hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতের শেষ বৈঠকে বসার পদ্ধতি

লেখকঃ কামাল আহমাদ

১৫
নবী (স) ভুল সালাত আদায়কারীকে নিতম্বের উপর বসার হুকুম দেন, তাতে তিনি (স) এক রাকআতের বর্ণনা দেন -কামাল আহমাদ
নবী (স) যে ভুল সালাত আদায়কারীকে সালাতের পদ্ধতি বলেছিলেন তাতে একটি রাকআতের পদ্ধতি ছিল। সেখানে নবী (স) নিতম্বের উপর বসতে বলেছিলেন। ইমাম বায়হাক্বী তাঁর ‘খিলাফিয়্যাতে’ (২/২৮-২৯ পৃ.) ও ইমাম নাসাঈ (রহ) তাঁর ‘সুনানে’ (হা/১১৩৬, ইফা- ২য় খণ্ড হা/১১৩৯) সেটা উল্লেখ করেছেন। আমরা নাসাঈ’র বর্ণনাটি উল্লেখ করছি।

সাহাবী রিফা‘আ বিন রাফি‘ বর্ণনা করেন:

بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ جَالِسٌ وَنَحْنُ حَوْلَهُ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَأَتَى الْقِبْلَةَ فَصَلَّى، فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ وَعَلَى الْقَوْمِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «وَعَلَيْكَ، اذْهَبْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ» ، فَذَهَبَ فَصَلَّى فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ يَرْمُقُ صَلَاتَهُ، وَلَا يَدْرِي مَا يَعِيبُ مِنْهَا، فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى الْقَوْمِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: «وَعَلَيْكَ، اذْهَبْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ» ، فَأَعَادَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، فَقَالَ الرَّجُلُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا عِبْتَ مِنْ صَلَاتِي؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: «إِنَّهَا لَمْ تَتِمَّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَيَغْسِلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ، وَيَمْسَحَ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ يُكَبِّرَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَحْمَدَهُ وَيُمَجِّدَهُ» ـ قَالَ هَمَّامٌ : وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ : «وَيَحْمَدَ اللَّهَ، وَيُمَجِّدَهُ، وَيُكَبِّرَهُ» قَالَ : فَكِلَاهُمَا قَدْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ ـ قَالَ : " وَيَقْرَأَ مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ مِمَّا عَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَذِنَ لَهُ فِيهِ، ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَرْكَعَ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ، ثُمَّ يَقُولَ : سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، ثُمَّ يَسْتَوِيَ قَائِمًا حَتَّى يُقِيمَ صُلْبَهُ، ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَسْجُدَ حَتَّى يُمَكِّنَ وَجْهَهُ " ، وَقَدْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ : «جَبْهَتَهُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ، وَتَسْتَرْخِيَ، وَيُكَبِّرَ فَيَرْفَعَ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدَتِهِ وَيُقِيمَ صُلْبَهُ، ثُمَّ يُكَبِّرَ فَيَسْجُدَ حَتَّى يُمَكِّنَ وَجْهَهُ وَيَسْتَرْخِيَ، فَإِذَا لَمْ يَفْعَلْ هَكَذَا لَمْ تَتِمَّ صَلَاتُهُ <<

“একবার রসূলুল্লাহ (স) বসছিলেন আর আমি তার আশেপাশে ছিলাম। এমন সময় একব্যক্তি প্রবেশ করে ক্বিবলার দিকে এসে সালাত আদায় করল। সে সালাত শেষ করে রসূলুল্লাহ (স)-কে সালাম করল এবং দলের অন্যদেরকেও। রসূলুল্লাহ (স) তাঁর সালামের উত্তর দিয়ে বললেন: যাও, সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি গিয়ে আবার সালাত আদায় করল। রসূলুল্লাহ (স) তার সালাতের প্রতি লক্ষ রাখছিলেন। সে বুঝতে পারল না, রসূলুল্লাহ (স) এতে কী ভুল ধরছেন। সে এবারও সালাত শেষ করে রসূলুল্লাহ (স)-এর নিকট এসে তাঁকে এবং ক্বওমের অন্যদেরকে সালাম করল। এবারও রসূলুল্লাহ (স) তার সালামে উত্তর দিয়ে তাকে বললেন: যাও, সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি এভাবে দু বার কি তিন বার সালাত পুনঃ আদায় করল। তারপর সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি আমার সালাতে কী ভুল পেলেন? তখন রসূলুল্লাহ (স) বললেন: তোমাদের কারো সালাত পূর্ণ হয় না যতক্ষণ না সে আল্লাহ তাআলা যেরূপ অযু করতে আদেশ করেছেন সেরূপ অযু না করবে। অর্থাৎ সে তার চেহারা এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত না করে, তার মাথা মাসেহ না করে এবং তার উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত না করে। তারপর আল্লাহর তাকবীর (আল্লাহু আকবার) না বলে, তাহমিদ ও তামজিদ (সানা) না পড়ে, কুরআন থেকে তার সাধ্যমত পড়বে, যতটুকু আল্লাহ তাকে শিখিয়েছেন এবং যার অনুমতি দিয়েছেন। তারপর তাকবীর বলে রুকু করবে যেন তার সকল অঙ্গ স্থির হয়ে যায়। তারপর বলবে ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়াবে যেন তার পিঠ সোজা হয়। পরে তাকবির বলে সাজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয়। (রাবী বলেন) আমি তাঁকে এটাও বলতে শুনেছি: তার কপালকে রাখবে যতক্ষণ না অঙ্গগুলো স্থির ও শান্ত হয়। এরপর তাকবির বলবে এবং মাথা তুলে নিতম্বের উপর বসবে। আর পিঠকে সোজা রাখবে। তারপর তাকবির বলে সাজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয় এবং স্থির হয়ে যায়। যখন এরূপ করবে না, তার সালাত পূর্ণ হবে না।”

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নাসাঈতে (হা/১১৩৯) দাগানো অংশটির অনুবাদ করা হয়েছে :

“এরপর তাকবির বলবে এবং মাথা তুলে সোজা হয়ে বসবে বসার অঙ্গের উপর।”

এখানে مقعدة শব্দটির অর্থ: পশ্চাদ্ভাগ, পাছা, নিতম্ব, বসার জায়গা। [. ড. ফজলুর রহমান, আল-মু‘জামুল ওয়াফি (ঢাকা : রিয়াদ প্রকাশনী)।]

মূলত আমরা নিতম্বের উপরই বসে থাকি। এ কারণে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনূদিত ‘আত-তারগিব ওয়াত তারহিবে’ ২/৩৫৩ পৃ. (হা/১৮) দাগানো অংশটির অনুবাদ করা হয়েছে নিম্নরূপ:

“তারপর সে তাকবির বলবে এবং মাথা উঠাবে এবং সে তার নিতম্বের উপর সোজা হয়ে বসবে।”

নাসাঈর উর্দু তরজমাতে দাগানো অংশটি তরজমা করা হয়েছে নিম্নরূপ:

پھر الله الكبر کہہ کر سر اٹھائے اور مقعد ( سرین ) پر اچھی طرح بیٹھ جائے اور اپنی کمر کو بلکل سیدھا کرلے۔

“অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মাথা উঠাবে এবং مقعد (নিতম্বের) উপর ঠিকভাবে বসে যাবে। আর নিজের কোমর একদম সোজা রাখবে।” [সুনানে নাসাঈ (উর্দু তরজমা: শায়েখ হাফিয মুহাম্মাদ আমিন, তাহক্বীক্ব: শায়েখ যুবায়ের আলী যাঈ, দারুল ইলম মুম্বায়, এ্রপ্রিল ২০১২ ঈসায়ী) ২/৬১২ পৃ. হা/১১৩৭। হাদীসটি শায়েখ আলবানী (রহ) ও শায়েখ যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) উভয়ের নিকটই সহীহ]

সুনানে নাসাঈর ব্যাখ্যাকারী আলী বিন আদাম বিন মূসা আল-ইস্ইয়ুবি (ইথিওপিয়ান) তাঁর ‘আল-মুসাম্মা যাখিরাতুল উক্ববাহ ফি শারহিল মুজতাবাতে’ এই বাক্যটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন নিম্নরূপ:

وفيه وجوب الرفع من السجود، والقعود ممكنا مقعدته .

“এ বর্ণনানুযায়ী সাজদা থেকে উঠা ও সাধ্যমত নিতম্বের উপর বসা ওয়াজিব।” [আল-মুসাম্মা (শামেলা) ১৩/১৬৯ পৃ.]

এমনকি সাহাবী আবূ হুমায়দ সাঈদি (রা) বর্ণিত শেষ বৈঠকে নিতম্বের উপর বসার ক্ষেত্রে প্রায় একই ধরনের বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে, যা নিম্নরূপ:

وَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْأُخْرَى وَقَعَدَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ

“আর যখন শেষ রাকআতে বসতেন তখন বাম পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের উপর বসতেন।” [সহীহ বুখারী হা/৮২৮]

শিক্ষনীয় দিক:

১) উপরে বর্ণিত সাহাবী রিফা‘আ বিন রাফি‘ (রা)-এর হাদীসটি নবী (স)-এর ক্বওলি বা নির্দেশমূলক হাদীস। আর আবূ হুমায়দ সাঈদি (রা)-এর হাদীসটি ফে‘লি। তেমনি উমার (রা) বর্ণিত দুই রাকআতবিশিষ্ট শেষ বৈঠকের বর্ণনাটিও ফে‘লি হাদীস, তবে মারফু‘ হুকুমান। এ বর্ণনা দুটিতে শেষ বৈঠকে নিতম্বের উপর বসার কথা বলা হয়েছে। সেটা চার বা দুই রাকআত সালাত হলেও। এ পর্যায়ে ক্বওলি হাদীসটিকে ফে‘লি হাদীসগুলো দ্বারা ব্যাখ্যা নিলে এটা বলতে হয় যে, দুই সাজদার মাঝের বৈঠকে নিতম্বের উপর বসাটাও অনুমোদিত। কিন্তু অধিকাংশ সাহাবীর (রা) বর্ণনানুযায়ী নিতম্বের উপর বসাটা শেষ তাশাহহুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাটাই প্রাধান্যপ্রাপ্ত।

২) ‘ভুল সালাত আদায়কারী’ সাহাবীর সালাতের সংশোধনটি ছিল এক রাকআত সালাতের বিবরণ। অতঃপর নবী (স) তাকে বলেছিলেন:

وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا

“আর তোমার সম্পূর্ণ সালাতে এভাবেই করবে।” [সহীহ বুখারী হা/৭৫৭- সাহাবী আবূ হুরায়রা (রা)-এর বর্ণনা]

এই হাদীসটির আলোকে সালাতের সব বৈঠকেই নিতম্বের উপর বসা যায়। তবে ফে‘লি হাদীসগুলোকে ব্যাখ্যা নিলে আরও পরিপূর্ণ হয়। সেক্ষেত্রে নিতম্বের উপর বসাটা শেষ রাকআতের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য হয়- যদিওবা সেটা এক রাকআত হয়।

৩) যারা দুটি তাশাহহুদের শেষটিতে নিতম্বের উপর বসাকে খাস গণ্য করে গাণিতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছেন, সাহাবী রিফা‘আ বিন রাফি‘ (রা) বর্ণিত এক রাকআতের প্রথম সাজদাতে নিতম্বের উপর বসার হাদীসটি তাদের উপযুক্ত জবাব। আল্লাহ তাআলা সত্য বুঝার তাওফিক্ব দিন।

৪) হানাফি মহিলাগণ সালাতের প্রতিটি বৈঠকে তাওয়ার্রুক পদ্ধতিতে বসেন- সাহাবী রিফা‘আ বিন রাফি‘ (রা)-এর হাদীসটি তার অন্যতম দলিল। তবে নবী (স) হাদীসটিতে পুরুষ সাহাবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফলে পুরুষ বা মহিলা সবাই উক্ত পদ্ধতিতে সালাতের প্রতিটি বৈঠকেই বসতে পারেন। আল্লাহ সত্য বুঝার তাওফিক্ব দিন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন