মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসলামের দৃষ্টিতে দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
লেখকঃ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম
২৪
তৃতীয়তঃ বাস্তব পদক্ষেপ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/198/24
আধুনিক যুগ ও অবস্থার আলোকে আরও কতিপয় দিককে দুর্নীতি প্রতিরোধের বাসত্মব অবস্থা হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে শর্ত হলো সেগুলো অবশ্যই আল-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে অনুমোদিত হতে হবে। নিমেণ এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
বাজেয়াপ্তকরণঃ
স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত বা মালিকানা নিষিদ্ধ করে দুর্নীতির প্রবণতা দূর করা যেতে পারে।
ইসলামী সমাজ ও শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনঃ
ইসলামী সমাজ ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উপর অর্পিত হলেও আলস্নাহ তা‘আলা এ দায়িত্ব পালনের জন্য এমন সহজ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন; যাতে মুসলিম উম্মাহ সর্বকালের জন্য কর্তব্য সচেতন থাকতে পারে। এ সম্পর্কে আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
‘‘তোমাদের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায় থাকা আবশ্যক, যারা কল্যাণের পথে আহবান জানাবে, অসৎ ও অপরাধমূলক কাজে প্রতিরোধ করবে এবং তারাই হচ্ছে সফলকাম।’’ [আল-কুরআন, ৪ :১০৪।](সূরা আলে ইমরান: ১০৪)
অর্থাৎ সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য প্রয়োজন, এমন একটি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ বা ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা করা, যারা সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ মূলনীতির আলোকে মহানবী (সা.) মদীনায় ইসলামী সমাজ কায়েম করেছিলেন এবং তার ওফাতের পর খুলাফায়ে রাশিদুন তারই পদাংক অনুস্বরণের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে সমাজ থেকে যাবতীয় দুর্নীতি দূর করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। [আব্দুল কাদির ‘আওদাহ, আত-তাশরী‘উল জানাইল ইসলামী, ১ম খন্ড, প্রগুক্ত, পৃ. ১৮৯-৫০৫।]
ব্যাপক প্রচারণাঃ
দেশের সকল প্রচার মাধ্যম জনমত ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য রেডিও, টেলিভিশনসহ পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে যদি জনগণকে দুর্নীতির কুফল ও তার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন করা যায়, তাহলে তা দুর্নীতি প্রতিরোধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে।
উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রদানঃ
প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প বেতনের কারণে মানুষ দুর্নীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে। এজন্য ইসলাম প্রত্যেককে এমন মজুরি বা বেতন প্রদানের কথা বলেছে যে তা দ্বারা সে তার ন্যায়ানুগ ও স্বাভাবিক প্রয়োজন মেটাতে পারে। শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘‘ তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। কারো ভাই তার অধীনে থাকলে তার উচিত নিজে যা খাবে তাই খাওয়াবে। নিজে যা পরবে তাকেও তা পরতে দিবে এবং তাকে দিয়ে এমন কাজ করাবে না যা তার সাধ্যাতীত। কোনভাবে তার উপর আরোপিত বোঝা বেশি হয়ে গেলে নিজেও সে কাজে তাকে সাহায্য করবে।’’ [ইমাম বুখারী, আস- সহীহ, ২য় খন্ড, পৃ. ৮৯৪।]
যোগ্য, অভিজ্ঞ ও সৎ কর্মচারী নিয়োগঃ
দুর্নীতির কারণ হচ্ছে প্রশাসনের নিভিন্ন স্তরে ঘুষ ও উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে অদক্ষ, অনভিজ্ঞ ও অসৎ কর্মচারী নিয়োগ দান করা। অথচ প্রশাসনকে দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য ইসলামের দির্দেশ হচ্ছে সৎ, বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। [ইমাম ইবন তাইমিয়া, আস-সিয়াসাতুশ শার‘ঈয়্যাহ (কুয়েত : জাম‘ঈয়াতু ইহইয়াত তুরাছিল ইসলামী, ১৯৯৬ খৃ.), পৃ. ৬।] আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কে বলেন,
‘‘ তোমার জন্য সর্বোত্তম কর্মচারী হতে পারে সেই ব্যক্তি, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত। [আল-কুরআন, ২৮ : ২৬।](সূরা আল কাসাস:২৬)
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা যেন আমানত তার মালিককে প্রত্যার্পণ কর।’’ [আল-কুরআন, ৪ : ৫৮।]
এছাড়া মহানবী (সা.) আমানতের খিয়ানত করাকে কিয়ামতের আলামত হিসাবে অভিহিত করেছেন। এভাবে ইসলাম সৎ, যোগ্য ও বিশ্বস্ত কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি সংঘটনের সম্ভাবনা বন্ধ করে দিতে চায়।
গণসচেতনতাঃ
দুর্নীতির ভয়াবহতা এবং এর নেতিবাচক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক
ভূমিকা সম্পর্কে সকল সত্মরের মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়। বিষয়টি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কেননা এদেশের জনগণ ধর্মভীরু এবং সরল প্রকৃতির। তাদেরকে যদি দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব এবং তার ইহকালীন ও পরকালীন ও পরিণতির বিষয় বুঝিয়ে দেয়া যায়। তাহলে তা সময় সাপেক্ষ হলেও অসম্ভব নয়। এজন্য কিছু পন্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রথমত: মসজিদে খুতবার সাহায্য গ্রহণ:
বছরে বায়ান্ন দিন এলাকার জনগণ জসজিদে জুম‘আর নামাযে শামিল হন। এ নামাযের খুতবায় নানা বিষয়ের অবতারণা করা হয়। সে সব বিষয়ের পাশাপাশি যদি ইমাম সাহেবগণ দুর্নীতির ভয়াবহতা ও তার ক্ষতিকর দিকগুলো বুঝিয়ে দেন। তাহলে ধীরে ধীরে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
দ্বিতীয়তঃ
দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়ায-মাহফিল, তাফসীর-মাহফিল, ইসলামী জলসা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে বরেণ্য ‘উলামায়ে কেরাম’ যুগশ্রেষ্ঠ মুফাসসির এবং খ্যাতনামা অভিজ্ঞ পন্ডিত ব্যক্তিগণ বক্তব্য রেখে থাকেন। এসব অনুষ্ঠানে নানা বয়স, পেশা, শিক্ষা ও পদমর্যাদার বহু লোকের সমাগম হয়ে থাকে। সুতরাং এসব অনুষ্ঠানে যদি দুর্নীতির মারাত্মক পরিণতির কথা বুঝিয়ে বক্তব্য রাখা যায়। তাহলে নিঃসন্দেহে আলোড়ন সৃষ্টি হবে এবং জনমত গড়ে উঠবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন সুচিন্তিত ও সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা। [আর্থ-সমাজিক সমস্যা সমাধানে আল-হাদীসের অবদান: প্রেক্ষি ত বাংলাদেশ, প্রাগুক্ত, পৃ. ৪৪৯।]
জবাবদিহিতাঃ
দুর্নীতিমুক্ত সুষমা সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য জবাবদিহিতার কোন বিকল্প নেই। সরকারের সবের্বাচ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত জবাবদিহিতার নিশ্চিতকরণ দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এ সম্পর্কে মহানবী (স.) বলেন, ‘‘তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল। আর তোমরা প্রত্যেকে স্বীয় দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’’ [ইমাম বুখারী, আস- সহীহ, ২য় খন্ড, পৃ. ১০৫৭; ইমাম মুসলিম, আস- সহীহ, ২য় খন্ড, পৃ. ১২২।]
একবার হযরত আলী (রা.) হযরত উমার (রা.)- কে মদীনার বাইরে যেতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি কোথায় যাচ্ছেন? উমার (রা.) বললেন, সাদকার একটি উট পালিয়েছে, আমি তা খুঁজতে বেরিয়েছি। হযরত আলী (রা.) তখন বললেন, আপনি তো আপনার পরবর্তী খলিফাগণের জন্য খেলাফতের দায়িত্ব পালন অত্যন্ত কঠিন করে দিচ্ছেন। [ইবন কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৭ম খন্ড (কায়রো : দারু আইয়ান লিত তুরাছ, ১৯৮৮ র্খ,) পৃ. ১৪১।] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হযরত উমার (রা.) একদা মসজিদে খুতবা দিতে উঠলেন। এমন সময় জনৈক বেদুইন তাকে সম্মোধন করে বলল, হে উমার! আমি আপনার কথা শুনব না এবং আপনার প্রতি আনুগত্যও প্রদর্শন করব না। যতক্ষণ না আপনি জবাব দেবেন যে, আপনার পক্ষ থেকে আমাদের মাঝে যে কাপড় বণ্টন করা হয়েছে, তা দিয়ে কোন ক্রমেই এত বড় জামা তৈরি করা সম্ভব নয়। আপনি আমাদের চেয়ে বেশি কাপড় না নিলে কিভাবে আপনার জামা তৈবি করা সম্ভব হল। [ইসলামের দৃষ্টিতে দুর্নীতে প্রতিরোধ, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৪।] হযরত উমার (রা.) এর কোন প্রতিবাদ না করে স্বীয় পুত্রের দৃষ্টি আকষণ করেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা.) বলেন, মদীনার সকল অধিবাসীর মত আমি ও আমার পিতা এক খন্ড করে দু‘খন্ড কাপড় পেয়েছিলাম। আমার পিতা দীর্ঘকায় হেতু তার প্রাপ্ত কাপড় দ্বারা জামা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আমার ও তার কাপড় একত্র করে জামা তৈরি করা হয়েছে। একজন সাধারণ প্রজার কাছে রাষ্ট্রনায়কের জবাবদিহিতার এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
দুর্নীতি বিরোধী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড:
দুর্নীতি বিরোধী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড গণমানুষকে সচেতন করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার বিভিন্ন শাখায় দুর্নীতির ভয়াবহ পরিণতির প্রতিফলন ঘটিয়ে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠক হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা যেতে পারে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতাঃ
দুর্নীতি প্রতিরোধের অপরিহার্য পূর্বশর্ত হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। বিচার বিভাগকে সরকারের যাবতীয় হস্তক্ষেপ, প্রভাব ও চাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও স্বাধীন হতে হবে; যাতে করে সম্মানিত বিচারকবৃন্দ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক নির্ভয়ে-নিঃসঙ্ক চিত্তে রায় প্রদান করতে পারেন। মহানবী (সা.) এর যুগে মাখযুম গোত্রের এক সম্ভ্রান্ত মহিলা চুরির দায়ে ধৃত হয়। তখন মহানবী (সা.) এর নিকট তার দন্ড মওকুফের জন্য সুপারিশ করা হলে তিনি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান এবং বলেন,
«إنما هلك من كان قبلكم إنهم كانوا يقيمون الحد على الوضبع ويتركون على الشريف والذى نفسي بيده لو فاطمة فعلت ذلك لقطعت يدها»
‘‘তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এ কারণে ধ্বংস হয়েছে যে, যখন তাদের মধ্যে দুর্বল কেউ চুরি করত, তখন তারা তার উপর দন্ড প্রয়োগ করত এবং সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত। সেই সত্তার কসম, যার হাতে রয়েছে আমার প্রাণ, ফাতিমাও (মুহাম্মদ (স.) এর মেয়ে) যদি চুরি করে, তবে তারও হাত আমি অবশ্যই কেটে দিব।’’ [ইমাম বুখারী, আস- সহীহ, ২য় খন্ড, পৃ.১০০৩।]
দুর্নীতিবাজদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানঃ
দুর্নীতি দমনের জন্য যারা বিচারের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হবে; তাদেরকে যথাযথ ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন মানুষ শাস্তির পরিণতির ভয়ে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকে। [ইসলামের দৃষ্টিতে দুর্নীতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৩।]
দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালনঃ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন করা যেতে পারে। এজন্য দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন উপলক্ষে উন্মুক্ত কক্তৃতা ও বিতর্কসহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে।
দুর্নীতি বিরোধী পোষ্টারঃ
পোষ্টার, লিফলেট ও স্টিকারের মাধ্যমে দুর্নীতি বিরোধী জনমত সৃষ্টি করা যেতে পারে। পোষ্টার, লিফলেট ইত্যাদির আকর্ষণীয় আবেদন ও ভাষা মানুষের বিবেককে নাড়া দেয় এবং অনুভূতিকে আকর্ষণ করে। এজন্য দুর্নীতি বিরোধী পোষ্টার, লিফলেট ও স্টিকার লিখে পরিকল্পিতভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা যেতে পারে।
গণপ্রতিরোধঃ
উপরে বর্ণিত পদক্ষেপ ছাড়াও দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এর সবই জনগণ নির্ভর। জনগণই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। নিম্নে এ সম্পর্কে কতিপয় পন্থা উল্লেখ করা হলো:
ক. সম্পর্কচ্ছেদঃ যারা দুর্নীতিবাজ তাদের পরিচিতি যাই হোক না কেন, তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। তারা যেন বুঝতে পারে দুর্নীতির কারণেই জনগণ তাদের সঙ্গ বর্জন করেছে। কাজটি কঠিন হলেও সকলে এগিয়ে এলে তা দুঃসাধ্য নয়।
খ. জনপ্রতিনিধি না বানানোঃ দুর্নীতিবাজদের জনপ্রতিনিধিত্ব মূলক কোন বিষয়ে নির্বাচিত হতে দেয়া যাবে না। তারা ভোট প্রার্থী হলে, তারা যেন ভোট না পায় সেজন্য প্রচারণা চালাতে হবে। জনগণকে বুঝাতে হবে এসব লোকের কারণেই সমাজ থেকে দুর্নীতি নির্মূল হচ্ছে না।
গ. সামাজিকভাবে বয়কটঃ যারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হবে তাদের সাথে সামাজিক সম্পর্ক বর্জন করতে হবে। বিশেষ করে ছেলে-মেয়ের বিয়েসহ অন্যান্য সামাজিক সম্পর্ক বর্জন করার ব্যবস্থা করতে হরে। পরিশেষে বলা যায় যে, উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোর যথাযথ প্রয়োগ হলে তা দুর্নীতি প্রতিরোধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে।
উপসংহারঃ
বর্তমানে দুর্নীতি সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস ও অধঃপতনের অতল গহবরে নিক্ষেপ করছে। আগামী দিনের সুস্থ-সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি অবশ্যই পরিত্যজ্য। বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় আলোচ্য অংশে দুর্নীতির কারণ এবং তা প্রতিরোধে ইসলামী নীতিমালা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এটি যত আলোচিত হবে জনগণ এ বিষয়ে তত সচেতন হবে এবং তার সুফল ভোগে সমর্থ হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, প্রবন্ধে উল্লেখিত নীতিমালা ও পদক্ষেপসমূহ যদি সমাজে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে অবশ্যই সমাজ থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/198/24
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।