মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নবী (স) ভুল সালাত আদায়কারীকে নিতম্বের উপর বসার হুকুম দেন, তাতে তিনি (স) এক রাকআতের বর্ণনা দেন -কামাল আহমাদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/99/15
নবী (স) যে ভুল সালাত আদায়কারীকে সালাতের পদ্ধতি বলেছিলেন তাতে একটি রাকআতের পদ্ধতি ছিল। সেখানে নবী (স) নিতম্বের উপর বসতে বলেছিলেন। ইমাম বায়হাক্বী তাঁর ‘খিলাফিয়্যাতে’ (২/২৮-২৯ পৃ.) ও ইমাম নাসাঈ (রহ) তাঁর ‘সুনানে’ (হা/১১৩৬, ইফা- ২য় খণ্ড হা/১১৩৯) সেটা উল্লেখ করেছেন। আমরা নাসাঈ’র বর্ণনাটি উল্লেখ করছি।
“একবার রসূলুল্লাহ (স) বসছিলেন আর আমি তার আশেপাশে ছিলাম। এমন সময় একব্যক্তি প্রবেশ করে ক্বিবলার দিকে এসে সালাত আদায় করল। সে সালাত শেষ করে রসূলুল্লাহ (স)-কে সালাম করল এবং দলের অন্যদেরকেও। রসূলুল্লাহ (স) তাঁর সালামের উত্তর দিয়ে বললেন: যাও, সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি গিয়ে আবার সালাত আদায় করল। রসূলুল্লাহ (স) তার সালাতের প্রতি লক্ষ রাখছিলেন। সে বুঝতে পারল না, রসূলুল্লাহ (স) এতে কী ভুল ধরছেন। সে এবারও সালাত শেষ করে রসূলুল্লাহ (স)-এর নিকট এসে তাঁকে এবং ক্বওমের অন্যদেরকে সালাম করল। এবারও রসূলুল্লাহ (স) তার সালামে উত্তর দিয়ে তাকে বললেন: যাও, সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি এভাবে দু বার কি তিন বার সালাত পুনঃ আদায় করল। তারপর সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি আমার সালাতে কী ভুল পেলেন? তখন রসূলুল্লাহ (স) বললেন: তোমাদের কারো সালাত পূর্ণ হয় না যতক্ষণ না সে আল্লাহ তাআলা যেরূপ অযু করতে আদেশ করেছেন সেরূপ অযু না করবে। অর্থাৎ সে তার চেহারা এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত না করে, তার মাথা মাসেহ না করে এবং তার উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত না করে। তারপর আল্লাহর তাকবীর (আল্লাহু আকবার) না বলে, তাহমিদ ও তামজিদ (সানা) না পড়ে, কুরআন থেকে তার সাধ্যমত পড়বে, যতটুকু আল্লাহ তাকে শিখিয়েছেন এবং যার অনুমতি দিয়েছেন। তারপর তাকবীর বলে রুকু করবে যেন তার সকল অঙ্গ স্থির হয়ে যায়। তারপর বলবে ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়াবে যেন তার পিঠ সোজা হয়। পরে তাকবির বলে সাজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয়। (রাবী বলেন) আমি তাঁকে এটাও বলতে শুনেছি: তার কপালকে রাখবে যতক্ষণ না অঙ্গগুলো স্থির ও শান্ত হয়। এরপর তাকবির বলবে এবং মাথা তুলে নিতম্বের উপর বসবে। আর পিঠকে সোজা রাখবে। তারপর তাকবির বলে সাজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয় এবং স্থির হয়ে যায়। যখন এরূপ করবে না, তার সালাত পূর্ণ হবে না।”
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নাসাঈতে (হা/১১৩৯) দাগানো অংশটির অনুবাদ করা হয়েছে :
“এরপর তাকবির বলবে এবং মাথা তুলে সোজা হয়ে বসবে বসার অঙ্গের উপর।”
“আর যখন শেষ রাকআতে বসতেন তখন বাম পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের উপর বসতেন।” [সহীহ বুখারী হা/৮২৮]
শিক্ষনীয় দিক:
১) উপরে বর্ণিত সাহাবী রিফা‘আ বিন রাফি‘ (রা)-এর হাদীসটি নবী (স)-এর ক্বওলি বা নির্দেশমূলক হাদীস। আর আবূ হুমায়দ সাঈদি (রা)-এর হাদীসটি ফে‘লি। তেমনি উমার (রা) বর্ণিত দুই রাকআতবিশিষ্ট শেষ বৈঠকের বর্ণনাটিও ফে‘লি হাদীস, তবে মারফু‘ হুকুমান। এ বর্ণনা দুটিতে শেষ বৈঠকে নিতম্বের উপর বসার কথা বলা হয়েছে। সেটা চার বা দুই রাকআত সালাত হলেও। এ পর্যায়ে ক্বওলি হাদীসটিকে ফে‘লি হাদীসগুলো দ্বারা ব্যাখ্যা নিলে এটা বলতে হয় যে, দুই সাজদার মাঝের বৈঠকে নিতম্বের উপর বসাটাও অনুমোদিত। কিন্তু অধিকাংশ সাহাবীর (রা) বর্ণনানুযায়ী নিতম্বের উপর বসাটা শেষ তাশাহহুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাটাই প্রাধান্যপ্রাপ্ত।
২) ‘ভুল সালাত আদায়কারী’ সাহাবীর সালাতের সংশোধনটি ছিল এক রাকআত সালাতের বিবরণ। অতঃপর নবী (স) তাকে বলেছিলেন:
এই হাদীসটির আলোকে সালাতের সব বৈঠকেই নিতম্বের উপর বসা যায়। তবে ফে‘লি হাদীসগুলোকে ব্যাখ্যা নিলে আরও পরিপূর্ণ হয়। সেক্ষেত্রে নিতম্বের উপর বসাটা শেষ রাকআতের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য হয়- যদিওবা সেটা এক রাকআত হয়।
৩) যারা দুটি তাশাহহুদের শেষটিতে নিতম্বের উপর বসাকে খাস গণ্য করে গাণিতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছেন, সাহাবী রিফা‘আ বিন রাফি‘ (রা) বর্ণিত এক রাকআতের প্রথম সাজদাতে নিতম্বের উপর বসার হাদীসটি তাদের উপযুক্ত জবাব। আল্লাহ তাআলা সত্য বুঝার তাওফিক্ব দিন।
৪) হানাফি মহিলাগণ সালাতের প্রতিটি বৈঠকে তাওয়ার্রুক পদ্ধতিতে বসেন- সাহাবী রিফা‘আ বিন রাফি‘ (রা)-এর হাদীসটি তার অন্যতম দলিল। তবে নবী (স) হাদীসটিতে পুরুষ সাহাবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফলে পুরুষ বা মহিলা সবাই উক্ত পদ্ধতিতে সালাতের প্রতিটি বৈঠকেই বসতে পারেন। আল্লাহ সত্য বুঝার তাওফিক্ব দিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/99/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।