فِي صَلَاتِهِمۡ خَٰشِعُونَ ٢﴾ [ المؤمنون : ١، ٢ ]

“মুমিনগণ সফল, যারা তাদের সালাতে একাগ্র (খুশুওয়ালা)।” [সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত: ১-২]

ইবন কাসীর রহ. আয়াতটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, “আল্লাহ ভীরু ও একাগ্রতাসম্পন্ন মুমিনরা সফল। আর একাগ্রতা (খুশু) বলা হয় আল্লাহর প্রতি গভীর মনোযোগ ও তার ভয় থেকে সৃষ্ট ধীরতা, স্থিরতা, ধৈর্য, গম্ভীরতা ও বিনয়াবনতাকে।” [ইবন কাসীর প্রণীত ‘তাফসির’: ৬/৪১৪, ‘দারুশ-শা‘আব’ প্রকাশিত।]

অন্য কেউ বলেন: “বিনয়াবনত ও অন্তরের অবনত ভাব নিয়ে আল্লাহর সমীপে দাঁড়ানোকে একাগ্রতা (খুশু) বলা হয়।” [ইবনুল কাইয়্যেম প্রণীত ‘মাদারিজুস সালিকিন’: ১/৫২০।]

তাবেয়ি মুজাহিদ রহ. আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ﴾ [ البقرة : ٢٣٨ ] [তোমরা আল্লাহর জন্যে কুনুতের অবস্থায় (বিনীতভাবে) দাঁড়াও।] এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, “সালাতে সুন্দরভাবে রুকু করা, তাতে খুশু ও একাগ্রতা রক্ষা করা, চোখের দৃষ্টি অবনত রাখা এবং আল্লাহর ভয়ে বিনয়ী শরীর নিয়ে দাঁড়ানোকে কুনুতের অবস্থা বলা হয়।” [মুহাম্মাদ ইবন নাসর আল-মারওয়াযি সংকলিত ‘তাজিমু কাদরিস সালাত’: ১/১৮৮।]

ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, “খুশুর স্থান অন্তর, তবে তার আলামত স্পষ্ট হয় গোটা শরীরে। কারণ, শরীর অন্তরের অনুসারী, তাই গাফিলতি ও ওয়াসওয়াসার জন্যে যখন অন্তরের আমল খুশু ও একাগ্রতা নষ্ট হয় তখন বাহিরের আমল বিনয়-নম্রতাও নষ্ট হয়। কেননা, অন্তর বাদশাহ আর অঙ্গসমূহ আজ্ঞাবহ সৈনিকের মতো। বাদশাহর নির্দেশে সৈনিকেরা চলে ও সামনে অগ্রসর হয়। যদি খুশু না থাকার দরুন অন্তরনামী বাদশাহর পতন ঘটে, তাহলে তার প্রজাদের ধ্বংস অনিবার্য। হ্যাঁ, কেউ যদি অন্তরে খুশু ধারণ না করে স্রেফ দেখানোর জন্যে বাহিরে খুশুর আলামত প্রকাশ করে, তবে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়, বস্তুত খুশুর আলামত প্রকাশ না করাই ইখলাস।

হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, ‘কপট খুশু থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞেস করা হলো, কপট খুশু কী? তিনি বললেন, বহিরঙ্গে খুশু দেখানো যদিও অন্তরঙ্গ খুশুবিহীন।’

ফুদায়েল ইবন আয়াদ্ব রহ. বলেন, ‘আগেকার যুগে অন্তরঙ্গে যে পরিমাণ খুশু আছে বহিরঙ্গে তার চেয়ে বেশি প্রকাশ করাকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো।’

জনৈক আলেম কোনো এক ব্যক্তির শরীর ও কাঁধে খুশুর আলামত দেখে বললেন: হে ছেলে, খুশু এখানে নয়—কাঁধের দিকে ইশারা করে। আর বুকের দিকে ইশারা করে বললেন, খুশু এখানে।” [ইবনুল কাইয়্যেম প্রণীত ‘মাদারিজুস সালিকিন’: ১/৫২১।] সংগৃহীত অংশ শেষ হলো।

ইবনুল কাইয়্যেম রহ. ঈমানের খুশু ও নিফাকের খুশুর মাঝে পার্থক্য নির্ণয়ে বলেন, “ঈমানের খুশু হচ্ছে আল্লাহর সম্মান, বড়ত্ব, গম্ভীরতা, ভয় ও লজ্জা থেকে সৃষ্ট বান্দার অন্তরের একাগ্রতা। এরূপ একাগ্রতার ফলে বান্দার অন্তর আল্লাহর ভয় ও মহত্ত্বে চুপসে যায় এবং নিজের দেহে তার নিআমত দেখে ও নিজের কৃত অপরাধ স্মরণ করে আরো কৃতজ্ঞ ও লজ্জিত হয়। আর এই বিনয় মিশ্রিতই ভাবকে সঙ্গ দেয় দেহের বাহ্যিক অঙ্গসমূহ। অপরপক্ষে নিফাকের খুশু লোক দেখানো ও কপটতা হেতু যদিও বহিরঙ্গে দেখা যায় কিন্তু অন্তরঙ্গ থাকে নিষ্ক্রিয় ও উদাসীন। জনৈক সাহাবী বলতেন: ‘আল্লাহর নিকট নিফাকের খুশু থেকে পানাহ চাই; তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, নিফাকের খুশু কী? তিনি বললেন, শরীরে একাগ্রতা প্রকাশ করা যদিও অন্তর একাগ্রতাহীন।’

প্রকৃত অর্থে খুশু ও একাগ্রতা তার সালাতেই অর্জন হয়, যার প্রবৃত্তির আগুন নিভে গেছে, বুক থেকে তার ধোঁয়া বেরোনো বন্ধ হয়েছে, ফলে তার ভেতরটা উজ্জ্বল, হৃদয়টা সম্প্রসারিত এবং দেহটা হয় আল্লাহর বড়ত্বের দ্যোতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ইতোপূর্বে যে প্রবৃত্তি তাকে ঘিরেছিল, সে এখন হাত-পা বাঁধা, নিশ্চল, আল্লাহর ভয় ও গম্ভীরতায় নিস্তব্ধ, ফলে তার অন্তরটা আল্লাহতে নিবিষ্ট এবং তার তাওফিকে তাকেই স্মরণ করছে অনবরত। দিগ্বিদিক থেকে গড়িয়ে আসা মেঘের পানি ধারণ করে উপত্যকা যেরূপ সিক্ত হয়, তার মতো সেও অঙ্গে-অঙ্গে আল্লাহর বড়ত্ব চুষে পরিতৃপ্ত। তারপর আল্লাহর মহত্ত্বে আবেগাপ্লুত হয়ে বিনয়ী ও ভঙ্গুর হৃদয় নিয়ে সাজদায় লুটিয়ে পড়ে, যতক্ষণ না তার সাক্ষাত পায় মাথা তুলে সোজা হয় না। এটাই ঈমানের খুশু ও একাগ্রতা। পক্ষান্তরে দাম্ভিকের অন্তর দম্ভে স্ফীত, অবাধ্য, অন্যায় কামী ও উচ্ছৃঙ্খল, ঠিক যেন পাথুরে পর্বত, তাতে পানি জমে না এবং তার থেকে ফসলও উৎপাদিত হয় না। তার সালাতে দাঁড়িয়ে মরার ভান করা ও শরীরের কপট স্থিরতা দ্বারা লোক দেখানো খুশু সৃষ্টি হয় বটে, কিন্তু তার ভেতরে নফস পুরো যুবক, চাহিদা ও প্রবৃত্তিতে নিমজ্জিত। সে বাহ্যিকভাবে খুশুর ভান করে, কিন্তু তার দু’পাশ থেকে ঝোপের সাপ ও জঙ্গলের বাঘ তাকে শিকার করতে ওঁত পেতে থাকে।” [ইবনুল কাইয়্যেম প্রণীত ‘আর-রুহ’: পৃ.৩১৪, ‘দারুল ফিকর’, জর্ডান (উর্দুন)।] সংগৃহীত অংশ শেষ হলো।

ইবন কাসীর রহ. বলেন, “কেবল তার সালাতে খুশু ও একাগ্রতা অর্জন হয়, যে নিজের অন্তরকে তার জন্যে অবসর করে, সবকিছু ত্যাগ করে তাকে নিয়ে মগ্ন হয় এবং সবকিছুর উপর তাকে প্রাধান্য দেয়। আর একাগ্রতা সম্পন্ন সালাতই আত্মার প্রশান্তি ও চোখের শীতলতা হয়। যেমন আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ইমাম আহমদ ও নাসাঈর বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«وجعلت قرة عيني في الصلاة» .

‘আমার চোখের প্রশান্তি করা হয়েছে সালাতে।” [ইবন কাসীর প্রণীত ‘তাফসির’: ৫/৪৫৬, হাদীসটির জন্যে আরো দেখুন: ‘সহীহ আল-জামি’: হাদীস নং ৩১২৪।]

আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারিমের যেখানে স্বীয় মনোনীত বান্দাদের গুণ বর্ণনা করেছেন সেখানে খুশুর সাথে সালাত আদায়কারী নারী-পুরুষকেও উল্লেখ করেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন,

﴿أَعَدَّ ٱللَّهُ لَهُم مَّغۡفِرَةٗ وَأَجۡرًا عَظِيمٗا ٣٥﴾ [ الاحزاب : ٣٥ ]

“আল্লাহ তাদের জন্যে ক্ষমা ও মহান প্রতিদান নির্ধারণ করেছেন।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৫]

খুশু সালাতকে বান্দার ওপর হালকা করে দেয়। এটা খুশুর আরেকটি ফায়দা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى ٱلۡخَٰشِعِينَ ٤٥﴾ [ البقرة : ٤٥ ]

“তোমরা ধৈর্য ও সালাতের দ্বারা সাহায্য চাও, নিশ্চয় তা খুশুর ধারক ছাড়া অন্যদের ওপর কঠিন।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৪৫]

ইবন কাসীর রহ. আয়াতটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, “অর্থাৎ সালাত বড় কষ্টের কাজ, তবে খুশুওয়ালাদের জন্যে তাতে কোনো কষ্ট নেই।” [ইবন কাসীর প্রণীত ‘তাফসির’: ১/১২৫।]

খুশুর গুরুত্ব অনেক। খুশু খুব কষ্টে অর্জন হয়, আবার প্রস্থান করেও দ্রুত। বর্তমান যুগে খুশুর খুব অভাব, বিশেষভাবে যেহেতু এটা শেষ যুগ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أول شيء يرفع من هذه الأمة الخشوع، حتى لا ترى فيها خاشعا» .

“এ উম্মত থেকে প্রথম উঠিয়ে নেওয়া হবে খুশু, ফলে তুমি তাদের ভেতর কাউকে খুশুওয়ালা দেখবে না।” [মুহাদ্দিস হায়সামি সংকলিত ‘আল-মাজমা’: ২/১৩৬; তিনি বলেন, “ইমাম তাবরানি ‘আল-কাবির’ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তার সনদটি হাসান।” আরো দেখুন, ‘সহীহ আত-তারগিব ও আত-তারহিব’, হাদীস নং ৫৪৩, আলবানি হাদীসটি সহীহ বলেছেন।]

কতক সালাফ বলেছেন, “সালাত হচ্ছে দাসীর মতো, যা বাদশাহদের বাদশাহকে উপহার দেওয়া হয়। অতএব যে বাদশাহকে পঙ্গু, বা কানা, বা অন্ধ, বা হাত-পা কাঁটা, বা অসুস্থ, বা বিশ্রী, বা কুৎসিত, এমন কি মৃত দাসী উপহার দেয়, তার প্রতি বাদশাহের কী আচরণ আশা কর? অনুরূপভাবে যে সালাত বান্দা তার রবকে উপহার দেয় এবং যে সালাত পেশ করে রবের নৈকট্য প্রত্যাশী হয়, সে সালাতটি গুণে-মানে কেমন হওয়া উচিত? মনে রাখবেন, আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র আমল ছাড়া গ্রহণ করেন না, আর যে সালাত খুশুহীন সেটা পবিত্র সালাত নয় বলাই বাহুল্য। যেমন মৃত দাস মুক্ত করা সদকার ক্ষেত্রে পবিত্র সদকা নয়, তেমন খুশুহীন সালাত আমলের ক্ষেত্রে পবিত্র আমল নয়।” [ইবনুল কাইয়্যেম প্রণীত ‘মাদারিজুস সালিকিন’: ১/৫২৬।] সংগৃহীত অংশ শেষ হলো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন