hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী শরীআতে শাস্তির বিধান

লেখকঃ ড. আব্দুল কারীম যাইদান

১৭
অভিযোগ ও তার জবাব
৬১. এক শ্রেণির লোক ইসলামের দণ্ডবিধান -কিসাস বা হত্যার বদলে হত্যা ( القصاص في النفس ) সম্পর্কে অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ দু’টি।

এক. কিসাস একটি নির্মম নিষ্ঠুর শাস্তি। কেননা সকল হত্যার ক্ষেত্রে এ শাস্তি প্রয়োগ করা হয়। তাদের ব্যক্তিত্ব, বৈশিষ্ট্য ও পারিপার্শ্বিকতার প্রতি মোটেই লক্ষ্য রাখা হয় না।

দুই. এ বিধানে কিসাসকে নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের অধিকার বলা হয়েছে অথচ হত্যাকাণ্ডকে সমাজের প্রতি মারাত্মক হুমকি ও ক্ষতি হিসেবে গণ্য করা হয়। সুতরাং কিসাস সমাজের অধিকার, উত্তরাধিকারীদের নয়।

প্রথম অভিযোগের জবাব: কিসাস আদৌ নিষ্ঠুর বিধান নয়। কেননা অপরাধী একজনকে হত্যা করেছে। তার বদলা হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়। সে অন্যের ওপর যা করেছে তার চেয়ে বেশি কিছু তার ওপর করা হয় না। আর অপরাধীর ব্যক্তিত্বকে উপেক্ষা করার বিষয়ে আমরা বলছি যে, অপরাধীর ব্যক্তিত্ব যতটুকু বিবেচনা করা প্রয়োজন শরী‘আত ততটুকু করেছে। সে হিসেবে অপরাধী যদি বালেগ, বিবেকবান ও স্বাধীন হয় তখন সে কিসাসের যোগ্য হয়, যদি সে অন্যায়ভাবে ইচ্ছাপূর্বক কাউকে হত্যা করে। তার বালেগ হওয়া, বিবেকবান হওয়া ও স্বাধীন হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলেই তার প্রতি বিবেচনা করার দাবী শেষ হয়ে যায়। এই সীমানা পেরিয়ে তার মর্যাদা, অনুরাগ ও আভিজাত্য বিবেচনায় আনা হলে আমরা খেয়াল-খুশির চোরাবালিতে নিক্ষিপ্ত হব, সামাজিক বিধান ও শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়বে, অপরাধী শাস্তি থেকে খালাস পেয়ে যাবে এবং অন্যরা এ অপরাধ করতে আশকারা পাবে। এর মধ্যে রয়েছে মানব সমাজের জন্য বড় ধরণের ক্ষতি, যা থেকে রক্ষা পেতে শরী‘আতের কিসাস প্রয়োগ অপরিহার্য।

দ্বিতীয় অভিযোগের জবাব: কিসাসকে নিথেকের উত্তরাধিকারীদের অধিকার গণ্য করা এবং সমাজের অধিকার গণ্য না করা এ বিধানের দোষ নয়; বরং অন্যতম সৌন্দর্য। কেননা অপরাধের প্রত্যক্ষ শিকার হয় নিহত ব্যক্তি ও তার উত্তরাধিকারীগণ। স্বজন হারাবার দহন জ্বালা তাদেরকেই সহ্য করতে হয়। পক্ষান্তরে সমাজের যে ক্ষতি হয় তা হয় পরোক্ষভাবে। তাই ইসলামের দাবী হলো তাদের হৃদয় থেকে ক্রোধের আগুন নির্বাপিত করা এবং কিসাসের অধিকার প্রদান করা। এরপর যদি তারা চায় তাহলে অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারে এবং সেটাই শ্রেষ্ঠত্বের দাবী। তারপর তারা কিসাস গ্রহণ করুক বা ক্ষমা করে দিক উভয় অবস্থায় অপরাধ প্রবণতা থেমে যাবে, অগ্রসর হবে না। অপরাধ নির্মূল হবে, ছাড়া পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। কেননা পূর্বেই বলা হয়েছে যে, নিহতের উত্তরাধিকারীগণ অপরাধীকে ক্ষমা করে দিলেও আদালতের ইখতিয়ার আছে তাকে তা‘যীর দণ্ড প্রদান করা।

আরও একটি অভযোগ ও তার জবাব

৬২. অভিযোগ করা হয় যে, হত্যা ব্যতীত যখম ও অঙ্গ কর্তন করার অপরাধে কিসাস ( القصاص فيما دون النفس ) হিসেবে অপরাধীকে অনুরূপ যখম করা ও অঙ্গ কর্তন করার শাস্তি একটি নির্দয় ও কঠোর শাস্তি। এ অভিযোগ পূববর্তী অভিযোগের মতোই প্রত্যাখ্যাত ও অগ্রহণযোগ্য। কেননা হত্যার কিসাস এবং যখম বা অঙ্গ কর্তনের উদ্দেশ্য একই। তা হলো অপরাধ দমন, সতর্ককরণ এবং ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা। যখম বা অঙ্গ কর্তনের ফলে কোনো কোনো সময় আহত ব্যক্তির মৃত্যুও ঘটে থাকে। তাই হত্যার ক্ষেত্রে যেমন কিসাস ওয়াজিব তেমনি যখম ও অঙ্গ কর্তনের ক্ষেত্রেও কিসাস ওয়াজিব। জীবনের ওপর যুলুম করায় শিরচ্ছেদ যখন বৈধ তখন একটি অঙ্গ কর্তন করা তো আরো বেশি বৈধ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন