HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিলাদ মাহফিল

লেখকঃ মুহাম্মাদ হারুন হুসাইন

১০
একটি প্রসঙ্গ ও তার জবাব
মিলাদ মাহফিলে তো যিক্র-আযকার, দু‘আ-দরূদ ও কুরআন তেলাওয়াত করা হয়- তাতে কি কোন নিষেধ আছে?

চমৎকার কথা! আমি ও আপনি বা কোন জ্ঞানী ভালো মনে করলেই কোন কিছুকে ইবাদত হিসেবে চালু করা যাবে না। এ কাজ কেবল মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। এতে কোন সৃষ্টির নূন্যতম কোন অংশীদারিত্ব নেই। ধরে নিন! কেউ মাগরিবের সালাত ৩ রাকা‘আতের জায়গায় ৪ রাকা‘আত পড়ে নিল এবং বলল, ক্ষতি কি? এতে তো কুরআন তেলাওয়াত, দু‘আ ও যিকর আছে। খারাপ তো কিছু করিনি।

এমন ব্যক্তিকে আপনি কী বলবেন? তার এ সালাত শুদ্ধ হবে কি এবং এর বিনিময়ে সে সওয়াব না আযাব পাবে? নিশ্চয়ই বলবেন, তার সালাত সঠিক হবে না। নেকী তো দূরের কথা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানে স্বেচ্ছায় মাতাববরি করার কারণে সে উল্টো গোনাহগার হবে। কিন্তু কেন? সে তো গান গায়নি, বা কোন খারাপ কাজ করেনি; বরং সালাত আদায় করেছে।

মনে রাখতে হবে যে, ইবাদত কবুল হওয়ার আবশ্যকীয় শর্ত হলো : ইখলাসের সাথে ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত অনুযায়ী সকল প্রকার আমল আদায় করা। আপনি ও আমি ইচ্ছা করলেই কোন কিছু দ্বীন ও ইবাদত হবে না। যে বা যারা এ ধরনের উক্তি করেন, তাদের নিমেণাক্ত হাদীসখানাই দলিল হিসেবে যথেষ্ট ।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يَقُوْلُ جَاءَ ثَلَاثَةُ رَهْطٍ إِلٰى بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ يَسْأَلُوْنَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ فَلَمَّا أُخْبَرُوْا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوْهَا فَقَالُوْا وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبِيِّ قَدْ غُفِرَ لَهٗ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه وَمَا تَأَخَّرَ قَالَ أَحَدُهُمْ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا وَقَالَ الْاٰخَرُ أَنَا أَصُوْمُ الدَّهْرَ وَلَا أُفْطِرُ وَقَالَ الْاٰخَرُ أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلَا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا فَجَاءَ رَسُوْلُ اللهِ إِلَيْهِمْ فَقَالَ أَنْتُمْ الَّذِيْنَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا أَمَا وَاللهِ إِنِّيْ لَأَخْشَاكُمْ لِلّٰهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهٗ لٰكِنِّيْ أَصُوْمُ وَأُفْطِرُ وَأُصَلِّيْ وَأَرْقُدُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِيْ فَلَيْسَ مِنِّيْ

‘‘আনাস ইবনে মালিক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন ব্যক্তি নাবী ﷺ এর স্ত্রীদের ঘরে নাবী ﷺ এর ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য আগমন করলেন। অতঃপর নাবীর ইবাদত সম্পর্কে খবর দেয়া হলে তাঁরা সেটিকে (তাদের জন্য) কম মনে করলেন এবং বললেন, আরে নাবীর তুলনায় আমাদের অবস্থান কোথায়? আল্লাহ তো তাঁর পূর্বাপর সব গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। (এ বলে তাঁরা তিনজনে বেশী বেশী ইবাদাত করার উদ্দেশ্যে কঠিন সংকল্প করলেন।) তাঁদের একজন বললেন, আমি সবসময় রাতভর সালাত আদায় করব। দ্বিতীয়জন বললেন, আমি যুগভর সিয়াম/রোজা রাখব, কোন দিন রোজা ভাঙ্গব না। আর অন্যজন বললেন, আমি নারীদেরকে বর্জন করব, কখনও বিয়ে করব না। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ আগমন করলেন এবং বললেন, তোমরা কি এরূপ এরূপ কথা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে আল্লাহকে সর্বাধিক ভয় করি এবং তাঁর জন্য তাকওয়া অবলম্বন করি। এতদসত্ত্বেও আমি সিয়াম/রোজা রাখি এবং ভঙ্গ করি। আমি সালাত আদায় করি এবং রাতে ঘুমাই এবং নারীদের কে বিয়েও করি। অতএব যে আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে সে আমার উম্মতভুক্ত নয়।’’ [। বুখারী হা/৫০৬৩ মুসলিম হ/১৪০১]

সাহাবারা ভালো সংকল্পই তো করেছিলেন। কেউ রাতভর সালাত পড়বেন, কেউ দিনভর সিয়াম/রোজা রাখবেন এবং কেউ বিয়ে শাদীর ঝামেলামুক্ত থেকে সর্বদা আল্লাহর ইবাদত করবেন। কিন্তু নাবী ﷺ তাদেরকে কেন এতবড় কঠিন ধমক দিলেন? কারণ একটাই, আর তা হলো নাবীর তরীকার খেলাফ হওয়া। কাজেই আমাদের দৃষ্টিতে কোন আমল যতই ভালো হউক না কেন, আল্লাহ ও তার রাসূলের সমর্থন না থাকলে সেটি ভালো হতে পারে না; বরং বিদআত, নাজায়েজ ও হারাম। আর এর পরিণাম আল্লাহর লা‘নত ও জাহান্নাম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন