hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতের শেষ বৈঠকে বসার পদ্ধতি

লেখকঃ কামাল আহমাদ

১০
আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসেম (আত-তায়মি)-এর পরিচিতি
তিনি উমার ফারুক (রা)-এর শিষ্য ছিলেন। [ইকমাল তাহযিবুল কামাল ৮/১২৪ পৃ. ৩১২৯ নং, তাহযিবুল কামাল লিলমিযযি ১৫/৪৩৮ পৃ.]

তিনি আবূ ঈসা সুলায়মান বিন কায়সানের উস্তায ছিলেন। [জারাহ ওয়াত তা‘দিল লিলআবি হাতিম : ৬০২]

তিনি সিক্বাহ ছিলেন। কুব্বারে তাবেঈদের কারও থেকে তাঁর প্রতি কোনো জারাহ (অভিযোগ) পাওয়া যায় না। বরং মুহাদ্দিসগণ থেকে তাঁর প্রতি তাওসিক্ব পাওয়া যায়। এর কিছু নিচে উল্লেখ করা হল:

১) ইমাম ইবনু হিব্বান (রহ. মৃত: ৬৩৭ হি.): তিনি তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [আস-সিক্বাত লিইবনি হিব্বান ৫/৪৬ পৃ.]

২) ইমাম ইবনু খলফুন (রহ. মৃত ৬৩৬ হি.): তিনিও তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [ইকমাল তাহযিবুল কামাল ৮/১২৪পৃ. ৩১২৯ নং]

৩) ইমাম হায়সামি (রহ. মৃত: ৮০৭ হি.): তিনিও তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৫৪ পৃ.]

৪) হাফেয ইবনু হাজার (রহ) তাঁকে মাক্ববুল বলেছেন। [তাক্বরিবুত তাহযিব ২/২১ পৃ.] এক্ষেত্রে সহীহ বর্ণনার সাক্ষ্য হিসেবে হাসান স্তরে গণ্য।

৫) শুআয়েব আরনাউত তাঁর ‘তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদে আহমাদে’ (হা/২২৩২৮) আব্দুল্লাহ বিন কাসেমের হাদীসকে হাসান বলেছেন। [শুআয়েব আরনাউত (রহ) লিখেছেন: إسناده حسن، أبو عيسى الخراساني التميمي روى عنه جمع، وذكره ابن حبان في " الثقات " ، وعبد الله بن القاسم - وهو مولى أبي بكر الصديق روى عنه ثلاثة، وذكره ابن حبان في " الثقات ". وأورده الهيثمي في " المجمع " ۱٠/۱۱۵ وقال : رواه أحمد ورجاله ثقات ]

এ পর্যায়ে ইবনু খাল্লিক্বানের এককভাবে ‘মাজহুল’ বলার আপত্তি প্রত্যাখ্যাত।

তাওসিক্বের অপর একটি দিক

৬) ইমাম ইবনু কাসির (রহ) ‘মাওলা আবূ বাকার’ শব্দসংবলিত হাদীসকে হাসান গণ্য করেছেন। তিনি (রহ) লিখেছেন:

يکفيه نسبته إلي أبي بکر الصديق، فهو حديث حسن

“আবূ বাকার সিদ্দিক (রা)-এর সাথে সম্পর্ক থাকাই যথেষ্ট। সুতরাং হাদীসটি হাসান।”[তাফসিরে ইবনু কাসির ২/১৫]

৭) ইমাম তাহাবি (রহ)-ও এ ধরনের একজন রাবী সম্পর্কে লিখেছেন:

لکن جهالته لاتضراذ تکفيه نسبته الي الصديق

“তার জাহালাত কোনো ক্ষতি করে না, আবূ বাকার সিদ্দিক (রা)-এর সাথে তার সম্পর্কটাই যথেষ্ট।” [ইত্তিহাফুল মুত্তাক্বিন ৫/৫৯ পৃ.]

লক্ষনীয় যে, আমাদের আলোচ্য রাবী আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসেম মাওলা আবূ বাকার প্রসিদ্ধ রাবী। এই সনদে তাঁর নামসহ উল্লেখ করা হয়েছে, কেবলই ‘মাওলা আবূ বাকার’ বলা হয়নি। সুতরাং সুস্পষ্ট হল, এই রাবী ইমাম ইবনু কাসির (রহ) ও ইমাম তাহাবি (রহ)-এর নিকট নিশ্চিতভাবে হাসানুল হাদীস।

সর্বোপরি ব্যাপক সংখ্যক মুহাদ্দিসের নিকট বর্ণিত হাদীসটি নীতিগতভাবে হাসান স্তরের।

যে সমস্ত মুহাদ্দিস তাঁর প্রতি কোনো জারাহ করেননি

৮) ইমাম বুখারী (রহ) আব্দুল্লাহ বিন কাসিমের পরিচিতি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কোনো জারাহ বা অভিযোগ উল্লেখ করেননি। তিনি (রহ) লিখেছেন:

عبد الله بن القاسم مولى أبي بكر الصديق رضى الله تعالى عنه وابن عمر وابن عباس وابن الزبير وسمع جاره النبي روى عنه أبو عيسى الخراساني وفضيل بن غزوان

“আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসেম (রহ)- তিনি আবূ বাকার সিদ্দিক্ব (রা)-এর মাওলা। তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন: ইবনু উমার (রা), ইবনু আব্বাস (রা) ও ইবনু যুবায়ের (রা) থেকে। তিনি নবী (স)-এর প্রতিবেশীর কাজ থেকে শুনেছিলেন। তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন: আবূ ঈসা খুরাসানি ও ফুযায়ল বিন গাযওয়ান।” [তারিখে কাবির লিলবুখারী ৫/৬৫ (শামেলা) ৫৫০ নং]

বুঝা যাচ্ছে, ইমাম বুখারী (রহ) তাঁর সম্পর্কে কোনো অভিযোগ উল্লেখ করেননি। এমনকি ইমাম বুখারী (রহ) তাঁর যঈফ রাবীদের সংকলনগুলোর মধ্যেও তার নাম উল্লেখ করেননি।

৯) ইমাম মিযযি (রহ) লিখেছেন:

عَبد الله بن القاسم القرشي التَّيْمِيّ البَصْرِيّ، مولى أبي بكر الصديق . رأى عُمَر بن الخطاب .

ورَوَى عَن : جابر بن عَبد الله ، وسَعِيد بن المُسَيَّب - وهو من أقرانه - وعبد الله بن الزبير ، وعبد الله بن عباس ، وجارة للنبي ﷺ.

رَوَى عَنه : فضيل بن غزوان ، وقرة بن خالد ، وأبو عيسى الخراساني ذكره ابنُ حِبَّان في كتاب " الثقات "

“আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসেম আল-কুরশি আত-তায়মি আল-বসরি: আবূ বাকার সিদ্দিক্ব (রা)-এর মাওলা ছিলেন। উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-কে দেখেছেন।

তিনি বর্ণনা করেছেন: জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রহ) থেকে- তিনি তাঁর সহচরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রা) থেকে, আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা) থেকে এবং নবী (স)-এর প্রতিবেশী থেকে।

তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন: ফুযায়ল বিন গাযওয়ান, কুর্রাতুন বিন খালিদ ও আবূ ঈসা খুরাসানি।

ইমাম ইবনু হিব্বান তাঁর কিতাব ‘সিক্বাতে’ উল্লেখ করেছেন।” [তাহযিবুল কামাল লিলমিযযি ১৫/৪৩৮ (শামেলা) ৩৪৮৬ নং]

বুঝা যাচ্ছে, ইমাম মিযযি (রহ)-ও আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসেমের প্রতি মুহাদ্দিসগণের পক্ষ থেকে কোনো জারাহ বা আপত্তি উল্লেখ করেননি। সর্বোপরি তিনি মাজহুল ও জারাহযুক্ত রাবী নন, বরং তিনি প্রসিদ্ধ রাবী। অনেক মুহাদ্দিসই তাঁর হাদীস গ্রহণ করেছেন এবং তাঁকে সিক্বাহ গণ্য করেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন