মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“যাবতীয় ইবাদাত ও অর্চনা মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক সকলই আল্লাহর জন্য, হে নবী আপনার ওপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাগণেরগণের ওপরও শান্তি অবতীর্ণ হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মা‘বুদ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দুরূদদুরূদ ও বরকতের দো‘আ পড়তে গিয়ে বলবে:
“হে আল্লাহ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বংশধরগণের ওপর রহমত নাযিল করো, যেমনটি করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয় এবং বরকত নাযিল কর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর, তাঁর বংশধরগণের ওপর, যেমনটি নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরগণের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানিত।”
অতঃপর সালাত আদায়কারী শেষ তাশাহ্হুদের পর আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে জাহান্নামের আযাব ও কবরের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফেতনা থেকে এবং মসীহ-দজ্জালের ফিতনা থেকে। তারপর আপন পছন্দমত আল্লাহর কাছে দো‘আ করবে, বিশেষ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, দো‘আগুলো ব্যবহার করা সর্বোত্তম। তন্মধ্যে একটি হলো নিম্নরূপ:
“ হে আল্লাহ! আমাকে তোমার যিকির, শুকরিয়া আদায় ও ভালোভাবে তোমারই ইবাদাত করার তাওফীক দাও। আর হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের ওপর অনেক বেশি যুলুম করেছি, আর তুমি ছাড়া গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুণে আমাকে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি রহম করো। তুমি তো মার্জনাকারী অতি দয়ালু”।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, যখন তোমরা সালাত আদায় করবে, তখন বলবে,
তাশাহহুদ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদের হাদীসটিই সর্বাধিক বিশুদ্ধ।
আবু মাসউদ আল বাদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বশীর ইবন সা‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে আপনার ওপর দুরূদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা কীভাবে দুরূদ পড়ব? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন। তারপর বললেন, তোমরা বল,
আর সালাম তোমাদের যেমন শিখানো হয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০৫; তিরমিযী, হাদীস নং ৩২২০; নাসায়ী, হাদীস নং ১২৮৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৭৯।]
মূলপাঠ:
তারপর শেষ তাশাহহুদে জাহান্নামের আযাব, কবরের আযাব, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা, মাসীহ আদ-দাজ্জালের ফিতনা হতে আশ্রয় চাইবে। তারপর মনের চাহিদা মোতাবেক দো‘আ পছন্দ করে নিবে, বিশেষকরে যা হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে তা থেকে
ব্যাখ্যা:
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন তোমরা তাশাহহুদ পড়বে তখন তোমরা চারটি জিনিস থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে এবং দো‘আ পড়বে।
«اللهم إني أعوذ بك من عذاب جهنم، ومن عذاب القبر، ومن فتنة المحيا والممات، ومن فتنة المسيح الدجال»
“হে আল্লাহ! আমি তোমার জাহান্নামের আযাব, কবরের আযাব, জীবন মৃত্যুর ফিতনা ও মাসীহ আদ-দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় কামনা করি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩১১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৮৮; তিরমিযী, হাদীস নং ৩৬০৪; নাসায়ী, হাদীস নং ৫৫১৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৮৩; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৯০৯।]
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সালাতের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দুরূদ পড়ার পর আল্লাহর নিকট চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় চাওয়া যাবে।
মূলপাঠ:
তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, নিম্নাক্ত দো‘আ করা:
«اللهم أغني على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك»
“হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার যিকির, শোকর ও উত্তম ইবাদতের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা করুন”।
অনুরূপ আরও বলবে,
« اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا ولا يغفر الذنوب إلا أنت فاغفر لي مغفرة من عندك وارحمني إنك أنت الغفور الرحيم »
তবে প্রথম তাশাহহুদে আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি... থেকে দু’ শাহাদাত (আশহাদু আন লা-ইলাহা...আবদুহু ওয়ারাসূলুহু) শেষ করে যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশার সালাতে তৃতীয় রাকা‘আতের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে। তাতে যদি মুসল্লি দুরূদও পড়ে নেয় তবে তা আরও উত্তম। কারণ হাদীসসমূহের ব্যাপকার্থ এর সপক্ষে প্রমাণবহ। তারপর তৃতীয় রাকা‘আতের জন্য দাঁড়াবে।
ব্যাখ্যা:
আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন,
«علمني دعاء أدعو به في صلاتي، قال : قل : «اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا ولا يغفر الذنوب إلا أنت فاغفر لي مغفرة من عندك وارحمني إنك أنت الغفور الرحيم »
“আমাকে একটি দো‘আ শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমি আমার সালাতে দো‘আ করবো। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি এ দো‘আ পড়:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সালাতের মধ্যে দো‘আ করা বৈধ। দো‘আ কবুলের অন্যতম স্থান হলো, তাশাহহুদ, দরূদ ও চারটি বিষয় থেকে আশ্রয় চাওয়ার পর। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত, তিনি বলেন,
«ثم ليتخير من الدعاء أعجبه إليه فيدعو»
“অতঃপর তার তার নিকট যেসব দো‘আ পছন্দ তা দিয়ে দো‘আ করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৭৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০২; নাসায়ী, হাদীস নং ১২৯৮; আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৬৮; দারমী, হাদীস নং ১৩৪০।]
এ হাদীস দ্বারা আরও প্রমাণিত হয় যে, সালাতের মধ্যে হাদীসে বর্ণিত বা বর্ণিত নয় সব ধরনের দো‘আ যদি তা শরী‘আত নিষিদ্ধ না হয় তবে তা করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।