hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতের শেষ বৈঠকে বসার পদ্ধতি

লেখকঃ কামাল আহমাদ

১১
ওয়ায়েল বিন হুজর (রা)-এর হাদীস থেকে দলিল গ্রহণের পর্যালোচনা
ভুল ধারণা-১০: মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) যে দুই রাকআত সালাতে সালাম ফিরানো হয়- তাতে ইফতিরাশ করার শব্দসহ দলিল থাকার দাবি করেছেন। তিনি (রহ) বলেন:

’’ فھذا نص في أن الافتراش إنما کان في الرکعتین والظاھر أن الصلاۃ کانت ثنائیۃ ولعلھا صلاۃ الصبح .‘‘

“এই (সাহাবী ওয়াইল বিন হুজর রা.-এর) হাদীস দ্বারা ইফতিরাশ করাকে দলিল গণ্য করা হয়েছে, যখন সেটা দুই রাকআতবিশিষ্ট সালাত হবে। কেননা এই দলিলটি থেকে সুস্পষ্ট হয়. তিনি (রা) দুই রাকআতবিশিষ্ট সালাতে কিংবা সম্ভবত ফজরের সলাতে ছিলেন।” [আসলি সিফাতে সালাতুন নাবিয়্যি ৩/৪৮৯ পৃ. (এক খণ্ডে সম্পূর্ণ সংস্করণ: ৯৮৪ পৃ.), তামামুল মিন্নাহ ৩২২ পৃ.]

সংশোধন-১০: প্রথমে আমরা সম্পূর্ণ হাদীসটি জেনে নেব। সাহাবী ওয়াইল বিন হুজর (রা) বর্ণনা করেন:

أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ فَرَأَيْتُهُ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ حَتَّى يُحَاذِيَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ، وَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ أَضْجَعَ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْيُمْنَى، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى، وَنَصَبَ أُصْبُعَهُ لِلدُّعَاءِ، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى» ، قَالَ : ثُمَّ أَتَيْتُهُمْ مِنْ قَابِلٍ فَرَأَيْتُهُمْ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ فِي الْبَرَانِسِ

“আমি রসূলুল্লাহ (স)-এর নিকট আসলাম। দেখলাম, তিনি যখন সালাত আরম্ভ করলেন তাঁর দুটি হাত উঠালেন, তা তাঁর কাঁধ বরাবর হল। আর যখন তিনি রুকু করতে ইচ্ছা করলেন তখনও এরূপ করলেন। তিনি যখন দুই রাকআতের পর বসলেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিলেন। আর ডান পা খাড়া রাখলেন। আর তাঁর ডান হাত তাঁর ডান উরুর উপর রাখলেন। আর দোয়ার জন্য তাঁর আঙুল ওঠালেন। আর তাঁর বাম হাত বাম উরুর উপর রাখলেন। তিনি বলেন, তারপর আমি তাদের নিকট আসলাম তাদেরকে দেখলাম, তারা কাপড়ের মধ্যে হাত উঠাচ্ছিলেন।” [নাসাঈ হা/১১৫৯]

হাদীসটির যে বাক্য থেকে দলিল নেয়া হয়েছে, তা হল:

وَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ أَضْجَعَ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْيُمْنَى

“তিনি যখন দুই রাকআতের পর বসলেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিলেন। আর ডান পা খাড়া রাখলেন।”

প্রথমত, এখানে বাম পায়ের অবস্থা বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু বাম পায়ের উপর বসার কথা বর্ণিত হয়নি। কেননা, اضجع শব্দটি কেবল বিছানোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। আর ‘তাওয়ার্রুকের’ ক্ষেত্রেও পা-কে বিছানো হয়। সুতরাং হাদীসটি ‘তাওয়ার্রুক’ পদ্ধতির বিরোধী হয় না।

ওয়াইল (রা)-এর বর্ণনাটি ‘তিরমিযী’-তে (হা/২৯২) নিম্নরূপে বর্ণিত হয়েছে:

فَلَمَّا جَلَسَ - يَعْنِي لِلتَّشَهُّدِ - افْتَرَشَ رِجْلَهُ اليُسْرَى، وَوَضَعَ يَدَهُ اليُسْرَى

“…যখন বসলেন- অর্থাৎ তাশাহহুদে- তার বাম পাকে ইফতিরাশ করলেন (বিছিয়ে দিলেন), আর বাম উরুতে বাম হাত রাখলেন।…”

এখানে বাম পায়ের উপর বসার কথা বর্ণিত হয়নি। আর তাওয়ার্রুক পদ্ধতিতেও বাম পা-কে বিছিয়ে দিতে হয়। সুতরাং বর্ণনাটি সংক্ষিপ্ত এবং উক্ত বাক্যে তাওয়ার্রুক করার কোনো বিরোধিতা হয়নি।

হানাফিগণ এই ধরনের হাদীস দ্বারা তাওয়ার্রুক পদ্ধতিকে শেষ তাশাহহুদ থেকে বাতিল করে থাকেন, যা মূলত হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে খেয়ানত। এ পর্যায়ে মুহাদ্দিসগণের পক্ষ থেকে জবাব সেটাই, যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, হাফেয ইবনু হাজার (রহ) লিখেছেন:

لَمْ يُبَيِّنْ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ مَا يَصْنَعُ بَعْدَ ثَنْيِهَا هَلْ يَجْلِسُ فَوْقَهَا أَوْ يَتَوَرَّكُ  

“এই বর্ণনাতে সুস্পষ্টভাবে এটা বলা নেই যে, পা বিছানোর পর তার উপর বসা হবে বা তাওয়ার্রুক করা হবে।” [ফতহুল বারী ২/৩০৬]

শায়েখ আব্দুল হক্ব লাক্ষ্ণৌভি (রহ) লিখেছেন:

فيه نظر فإن أثر ابن عمر هذا الذي رواه ههنا مجمل لا يكشف المقصود لأن ثني الرجل اليسرى عام من أن يجلس عليها أو يجلس على الورك

“সাহাবী ইবনু উমার (রা)-এর أثر (আসার) থেকে (তাওয়ার্রুকের বিরোধিতায়) উপস্থাপনা আপত্তিকর। এখানে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। এটা দ্বারা (হানাফিদের) উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয় না। কেননা এখানে কেবল বাম পা বিছানোর কথা এসেছে। তার উপর বসার বর্ণনা বুঝা যায় না।” [আত-তা‘লিকুল মুমাজ্জাদ ১/২৩৯ পৃ.]

অর্থাৎ হাদীসগুলো দ্বারা যেভাবে বসার কথা বর্ণিত হয়েছে, তাতে তাওয়ার্রুক বা ইফতিরাশ করার বিরোধিতা হয় না। বরং বর্ণনাগুলো অসম্পূর্ণ।

দ্বিতীয়ত, নাসাঈর বর্ণনাতে সালাম ফিরানোর বর্ণনা নেই। ফলে এটা দাবি করা ভুল যে, এটা দুই রাকআতবিশিষ্ট সালাত ছিল। এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, এটা চার রাকআতবিশিষ্ট সালাতের প্রথম দুই রাকআতের বর্ণনা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা , ইমাম তাবারানি (রহ) ও ইমাম বাযযার (রহ) স্ব স্ব সনদে সাহাবী ওয়াইল বিন হুজর (রা)-এর চার রাকআতের বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। [দ্র: মু’জামুল কাবির লিত-তাবারানি ২২/৪৯/১১৮ (শামেলা)২২/৫০, মুসনাদে বাযযার (মিসর) ২/১৪৭, তাবারানির বর্ণনাটি যঈফ, তবে অন্য সহীহ বর্ণনা দ্বারা সমর্থিত।]

উল্লেখ্য যে, ইমাম নাসাঈ (রহ) সরাসরি দ্বিতীয় রাকআতের ‘তাওয়ার্রুক’ করার হাদীস বর্ণনা করেছেন। যা আমরা শুরুতে উল্লেখ করেছি। হাদীসটি পুনরায় পড়ুন:

كَانَ النَّبِيُّ إِذَا كَانَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ تَنْقَضِي فِيهِمَا الصَّلَاةُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ عَلَى شِقِّهِ مُتَوَرِّكًا ثُمَّ سَلَّمَ

“নবী (স) যখন দুই রাকআতে ছিলেন, যে দুইটিতে তিনি তাঁর দুই (রাকআত) সালাত শেষ করতেন- (তাতে) তাঁর বাম পা বের করে দিতেন এবং নিতম্বের উপর তাওয়ার্রুক করে বসতেন, অতঃপর সালাম দিতেন।” [নাসাঈ- কিতাবুস সালাত (অনুচ্ছেদ: যে রাকআতে সালাত শেষ হবে তাতে কীভাবে বসতে হবে) হা/১২৬৫ (ইফা)। শায়েখ নাসিরুদ্দীন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন (তাহক্বীক্ব নাসাঈ হা/১২৬২)]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন