hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতের শেষ বৈঠকে বসার পদ্ধতি

লেখকঃ কামাল আহমাদ

১৪
দুই রাকআত বা একটি তাশাহহুদবিশিষ্ট সালাতে তাওয়ার্রুক পদ্ধতিতে বসার সহীহ হাদীস -মূল (উর্দু): আবুল ফাওযান কিফায়াতুল্লাহ সানাবিলি
-মূল (উর্দু): আবুল ফাওযান কিফায়াতুল্লাহ সানাবিলি

[সূত্র: মাহনামাহ আহলে সুন্নাহ- সেপ্টে/অক্টো, ২০১৩ ঈসায়ী, (মুম্বায়: ইসলামিক ইনফরমেশান সেন্টার, ভারত)। এখানে লেখকের গবেষণাটির আলোকে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজনসহ উপস্থাপন করা হল ।–কামাল আহমাদ]

قال البيهقي في الخلافيات :

أخبرنا أبو عبد الله الحافظ، قال : حدثني أبو أحمد الحسين بن علي، قال : حدثنا محمد بن إسحاق، قال : حدثنا أحمد بن الحسن الترمذي، حدثنا الحجاج بن ابراهيم الازرق، أخبرنا عبد الله بن وهب، أخبرني حيوة، عن ابي عيسي سليمان بن کيسان، عن عبد الله بن القاسم، قال :

بينما الناس يصلون يطلولون في القيام والقعود والرکوع والسجود اذ خرج عمر بن الخطاب فلما راي ذلک غضب وهيت بهم حتي تجوزوا في الصلاة فانصرفوا فقال عمر اقبلوا علي بوجوهکم وانظروا الي کيف اصلي بکم صلاة رسول الله التي کان يصلي فيأمر بها فقام مستقبل القبلة فرفع يديه حتي حاذا بهما منکبيه فکبر ثم غض بصره وخفض جناحه ثم قام قدر ما يقرأ بأم القرأن وسورة من المفصل ثم رفع يديه حتي حاذي بهما منکبيه فکبر ثم رکع فوضع راحتيه علي رکبتيه وبسط يديه عليهما ومد عنقه وخفض عجزه غير منصوب ولا متقنع حتي ان لو قطرة ماء وقعت في فقرة قفاه لم تنته ان تقع فمکث قدر ثلاث تسبيحات غير عجل ثم کبر وذکر الحديث الي ان قال ثم کبر فرفع رأسه فاستوي علي عقبيه حتي وقع کل عظم منه موقعه ثم کبر فسجد قدر ذلک ورفع رأسه فاستوي قائما   ثم صلى رکعة اخرى   مثلها ثم استوى جالسا   فنحى رجليه عن مقعدته والزم مقعدته الارض ثم   جلس قدر ان يتشهد بتسع کلمات   ثم سلم وانصرف   فقال للقوم هـکذا کان رسول اله يصلي بنا .

] خلافيات البيهقي ـ نقلا عن ـ مسند الفاروق لابن کثير :۱/ ۱ ٦٦ - ۱ ٦٤، وهو موجود في المكتبة الشاملة، وشرح الترمذي لإبن سيد الناس : ٢ / ٧ ۱ ٢، مخطوط، وفيه ذكر إسناده كاملا وذكره أيضا مختصرا الحافظ ابن حجر في الدراية في تخريج أحاديث الهداية ۱/۱۵ ٤ والزيلعي في نصب الراية ۱/٤۱۵ وإسناده صحيح [.

অনুবাদ: …আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসেম বলেন: লোকেরা সালাত আদায় করছিল। তারা অনেক লম্বা লম্বা ক্বিয়াম, রুকু, সাজদা ও বৈঠক করছিল। তখন উমার (রা) আসলেন। তিনি (রা) তাদের এ অবস্থা দেখে রাগান্বিত হলেন এবং তাদের সতর্ক করলেন। ফলে তারা ভারসাম্যমূলক সালাতে মনোযোগী হল। যখন সবাই সালাত শেষ করল, তখন উমার (রা) বললেন: তোমার সবাই তোমাদের চেহারাসহ আমার প্রতি মনোযোগী হও (অর্থাৎ আমার প্রতি লক্ষ কর), আর দেখ- আমি কীভাবে নবী (স)-এর সালাত পড়ি, যেভাবে তিনি (স) পড়তেন এবং এর হুকুমও দিতেন। তারপর উমার (রা) ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়ালেন এবং দুই হাত উঠালেন, যা তার কাঁধ বরাবর হল। অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন। তিনি তাঁর দৃষ্টি নীচু করলেন এবং হাত নামালেন। তিনি এতটা সময় দাঁড়ালেন যার মধ্যে সূরা ফাতিহা ও মুফাসসালের অন্তর্ভুক্ত সূরা ক্বিরাআত করা যায়। অতঃপর দুই হাতকে নিজের কাঁধ পর্যন্ত উঠালেন এবং ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন। তিনি রুকু করলেন, নিজের দুই হাতকে দুই হাঁটুর উপর রাখলেন এবং হাতকে ছড়িয়ে দিলেন। তিনি তার ঘাড়কে কিছুটা উপরে এবং পিঠকে কিছুটা নিচু করে এমন অবস্থাতে থাকতেন- যাতে না উঠার দিকে আর না ঝুঁকার দিকে থাকতেন (মাঝামাঝি অবস্থাতে)। এমনকি যদি তার মাথার কাছে পানি ফোঁটা রাখা হতো, তা হলে তা স্থির থাকত। এ অবস্থাতে স্থিরভাবে তিনি এতটা সময় থাকতেন যেন তখন তিনবার তাসবিহ পড়া যায়। এরপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। এরপর বর্ণনাকারী সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন, এতে আছে: তারপর উমার (রা) মাথা উঠালেন এবং পায়ের পিছনের দিকে ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। এমনকি প্রত্যেক হাড় তার স্থানে ফিরে গেল। এরপর আল্লাহু আকবার বললেন এবং সাজদা করলেন রুকু‘র সময়ের অনুরূপ। তারপর মাথা উঠালেন এবং নিজের পায়ের উপর সোজা খাড়া হয়ে বসলেন, এমনকি তার প্রত্যেক হাড় নিজস্থানে পৌঁছে গেল। অতঃপর তিনি রুকুর সময়ের পরিমাণ সাজদা করলেন। এরপর সাজদা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং দ্বিতীয় রাকআত একইভাবে পড়লেন। অতঃপর বসে গেলেন, তখন তিনি নিজের দুই পা নিজের নিতম্ব থেকে দূরে (ডানপাশে) রাখলেন ও নিতম্ব জমিনে রাখলেন (অর্থাৎ তাওয়ার্রুক করলেন)। অতঃপর এতটা সময় বসলেন যাতে নয়টি বাক্যের তাশাহহুদ পড়া যায়। এরপর সালাম ফেরালেন ও সালাত শেষ করলেন। অতঃপর লোকদেরকে বললেন: রসূলুল্লাহ (স) এভাবে সালাত পড়তেন।”

[বায়হাক্বির ‘আল-খিলাফিয়াত’ সূত্রে: ইমাম ইবনু কাসির (রহ)-এর ‘মুসনাদে ফারুক্ব’ ১/১৬৪-৬৬ পৃ., শরহে তিরমিযী লিইবনি সাইয়েদুন্নাস ২/৭১২- সম্পূর্ণ সনদসহ। আর সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন: হাফেয ইবনু হাজার (রহ) তাঁর ‘আদ-দিরায়াহ ফি তাখরিজি আহাদিসিল হিদায়াহ’ ১/১৫৪, যায়লাঈ হানাফি (রহ) তাঁর ‘নাসবুর রায়াহতে’ ১/৪১৫, তিনি লিখেছেন: قَالَ الشَّيْخُ : وَرِجَالُ إسْنَادِهِ مَعْرُوفُونَ “শায়েখ (ইমাম বায়হাক্বী) বলেন: এই সনদের বর্ণনাকারীগণ প্রসিদ্ধ।” শায়েখ যুবায়ের আলী যাঈ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। তিনি (রহ) খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর রফউল ইয়াদঈন করার প্রমাণ উল্লেখ করতে গিয়ে লিখেছেন:

الامام البیہقی صاحب الخلافیات :

الراوی عن الحاکم : مشہور ثقہ بالاتفاق الامام اور السنن الکبری وغیرہ کے مصنف هيں۔

اس تحقیق سے معلوم ہوا کے یہ سند حسن ہے۔

امير المؤمنين عمر رضي الله عنه سے رفع اليدين كے اثبات كے ساتھ اس كے متعدد شواهد بھي موجود هےمثلا :…

“ইমাম বায়হাক্বী (রহ) যিনি ‘আল-খিলাফিয়াতে’র লেখক (সেখানে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)। তিনি হাকিম থেকে বর্ণনাকারী: প্রসিদ্ধ সিক্বাহ ও ঐকমত্যে ইমাম। তিনি ‘সুনানে কুবরা’ ও অন্যান্য কিতাবের লেখক। হাদীসটির তাহক্বীক্ব থেকে প্রমাণিত হয়, সনদটি হাসান। আমিরুল মু’মিনীন উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে রফউফল ইয়াদাঈন হওয়ার সাথে সাথে এর কয়েকটি শাওয়াহেদ (সাক্ষ্য)-ও আছে, যেমন: …। (বিস্তারিত: নুরুল আইনাঈন ফি ইসবাতে রফউল ইয়াদাঈন পৃ. ২০১)]

লক্ষনীয় দিক:

১) হাদীসটিতে খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) নবী (স)-এর সালাতের পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এমনকি ঐ পদ্ধতিতে সালাত আদায় করাকে নবী (স)-এর হুকুমের সাথে সম্পর্কিত করেছেন। যেমন, তিনি (রা) বলেছেন:

وانظروا الي کيف اصلي بکم صلاة رسول الله التي کان يصلي فيأمر بها

“আর দেখ- আমি কীভাবে নবী (স)-এর সালাত পড়ি, যেভাবে তিনি (স) পড়তেন এবং এর হুকুমও দিতেন।”

অনুরূপ সাহাবী আবূ হুমায়দ সাঈদি (রা) লোকদেরকে সালাত শেখানোর সময় বলেছিলেন:

أَنَا كُنْتُ أَحْفَظَكُمْ لِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ

“নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রসূলুল্লাহ (স)-এর সালাত মুখস্থকারী।” [সহীহ বুখারী হা/৮২৮]

২) উমার (রা)-এর হাদীসটিতে নিচের বাক্যটি রয়েছে:

ثم استوي جالسا   فنحي رجليه عن مقعدته والزم مقعدته الارض .

“অতঃপর বসে গেলেন, তখন তিনি নিজের দুই পা নিজের নিতম্ব থেকে দূরে (ডানপাশে) রাখলেন ও নিতম্ব জমিনে রাখলেন।”

এটা তাওয়ার্রুকের পদ্ধতি। কেননা সাহাবী আবূ হুমায়দ সাঈদি (রা) চতুর্থ তথা শেষ রাকআতে তাওয়ার্রুকের পদ্ধতি বর্ণনা করতে গিয়ে উক্ত বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। যেমন, মুসনাদে শাফেঈ-এ তাঁর (রা) বাক্যটি নিম্নরূপ:

فَإِذَا جَلَسَ فِي الأَرْبَعِ أَمَاطَ رِجْلَيْهِ عَنْ وَرِكِهِ وَأَفْضَى بِمَقْعَدَتِهِ الأَرْضَ .

“আর যখন তিনি চতুর্থ রাকআতে বসলেন, তখন পা-দুটিকে নিতম্বের একদিকে (ডানে) নিলেন, আর নিজের নিতম্বকে জমিনের উপর রাখলেন।” [মুসানদে শাফেঈ হা/২৭২ (উর্দু সংস্করণ: ২৫২); অন্যান্য সাক্ষ্যের ভিত্তিতে হাসান হাদীস]

৩) হাদীসটির দ্বিতীয় রাকআতে সালাম ফিরানোর কথা বর্ণিত হয়েছে। বুঝা যাচ্ছে,উমার (রা) দ্বিতীয় রাকআতে তাওয়ার্রুক পদ্ধতিতে বসেছিলেন এবং একে রসূলুল্লাহ (স)-এর সালাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

৪) এই হাদীসটি থেকে সুস্পষ্ট হয়, এক তাশাহহুদবিশিষ্ট সালাতেও তাওয়ার্রুক পদ্ধতিতে বসাটা সুন্নাত। কেননা ঐ তাশাহহুদে সালাম দ্বারা সালাত শেষ হয়। তথা রাকআতটি শেষ রাকআত হয়। অর্থাৎ এক রাকআত বিতর সালাতেও তাওয়ার্রুক করাটা সুন্নাত।

শায়েখ আলবানী (রহ) তাঁর ‘সিফাতু সালাতে’ নাসাঈর সূত্রে বাম পায়ের উপর বসার যে দাবি করেছেন, তা ঐ হাদীসে নেই। হাদীসটি থেকে এটাও প্রমাণিত হয় না- সেটা ঐ দুই রাকআত যার শেষে তিনি (স) সালাম ফিরিয়েছেন। সুতরাং এক্ষেত্রে হাদীসের শব্দের অনুসরণের থেকে অনুমানের অনুসরণটা প্রবল।

হাদীসটির বর্ণনাকারীদের পরিচয়:

১) আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসিম (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন উমার (রা) থেকে): তিনিউমার (রা) শিষ্য ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গত হয়েছে।

২) আবূ ঈসা সুলায়মান বিন কায়সান (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসিম থেকে):

তিনি (পূর্ববর্তী রাবী আব্দুল্লাহ বিন ক্বাসিমের ছাত্র এবং (পরবর্তী রাবী) হাইয়াহ বিন শুরায়হ’র উস্তায। [আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিল লিইবনি আবি হাতিম ৪/১৩৭, ৬০২ নং]

তিনি সিক্বাহ ছিলেন। কোনো মুহাদ্দিস তাঁর প্রতি জারাহ করেননি। যাঁরা তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন:

ক) ইবনু হিব্বান (রহ) তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন।[আস-সিক্বাত ৬/৩৯২ পৃ.]

খ) ইমাম যাহাবি (রহ) তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [আল-কাশিফ ২/৪৪৯ পৃ.]

গ) আল্লামা আলবানী (রহ) তাঁর প্রসঙ্গে লিখেছেন:

وقول الحافظ في أبي عيسى الخراساني : " مقبول " تقصير غير مقبول ؛ فالرجل ثقة - كما قال ابن حبان والذهبي -، وروى عنه جمع من الثقات - كما بينت في " تيسير انتفاع الخلان بثقات ابن حبان ".

“আবূ ঈসা আল-খুরাসানী (রহ)-কে হাফেয ইবনু হাজার (রহ)-এর ‘মাক্ববুল’ বলাটা অবহেলার নামান্তর, যা অগ্রহণযোগ্য। অথচ এই রাবী সিক্বাহ, যেভাবে ইবনু হিব্বান ও যাহাবি (রহ) বলেছেন। তাঁর থেকে একটি সিক্বাহ জামাআত বর্ণনা করেছেন, যেভাবে تيسير انتفاع الخلان بثقات ابن حبان –এ বলা হয়েছে।” [আয-যঈফাহ ১৪/৫৭৭ পৃ. হা/৬৭৫৮]

আবার ‘তাহরিরুত তাক্বরিবের’ (পৃ. ২৪৭) লেখক লিখেছেন: ‘সুদুক্ব হাসানুল হাদীস।”

৩) হাইয়াহ বিন শুরায়হ বিন সাফওয়ান (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আবূ ঈসা সুলায়মান বিন কায়সান থেকে):

তিনি (পূর্ববর্তী রাবী) সূলায়মান বিন কায়সানের ছাত্র ছিলেন। [আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিল লিইবনি আবি হাতিম ৪/১৪৭ পৃ., ৬০২ নং]

আবার (পরবর্তী রাবী) আব্দুল্লাহ বিন ওয়াহবের উস্তায ছিলেন। [তাহযিবুত তাহযিব ৩/৬৯ পৃ., ১৩৫ নং]

তিনি সিক্বাহ ছিলেন। [তাক্বরিব: ১৬০ নং]

কোনো মুহাদ্দিস তাঁর প্রতি জারাহ করেননি। তা ছাড়া তিনি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের রাবী। যেমন, সহীহ বুখারী: ৩৬৯৪ নং, সহীহ মুসলিম: ২৫৫০ নং। [আরও দ্র: তাহযিবুত তাহযিব ৩/৬৯ পৃ., ১৩৫ নং]

৪) আব্দুল্লাহ বিন ওয়াহব (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন হাইয়াহ বিন শুরায়হ থেকে):

তিনি (পূর্ববর্তী রাবী) হাইয়াহ বিন শুরায়হ’র ছাত্র ছিলেন। [তাহযিবুত তাহযিব ৩/ ৬৯ পৃ., ১৩৫ নং]

আবার (পরবর্তী রাবী) হাজ্জাজ বিন ইবরাহিম আযরাক্বের উস্তায ছিলেন। [তাহযিব ২/১৯৫ পৃ., হা/৩৬৪]

তিনি সিক্বাহ রাবী ছিলেন। [তাক্বরিব : ৩৬৯৪ নং]

ইমাম আবূ ইয়া‘লা খলিলি (রহ. মৃত: ৪৪৬ হি.) বলেন: ثقة، متفق عليه – তিনি সিক্বাহ, এ ব্যাপারে সবাই একমত।” [ইরশাদুল খলিলি ১/২৫৫]

তা ছাড়া তিনি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের রাবী। [সহীহ বুখারী হা/৩৬৯৪, সহীহ মুসলিম হা/২৫৫০]

৫) আল-হাজ্জাজ বিন ইবরাহিম আযরাক্ব (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছে আব্দুল্লাহ বিন ওয়াহব থেকে):

তিনি (পূর্ববর্তী রাবী) আব্দুল্লাহ বিন ওয়াহবের শিষ্য ছিলেন। [তাহযিব ২/১৯৫ পৃ. ৩৬৪ নং]

আবার (পরবর্তী রাবী) আহমাদ বিন আল-হাসান আত-তিরমিযীর উস্তায ছিলেন। [তাহযিবুল কামাল : ১/২৯০-৯১ পৃ. ২৫ নং]

তিনি সিক্বাহ ফাযেল ছিলেন। [তাক্বরিব : ১১১৮]

ইমাম আজলি (রহ. মৃত: ২৬১হি.) বলেন: ثقة صاحب سنة ‘সিক্বাহ, সাহেবে সুন্নাহ ছিলেন।’ [তারিখে সিক্বাহ লিআজলি ১/২৮৩]

ইমাম আবূ হাতিম রাযি (রহ. মৃত ২৭৭) বলেন: ‘তিনি সিক্বাহ।’ [আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিল লিইবনি আবি হাতিম ৩/১৫৪ পৃ.]

তাঁকে আরও অনেক মুহাদ্দিস সিক্বাহ বলেছেন। পক্ষান্তরে কোনো মুহাদ্দিস থেকে তাঁর প্রতি জারাহ পাওয়া যায় না।

৬) আহমাদ বিন আল-হাসান আত-তিরমিযী (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন হাজ্জাজ বিন ইবরাহিম বিন আযরাক্ব থেকে) :

তিনি (পূর্ববর্তী রাবী) হাজ্জাজ বিন ইবরাহিমের শিষ্য এবং ইমাম ইবনু খুযায়মা (রহ)-এর উস্তায ছিলেন। [তাহযিবুল কামাল ১/২৯০-৯১ পৃ., ২৫ নং]

তিনি সিক্বাহ হাফেয ছিলেন। [তাক্বরিব : ২৫]

কোনো মুহাদ্দিস তাঁর প্রতি জারাহ করেননি। তা ছাড়া তিনি সহীহ বুখারীর রাবী। [সহীহ বুখারী হা/৪৪৭৩]

৭) মুহাম্মাদ বিন ইসহাক্ব (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ বিন হাসান তিরমিযী থেকে ‘হাদ্দাসানা’ শব্দে। সুতরাং এক্ষেত্রে তাদলীসের ত্রুটি রইল না।) :

তিনি (পূর্ববর্তী রাবী) হাজ্জাজ বিন ইবরাহিমের শিষ্য ছিলেন। [তাহযিবুল কামাল : ১/২৯০-৯১ পৃ.]

আবার (পরবর্তী রাবী) আবূ আহমাদ আল-হুসাইন তিরমিযীর উস্তায ছিলেন। [তারিখে বাগদাদ পৃ. ৭৪, ৪১৫৪ নং]

তিনি ‘সহীহ ইবনু খুযায়মাহ’ ছাড়াও আরও কিছু প্রসিদ্ধ কিতাবের লেখক এবং উঁচুমর্যাদার সিক্বাহ ইমাম।

৮) আবূ আহমাদ আল-হুসাইন বিন আলী (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ বিন ইসহাক্ব থেকে) :

তিনি (পূর্ববর্তী রাবী) ইমাম ইবনু খুযায়মাহ (রহ)-এর শিষ্য ছিলেন। [তারিখে বাগদাদ : ৮/৭৪ পৃ., ৪১৫৪ নং]

আবার ইমাম হাকিমের উস্তায ছিলেন। [মা‘রিফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিলবায়হাক্বী ৬/৪০৪ পৃ., ৯১১৮ নং]

তিনি সিক্বাহ ও হুজ্জাত। [তারিখে বাগদাদ ৮/৭৪ পৃ. ৪১৫৪ নং]

কোনো মুহাদ্দিস তাঁর প্রতি জারাহ করেননি।

৯) আবূ আব্দুল্লাহ হাফেয (তিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আবূ আহমাদ হুসাইন বিন আলী থেকে) :

তিনি আবূ আহমাদ হুসাইন বিন আলীর শিষ্য ও ইমাম বায়হাক্বী (রহ)-এর উস্তায। [মা‘আরেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিলবায়হাক্বী ৬/৪ পৃ., ৯১১৮ নং]

তিনি ‘মুস্তাদরাক হাকিম’সহ অনেক প্রসিদ্ধ গ্রন্থের লেখক এবং সিক্বাহ ইমাম।

১০) অতঃপর ইমাম বায়হাক্বী (রহ) তাঁর উস্তায আবূ আব্দুল্লাহ হাফেয (ইমাম হাকিম) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

প্রমাণিত হল, হাদীসটির সনদ সহীহ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন