hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের দৃষ্টিতে দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

লেখকঃ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম

১০
বেসরকারী খাতে দুর্নীতি:
শুধু সরকারী নয় বরং বেসকারী ক্ষেত্রেও দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার নামে সরকারী সুবিধা ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে সে টাকা বিলাস-ব্যসন বা অন্য কাজে ব্যবহার এবং বিদেশী ব্যাংকে জমা করা, ব্যাংক ঋণ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিশোধ না করা, কর ও শুল্ক ফাঁকি দেয়া, শেয়ার মার্কেট কেলেংকারী ও ঋণ খেলাফী ইত্যাদি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। [প্রাগুক্ত,পৃ. ৪১১।]

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০০৮ সালের ১৮ জুন প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের জুন থেকে ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত সময়কালে সার্বিকভাবে দেশের ৬৬.৭ শতাংশ পরিবার সেবা গ্রহণ করার সময় কোন না কোন ধরনের দুর্নীতির শিকার হয়েছে। ৪২.১ শতাংশ পরিবারকে ঘুষ দিতে হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা বিভিন্ন খাতে গড়ে ৪১৩৪ টাকা ঘুষ দিয়েছে। এই ঘুষের পরিমাণ তাদের মাথা পিছু আয়ের ৩.৮৪ শতাংশ। জাতীয়ভাবে প্রদত্ত মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ৫৪৭৪ কোটি টাকা।

এসব ঘুষ ও দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় ও সরকারের নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারী প্রায় সকলেই। উক্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সার্বিক ভাবে ঘুষ নিয়েছে ৮৭৯ কোটি টাকা। গবেষণার ঘুষ গ্রহণসহ দায়িত্ব পালনে অবহেলা, স্বজনপ্রীতি, আত্মসাৎ, প্রতারণা এবং ভীতি প্রদর্শন করাকেও দুর্নীতি হিসেবে ধরা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ভূমি প্রশাসনে ঘুষ দিতে হয়েছে সবচেয়ে বেশী। এর পরিমাণ ১৬০৬ কোটি টাকা। অন্য শীর্ষ স্থানীয় দুর্নীতিগ্রস্থ সেবা খাতগুলো হলো বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে, স্বাস্হ্য, শিক্ষা,বিদ্যুত, ব্যাংকিং, এনজিও এবং কর খাত। অন্যান্য সংস্থায় দুর্নীতি বলতে ওয়াসা, গ্যাস এবং তার ও টেলিফোন বোর্ডকে চিহ্নিত করা হয়েছে। [দৈনিক প্রথম আলো, ১৯ জুন, ২০০৮খৃ. আষাঢ় ১৪১৫, পৃ. ১ও২।] ২০০৮ সালের ১৮ই জুন transparency International বাংলাদেশের সাম্প্রতিক দুর্নীতির যে খতিয়ান উপস্থাপন করেছে। তাতে বাংলাদেশের দুর্নীতির করাল গ্রাসের বাস্তব প্রমাণ মেলে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেবা খাতের দুর্নীতির করাল গ্রাসের বাস্তব প্রমান মেলে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেবা খাতের দুর্নীতি সারণীর মাধ্যমে নিম্নে প্রদত্ত হলো। [প্রাগুক্ত।]

খাতের নাম - সেবা গ্রহণকালে দুর্নীতির শিকার - সেবা গ্রহণকালে ঘুষের শিকার - সেবা গ্রহণকালে প্রদানকৃত গড় ঘুষের পরিমাণ (টাকা) - জাতীয়ভাবে মোট ঘুষের পরিমাণ (কোটি টাকায়)

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা - ৯৬.৬- ৬৪.৫- ৩,৯৪০ - ৮৭৯

স্থানীয় সরকার - ৫৩.৪- ৩২.৫- ৮৮৩- ১৮৭

ভূমি প্রশাসন - ৫২.৭ - ৫১.১ - ৪,৪০৯ - ১,৬০৬

বিচার - ৪৭.৭ - ৪১.৭ - ৪,৮২৫ – ৬৭১

স্বাস্থ্য - ৪৪.১ - ১৬.৩ – ৫২০ – ১০৮

শিক্ষা - ৩৯.২ - ৮.৮ - ১,২৯৬ - ১১৭

বিদ্যুত - ৩৩.২ - ১৪.৩ - ১,৯৯৩ - ৪৭৪

ব্যাংকিং- ২৮.৭- ১৫.৭- ৭,৭৯৫ - ৫২৫

এনজিও - ১৩.৫- ৬.৫ – ৪২১ - ২০

কর - ৬.৪ - ৫.১ - ২,২৯৩ - ১৪৯

অন্যান্য - ৩১.৩ - ১৬.৬ - ৭,৫৭৮- ৭০৮

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন