HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিলাদ মাহফিল

লেখকঃ মুহাম্মাদ হারুন হুসাইন

প্রচলিত মিলাদ
প্রচলিত মিলাদ বলতে মিলাদ অনুষ্ঠানে আমরা যা দেখি, তাই বুঝি। স্থান, কাল ও পাত্রভেদে মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানমালায় নানা রকম কর্মসূচি পালিত হয়। মিলাদ পড়ুয়াদের মাঝে এ সংক্রান্ত আক্বীদাহ ও কর্মসূচি নিয়ে ইখতিলাফ রয়েছে। তাই মিলাদ মাহফিলের রূপ ভিন্ন ভিন্ন হয়। আমরা এখানে এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য গত দিকগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরলামঃ

১। ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ ১২ ই রবিউল আউয়াল পালিত হয়। আর ঈদ অর্থ আনন্দ উৎসব। অথচ বিশুদ্ধ মতে ১২ রবিউল আউয়াল নাবীর ওফাত দিবস। [। আল মুবারক পুরী, আর রাহীকুল মাখতুম (আরবি) দারুল মু‘আয়্যেদ-রিয়াদ/৪৬৯] তাহলে কি মিলাদী ভাইয়েরা নাবীর ওফাত দিবসে আনন্দ উল্লাস করে থাকেন?

২। মিলাদ মাহফিল বিভিন্ন উপলক্ষ্যে সারা বছর পালিত হয়ে থাকে। অথচ জন্মদিন বছরে একবারই ঘুরে আসে। তাহলে কি নাবী ﷺ মিলাদ পালনকারীদের ধরণা মতে বারংবার জন্ম নিতেই থাকেন?

৩। মিলাদ মাহফিলে উর্দু, ফারসী, আরবি, ও বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন কবিতা সুর মিলিয়ে আবৃত্তি করা হয়, যার অধিকাংশই শিরকী আক্বীদায় ভরা। আর সাধারণ মুসলিম সমাজ না বুঝে শুধু সুরের তালে তালে মাথা হেলাতে থাকেন এবং ভাবেন বহু পুণ্যের কাজ করে ফেলা হল। অথচ এর দ্বারা যে তাকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা কজন খবর রাখেন।

৪। দরূদ ও সালামের নামে বানোয়াট দরূদসমূহ পড়া হয়। এমনকি (বালাগাল উলা....) ইত্যাদি কবিতাকে সম্মিলিতভাবে স্ব-শব্দে পাঠ করা হয়। আর সরলমতি মুসলিম সমাজ এগুলোকে দরূদ মনে করে মুহাববাতের সাথে আবৃত্তি করতে থাকেন। এক্ষেত্রে কোন কবির কবিতা বা কোন আলেমের বানানো দরূদকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে; অথচ সহীহ হাদীসে বর্ণিত দরূদের কোন খবর নেই। কেউ কেউ সহীহ দরূদ পড়ে থাকলেও সেগুলোকে যথেষ্ট মনে করছেন না। এদের কাছে নাবীর শিক্ষা যথেষ্ট নয়। সেজন্য তারা তথাকথিত কবিতা ও বানানো দরূদ পড়ছেন। হায়! নাবীর উম্মাতের একি দশা?

৫। নামাযী, বে-নামাযী ও ইসলামবিদ্বেষী সকলে তাতে অংশ নেন। তাদের ধারণা, মাঝে মাঝে মিলাদ পড়লেই চলবে, সালাত সিয়ামের কোন দরকার নেই। তাই কেউ কোনমতে একটি টুপি পরে কিংবা নাক ঝাড়ার রুমালটা মাথায় বেঁধে মাহফিলে ঢুকে পড়েন। আর অনুষ্ঠান শেষে জিলাপী ও হাদীয়া দিয়ে বিদায় করা হয়।

৬। এ উপলক্ষ্যে আলোকসজ্জা, আগরবাতি, ধুঁপ-ধুনা জ্বালানো ও আতর গোলাপজল ছিটানো হয়। অথচ এ সবই অপচয়। আর অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আবার কোথাও কোথাও এলাকার যুবসমাজ দলবেধে বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা উঠান এবং উল্লাস করেন।

৭। কেউ কেউ মিলাদ মাহফিলের মাঝখানে একটি খালি চেয়ার সাজিয়ে রাখেন এ উদ্দেশ্যে যে, এখানে নাকি রাসূলুল্লাহ ﷺ এসে বসবেন। তাদের বিশ্বাস মিলাদের অনুষ্ঠানে তিনি হাজির হন। জনগণকে ধোঁকা দেয়ার আরও কোন উপায় আছে কি?

৮। এই মিলাদের মাঝখানে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যান এবং আবেগময় কণ্ঠে বানোয়াট সালাম পাঠ করেন। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ কে হে রাসূল! বলে ডাকতে থাকে। এ জন্য তারা ( يَا رَسُوْلَ اللهِ ) ইয়া রাসূলুল্লাহ! ইত্যাদি বলতে থাকেন। অথচ উপস্থিত ব্যক্তি ছাড়া অনুপস্থিত কাউকে এভাবে ডাকা ব্যাকরণ বিরুদ্ধ। বিশেষত, আল্লাহকে ডাকার বেলায় এ অব্যয়টি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবদ্দশায় সাহাবারা এভাবে তাঁকে আহবান করেছেন। কিন্তু তাঁর ওয়াফাতের পর এভাবে ডেকেছেন- এর কোন প্রমাণ নেই। কাজেই সেটি বর্তমানে দূর থেকে কেউ রাসূল ﷺ কে এভাবে ডাকলে তা হবে শিরক। উপরোল্লিখিতভাবে দাঁড়ানোকে বলা হয় ক্বিয়াম, যা রাসূল ﷺ হাজির হয়েছেন, তা দেখলেন কে? নাকি মিলাদী মৌলভীদের আলাদা কোন চোখ আছে ? হায়! আমাদের সু-বুদ্ধির উদয় হবে কি?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন