hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দরসের সাথে সংশ্লিষ্ট বিধান

লেখকঃ শাইখ আবদুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায

১৭
চৌদ্দতম দরস: অযু ভঙ্গকারী বিষয়
অযু ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ: আর তা হলো মোট ছয়টি:

১. মূত্রনালি ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।

২. দেহ থেকে স্পষ্ট অপবিত্র কোনো পদার্থ নির্গত হওয়া।

৩. নিদ্রা বা অন্য কোনো কারণে জ্ঞান হারা হওয়া।

৪. কোনো আবরণ ব্যতীত সম্মুখ বা পিছনের দিক থেকে হাত দ্বারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করা।

৫. উটের মাংস ভক্ষণ করা এবং

৬. ইসলাম পরিত্যাগ করা। আল্লাহ পাক সব মুসলিমমুসলিমদের এ থেকে আশ্রয় দিন।

ব্যাখ্যা:

লেখক পূর্বের দরসে অযু সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এখন তিনি অযু ভঙ্গের কারণসমূহ আলোচনা করবেন। যাতে মুসলিমদের জন্য দীনের বিধান সু-স্পষ্ট হয়ে যায়।

অযু ভঙ্গের কারণ নিম্নরূপ:

এক- ১. মূত্রনালি ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া কম হউক বা বেশি, তা দুই ধরনের হয়:

প্রাকৃতিক: যেমন পেশাব পায়খানা। আল্লামা ইবনু আব্দুল বার রহ. বলেন, এতে মতবিরোধ নেই যে, এতে অযু ভেঙ্গে যাবে। তা‘আলা আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ

অস্বাভাবিক: পাথর, কৃমি-পোকা চুল-পশম ইত্যাদি। তাতেও অযু ভঙ্গ হবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুস্তাহাযা তথা স্রাবগ্রস্তা মহিলাকে বলেন,

«توضئي لكل صلاة»

“প্রতি সালাতের জন্য অযু কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৩; নাসায়ী, হাদীস নং ১২৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ২৮২; নাসায়ী, হাদীস নং ৩৬৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬২৪; মুসনাদে আহমদ ৬/২০৪।]

এ ধরনের মহিলার রক্তস্রাব অস্বাভাবিক। (তারপরও তাকে অযু করতে বলা হয়েছে; সুতরাং অস্বাভাবিক হলেও অযু নষ্ট হবে।) তাছাড়া এসব তো দুই রাস্তা দিয়েই বের হয়েছে, তাই তাতে অযু নষ্ট হয়ে যাবে।

দুই- দেহ থেকে স্পষ্ট অপবিত্র কোনো পদার্থ নির্গত হওয়া। এ ধরনের নাপাকি বেশি হলে অযু নষ্ট হয়। কম হলে নয়। যেমন, রক্ত যখন বেশি হবে অযু নষ্ট হয়, কম হলে নয়। কারণ, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রক্ত সম্পর্কে বলেন, ‘যখন অতিরিক্ত হবে, তাকে আবার অযু করতে হবে।’ আর আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি ফোঁড়াকে চাপ দিলে তা থেকে সামান্য রক্ত বের হলো, কিন্তু তিনি বের হয়ে সালাত আদায় করলেন; অযু করলেন না। সাহাবীগণের মধ্যে কেউ এ দুই সাহাবীর বিরোধিতা না করায় বিষয়টির ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলো।

তিন- নিদ্রা বা অন্য কোনো কারণে জ্ঞানহারা হওয়া। যেমন পাগল, মাতাল ও নেশাগ্রস্ত হওয়া। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«العين وكاء السه فمن نام فليتوضأ»

“জাগ্রত থাকা পায়ু পথের সুরক্ষা, যে ঘুমায় সে যেন অযু করে নেয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৩; ইবন মাজাহ, ৪৭৭; মুসনাদে আহমদ ১/১১১।]

পাগল মাতাল ও জ্ঞানহারা হওয়া ঘুম হতেও মারাত্মক, তাতে অযু ভঙ্গ হওয়া আরও অধিক জরুরী।

চার- কোনো আবরণ ব্যতীত সম্মুখ বা পিছনের দিক থেকে হাত দ্বারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«من مس فرجه فليتوضأ»

“যে তার লজ্জাস্থান স্পর্শ করে সে যেন অযু করে নেয়।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৮২; নাসায়ী, হাদীস নং ৪৪৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৮১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৭৯; মুসনাদে আহমদ ৬/৪০৬।]

পাঁচ- উটের মাংস ভক্ষণ করা। জাবির ইবন সামুরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

«أن رجلا سأل النبي أأتوضأ من لحوم الإبل؟ قال : «نعم توضأ من لحوم الإبل»

“এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা কি উটের গোশত খেয়ে পুনরায় অযু করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ উটের গোশত খেলে তোমরা আবার অযু কর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬০; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৯৫; মুসনাদে আহমদ ৫/৯৮।]

৬. ইসলাম পরিত্যাগ করা। আল্লাহ তা‘আলা সব মুসলিমদেরকে এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক কাজ থেকে পানাহ দান করুন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٦٥﴾ [ الزمر : ٦٤ ]

“যদি তুমি শির্ক কর, তোমার আমল নষ্ট হয় যাবে”।



মূলপাঠ:

বিঃদ্রঃ মুর্দার গোসল দেওয়ার ব্যাপারে সঠিক মত হলো যে, এতে অযু ভঙ্গ হয় না। অধিকাংশ আলেমের এ অভিমত। কারণ, অযু ভঙ্গের পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। তবে যদি গোসলদাতার হাত কোনো আবরণ ব্যতিরেকে মুর্দারের লজ্জাস্থান স্পর্শ করে তাহলে তার ওপর অযু ফরয হয়ে যাবে। কোনো আবরণ ব্যতিরেকে মুর্দারের লজ্জাস্থানে যাতে হাত স্পর্শ না করে গোসলদাতার অবশ্যই সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এইরূপ স্ত্রীলোক স্পর্শে কোনো ভাবেই অযু ভঙ্গ হয় না, তা কামভাব সহকারে হউক বা বিনা কামভাবে হউক। আলেমগণের সঠিক অভিমত এটাই। কোনো কিছু বের না হলে অযু নষ্ট হয় না। এর প্রমাণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোনো কোনো স্ত্রীকে চুমু খাওয়ার পর সালাত পড়েছেন অথচ পুনরায় অযু করেন নি। উল্লেখ্য যে, সূরা আন-নিসা ও সূরা আল-মায়েদার দুই আয়াতে যে স্পর্শের কথা বলা হয়েছে “অথবা তোমরা স্ত্রীলোক স্পর্শ করেছ” এর দ্বারা সহবাস উদ্দেশ্য নেওয়া হয়েছে। আলেমগণের সঠিক অভিমত এটিই । ইবন আব্বাসসহ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একদল আলেমেরও এ অভিমত। আল্লাহ তা‘আলাই আমাদের তাওফীক দাতা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন