HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিলাদ মাহফিল

লেখকঃ মুহাম্মাদ হারুন হুসাইন

মিলাদের সূচনা
মিলাদ ধর্মের নামে প্রচলিত নিছক একটি অনুষ্ঠান মাত্র। ইহা সারা বছর যত্রতত্র পালিত হয়। সরলমনা মুসলিম সমাজ সস্তা সাওয়াব লাভের আশায় নির্দ্বিধায় তা পালন করে থাকেন। অথচ ধর্মের নামে এটি একটি নতুন সংযোজন। যার সাথে ইসলামী শরীয়তের কোনরূপ সম্পর্ক নেই। নাবী ﷺ, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন এযাম ও মুজতাহিদ ইমামদের সোনালী যুগে এ অনুষ্ঠান প্রচলিত ছিল না। এমনকি হিজরী ৪র্থ শতাব্দী কাল পর্যন্ত মুসলিম সমাজ এ অনুষ্ঠানের নাম-গন্ধও জানতেন না।

পরবর্তীতে খ্রিস্টান কর্তৃক উদযাপিত ঈসা (আ.) এর জন্মানুষ্ঠান দেখে মুসলিম সমাজের অনুকরণ প্রিয় কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ধর্মের নামে এ নতুন অনুষ্ঠানের জন্ম দেয়। বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে ৪র্থ হিজরিতে ফাতেমী শিয়া সম্প্রদায় মিশরের রাজধানী কায়রোতে প্রথম এ মিলাদের প্রচলন ঘটায়। [। হুকুকুন্নবী ﷺ বাইনাল ইজলালি ওয়াল ইখলাল, আলুমুনতাদা প্রকাশনী রিয়াদ / ১৪০, আব্দুস সাত্তার রাহমানী ‘‘ আল মুনকারাত ফিল ‘আক্বাঈদি ওয়াল আ‘মালি ওয়াল ‘আ-দা-ত’’ উর্দু আল কবাসীম / ৫০] শিয়ারা ধর্মের নামে অনেক নতুন প্রথার আবিষ্কার করে। মিলাদও তাদের আবিষ্কৃত একটি প্রথা। যা হিজরী ৭ম শতাব্দীর শুরুতে প্রথম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। ইরাকের ‘এরবল’ এলাকার বাদশা আল মুজাফ্ফর আবু সাঈদ কাওকাবারী শান শাওকাতের সাথে মিলাদ মাহফিল উদযাপন করতেন। [। ইবনে কাসীর ‘‘আল বেদায়াহ ওয়ান নিহায়া ’’ দারুল কুতুব আল ইলমিয়্যা বাইরূত ১৩/১৪৭] সে কারণে কেউ কেউ তাকেই মিলাদের প্রথম উদ্যোগতা বলে উল্লেখ করেন। আসলে তা নয়, বরং ফাতেমী শিয়ারাই এর প্রথম উদ্যোগতা। সে সময়ে মিসরী আলেম আবুল খত্তাব ওমর বিন দেহইয়া আল কালবী ৬০৪ হিজরীতে এরবলে পৌঁছে দেখতে পেলেন সেখানকার বাদশা আল মুজাফ্ফর গুরুত্বসহকারে মিলাদুন্নবী পালন করছেন। তখন তিনি মিলাদের পক্ষে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা দ্বারা ‘‘আত্তাভীর ফী মাওলিদীস্ সিরা জিম্মুনীর’’ নামে একখানা কিতাব লিখে বাদশাহকে শুনান। বাদশাহ খুশী হয়ে তাকে এক হাজার দিনার উপহার দেন।

মিলাদের পক্ষের এ লিখক বানিয়ে কথা বলার কারণে মিসরে অপাংক্তেয় হিসাবে পরিগণিত হন। জনগণ তাকে বর্ণন করা ছেড়ে দেন এবং তাকে একজন মিথ্যাবাদী হিসেবে আখ্যা দেন। তিনিই সেই লোক, যিনি মাগরিবের সালাত কসর করার পক্ষে একটি মিথ্যা হাদীস গড়ে দেন। অথচ বিশ্বের সকল বিদ্বান একমত যে, মাগরিবের কোন কসর নেই। [। ইবনে কাসীর ‘‘আল বেদায়াহ ওয়ান নিহায়া ’’ দারুল কুতুব আল ইলমিয়্যা বাইরূত ১৩/১৫৫-১৫৬]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন